নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চুপ রাস্তার একলা পথিক

কায়সার ইয়াসিন

সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভাল লাগে।সবাই বলে আমি খুব সহজ সরল একজন।তখন ঠিকই তাদের চেহারার দিকে দৃষ্টি দিলে বুঝতে অসুবিধে হয় না আমাকে তারা বোকা বলে সম্বোধন করছে। তবে আমি আমার জায়গায় থেকে যখন কোন কিছু করি নিজেকে খুব পরিষ্কার মনে হয়। পৃথিবীতে আমি মনে করি তিন স্তরের মানুষ আছে। এক নির্বোধ দুই বুদ্ধিমান তিন যাকে কোন নাম দেয়া যায় না।তিন নাম্বারের স্তরের মানুষগুলো যখন কিছু করে তা দেখে কেউ বলে উঠে এত গাধা না হলে এমন কাজ সে করতো না।আবার কেউ বলে উঠে চালাকের সীমা ছাড়িয়ে গেল।হুমায়ূন স্যারের কথাটি সবসময় আমার কানে বাজে জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।আমাদের পথচলার সবচেয়ে বড় চালকটা হচ্ছে বিশ্বাস।তাই আমি বলি এটি যেন কখনো জীবন থেকে হারিয়ে না যায়।কারণ কারো প্রতি জন্ম নেয়া ছোট ছোট আস্থার চারা বড় হওয়ার আগে অকালে ঝড়ে গেলে পরবর্তি বীজ গুলো তার জন্ম নেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

কায়সার ইয়াসিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার উলোট পালোট চেঁচামেচি

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৩৯

আজ আমার বিধঘুটে লাল রঙের থু থুর সাথে তোমার স্মৃতি গুলো
দিলাম ফেলে।
আর ভেজা রাতে সাদা কাগজে আগুন জ্বালিয়ে
তোমার নামটি দিলাম আমি
আমার তামাকের বিষে পুড়িয়ে।
.......................................................................
এখনকার বৃষ্টি গুলো কেন জানি না
সকালের তপ্ততাকে শীতলতার স্নানে জড়াতে মোটেও আগ্রহী নয়।
যেন তারা ভুলে গেছে দুপুরের দগ্ধ পাতাকে ভেজানোর
সেই অভূত কায়দা।
আজকাল বৃষ্টিরা তাদের সাক্ষাৎ দিয়ে যায় রাতের কালো পাথরের দেয়ালের বুকে।
জনহীন রাত তার মাঝে আকাশ ছোঁয়া কালো পাথর গুলো নির্বিকার দাড়িয়ে আকাশ ভেদ করে যেন নিজেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে অবিরাম।
আমার ছোট্ট একটা রাতের জানালা।
রাত গুলোকে ভিজিয়ে দেয়া বৃষ্টির ঘাম এসে জমেছে আজ আবছা সেই জানালায়।
আমার চক্ষুদ্বয়ের ঘুম নামানো ঘুমীয় প্রহরী অনেক আগেই দরখাস্ত দিয়ে ছুটি নিয়ে পাড়ি জমিয়েছে
অজানা গন্তব্যে।
কালো পাথরে পড়ন্ত বেসুরা বৃষ্টির ছাপ আর জানালায় গড়ানো ভেজা ঘাম দেখে পার হয় আমার আজকালকার রাত।
আবছা জানালায় বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির দানা জমে গেল চারপাশ।
সামনে বসে ভাবছি রবীন্দ্রনাথের সে গান
"এমনো দিনে তারে বলা যায়
এমনো ঘন ঘোর বরিষায়"।
রবীন্দ্র এখানে থাকলে হয়তো বা জানালার কাঁচে
আঙ্গুলের স্পর্শে লিখে দিত সেই নাম
যে নামে হতো সে শিহরিত
খুঁজে পেত মুহ্যমান প্রাণ।
হ্যা আমি "নলিনীর" কথা বলছি।
আমি ও তাই করতে গিয়ে হোচট খেলাম।
জানালার কাচে স্পর্শ করে
পেলাম না তো খুঁজে
আমাকে ভালবেসেছে
এমন কারও নাম,,,, ,,.....
..................................................................

আজকাল আমি পথের কুকুরের মত
সারারাত জেগে থাকি।
আর সাদা কাগজে মশাল জ্বালিয়ে
বারান্দার এপাশ -ওপাশ ছুঁটতে থাকি।
রাতের আধারের প্রচন্ডতা
কাটিয়ে রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট গুলো
বার বার আলো দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অবিরত।
রাত এখন মধ্য প্রহরে।
আশে পাশে জনশূন্য শহর
আর নিস্তব্ধতা সাড়া জাগাচ্ছে হুতুম পেচার বিরতিহীন ডাকের মাঝে।
পাশের বারান্দার দিকে হঠাৎ চোখ পড়ল।
দেখলাম একজন দাঁড়িয়ে আছে।ভাল করে দেখলাম।
একটি মেয়ে।হ্যা! একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে কান্না করছে।
কৌতুহলের বশে জিজ্ঞাস করলাম মেয়ে তুমি কাঁদছো কেন?
মেয়েটি আমার গলা শুনে থতমত হয়ে ভেতরে চলে গেল।
আমার জন্য রেখে গেল অজানা রহস্য না জানার ব্যাকুলতা।

তাহলে আমি একা না।
অনেকে এখন রাত জাগে।
কেউ জাগে আমার মত সাদা কাগজে আগুন জ্বালিয়ে অতিতের অন্ধকারে
আলো জ্বালাতে।
আবার কেউ জাগে সেই মেয়েটির মত
মনের ভেতরে দাউদাউ করা আগুন লোনা পানি দিয়ে নেভাতে।

আমি সুই এর মাঝে সুতা লাগিয়ে আমার ফেটে যাওয়া জীবনটি
সেলাই করছি আর লিখছি

"আমার কোন এক মন খারাপের রাতে
তুমি স্বপ্ন হয়ে এসে
আমায় ভাসিয়ে দিও ওগো
তোমার হাসিখানা রেখে".........
......................................................................
রাতের সাথে আমার অন্য এক সম্পর্ক।এক নিবিড় সম্পর্ক।আমি রাতকে পড়ি।আর রাত আমাকে পড়ে।
জেগে থাকা যেন অনুভূতির বিচিত্র এক পাতা।
এই রাত আমার
ভাল লাগার সমাহার
ঠিক কিছুক্ষণ আগে আজকের রাত
তাত অমৃতের স্বাদ
দিয়ে বিদায় নিল সূর্যের আলোর মাঝে।
আবার অন্তিম এক অপেক্ষা।
আর রোপন করা তাকে ফিরে পাওয়ার
সুপ্ত আশা।
আমি ঘুমোতে যাচ্ছি।
দিনের ভীষণ উষ্ণতা
শুধু দিয়ে যাবে
আমায় বিষাদীয় এক বিষন্নতা।
.......................................................................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.