নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"তোমার সাথে মিলব আমি ঠিক বেঠিকের বাহিরে\"

লাবিব ফয়সাল

ভালোমানুষ হওয়ার কোন ঝঞ্ঝাট নেই, তাই আমি নিতান্ত ভালোমানুষ...

লাবিব ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনিও একজন আধুনিক দাস

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

একটি জতীর মানুষিক দাসত্ব থেকে মুক্তির মৌলিক উপকরণগুলোর মাঝে প্রথমটি হলো তার নিজের ভাষা।আমাদের বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিকাশ ধারাকে প্রথম থেকেই দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।তবে এ ব্যপারে শাসকগোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ প্রতিবারেই ছিল প্রবল সক্রিয় ।আর এর বিশেষ অংশ পূর্ণতা পায় ১৯৪৮ সালের ৮ এপ্রিল মন্ত্রী হাবিবুল্লাহ বাহারের বাংলা ভাষা আরবী হরফে লেখার প্রোস্তাবনার মাধ্যমে।

তবে এটিকে দমানোর জন্য তৎকালিন পূর্ববঙ্গের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. কুদরত-ই-খুদা রোমান বর্ণমালা গ্রহণের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী বাঙালী জাতীয়তার মৌলিক এ অংশটি নিয়ে বেশ মজা করেই খেলছিলেন পঞ্চাশের দশকটিতে।কিন্তু বাংলার কিছু ক্ষনজন্মা তাদের রক্তকে ছুড়ে দিয়েছেলেন সেই নোংরা খেলায় মত্ত ক্ষণস্থায়ী প্রভূদের মুখে।

আমরা এখন তাদের ২১ শে ফেব্রুয়ারি এলেই স্মরণ করি। আমাদের অনেকেই তাদেরকে চিনতে শেখে স্কুলের সপ্তম শ্রেণির সমাজ বই পড়ার মাধ্যমেই।বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বেশ কড়া করেই মুখস্ত করতে দেখা যায় অনেককেই “রফিক,শফিক, জব্বার সহ আরো অনেকেই ” এই লাইনটিকে।

আমরা প্রত্যেক ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই একটু দায় সারতেই চলে আসি প্রভাতফেরীতে।আবার আমাদের মত যারা তরুণ , বর্তমান নেতৃত্ব যাদেরকে পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি করে চলেছেন,তাদের কাছে এটা আবার পাঞ্জাবি ঈদের মতোই কিছুটা। তাদের মাঝে এই ব্যপারে বেশ পরিষ্কার ধারনা রয়েছে যে এটা বাঙালী জাতীর একটা উৎসব।
ঢাকায় এই উৎসবের প্রাথমিক আবিষ্কার হলেও ক্রমেই এর ব্যপক প্রসারনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষ।
এর জাকজমকতা অনেককেই প্রবোল আবেগেও তাড়িতো করে মাঝে মাঝে।

কিন্তু নব্বইয়ের দশকে শুরু হওয়া আগ্রাসনের সন্ধান কি কেউ কখনো পেয়েছেন।একবারো কি সময় করে ভেবে দেখেছেন, আপনার সন্তান বাংলার চেয়ে হিন্দি এত সুন্দর করে বলে কেন।

৪৮ শে বাংলাকে লিখতে চেয়েছিল আরবি হরফে।এজন্য বাংলার হাজার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছিল।এ কথাটি সকলেই আমরা রচনাতে পড়েছি, ও লিখেছি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায়।কিন্তু আজতো আপনি নিজেই বাংলাকে ইংরেজি হরফে লিখেন।আপনার আর রাজাকারের পার্থক্য করার দ্বায়িত্বটা নাহয় আপনার উপরেই থাকলো।
মানুষিক দাসত্বটা প্রবোল একটা বিষয়।আফ্রিকানদের হাতে যখন ক্ষমতা ছিল সেই অনেক অনেক আগে,তখন সাদা মানুষগুলো গর্ব করেই ইতিহাসে লিখেছিলেন,সর্গের দূতরাও নাকি আফ্রিকানদের সুন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সর্গ থেকে নেমে এসে একসাথে বসে মদ্যপান করতেন।
তবে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি সুন্দরতার নতুন সংগা আবিষ্কার হতে।নব্য দাসত্বপ্রথা বেশ ভালোভাবেই বাজার করে নিয়েছে।এর প্রভাব সবখানেই অনুমেয় হলেও বাঙালি যেন এটাকে মডার্ন হওয়ার সীড়ি হিসেবেই নিয়েছেন।
তাইতো রেডিয়োর ধারা ভাষ্যকর বেশ কিছুটা আগ্রহ নিয়েই তার স্মার্টনেসের পরিচয় দিয়ে থাকেন বাংলা ইংরেজির বাংলিশ সংস্করনের প্রচারে মাধ্যমে।

আমাদের দাসত্ব তখনো ছিল, এখনো আছে।তবে পার্থক্য হলো তখন মানুষ বুঝতে পেরে প্রতিবাদ করেছিল কিন্তু এখন আর মানুষ জানেও না তাদের বন্দি দশার কথা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.