নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোমানুষ হওয়ার কোন ঝঞ্ঝাট নেই, তাই আমি নিতান্ত ভালোমানুষ...
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ। রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানে।ঠিক এই সময়টাতেই তুরস্কের বসফোরাসের দিকে রাশিয়ার আগ্রহ তৈরি হয়।
রাশিয়ানরা তুর্কি প্রণালীগুলোতে ঘাটি বসাতে শুরু করে।
কিন্তু চানাক্কালি যুদ্ধে জয়ী তার্কিদের হঠাৎ গেম চেঞ্জ হয়ে যায় আমেরিকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুনির এরতেগুনের হৃদরোগে মৃত্যুতে।
আমেরিকা তুরস্কের জন্মবন্ধুর পরিচয়টা অনেক ভালোভাবেই দিয়েছিল সে সময়।মৃতদেহকে সম্মান দিয়ে পাঠাতে গিয়ে সাথে এল তিনটি রণ তরী। এই রণতরীগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বড় রণতরী মিসৌরি।
এদিকে আমেরিকানদের আগমনে ইস্তাম্বুলে চলছিল বিশাল প্রস্তুতি। প্রত্যেকটি জাতীয় দৈনিকে লিড হচ্ছিল তাদের আগমনী ধ্বনি। ডাক টিকেট বানানো হলো সেই রণতরী স্মরণে।
আর এই আগমনী হাওয়ায় ইস্তাম্বুলের ত্রিশ বছরের পুরনো রাশিয়ান ছালাদ মিনিটেই আমেরিকান সালাদে রুপ নিল।
যুদ্ধ ছাড়াই শেষ হয়েছিল সময়টি।রাশিয়া তাদের ঘাটি উঠিয়ে নিয়েছে, আর আমেরিকান মিসৌরিও বন্ধুত্বের দাবী পালন করে ফিরে গিয়েছে।
এর পরে সময় অনেকটা পথ হেটেছে।তুরস্ক এখন উন্নত দেশগুলোর কাতারে। বিভিন্ন ইসলামি দেশ,আর অনেক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক দল এই দেশকে নিয়ে বেশ আশাবাদী।
কিন্তু তুরস্কের বন্ধুত্ব যখন মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া হিসেবে খ্যাত ইজরায়েল এর সাথে হয়,ঠিক তখনি কাঠাল মাথায় ভাঙা অবস্থায় পড়ে দলগুলো।
আসলে উন্নয়নের মশাল নিয়ে আতাতুর্কের তুর্কি জাতীকে যেমন চীন ভয় পেয়ে মহাপ্রাচীর বানিয়েছিল এখনো ঠিক সেভাবেই যে কারো মাঝেই প্রাচীর তৈরি করতেও তাদের খুব বেশি সময় নিতে হবে না।
লাবিব ফয়সাল
কনিয়া,তুরস্ক।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫২
লাবিব ফয়সাল বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন।ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৪৪
বটপাকুড় বলেছেন: ইউরোপের বাকী দেশ গুলোর কাছে তার্কি মানেই ধুর্ত আর টাউট জাতি হিসাবে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের অপরাধের হোতা এই জাতি, কেউ ভালো চোখে দেখে না। গ্রিক আর তার্কি হচ্ছে ইউরোপের দুই ফকির জাতি। এগুলোকে ইইউ থেকে বের করা উচিত