নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাস্তবতা যত সুন্দরই হোক; কখনোই স্বপ্নের মত নয়।আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।জানি আমার স্বপ্ন পূরণ নাও হতে পারে; তবুও আমি স্বপ্ন দেখতেই ভালোবাসি......
তোর গলায় কি চক চক করতাছে রে! তুই কি সোনার চেন গলায় দিছোস?
কে সোনার চেন গলায় দিছে?
সালমা আম্মা!
তোমার যা কথা! তিন বেলা খাওনের অভাবে যাদের পেটের ক্ষুধাই মিটে না তারা আবার সোনার চেন গলায় দিবো।
দাহেন না আম্মা!কেমন চক চক করে ওর গলার চেনডা।এই সালমা এই দিকে আয় তো,শুনে যা।
মোমেনা বেগম উঠানের প্রান্তে পিঁড়িতে বসে একমাত্র ছেলের বউ সুমির মাথায় তেল দিচ্ছিল।সালমা এগিয়ে কাছে আসতেই বলল,ফেরিওয়ালার থেকে কিনছে,চক চক করলেই কি! ওরা আবার সোনার চেন কই পাইবো।
না কাকী!কিনি নাই।আব্বায় বাজার করতে গিয়ে রেল রাস্তায় পাইছে।সালমার ছোট বোন আয়শা ওর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল।
তোদের দুই বোনের গলায় তো একই রকম চেন,তোর আব্বায় কি দুইডা চেনই রেলরাস্তায় পাইছে?
একটা প্যাকেটের মধ্যি বারোডা চেন ছিলো।মা তো কয়ডা দশ টাকা করে বিক্রি ও করছে।
সুমি বলল,তয়লে আমারে এই দুইডা দে সালমা,আমি তোদের বিশ টাকা দিতাছি।তোরা দোকান থেকে মিষ্টি কিনে খাছ।আম্মা আমার কাছে তো খুচরা নাই,আপনী ওদের বিশ টাকা দেন তো।
সালমা কিছু বলতে যাবে এর মধ্যে আয়শা বলল,বুবু দিয়ে দে আমরা বাড়িতে গিয়ে আবার মায়ের থেকে নিবোনে।চল আমরা এই টাকা নিয়ে দোকান থেকে আইসক্রিম কিনে খাই।
ওরা চলে গেলে মোমেনা বেগম সুমির হাত থেকে চেন নিয়ে কিছু ক্ষন দেখে বলল মনে হইতাছে সোনার ও হতে পারে! তুমি দুপুরের রান্নাডা শেষ করো,আমি আইতাছি।
আম্মা আপনি কই যান?
আইসা বলুমনে।
সুমি রান্না শেষ করে গোসল দিয়ে উঠানের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে।
মোমেনা বেগম কোথা থেকে এসে বলল,বৌমা এই চেন সোনার।
আম্মা তাইলে এই চেন ওদের ফেরত দিয়া আসেন।গরিব মানুষ.......
তুমি কি ভাবছ এই চেন দিয়ে ওদের ভাগ্য বদল হবে!আমরা ফেরত দিয়া আসলেই কি এই চেন ওরা রাখতে পারবো।শোন গরীব মানুষের পেটের ক্ষুধার চেয়ে যাদের অনেক আছে তাদের আরও পাওয়ার ক্ষুধা অনেক বেশি।তারচে পাঁচ-ছ হাজার টাকা দিয়ে দিবো।
আম্মা সালমার মা আসতেছে ।
তুমি কিছু বলবা না যা বলার আমি বলবো।
বৌমা তুমি আমার মেয়েদের থেকে দুইডা চেন নিছিলা দাওতো ।আমার বাড়িতে যেগুলি ছিলো মেম্বারসাব নিয়া গেছে,একটু পর আবার আসবো বাকীগুলা নিতে,ওগুলি থানায় জমা দেওয়া লাগবো নইলে নাকি আমরা ঝামেলায় পড়তে পারি।
মোমেনা বেগম বলল,বৌমা তো পুকুরে গোসল দিতে গিয়া পানিতে হারাইয়া ফেলছে।আমরা কি জানি সোনার চেন!
আমি কি জানতাম,জানলে কি আর দশ টাকা করে বিক্রি করি।অহন কি করুম,মেম্বার তো একটু পর আবার আসবো।
আসলে বলিস পোলাপান হারায় ফেলছে।আর তাতে ও না শুনলে আমার কাছে পাঠাইয়া দিছ যা বলার আমি বলুমনে।
২| ২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
লাবণ্য ২ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪২
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
৪| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২১
লাবণ্য ২ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১৯
নিশাচড় বলেছেন: সুন্দর গল্প। তবে এইটুকেই চাইলে আরো বাড়িয়ে মনোরম একটা গল্প করা যেতো
৬| ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫
লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আসলাম আপনার ব্লগে।
পড়লাম মন দিয়ে। লেখার মান ভালো। আরও ভালো ভালো লেখা চাই আপনার কাছে। আশা করি হতাশ করবেন না।
৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
লাবণ্য ২ বলেছেন: চেষ্টা করবো ভালো লেখার।
৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর বুঝিয়েছেন, আসলে একেক মানুষের একেক রকমের ক্ষুধা, গরীবের পেটের ক্ষুধা দেখা যায় না অনুভব করা যায়, আর ধনির ক্ষুধা দেখা যায় আচার আচরণে, কথাবার্তায়। তবে ক্ষুধা গরীবকে কষ্ট দিলেও ধনিকে বিবেকহীন করে দিয়ে যায়।
ভালো লাগলো আপনার গল্প
১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১
লাবণ্য ২ বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ।
১১| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৩
মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: ভালো উপস্থাপন!
১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:২৫
লাবণ্য ২ বলেছেন: মন্তব্য ও পাঠে ধন্যবাদ রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
ঋতো আহমেদ বলেছেন: সুন্দর গল্প। সোনার চেন।