নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসহায়দের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করতে, আড্ডা দিতে, খেলাধূলা করতে ও আল্লাহ্‌র সৃষ্টি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখত ভাল লাগে।

আকাশ খাঁন

আমি খুব সাধারণ ছেলে

আকাশ খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে স্বাদ সবাই গ্রহণ করবে

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২২




মৃত্যু আল্লাহর বিধান। মৃত্যুর মধ্য দিয়েই জীবন প্রত্যাবর্তিত হয় প্রতিপালকের দিকে। আল্লাহর ঘোষণা_ 'জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে। অতঃপর তোমরা আমার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে।' (সূরা আনকাবুত : ৫৭)। মৃত্যু এমন এক নিশ্ছিদ্র বাস্তবতা, যা অবশ্যম্ভাবী। এতে না আছে সন্দেহের লেশ। আর না আছে অস্বীকারের কোনো উপায়। অস্বীকারকারীরা পৃথিবীর তাবৎ সৃষ্টি নিয়ে মতানৈক্য করছে। বাদানুবাদ করছে স্রষ্টার একক অস্তিত্বে। কেবল একটি মাত্র পৃথক বাস্তবতা, যার নাম মৃত্যু। তা নিয়ে নেই কোনো হিল্লোল। আর নেই কোনো মতবিরোধ। মানব-দানব তথা সব প্রাণীই বিশ্বাস করে, মৃত্যু একদিন আসবেই। জীব মানেই মরণশীল। মৃত্যুর পাকড়াও থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। আল্লাহর ঘোষণা, 'তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। (সূরা নিসা : ৭৮)। অনুরূপ এটাও এক অনির্ধারিত ধ্রুব বাস্তবতা যে, মৃত্যু মানে না সময়ের সঞ্চালন। জানে না বয়সের ব্যাকরণ। জীবনপ্রবাহের পলে পলে নিশ্বাসের মতোই আসা-যাওয়া করে জীবন-মরণ। আর এ সত্যের মহাসমুদ্র কল্লোলে জোয়ারের মতো এসে প্লাবনের মতো ভেসে যাচ্ছে_ ছোট-বড়, সাদা-কালো, ধনী-দরিদ্র, সহায়-অসহায়, সম্মানী-অসম্মানী, রাজা-প্রজা নির্বিশেষে প্রতিটি প্রাণীই। কে? কোথায়? কখন? কীভাবে? মৃত্যুবরণ করবে তা কারও জানা নেই। নেই কারও কল্পনায়। আল্লাহর ঘোষণা, 'নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। (সূরা লোকমান : ৩৪)।

মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা তাবৎ সৃষ্টি জীবের জীবনলীলা সমাপ্ত করেন। কিন্তু মানব-দানবের মৃত্যু নামক সেতু শেষে শুরু হয় আরেক জীবন। যার নেই শেষ। স্রোতস্বিনী তরঙ্গের মতোই প্রবহমান অনন্তকাল। এ প্রবহমানতা কারও জন্য হয় অকম্পিত বিপদ সাইরেন। কারও জন্য হয় সুখ সমৃদ্ধির স্পন্দিত তরী। প্রত্যেকের নিজ-নিজ আমলের ভিত্তিতে। নেককারদের প্রতিফল নিশ্চিত করে আল্লাহর ঘোষণা, 'নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী! তথায় তারা চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল। (সূরা আহকাফ : ১৩-১৪)। পক্ষান্তরে বদকারদের ব্যাপারে তিরস্কার করে আল্লাহর ঘোষণা, 'যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান। (সূরা মুলক : ৬)। অন্যত্র ঘোষিত হচ্ছে, 'তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোজখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে। (সূরা বাকারা : ২১৭)। আল্লাহ তায়ালা তার উদ্দিষ্ট সৃষ্টি মানব-দানবকে সুনির্দিষ্ট সময় দিয়ে পরকালের বেসাতি করতে প্রেরণ করেছেন এ ধরাধামে। নশ্বর এ পৃথিবীতে। পৃথিবী তার বাহন। আর সে মুসাফির। কর্ম তার সঞ্চয়। এরই মধ্যে ঘূর্ণায়মান জীবন তরী। নিয়তির এ খেলারচলে ভাগ্যের চাকা যখন থেমে যায়, তখন কালবিলম্ব না করে জীবনের সাঙ্গলীলা সমাপ্ত করে মানুষকে চলে যেতে হয় তার 'ওতনে আসলি'র দিকে। আল্লাহর ঘোষণা, 'প্রত্যেক সমপ্রদায়ের একটি মেয়াদ রয়েছে। যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহূর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে যাবে এক কদম। (সূরা আরাফ : ৩৪)। মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন তিলোত্তমা শিল্প হিসেবে। আল্লাহর ঘোষণা, 'আমি মানুষকে চন্দ্র-সূর্য অপেক্ষা তিলোত্তমা শিল্পে সৃষ্টি করেছি। (সূরা তিন : ৪)। সেই পরম শিল্প যেন নিজের মর্যাদায় ছিটিয়ে দেয় এশকের সৌরভ। প্রাচুর্যের বিপুল গরিমা। এ জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের উৎসাহ প্রদানে ঘোষণা করেন, 'সেই ব্যক্তি প্রাচুর্যের অধিকারী, যে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে। আর যে ব্যক্তি (মাওলার আনুগত্য না করে) কলুষিত করেছে আত্মাকে, সে ব্যর্থ হয়েছে। (সূরা আশ-শামস : ৯-১০)। দরদে দিলের সঙ্গে আল্লাহ মানুষকে সতর্ক করছেন, বিবৃত করছেন মানুষের আদি-অন্তের ইতিহাস, যেন মানুষ দুনিয়ার ধোঁকায় পড়ে শয়তানি এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করে। এ মর্মে আল্লাহর ঘোষণা, 'তোমরা কীভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করছ? অথচ, তোমরা ছিলে মৃত। অতঃপর আমি তোমাদের জীবনদান করেছি। অতঃপর পুনরায় তোমাদের জীবন হরণ করবে। অবশেষে তোমরা আমার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে।' (সূরা বাকারা : ২৮)। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা দুনিয়ার আমোদ-প্রমোদ ধবংসকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ কর। কেননা, মৃত্যু পাপরাশিকে বিলুপ্ত করে দেয় এবং দুনিয়ার প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে। (আল হাদিস)। অতএব, প্রত্যেকটা ব্যক্তিকেই মৃত্যুর কথা স্মরণ করে কেবল আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) এর সন্তুষ্টির জন্য তাঁর তরিকায় আল্লাহর বিধিনিষেধ পালন করতে হবে। এটাই হবে জীবনের প্রকৃত মানে। ইহকাল ও পরকালের পরম পাথেয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

প্রামানিক বলেছেন: প্রত্যেক প্রাণকেই মৃত্যু বরণ করতে হবে। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.