নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসহায়দের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করতে, আড্ডা দিতে, খেলাধূলা করতে ও আল্লাহ্‌র সৃষ্টি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখত ভাল লাগে।

আকাশ খাঁন

আমি খুব সাধারণ ছেলে

আকাশ খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাইকে পবিত্র ঈদ উল ফিতর এর শুভেচ্ছা!

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬



আসসালামু আলাইকুম! সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন? আর ভাল থাকবেন কারন আমাদের মুসলিম এর অন্যতম খুশির দিন পবিত্র ঈদ উল ফিতর আমাদের খুব সামনে ! দীর্ঘ এক মাস রুজা রাখার পর আমাদের সামনে পবিত্র ঈদ উল ফিতর।

আমার পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ঈদ উল ফিতর এর শুভেচ্ছা! সেই সাথে সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক :-) আর সবাই একটু চেষ্টা করবেন পথ শিশুদের কিছু কিছু না কিছু দেওয়ার, যাথে তারা মনে না করে তা এতিম, তাদের আপন জন কেও নাই ! তাদের মুখে হাসি ফুটলে মহান আল্লাহ্‌ তায়লা খুশি হন, আমারা আল্লাহ্‌ তায়লাকে খুশি করার জন্য কত কিছু করি! তাই তাদের কিছু না কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

ঈদুল ফিতরের পূর্ব রাতের ফজিলত:-

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এখন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর অত্যাসন্ন। ঈদ-উল-ফিতর মানে রোজা ভাঙ্গার উৎসব। গত একমাস ধরে সিয়াম সাধনার মধ্যে দিয়ে রোজাদার যে কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে, আজ তা থেকে উত্তীর্ণের সময় ক্রমেই ঘনিয়ে এসেছে। চতুর্দিকে তাই আজ ঈদের আমেজ সুস্পষ্ট। মুসলিম
সমাজ জীবনে ঈদ-উল-ফিতরের অবারিত আনন্দধারার তুলনা চলে না। কারণ, প্রথমত এ আনন্দোৎসবের আমেজ গরিবের পণ্য কুটির হতে ধনীর বালাখানা পর্যন্ত সমানভাবে মুখরিত। শহর নগর গ্রামগঞ্জ সর্বত্র এর ঢেউ বিবৃÍত। দ্বিতীয়ত এ আনন্দ অতি পবিত্র ও নির্মল।
সহীহ হাদীস শরীফ সমূহে বছরের যে পাঁচটি রাতকে অতি মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এর মধ্যে ঈদ-উল-ফিতর পূর্ববর্তী রাত অন্যতম। হাদীস শরীফে এসেছে রমজানের ইফতারের সময় প্রত্যেক দিন আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা এক হাজার জাহান্নামীকে নরকমুক্ত করেছেন, তাদের প্রত্যেকের জন্য দোযখে যাওয়া অবধারিত ছিল। আর রমজান মাসের শেষ দিন যখন আসে আল্লাহ সেদিন রমজানের প্রথম থেকে ওই দিন পর্যন্ত যত পাপীতাপীকে ক্ষমা করেছেন তার সমসংখ্যক অপরাধীকে ক্ষমা করে দেন। (সুবহানাল্লাহ)। তাই দেখা যায়, নেককার মানুষ শব-ই-কদরের ন্যায় ঈদপূর্ব রাতেও ইবাদতে মশগুল হয়।
সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদি) এক দীর্ঘ হাদীসে বর্ণনা করেন : যখন ঈদ-উল-ফিতরের রাতের আগমন হয় ওই রাতকে পুরস্কার দানের রজনী হিসেবে অভিহিত করা হয়। যখন ঈদের সকাল নামে তখন আল্লাহ প্রতিটি দেশে ফেরেস্তা প্রেরণ করেন। তারা পথের ধারে অবস্থান নেন এবং ডাকতে থাকেন। তাদের আহ্বান মানুষ ও জ্বীন ব্যতীত সব মাখলুকই শুনতে পায়। তারা বলেন : ওহে উম্মতে মুহাম্মদী (স)! বের হয়ে এসো মর্যাদাবান প্রতিপালকের পানে। তিনি অধিক পরিমাণে দান করে থাকেন, মারাত্মক অপরাধও ক্ষমা করে দেন।
বস্তুত ঈদ-উল-ফিতরের দিবস হচ্ছে পুরস্কারের দিন, আত্মোপলব্ধির দিন। সমাজ ও যুগের নানা অবক্ষয়ের ছোঁয়ায় ঈদের অনুষ্ঠানেও নানা অতিরঞ্জিত বিষয় ও বাড়াবাড়ি এসে পড়েছে। আমাদের এ ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে মহানবী (স) এর প্রবর্তিত পবিত্র ঈদের শিক্ষা ও বরকত হতে আমরা বঞ্চিত না হই। আজকের লাগামহীন ঈদের আনন্দে আমাদের অনেকে ঈদের উপরিউক্ত ধর্মীয় গুরুত্ব ও মর্যাদার কথা বেমালুম ভুলে থাকে। যার কারণে আমরা লক্ষ্য করছি, মুসলমানদের ঈদ ক্রমশ হয়ে পড়েছে নিষ্প্রাণ উদ্দেশ্য লক্ষ্যহীন। বস্তুত রমজান যেমন সাধনার মাস এতে সিয়াম, কিয়ামসহ কঠিন ইবাদতসমূহের মাঝামাঝি রয়েছে ইফতার সাহরীর আনন্দদায়ক মুহূর্তগুলো, তেমনি ঈদ-আনন্দও কিছু বিধিনিষেধে পরিপূর্ণ যা অনিয়মতান্ত্রিকতাকে নিরুৎসাহিত করে এক সুশৃঙ্খল ও ধারাবাহিক দায়িত্ব কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেয়। যেমন :
ঈদের নামাজের প্রাক্কালে কিছু মুস্তাহাব কাজ করার বিধান রয়েছে। এর মধ্যে ১/ ঈদগাহে গমনের পূর্বে ফজরের পর কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ, ২/ গোসল করা, ৩/ মিসওয়াক করা, ৪। খুশবু ব্যবহার করা, ৫/ উত্তম কাপড়-চোপড় পরিধান করা, ৬/ ঈদের নামাজে গমনের পূর্বে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা, ৭। প্রত্যুষে বিছানা ত্যাগ করা, ৮/ সকাল সকাল ঈদগাহে উপস্থিত হওয়া, ৯/ হেঁটে হেঁটে ঈদগাহভিমুখে গমন করা, ১০/ চলতে পথে নীচু কণ্ঠে তাকবীর বলে যাওয়া (তাকবীর ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ্)। ১১/ এক পথে যাওয়া, ভিন্ন পথে আসা, ১২/ সাজগোজ করা, ১৩/ উন্মুক্ত আকাশের নিচে খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করা।
ঈদের আনন্দে যেন আমরা ঈদের পালনীয় আহকামগুলো ভুলে না যাই, সে দিকে আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
মাসব্যাপী এ কলামে আমরা রোজা নামাজ ও যাকাতের বিভিন্ন বিধিবিধান নিয়ে আলোচনা করেছি। একইভাবে ইসলামে অন্যান্য আদব ও সৌন্দর্যগুলোও তুলে ধরেছি। আমাদের উদ্দেশ্য এ মোবারক মাসে এ কলামের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিজ্ঞানসম্মত ও সময়োপযুক্ত আচরণগুলো হৃদয়ে স্পর্শ করে যায়। আল্লাহ আমাদের উদ্দেশ্য কবুল করুন।

ঈদ উল ফিতর এর তারিখঃ-

হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুসারে রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর উৎসব পালন করা হয়। তবে এই পঞ্জিকা অনুসারে কোনও অবস্থাতে রমজান মাস ৩০ দিনের বেশী দীর্ঘ হবে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজানের সমাপ্তিতে শাওয়ালের প্রারম্ভ গণনা করা হয়। ঈদের আগের রাতটিকে ইসলামী পরিভাষায় ‍‍লাইলাতুল জায়জা‌ (অর্থ: পুরস্কার রজনী) এবং চলতি ভাষায় "চাঁদ রাত" বলা হয়। শাওয়াল মাসের চাঁদ অর্থাৎ সূর্যাস্তে একফালি নতুন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন ঈদ হয়, এই কথা থেকেই চাঁদ রাত কথাটির উদ্ভব। ঈদের চাঁদ স্বচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেয়া ইসলামী বিধান। আধুনিক কালে অনেক দেশে গাণিতিক হিসাবে ঈদের দিন নির্ধারিত হলেও বাংলাদেশে ঈদের দিন নির্ধারিত হয় দেশের কোথাও না-কোথাও চাঁদ দর্শনের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে। দেশের কোনো স্থানে স্থানীয় ভাবে চাঁদ দেখা গেলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে ঈদের দিন ঠিক করা হয়। মুসলমানদের জন্য ঈদের পূর্বে পুরো রমজান মাস রোজা রাখা হলেও ঈদের দিনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ বা হারাম।

ঈদের নামাযঃ-

আরবি মাস ২৯ ও ৩০ দিনে হয়। রমজান মাসের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা গেলে রমজানের রোজা ৩০ দিন পূর্ণ করতে হবে। ৩০ রমজান চাঁদ দেখা না গেলেও পরদিন হবে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। আর এদিনই পালিত হবে পবত্রি ঈদ-উল-ফিতর। বছরে আমাদের দুই বার ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য যেতে হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে আমাদের অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যায়। আসুন জেনে নিই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো-

ঈদের নামাজ দুই রাকাআত। ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। যা জামাআতের সহিত পড়তে হয়। এ নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়ে। প্রথম রাকায়াতে তাকবিরে তাহরিমাসহ ৪ তাকবির। ইমাম সাহেব তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে নিয়্ত বাধার পর ছানা পড়ার পর তিন তাকবির দিবেন। মুসল্লিরাও সেই সঙ্গে সঙ্গে দু’হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাবেন এবং তাকবির দিবেন। তিন তাকবির শেষ হলে অন্যান্য নামাজের মতো হাত নাভীর উপর রাখবে। তার পর ইমাম সাহেব নামাজ পড়াবেন।

দ্বিতীয় রাকাআতে ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহার সঙ্গে সূরা মিলানোর পর তিন তাকবির দিবেন। মুক্তাদিগণ ইমামের সঙ্গে সঙ্গে তিন তাকবির বলবেন এবং কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাবেন। ৪র্থ তাকবিরে রুকুতে যাবেন। তার পর সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন। ঈদের নামাজের আগে পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নাই।

ঈদের নামাজের কিছু মাসায়িল-

ক. রমাদানুল মুবারকের পরে শাওয়ালের প্রথম তারিখ ফজরের পর ২ রাকাত ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। এ সালাত মুসাফির, অসুস্থ এবং নারীদের জন্য ওয়াজিব নয়। তবে তারা উপযুক্ত পরিবেশে থাকলে এবং ঈদগাহে আসতে পারলে সাওয়াব পাবে। (বাদায়ে সানায়েফি তারতীব আল শারইয়ে)

খ. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় হলো শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ সূর্য উদয়ের পর থেকে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ার আগ পর্যন্ত। তবে বৃষ্টি, আবহাওয়া বা দুর্যোগ পরিবেশ ইত্যাদি কারণে মসজিদেও যদি ঈদের সালাত আদায় করা না যায় তাহলে ২রা শাওয়াল ওজর বশত ফজর থেকে ঠিক দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত আদায় করতে পারবে। দ্বিতীয় দিনও যদি আদায় করতে না পারে তাহলে এ সালাত আদায় করার আর সময় থাকবে না। (আল কাসানী)

গ. ঈদের নামাজে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো দেয়া ওয়াজিব। ঈদের সালাতে আযান ও ইক্বামত নেই। বাড়তি তাকবিরগুলোর সময় রাফ‘য়ে ইয়াদাইন তথা দুই হাত উঠানো সুন্নাত। ইমাম সাহেব তাকবিরগুলো মধ্যখানে তিন তাসবিহ পরিমাণ অবকাশ দিবেন। যাতে করে (বড় জামায়াতে) মুক্তাদিদের ইমামকে অনুসরণ করতে কোনো অসুবিধা না হয়।(আল কাসানী)

ঘ. কেউ যদি ঈদের সালাতে অংশগ্রহণে দেরি করে এবং ইমামের সাথে প্রথম রাকায়াতে অংশগ্রহণ করে কিন্তু অতিরিক্ত তাকবিরগুলো পেল না তাহলে প্রথমে তাকবিরে তাহরিমা বাধার পর নিজে নিজে প্রথম রাকায়াতের তাকবিরগুলো দিবে। কিন্তু তাকবিরগুলো দিতে গিয়ে যদি রুকু হারানোর সম্ভাবনা থাকে তাহলে তাকবিরে তাহরিমার পর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাবে এবং তাসবিহ না পড়ে প্রথম রাকায়াতের অতিরিক্ত তাকবিরগুলো রুকুতে পড়বে (তখন তাকবির দিতে রাফ‘য়ে য়াদাইন বা হাত তুলতে হবে না)। এভাবে কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতে অংশগ্রহণ করে এবং অতিরিক্ত তাকবিরগুলো না পায় বরং রুকু পায় তাহলে রুকুতে রুকুর তাসবিহ না পড়ে দ্বিতীয় রাকায়াতের তাকবিরগুলো পড়বে এবং ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর উঠে গিয়ে প্রথম রাকায়াত যেভাবে ইমাম সাহেব আদায় করেছেন সেভাবে আদায় করবে।(তোহফাতুল ফোক্বাহা)

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের ঈদের নামাজ সহিহভাবে পড়ার তাওফিক দান করুন।

প্রস্তুতিঃ-

মুসলমানদের বিধান অনুযায়ী ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার আগে একটি খেজুর কিংবা খোরমা অথবা মিষ্টান্ন খেয়ে রওনা হওয়া সওয়াবের (পূন্যের) কাজ। ঈদুল ফিতরের ব্যাপারে ইসলামী নির্দেশসমূহের মধ্যে রয়েছে গোসল করা, মিসওয়াক করা, আতর-সুরমা লাগানো, এক রাস্তা দিয়ে ঈদের মাঠে গমন এবং নামাজ-শেষে ভিন্ন পথে গৃহে প্রত্যাবর্তন। এছাড়া সর্বাগ্রে অযু-গোসলের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার বিধানও রয়েছে। ইসলামে নতুন পোশাক পরিধান করার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিভিন্ন দেশে তা বহুল প্রচলিত একটি রীতিতে পরিনত হয়েছে।

ফিৎরাঃ-

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের রমযান মাসের রোযার ভুলত্রুটির দূর করার জন্যে ঈদের দিন অভাবী বা দুঃস্থদের কাছে অর্থ প্রদান করা হয়, যেটিকে ফিৎরা বলা হয়ে থাকে। এটি প্রদান করা মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব। ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিৎরা আদায় করার বিধান রয়েছে। তবে ভুলক্রমে নামাজ পড়া হয়ে গেলেও ফিৎরা আদায় করার নির্দেশ ইসলামে রয়েছে। ফিৎরার ন্যূনতম পরিমাণ ইসলামী বিধান অনুযায়ী নির্দ্দিষ্ট। সাধারণত ফিৎরা নির্র্দিষ্ট পরিমাণ আটা বা অন্য শস্যের (যেমনঃ যব, কিসমিস) মূল্যের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। সচরাচর আড়াই সের আটার স্থানীয় মূল্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম ফিৎরার পরিমাণ নিরূপণ করা হয়। স্বীয় গোলাম-এর ওপর মালিক কর্তৃক ফিৎরা আদায়যোগ্য হলেও বাসার চাকর/চাকরানি অর্থাৎ কাজের লোকের ওপর ফিৎরা আদায়যোগ্য নয় ; বরং তাকে ফিৎরা দেয়া যেতে পারে। ইসলামে নিয়ম অনুযায়ী, যাকাত পাওয়ার যোগ্যরাই ফিৎরা লাভের যোগ্য।

ঈদ উৎসবঃ-

বাংলাদেশ সহ অন্যান্য মুসলিম-প্রধান দেশে ঈদুল ফিতরই হলো বৃহত্তম বাৎসরিক উৎসব। বাংলাদেশে ঈদ উপলক্ষে সারা রমজান মাস ধরে সন্ধ্যাবেলা কেনাকাটা চলে। অধিকাংশ পরিবারে ঈদের সময়েই নতুন পোষাক কেনা হয়। পত্র-পত্রিকাগুলো ঈদ উপলক্ষে ঈদ সংখ্যা নামে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে থাকে। ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকদিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করে। ঈদের দিন ঘরে ঘরে সাধ্যমত বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। ঈদের দিনে সেমাই বা অন্যান্য মিষ্টি নাস্তা তৈরি করার চল রয়েছে। বাংলাদেশের শহরগুলো হতে ঈদের ছুটিতে প্রচুর লোক নিজেদের আদি নিবাসে বেড়াতে যায়। এ কারণে ঈদের সময়ে রেল, সড়ক, ও নৌপথে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.