নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসহায়দের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করতে, আড্ডা দিতে, খেলাধূলা করতে ও আল্লাহ্‌র সৃষ্টি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখত ভাল লাগে।

আকাশ খাঁন

আমি খুব সাধারণ ছেলে

আকাশ খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার গুরুত্ব

২১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৮





শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখার তাৎপর্য অতূলনীয়। রমজানের পর রোজা রাখা রমজানের রোজা কবুল হওয়ার আলামত স্বরূপ। কেননা আল্লাহ তাআলা কোন বান্দার আমল কবুল করলে, তাকে পরেও অনুরূপ আমল করার তৌফিক দিয়ে থাকেন। নেক আমলের প্রতিদান বিভিন্নরূপ। তার মধ্যে একটি হলো পুনঃরায় নেক আমল করার সৌভাগ্য অর্জন করা। তাই নামাজ রোজা ও অন্যান্য ইবাদত বাকি এগার মাসেও চালু রাখা চাই।
কেননা রমজান মাসের ইবাদত যেমন আল্লাহর জন্য, বাকি এগার মাসের ইবাদত তেমনি আল্লাহর জন্য।

তবে ইবাদতের মোকাবেলায় গুনাহের কাজ করলে নেয়ামতের অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায়। অতএব, কোন ব্যক্তি রমজানের পরপরই হারাম ও গর্হিত কাজে লিপ্ত হয়ে গেলে, তার সিয়াম স্বীয় মুখের উপর নিক্ষেপ করা হয়। এবং রহমতের দরজা তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

গুনাহের পর ভাল কাজ করা কতইনা উৎকৃষ্ট আমল। কিন্তু তার চেয়ে আরো উৎকৃষ্ট আমল হলো নেক কাজের পর আরেকটি নেক কাজে মশগুল হওয়া। অতএব, আল্লাহর নিকট প্রার্থনা কর, যাতে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত হকের উপর অটল থাকার তৌফিক দান করেন। সাথে সাথে অন্তর বিপথে যাওয়া থেকে পরিত্রাণ চাও। কেননা আনুগত্যের সম্মানের পর নাফরমানির বেইজ্জতি কতইনা নিকৃষ্ট।

প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেছন,
"যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোযা রাখার পরে শাওয়াল মাসে ৬টি রোযা রাখে, সে যেনো পূর্ণ এক বছর রোযা রাখার সমান সওয়াব লাভ করে।"
(মুসলিম ১১৬৪, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ।)
সুবাহানাল্লাহ !! আলহামদুলিল্লাহ !!
এই সওয়াব এই জন্য যে, কেউ একটি ভালো কাজ করলে আল্লাহর অনুগ্রহে সে তার ১০ গুণ সওয়াব পাবে। দয়াময় আল্লাহ বলেন,

"...কেউ কোনো ভালো কাজ করলে সে তার ১০ গুণ প্রতিদান পাবে। "
সুরা আল-আন'আম, আয়াত ১৬০।

অতএব, চন্দ্র বছর ৩৬০ দিন, রমজানে ৩০ দিন রোজা রাখাটা ৩০০ দিনের সমপর্যায়ে হয়ে যায়। আর বাকি থাকে ৬০ দিন। শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখলে ৬০ দিনের সমপর্যায়ে হয়ে যায়। এর ফলে এক বছর পূর্ণ হয়ে যায়।
একটি বর্ণানায় পাওয়া যায়, প্রিয় নবী (সা.) আরও এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা শাওয়াল মাসের ৬ দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ওই ৬ দিন রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক সৃষ্টি জীবের সংখ্যা হিসাবে তার আমলনামায় নেকি লিখে দিবেন, সমপরিমাণ গুনা মাফ করে দিবেন এবং পরকালে তার দরজা বুলন্দ করে দিবেন।
তবে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ঈদ-উল-ফিতরের দিন রোজা রাখা ইসলামে নিষিদ্ধ, তাই ঐ দিন বাদে এই রোজাগুলো রাখার নিয়ম।
ঈদ-উল-ফিতরের পর দিন থেকে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত কোনো বিরতি না দিয়ে অথবা ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখা যায়।

নারীদের পিরিয়ডের জন্য কাজা রোজা রেখে তার পরে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখা যায় অথবা আগে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রেখে তার পরে বছরের সুবিধামত অন্য সময়ে কাজা রোজা আদায় করা যায়। দুইটাই জায়েজ, যার কাছে যেটা সুবিধাজনক সেভাবে রোজা পালন করবেন, তবে জেনে রাখা ভালো, আগে কাজা রোজা আদায় করা উত্তম। কারন, কাজা রোজা আদায় করা ফরয আর শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখা নফল।

আমাদের দেশে শাওয়াল মাসের ৬ রোজাকে সাক্ষী রোজা বলা হয়, এটা ভুল। কারণ কোরান হাদীসের কোথাও একে সাক্ষী রোজা বলা হয় নি।

আল্লাহ আমাদের সকলকে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রেখে সারা বছর রোজা রাখার সমান সওয়াব পাওয়ার তৌফিক দান করুন, আমীন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

তরিকুল ইসলা১২৩ বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোস্ট। এই সময় এটা দরকার ছিলো।
তবে একটু এডিট করতে হবে মনে হয় সেটা হলো
শাওয়াল মাসের ছয় রোজা নফল, সুন্নত না।
যাযাকাল্লাহ

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.