নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসহায়দের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করতে, আড্ডা দিতে, খেলাধূলা করতে ও আল্লাহ্‌র সৃষ্টি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখত ভাল লাগে।

আকাশ খাঁন

আমি খুব সাধারণ ছেলে

আকাশ খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখ কি ইসলামী শরীয়তে জায়েজ, কি বলছে ইসলাম?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬







একজন মুসলিম মাত্রই সহজে বুঝবার কথা – পহেলা বৈশাখ কিংবা নববর্ষ পালন ইসলামে জায়েজ নেই। কারণে উত্সবের সাথে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রীতিনীতি বিধর্মীদের কাজ এগুলো কখনো কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারেনা। এমনসব কাজ বা তার অনুকরণ ও ইসলামের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

ঘটা করে পহেলা বৈশাখের শুরু-ই করা হয় কুফরী ও শিরকের মতো আচার পালনের মাধ্যমে। রমনা বটমূলে সূর্য ওঠার সাথে সমবেত কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়া হয়। বাহ! ফজরের সালাতের পরিবর্তে ছেলেমেয়ে একসাথে বসে সংগীতের মাধ্যমে দিন শুরু করেন।

কপালে লাল টিপ, সিথিতে সিঁদুর দেয়া মেয়েরা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি সহ ধুতি-পাঞ্জাবী পরা ছেলেদের হাত ধরে শহরময় ঘুরে বেড়ান। দ্বীন ইসলামে 'পর্দা' নামে যে একটি বিষয় আছে – সেদিন বুঝার কোন উপায় থাকে না।

চারুকলা থেকে এরপর বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক একটি ভয়ানক বিষয়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল মোটামুটি লাইভ দেখায় এই শিরকী মিছিল। ঢোল-তবলা-ডুগডুগি বাজিয়ে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে কিংবা মাথায় নিয়ে, ছেলেমেয়ে একসাথে হুল্লোড় করতে করতে নাচতে থাকে মিছিলে। মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল উপাদ্য থাকে "সমাজ থেকে অশুভ শক্তি বিদায়" করা। মাথায় করে নিয়ে বেড়ানো এইসব জীবজন্তুকে তারা অশুভ শক্তি দূর করার প্রতীক বলে মানেন! সত্যি অবাক করা মতো!

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন ডিজাইনের জামাকাপড় আসে মার্কেটে। নতুন জামা না কিনলে প্রেস্টিজ থাকে না তরুণ-তরুনীদের। কেনাকাটা, সেই উপলক্ষে ঘুরে বেড়ানো ঈদের চেয়ে কোন অংশে কম মনে হয় না। বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি গুলো উন্মুক্ত কনসার্টের আয়োজন করে। নারীপুরুষ কোন ভেদাভেদ ছাড়াই সেখানে ভিড় করে গান শুনে, নাচে, উল্লাস প্রকাশ করে। এমনসব অনুষ্ঠানকে আপনি কি ভাবে দেখবেন বলেন?

উপরের সব কয়টি 'কাজ' পবিত্র কুরআন এবং হাদীসের আলোকে স্পষ্টতঃ শিরক, কুফর, হারাম ও বিদ'আত। রাসুলুল্লাহ (সা.), তার সাহাবীরা, পরবর্তী তাবেঈ ও তাবে তাবেঈ দের কেউ এই জাতীয় কোন অনুষ্ঠান পালন করেছেন বলে খুঁজে পাওয়া যায় নি। ইসলামি শরীয়াহতে এই সব আচারের কোন বিধান নেই। এই সব অনুষ্ঠানের সাথে যাবতীয় সম্পৃক্ততাকে ইজমা'র


পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন সম্মানিত উলামারা।

মুসলমান কেন এমন শিরকী অনুষ্ঠান বর্জন করবে না? এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন-
قُلْ أَنَدْعُو مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنفَعُنَا وَلَا يَضُرُّنَا وَنُرَدُّ عَلَىٰ أَعْقَابِنَا بَعْدَ إِذْ هَدَانَا اللَّهُ كَالَّذِي اسْتَهْوَتْهُ الشَّيَاطِينُ فِي الْأَرْضِ حَيْرَانَ لَهُ أَصْحَابٌ يَدْعُونَهُ إِلَى الْهُدَى ائْتِنَا ۗ قُلْ إِنَّ هُدَى اللَّهِ هُوَ الْهُدَىٰ ۖ وَأُمِرْنَا لِنُسْلِمَ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
-হে মুহাম্মাদ ! তাদেরকে জিজ্ঞেস করুণ, আমরা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদেরকে ডাকবো, যারা আমাদের উপকারও করতে পারে না, অপকারও করতে পারে না? আর আল্লাহ যখন আমাদের সোজা পথ দেখিয়ে দিয়েছেন তখন আবার কি আমরা উল্টো দিকে ফিরে যাবো? আমরা কি নিজেদের অবস্থা সে ব্যক্তির মতো করে নেবো, যাকে শয়তানরা মরুভূমির বুকে পথ ভুলিয়ে দিয়েছে এবং সে হয়রান, পেরেশান ও উদ্ভান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে? অথচ তার সাথীরা তাকে চীৎকার করে ডেকে বলছে, এদিকে এসো, এখানে রয়েছে সোজা পথ? বলো, আসলে আল্লাহর হেদায়াতই একমাত্র সঠিক ও নিভুর্ল হেদায়াত এবং তাঁর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছে, বিশ্ব জাহানের প্রভুর সামনে আনুগ্রত্যের শির নত করে দাও। [সূরা আনআম-৭১]

রাসুল ﷺ বলেন,
من تشبه بقوم فهو منهم
- যে ব্যাক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুসরন করবে সে তারই অন্তরভুক্ত হবে।

রাসুল ﷺ আরো বলেছেন,
-যে আমার সুন্নতকে ভালবাসলো সে যেনো আমাকে ভালবাসল্,আর যে আমাকে ভালবাসলো সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে।

এবিষয়ে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে কারীমে এরশাদ করেন : "যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।"
[সুরা আল ইমরান, ৮৫]

আল্লাহ আরো বলেন : ‘তোমাদের প্রত্যেকের জন্যই আমি একটি নির্দিষ্ট বিধান এবং সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি।’
[সুরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৪৮]

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদ'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আত ভ্রষ্টতা।"
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৯৯১ ও জামে তিরমিযী, হাদীস ২৬৭৬]

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী মহান আল্লাহ্‌র কিতাব (কুরআন) এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদ'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।"
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৩৫ ও সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১৫৬০]

হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) মদীনাতে আগমন করলেন, আর মদীনাবাসীর দুটি দিন ছিল যাতে তারা বিনোদন বা খেলাধুলা করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, "এই দিন দুটি কি?" তারা বলল, 'আমরা এই দিনে জাহিলি যুগে খেলা ধুলা করতাম।' তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, "মহান আল্লাহ তোমাদেরকে এই দিন দুটির পরিবর্তে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। আর তা হলো ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আযহার দিন।"
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১১৩৪]

উপরের হাদীসের মাধ্যমে ইসলাম ও অন্য ধর্মের যাবতীয় উৎসবের মধ্যে পার্থক্যকারী হিসেবে সামনে এসেছে বৎসরে দু'টি মাত্র দিন; ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আযহার দিন।

অনেকেই প্রশ্ন করবেন বলে রেডি হয়ে আছেন নিশ্চিত – “পহেলা বৈশাখ তো আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এটি তো ধর্মীয় কোন উত্সব নয়। তাহলে এইটা কেন বিদ'আত হবে? বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আমাদের বাংলা বর্ষ শুরুর দিনে আমরা তো একটু আনন্দ করতেই পারি।“

(১) ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মুসলমানদের জন্য উত্সবের দিন ২ টি। এর বাইরে কোন একটি দিনকেও উত্সব আকারে নেয়ার কোন উপায় নেই আমাদের। উপরের শেষ হাদীসটি-ই যথেষ্ট এই বিষয়টি প্রমান করার জন্য।

(২) রাসুলুল্লাহ (সা.) মদীনায় যাবার পরে যে দুইটি উত্সব বাতিল ঘোষণা করে মুসলিমদের দুই ঈদের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার একটি ছিল "নওরোজ বা নতুন বর্ষের উত্সব"!

আর কিছু কি বলার আছে এতো কিছুর পরে? তারপরেও অনেক ভাইবোন এর বিপরীতে যুক্তির পাহাড় দাঁড় করাবেন। অবশ্যই এই যুক্তির পাহাড় এর ভিত্তি তাক্বওয়ার উপরে নয়। অনিবার্য ধ্বংসই এর পরিনতি।

আমরা একমাত্র মহান আল্লাহর কাছে দু'আ করি - তিনি যেন মুসলিমদেরকে তাদের দ্বীনের ব্যাপারে গর্বিত করেন এবং ইসলামকে দৃঢ়ভাবে মেনে চলতে সাহায্য করেন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: নিজে পালন না করতে পারলে চুপ মাইরা থাকেন, গোঁড়া, ধর্মান্ধ,আনকালচার্ড মুসলিম দের জন্য বাংলা নববর্ষ নয়।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

এ আর ১৫ বলেছেন: মঙ্গল শোভা যাত্রায় যদি ঈমান যায় তাহোলে মঙ্গলবারের দিনে ঈমান থাকে না
মুসলমানের ধর্মিয় উৎসব ২ বার আমি মুসলমান হিসাবে তা মানবো । আমি কি বাঙ্গালী নই আমার কি বাঙ্গালী পরিচয় নেই ? নাকি বোলতে চান আমি মুসলমান হলে আমি বাঙ্গালী হতে পারবো না ?? কোরান কি বলেছে আমি বাঙ্গালী হতে পারবো না ? মুসলমান ধর্মের যদি ২টা উৎসব থাকতে পারে তাহোলে বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদের কেন কোন উৎসব থাকতে পারবে না যদি ধর্মের সাথে কনফ্লিট না হয়। আমরা কি বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবস, শ্রমিক দিবস পালন করতে পারবো না ??
মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবে দুটি ঈদ উৎসব হিসাবে দেওয়া হয়েছে। মুসলমান হলে কি বাঙ্গালী বা অন্য জাতিয়তার লোক হওয়া যাবে না। কেউ কি বলেছে ১লা বৈশাখ বা স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস মে দিবস, ভাষা দিবস ধর্মীয় কালচার ??? যেহেতু এখানে ইবাদত বা আরাধনা বা প্রার্থণা ইনভল্ব নয় তাহোলে ধর্মের সাথে কনফ্লিট কোথায় এই সবের?? কালচারাল ড্রেসিং বা সাজার ভিতর ইবাদত বা অন্য ধর্মকে পালন করার কোন সম্পর্ক কি আছে ? কেউ যদি বজ্রাসনে বা মাথা মাটি ঠেকিয়ে উপুর বসে থাকে তাহোলে কি তাকে নামাজ পড়া বলা যাবে অথবা কেউ যদি পদ্মাসনে বসে থাকে তাহোলে কি ওটাকে পুজা করা বলা যাবে ।ওনাদের কথা শুনে তো তাই মনে হয় । এখানে কি সুরা বা মন্ত্র পড়া হয় ?? তাহোলে অন্য ধর্মকে অনুসরন করা কোথায় হচ্ছে ?? কোন হিন্দু যদি মাথায় হিজাব পরে আসে তাহোলে কি সে মুসলমান হয়ে যাবে ??


ওনাদের কথা শুনলে তো মনে হয় আরবের লোকেরা আর মুসলমান নাই সব হিন্দু হয়ে গেছে !!! আজান নামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ সেই ভাবে উলু ধ্বনি পুজার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে আনন্দের উদ্দেশ্যে উলু ধ্বনি করে । তাহোলে উলু ধ্বনি করাটা অবশ্যই হারাম কারন এটা পুজার অংশ বা হিন্দুদের ইবাদতের অংশ। তাহোলে আরবের লোকেরা বিভিন্ন কারনে হিন্দুদের উলু ধ্বনি দেয় কালচারাল ঐতিয্য হিসাবে এর মধ্যে কোন আরাধনা নাই বা ইবাদতের কোন উদ্দেশ্য নাই তাহোলে আপনার বক্তব্য অনুযায়ি তারা অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করছে সেটা কি ঠিক ?? যদি ও এর মধ্যে কোন ইবাদতের অভিপ্রায় নাই । বজ্রাসনে বসে থাকলে সেটা কে যেমন নামাজ বলে না তেমনি পদ্মাসনে বসে থাকলে সেটাকে পুজা বলে না কিন্তু আপনি তাই বুঝাতে চান । আমাদের কাছে আরবের লোকদের উলুধ্বনি দেওয়া কোন ইবাদত উদ্দেশ্যে নয় শুধু কালচারাল উদ্দেশ্যে সুতরাং সেটা পুজা নয়।
ইসলাম ধর্মে ঐ সব কাট মোল্লা তত্ব অলরেডি পচিয়ে ফেলেছে। এই সমস্থ তত্ব মানুষকে অন্য মানুষকে ঘৃনা করতে শিক্ষায় এবং এই ধরনের লোকদের জংগি তালেবান হওয়ার সম্ভবনা থাকে সবচেয়ে বেশি

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: কম বুঝলে যা হয় ।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

এ আর ১৫ বলেছেন: অন্য একটি ব্লগে একই ধরনের পোষ্টিং ছিল সেখানে আমি যে মন্তব্য করেছি তা পেষ্ট কোরলাম ------------------------------
আবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে কোন অনুষ্ঠান সার্বজনীন কোন অনুষ্ঠান হতে পারে না। এটা কোন ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতে পারে------- কি ভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোল ?? এখানে কোন ধর্মের মন্ত্র বা সুরা বা রিচুয়াল করা হয় ??
আর এই আধুনিক যুগে এসে পেঁচা, হাতি, কাকপক্ষী বা জীবজন্তুর প্রতিমূর্তি বানিয়ে সেগুলো মঙ্গল এনে দেবে বলে মঙ্গল শোভাযাত্রার অভিনব উদ্ভাবন সত্যিই হাস্যকর। ---- কেউ কি দাবি করেছে মঙ্গল এনে দিবে ??? কোন প্রতি মুর্তি ছাড়া শোভা যাত্রা করলে কি মঙ্গল বহে আনবে তার গ্যারান্টি কি কেউ দিয়েছে ?? আপনারা কালচারাল ইথিকস আর ধর্মীয় বিলিফের মধ্য পার্থক্য বোঝেন না । ইসলামে কি ভাষ্কর্য হারাম করেছে ?? মৃর্তি পুজা করতে মানা করেছে তার মানে পুজা বিহিন মৃর্তি কি হারাম করেছে?? তাহোলে বাদশাহ সোলামান (রা) যিনি নবী ছিলেন তার ইচ্ছা পুরন করার জন্য আল্লাহ জীনদের দিয়ে গোটা নগরিতে ভাষ্কর্য কেন নির্মান করার নির্দেশ দিলেন --- সুরা সাবা আয়াত ১২ এবং ১৩
আয়াত ১২ --- আর আমি সোলায়মানের অধীন করেছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব।
আয়াত ১৩ -- তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।

এখন বোলুন কি কারন পশু পাখি বাঘ ভাল্লুক হাতী ইত্যাদির প্রতিমুর্তি নিয়ে শোভা যাত্রা কেন হারাম ?? কোরান তো মানেন না মানেন কতক গুলো মিথ্যা হাদিস

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

এ আর ১৫ বলেছেন: কপালে লাল টিপ, সিথিতে সিঁদুর দেয়া মেয়েরা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি সহ ধুতি-পাঞ্জাবী পরা ছেলেদের হাত ধরে শহরময় ঘুরে বেড়ান। ---- এই ভিডিও তে দেখান কোথায় ছেলে মেয়ে রা হাত ধরা ধরি কোরছে .---- দেখান কোন ইবাদত হচ্ছে কিনা, মেয়েরা অশ্লিল পোষাক পরেছে কিনা কোন ধরনের বেল্লালা পনা হচ্ছে কিনা ( এমন কি হিজাব পরা মহিলা ও আছে শোভা যাত্রায় ) বৈশাখি শোভা যাত্রা বৈশাখি শোভা যাত্রা। এই শোভা যাত্রার নাম বৈশাখি শোভা যাত্রা কোন দেবদেবির উদ্দেশ্যে নয়।

এবার বৈশাখী নৃত্য দেখুন - শুভ নববর্ষ সবাইকে ! আসেন নাচি। [link||view this link]

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

Safin বলেছেন: কিসের সাথে কি, পান্তা ভাতে ঘি !!!

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

অচেনা হিমালয় বলেছেন: পাকিস্তানে চলে যাও। ওখানে তোমার সগোত্র খালু-চাচারা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

নতুন বলেছেন: ভাই ধম`কে হাস্যকর কইরেন না।

আপনার এই ওয়াজ শোনার মতন জনগন এই ব্লগে নাই।

Safin বলেছেন: কিসের সাথে কি, পান্তা ভাতে ঘি !!!

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: কম বুঝলে যা হয় ।

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: নিজে পালন না করতে পারলে চুপ মাইরা থাকেন, গোঁড়া, ধর্মান্ধ,আনকালচার্ড মুসলিম দের জন্য বাংলা নববর্ষ নয়।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

অন্তু নীল বলেছেন: সৌদি বাবারা কিভাবে ড্যান্স করে দেখে নিন........
তাও আবার কার সাথে....................................
ড্যান্স আব্দুল্লাহ ড্যান্স

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০২

আকাশ খাঁন বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে আন্তরিকতার সাথে খাটি তওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন:

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

বাংলার জামিনদার বলেছেন: তোমার বুদ্ধি কম বলে সবাই তোমার মত এটা ভাবার কারন কি???? তোমাদের মত লোকদের সবসময় জাতীয় কোনো অনুষ্ঠান থেকে দুরে থাকার কথা বলা হচ্ছে। দুনিয়ার সব জাতী তাদের কালচারের নববর্ষ পালন করে, এখানে ধর্মের কোনো পরিচয় নেই। ১লা বৈশাখ শুধুমাত্র যারা বাংলা সাল মেইনটেইন করে তাদের জন্য। চাইনিজরা করে আরেক হিসাবে। আরব জাত করে অন্য হিসাবে।

১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

Mahamud Islam বলেছেন: কমেন্ট করার কোন ইচ্ছা ছিল না । কিন্তু কমেন্ট পড়া পরে মনে হল কিছু তথাকথিত সুশিক্ষিত যাদের ধর্ম সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই । তারা মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে বুঝাচ্ছে । যারা এই শিরিকের অনুষ্ঠানকে বাঙালির উৎসব নামে চালিয়ে দিতে চায় তাদেরকে বলতে চাই একটু রিসার্চ করে দেখেন এই উৎসব কিভাবে আসলো আর কি কি করা হয় ।

যারা আজেবাজে কমেন্ট করছেন কোন কিছু না বুঝেই । তাদেরকে নিজের বিষয়গুলো নিয়ে রিসার্চ করার অনুরোধ জানাই নয়তো অহেতুক মূর্খদের মতো আচরণ করবেন না

যাদের ইসলাম সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান আছে তারাও জানে আপনাদের মত তথাকথিত সুশিক্ষিতদের জ্ঞানের গভীরতা কত কম তাই এ ধরনের মূর্খদের মতো কথা বলেন

১: ইসলাম কি অন্য ধর্মের মত একটি সাধারণ ধর্ম না পুরো জীবন ব্যবস্থা ?
২: শিরিক কুফর কি ?
৩: ধর্ম কি এবং ইবাদত কাকে বলে ?
৪: ইসলামে অন্যান্য ধর্ম মানুষদের প্রতি কিরূপ আচরণ করতে বলে ?
৫: জঙ্গিবাদ কি ইসলাম সমর্থন করে আর জঙ্গিবাদ কিভাবে আসলো কারা আনলো ?

উপরের বিষয়গুলো নিয়ে রিসার্চ করুন পড়ালেখা করুন জানার চেষ্টা করুন । গুগল, ইউটিউবে সার্চ করুন আগে ভালোভাবে জানেন তারপর কমেন্ট করুন ।

কোন কিছু না জেনে সে বিষয়ে মন্তব্য করে নিজেদেরকে মূর্খ প্রমাণিত করবেন না । আল্লাহ আমাদের উপর রহম করুন এবং আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন । আমিন।

১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫

Mahamud Islam বলেছেন: যারা আজেবাজে কমেন্ট করছেন তাদেরকে বলতে চাই । আপনাদের কাছে উৎসব মানে কি নাচাগানা মদ্যপান ফটকা ফোটানো এবং ইত্যাদি অহেতুক অবোচয়মূলক কাজকর্মে জড়িত হওয়া এটাই আপনাদের কাছে উৎসব আনন্দ ।

১ । আপনাদের কাছে বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড দুজনে ইচ্ছায় একসঙ্গে হোটেলে রাত কাটালে এটা প্রেম ভালোবাসা।
২। আর অনিচ্ছায় কোন কিছু হলে এটা ধর্ষণ । বাহ চমৎকার ।
মাথার চিকিৎসা করা দুটাই মহা অপরাধ । ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক ।

তবে প্রথমটা সমাজের জন্য ক্যান্সার ।
কারণ যে নারী নিজের ইচ্ছায় তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে হোটেলে রাত কাটায় । তার তো কোন আত্মমর্যাদা, ইজ্জত । সে আর পতিতাদের মধ্যে পার্থক্য কি ।

নারীরা সম্মানিত তার মানে এই না যা খুশি তাই করবে । সমাজে পুরুষদের যেমন অধিকার রয়েছে তেমনি নারীদের অধিকার রয়েছে । আর এ ব্যাপারে ইসলাম সবচাইতে ন্যায্য বিচার করেছে ।

ইসলামে নারীদের অধিকার এ বিষয় নিয়ে রিসার্চ করুন । জানুন তারপর কমেন্ট করুন । যে বিষয় বুঝেন না কোন জ্ঞান নেই সেখানে মন্তব্য করে নিজেদেরকে মূর্খ প্রমাণিত করবেন না ।

১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

নতুন বলেছেন: Mahamud Islam বলেছেন: কমেন্ট করার কোন ইচ্ছা ছিল না । কিন্তু কমেন্ট পড়া পরে মনে হল কিছু তথাকথিত সুশিক্ষিত যাদের ধর্ম সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই ।

দেশে যত মানুষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ করছে তাদের সবাই আসলেই আপনাদের মতন কট্টর ধার্মিক না।

বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষের উপলক্ষে বাঙ্গালীরা আনন্দ করবে এটাই সাভাবিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.