নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরণের ডাক

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০০

মরণের ডাক
জীবন খাতার পাতায় বিধি লিখেছে মরণ।
জন্ম হলেই মরতে হবে রাখিস রে স্মরণ।
ভবের হাটে সৎপথে করিস বেচা কেনা।
ভুলেও কভু কারো কাছ রাখিস নারে দেনা।

জীবনের যত হিসাব নিকাশ শেষ হবে যখন।
মরণ তোরে ডাক দেবে সেদিন আসবে রে শমন।
দুদিনেৰ এই আসা যাওয়া
শেষ হবে তোৰ চাওয়া পাওয়া,
বন্ধ হবে সব দেওয়া নেওয়া, মুদলে দুই নয়ন।
জীবন খাতাৰ পাতায় বিধি লিখেছে মৰণ।
শেষ বিচারের দিনে কেউ আসবে না তোর কাছে।
সাঙ্গ হবে ভবের খেলা, তুই ভাবিস কেন মিছে।
দুদিনেৰ এই খেলাঘৰে,
মিছেই আমাৰ আমাৰ কৰে,
সাৰা জীবন কাটিয়ে দিলি, কবে কৰবি ৰে নাম স্মৰণ।
এখনও সময় আছে, সময় থাকতে ধর শ্রীগুরুর চরণ।






মাটির পৃথিবী
পৃথিবীর এই পান্থশালায় কেহ আসে কেহ যায়।
কেহ থাকে অট্টালিকায় কেহ বা গাছতলায়।
রাজপ্রাসাদে কেউ বা থাকে নরম বিছানায় শুয়ে,
কেউ বা থাকে গাছতলাতে আশ্রয়হীন হয়ে।

ভবের হাটে কেউবা সুখী, কেউ বা নীরবে শুধু কাঁদে।
কেউবা গড়ে মাটির কুটির, কেউ বা সুখের নীড় বাঁধে।
আকাশের চাঁদ মাটির পৃথিবীতে জোছনা হয়ে ঝরে,
ভালবাসা প্রীতি হৃদয়ের গীতি বেজে ওঠে ঝংকারে।

পৃথিবীর এই নাট্যশালায় চলে ভাঙা গড়ার খেলা।
কেহ হাসে কেহ কাঁদে ঘরে ফিরিবার বেলা।
কান্না হাসির স্মৃতির ফলকে দেখি যে কত ছবি,
নিত্য দুঃখ সুখের ইতিহাস লেখে মাটির পৃথিবী।


এই জীবন মরু যেন এক তরু, ফলে ফুলে আছে ভরে।
শুকিয়ে যায় ফুল, ঝরে যায় পাতা, গাছে যখন বাজ পড়ে।
মানুষের এই জীবনটা তো ধূপকাঠির মত ভাই
দুঃখের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে শেষে নিঃশেষ হয়ে যায়



কাগজের ফুল (কবির পঞ্চাশতম কবিতা)
আমার কবিতা—
শুধু কবিতা নয়,
কান্না, হাসি, গান আর কথার ফুলঝুরি।
আমার কবিতা—
সরোবরে ফুটে ওঠা রক্ত শতদল।
প্রশ্ন করো যদি,
কোন সে সরোবর ? সে সরোবর কোথায় ?
উত্তর তার—
বাংলা কবি ও কবিতার আসর
জীবন মরু উদ্যান মাঝারে যেন
এক সরসিজ স্বপ্নে ঘেরা সরোবর।
এই সরোবরে প্রতিদিন
ফুটে ওঠে অসংখ্য শতসহস্র কুমুদ কমল।
সহজ, সরল, শান্ত মৌন কবি আমি,
প্রতিনিয়ত কবিতার জাল বুনি।
কভুবা সাজি অশান্ত হয়ে বুভুক্ষার নিষ্ঠুর কবি।
সুন্দর পৃথিবীর বুকে আঁকি দুর্ভিক্ষের ছবি।
আমার অশান্ত লেখনী—
বিদ্রোহী চেঙ্গিসের তরবারির চেয়েও
ভয়াল, ভয়ংকর আর দুর্বিনীত।
লেখনীর অগ্ন্যুদ্গারে ফুটে ওঠে
যত অভিশাপ আর সমাজের জঞ্জাল।
আমার প্রার্থনা শোনো-
হে বাংলা কবি ও কবিতার আসরের
পরম শ্রদ্ধেয় ও পূজনীয় যত কবিগন।
আমার পঞ্চাশ তম কবিতা অর্ঘ্য
দেব আজি তোমাদের চরণ কমলে।
যদি কোন ভূল হয়ে থাকে,
ক্ষমা করে দিও তোমরা আমাকে।
কবিরে ভুলো না যেন কোন দিন,
মনে রাখবে আমাকে।
“যত দিন এ দেহ থাকবে প্রাণ,
এই কবিতার আসরে থাকব,
একের পর এক কবিতা লিখে যাব।
তারপর একদিন ঝরে যাব।
স্মৃতি হয়ে রইব কবিতার পাতায়।
এই হোক আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। “
এই অঙ্গীকার
শুধু আমার নয়,
তোমাদের সকলের,
আমার ও আমাদের সবাকার।
বাংলা কবি ও কবিতার আসর
আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকুক।
কবিতার আসর-
সে তো আসর শুধু নয়।
কবিতার পাঠশালা।
বিশ্বজুড়ে চলছে এই পাঠশালা।
এই পাঠশালা,
যেন কবিমনের এক পান্থশালা।
এই পান্থশালায় বিশ্বের মাটি ফুঁড়ে
বের হয় লক্ষ লক্ষ কবিতার চারা।
কবিদের প্রাণের পরশে সেই সব
চারাগাছে ফুটে কবিতার ফুল।
ফুল ঝরে যায় শেষে একদিন।
কিন্তু কবিতার ফুল ঝরে যায় না।
স্মুতি হয়ে রয়ে যায় শুধু স্মৃতির ফলকে,
কবিতার পাতায় এক-একটা কাগজের ফুল হয়ে।


গাঁয়ের টান
এই গাঁ যে আমার মা,
গাঁয়ের মাটি আমার মা।
এমন গাঁয়ের ছায়া, মাটির মায়া
অন্য আর কোথাও পাবে না।

গাঁয়েতে আম কাঁঠালগাছের সারি
আমের গন্ধে মেতে ওঠে মন।
গ্রাম ছাড়িয়ে রাঙা মাটির পথ,
দূরেতে ঐ শাল পিয়ালের বন।

আমের শাখে, কোকিল ডাকে
এ গাঁয়ে সারাটি দিন ভোর।
মিঠে দখিন হাওয়া দোলা দিয়ে
প্রাণে পুলক জাগায় মোর।

বাঁশ বাগানের ফাঁক দিয়ে
চাঁদ ওঠে, পেঁচা রাতে ডাকে।
দূরে শেয়াল হাঁক দিয়ে যায়,
গাঁয়ের মেঠো পথের বাঁকে।



গাঁয়ের পাশে ছোটনদী বয়ে চলে
বর্ষায় তার দেখি ভয়ংকর রূপ,
পানা পুকুরে শালুক পদ্ম ফোটে,
পানকৌড়ি দেয় বারেবার ডুব।

গাঁয়ের ছায়া, মাটির মায়া,
গাঁয়ের মানুষ আমার আপনজন।
এই গাঁ ছেড়ে, গাঁয়ের মাটি ছেড়ে,
কোথাও চায় না যেতে আমার মন।












মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৮

নিলু বলেছেন: লিখে যান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.