নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিঠাইলালের মিষ্টি দোকান
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি
পথের ধারে গাছের তলায়
মিঠাইলালের মিষ্টি দোকান।
তার দোকানের মিষ্টি খেলে
জুড়ায় সবার মন আর প্রাণ।
সেদিন দেখি গাঁয়ের মোড়ল
তাঁর নাতির শুভ জন্মদিনে,
রসগোল্লা আর পানতোয়া
নগদ দামে নিলেন কিনে।
বিয়েবাড়ি আর অন্নপ্রাশনে
গাঁয়ের সবাই তারে ডাকে,
সন্দেশ পেড়া, খাজা ও গজা,
দোকানে সাজানো থাকে।
একদিন দেখি পাড়ার হীরু
পুজোর চাঁদা চাইতে আসে,
চাঁদার কথা শুনে মিঠাইলাল
জোরে হো হো করে হাসে।
পূজোর চাঁদা ! চালাকি নাকি?
হবে না, চলে যাও বাছাধন।
জানো নাকি তুমি নাস্তিক আমি
বলে ওঠে জোরে করি গর্জন।
মিঠাইলালের মতো কিপটে
এ তল্লাটে কেউ আর নাই,
পূজোর চাঁদা একটি পয়সা
পাড়ার হীরুকে দিতে যায়।
দিনের শেষে বেচাকেনা সেরে
ঘরে ফেরে রোজ সন্ধ্যায়।
আঁধার রাতে জোনাকিরা জ্বলে
দোকানের খোলা বারান্দায়।
©somewhere in net ltd.