নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩



শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,
শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

দুই চোখে তুলুসীর পাতা, কপালে চন্দন,
গলায় দেবে ফুলের মালা কাঁদবে প্রিয়জন।
শ্মশানে যাবে নিয়ে কাঁচা বাঁশের দোলায়,
মাটির দেহ মাটি হয়ে মাটিতে মিশে যায়।


মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,
শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

সারা জীবন খেটে খেটে জমালি যে ধন,
সেই ধনে ভাগ বসাবে তোর আপনজন।
খালি হাতে আসে সবাই খালি হাতে যায়,
অশ্রুজলে সবাই তোমায় দেবে চিরবিদায়।


মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,
শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

টাকাকে তুই আপন ভেবে চিনলি নারে মানুষ,
মানুষকে কাঁদিয়ে তুই টাকার নেশাতে বেহুঁশ।
মোহের ঘরে থাকিস শুয়ে তুই টাকার বিছানায়,
খালি হাতে আসে সবাই টাকা সাথে নাহি যায়।

মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,
শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

টাকা দিয়ে মাটি কিনে বেড়াস হেসে খেলে,
নয়ন থাকতে দেখলি নারে দুটি নয়ন মেলে।
ভজলি না গুরুর চরণ রইলি সুখের আশায়।
লক্ষ্মণ বলে অন্তিম কালে পার করো আমায়।

মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,
শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০১

তারেক ফাহিম বলেছেন: মৃত্যুর কাছে সবাই পরাজিত
কবতিায় ++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.