নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবর জিয়ারতের গ্যারান্টি চাই’- স্টালিন সরকার

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

সহকর্মী মোবায়েদুর রহমানের পরিবার ভাগ্যবান। তার ছোটভাই নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় ‘নিখোঁজ’-এর ২০ ঘণ্টা পর গ্রেফতার করে প্রকাশ্যে এনে রিমান্ডে নেয়া হয়। ভাগ্যবান যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমানের পরিবারও। সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার পথে মুজিবুর রহমান অপহৃত হওয়ার দীর্ঘদিন পর গাজীপুর থেকে উদ্ধার হন।
কিন্তু ভাগ্য বিড়ম্বিত পরিবার সালাউদ্দিন আহমেদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ। তার স্ত্রী সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন; প্রশাসনের শীর্ষ ব্যাক্তির কাছে অনুনয় বিনয় করেছেন; কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজে বের করার গরজও দেখানো হচ্ছে না।
ছাত্রদলের সাবেক নেতা আনিসুর রহমান খোকনও নিখোঁজের তালিকায়। সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, ঢাকার ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলম, কুমিল্লার লাকসাম বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজ নিখোঁজ দীর্ঘদিন থেকে। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় কিন্তু ফিরে আসেন না ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, হিরুরা। প্রশ্ন হলো হারানো বা নিখোঁজ এই মানুষেরা যায় কোথায়? পরিবেশবিদ বেলার রেজোয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের ঘটনায় সুশীল সমাজ সরব হয়ে উঠেন, মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। চাপের মুখে অপহরণের দু’দিনের মাথায় তাকে রাস্তায় ফেলে পালাতে বাধ্য হয় অপহরণকারীরা। রেজোয়ানা হাসানের স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক অপহরণ এবং তাকে ফেলে যাওয়ার রহস্য এখনো অনুদঘাটিত।
ভাগ্যবতী রেজোয়ানা হাসানকে অপহৃত স্বামীর জন্য দু’দিন চোখের পানি ফেলতে হয়েছে। কিন্তু ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরুর স্ত্রী আর সালাউদ্দিনের স্ত্রীকে নিখোঁজ স্বামীর জন্য আর কতদিন চোখের পানি ফেলতে হবে?
কেরানীগঞ্জ থেকে অপহৃত ৬ বছরের শিশু পরাগ ম-লকে উদ্ধারের জন্য আইনশঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপর ছিল। মিডিয়ার হৈচৈ এবং নানা কৌশলে পরাগ ম-লকে উদ্ধার; এবং কয়েকদিনের মধ্যেই অপহরণকারী যুবলীগ নেতাকে টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত র‌্যাব-পুুলিশ বাহিনীকে নিয়ে মানুষের গর্বের শেষ ছিল না। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের এমপির নির্দেশে মস্তানদের ব্যালটের লাঙ্গল প্রতীকে সিল মারা ঠেকিয়েছিলেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসএসআই বসিরউদ্দিন। ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালনের পর পুলিশ হয়েও নিজের নিরাপত্তার জন্য তাকে থানায় ডায়েরি করতে হয়। এ ঘটনা পুলিশ প্রশাসনের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছিল। এমন আরো অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যা পুলিশ প্রশাসনের ভাবমর্যাদা দেশবাসীর প্রতি বৃদ্ধি করেছে।
কিন্তু রাজনৈতিক কারণে এবং অন্যান্য কারণে যারা নিখোঁজ হচ্ছেন, হঠাৎ করে হারিয়ে যাচ্ছেন এবং পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করছেন আইনশঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে অভিযোগের পর ‘নাই’ হয়ে যাচ্ছেন এবং কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তারা যান কোথায়? গত এক বছরে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের কাউকে পাওয়া গেলেও অনেক মানুষকে পাওয়া যায়নি। অধিকাংশকে খুঁেজ বের করার চেষ্টাও তেমন হয় না। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের মার্চ মাস এ সময়ে অপহৃত হয়েছে ২৬৮ জন নাগরিক।
এদের মধ্যে ৪৩ জনের লাশ পাওয়া গেছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানানো হলেও অনেকেই এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এই নিখোঁজের তালিকায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর সংখ্যাই বেশি। নিখোঁজ তালিকায় আন্দোলনরত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সংখ্যা বেশি হলেও কুমিল্লার যুবলীগ নেতা শাওনসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদেরও নাম রয়েছে। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব যাদের তাদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না কেন? পরাগ ম-ল, রেজোয়ানা হাসানের স্বামী বা বিটিশ নাগরিক বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান অপহৃতের পর পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো এবং মিডিয়ার হৈচৈ হলেও সালাউদ্দিন-খোকনদের বেলায় দেখা যাচ্ছে না কেন? সালাউদ্দিনের স্ত্রী বা আনিছুর রহমান খোকনের মায়ের চোখের পানি মূল্যহীন?
বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হয়েছেন দুই সপ্তাহ হলো। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার পেছনে সরকারের কোনো বাহিনীর লোকজন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করলেও তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের কেউ কেউ বিএনপির গুলশান কার্যালয় থেকে ময়লার বস্তায় তাকে পাচার করা হয়েছে বলে নির্মম রসিকতা করলেও কেউ কেউ দাবি করছেন, তিনি নিজেই লুকিয়ে রয়েছেন। তিনি লুকিয়ে রয়েছেন অথচ তার পরিবারের দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সরকারের মন্ত্রীদের দাবি, তালেবানি কায়দায় সালাহউদ্দিন লুকিয়ে থেকে বিবৃতি দিয়েছেন। সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী যদি অবিশ্বাস্যভাবে ওসামা বিন লাদেন বা মোল্লা ওমরের মতো লুকিয়ে থাকেন বা প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে তাকে যদি বিএনপিও গুম করে থাকে (!), তাঁকে খুঁজে বের করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারের। স্ত্রী হাসিনা আহমেদ তার সন্ধানের আকুতি ব্যক্ত করেছেন, হাইকোর্ট তাকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও সরকার এই দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। সরকারের কর্মকা-ে তাকে খুঁজে বের করার কোনো বিশ্বাসযোগ্য আগ্রহ বা তৎপরতাও লক্ষ কোটি নাগরিকের চোখে পড়েনি। জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজ এবং কিছু মিডিয়ার ভূমিকা যেন ‘ওটা রাজনৈতিক বিষয়’ অতএব…। ২২ মার্চে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল গুম অপহরণের ঘটনায় বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করে গুম ও অপহৃতদের খুঁজে বের করার জন্য আইনশঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সংগঠনের নূর খান লিটন টকশোতে বলেছেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নিখোঁজ হচ্ছেন। দুজন নারী এখন নিখোঁজ।
সময়ের স্রোতে ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের কথা মানুষ মনে না রাখলেও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা এখনো প্রতিদিন অপেক্ষা করেন স্বামী ও পিতা ফিরে আসবেন। কিন্তু দুই সাপ্তাহ আগে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। ইলিয়াস আলী, সাইফুর ইসলাম হিরু ও চৌধুরী আলমের পরিণতি যদি সালাহউদ্দিনের হয়ে থাকে, তাহলে স্বীকার করতেই হবে সরকারের দাবি ‘দেশ স্বাভাবিক চলছে; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। সেই সঙ্গে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহ বলার অপেক্ষা রাখে না। অধ্যাপক আসিফ নজরুল লিখেছেন ‘আতঙ্কজনক বিষয় হচ্ছে, নিখোঁজ বা গুমের এসব ঘটনা একের পর এক ঘটে চললেও সরকারকে এতে আদৌ বিচলিত মনে হচ্ছে না, এমনকি সরকারের কাউকে এর কোনো দায় নিতে হচ্ছে না। গুমের মতো রক্ত হিম করা অপরাধ যেন সমাজের অপরাধ সংস্কৃতিতে গ্রহণযোগ্য বিষয় হয়েও দাঁড়িয়েছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না ২১ ঘণ্টা এবং সালাহউদ্দিনের অনেক দিন ধরে নিখোঁজ থাকার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশের দায়িত্বটুকু পালন করেনি দেশের বহু গণতান্ত্রিক দল ও মানবাধিকার সংগঠন। এখতিয়ারবহির্ভূত বিভিন্ন বিষয়ে বিবৃতি দানে সদা তৎপর মানবাধিকার কমিশনকেও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা গুম হলে এ জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি।’ একটি সহযোগী পত্রিকায় কবর বেরিয়েছে যশোর জেলার এক পা হারানো আবদুল মজিদকে পঙ্গু হাসপাতালে খুঁজে পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন তার ভাই। সাংবাদিকদের তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আবদুল মজিদের সঙ্গে শহিদুল নামের আরেকজনকে একসঙ্গে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। এখন আমি পঙ্গু ভাই মজিদকে খুঁজে পেয়ে নিজেদের সৌভাগ্য মনে করছি। কারণ অন্যজন শহিদুলতো ‘নেই’ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে গুমের শিকার কিছু পরিবার এখন গুমের বিচার পর্যন্ত চাইছে না। তারা মৃত্যু হলেও লাশ ফিরে চায়।
২০১৪ সালের ৩০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে মৌলিক অধিকার রক্ষা কমিটি একটি অনুষ্ঠান করেছে। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেয় গুম ও নিখোঁজ হওয়া পরিবারের সদস্যরা। বক্তৃতার সময় তারা শুধু জানতে চাইছেন নিখোঁজ স্বজনদের মেরে ফেলা হলে কোথায় পুঁতে রাখা হয়েছে তা যেন জানানো হয়। ঈদ, শবে বরাত, সবে কদর ও বিশেষ বিশেষ দিনে স্বাজনদের কবর জিয়ারত করা বাংলাদেশের মুসলিম পরিবারগুলোর মধ্যে রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। তারা যেন স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে পারেন। ক্রসফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পরিবারের সদস্য এবং ভাই-ছেলেরা বিশেষ বিশেষ দিনে কবর জিয়ারত করেন। কারণ তাদের কবর রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানেন তারা নিহত হয়েছেন। কিন্তু যারা নিখোঁজ হয়েছেন তারা জীবিত না মৃত সেটা জানেন না পরিবার। এ জন্যই তারা লাশ ফেরতের গ্যারান্টি চেয়ে আকুতি জানান যেন কবরের পাশে গিয়ে তাদের বাবা-ছেলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করতে পারেন। স্বজন হারানো পরিবারগুলোর হৃদয়ছোঁয়া এই আর্তি দায়িত্বশীলদের হৃদয় স্পর্শ করেনি।
মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে এ দেশ। দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখা অপরিহার্য। এগুলোকে ধরে রাখতে চাইলে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজকে গুম, অপহরণ আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সোচ্চার হওয়া জরুরি। মিডিয়াকে দলদাস ও সুবিধাবাদী ভূমিকার বদলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা সময়ের দাবি। সেটা না করে মিডিয়া যদি দলদাস ও স্তবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। নিখোঁজদের স্বজনরা এখন নাগরিক অধিকার চাইতে ভুলে গেছে। তারা চায় নিখোঁজদের লাশ ফেরতের গ্যারান্টি; যাতে তারা বিশেষ বিশেষ দিকে প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করতে পারেন। ’৭০ দশকে নির্মল সেন লিখেছিলেন ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’। এখন গুম ও নিখোঁজদের লাশ ফেরতের গ্যারান্টি চায় স্বজনরা। নিখোঁজ হওয়া এবং গুম হয়ে যাওয়ার পর যেসব নেতা ও বুদ্ধিজীবীরা এই সরকারের আমলে নিজেদের নিরাপদ ভাবছেন তারা নীরব রয়েছেন। নিখোঁজ ইস্যুটিকে শুধু রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে নীরবতা পালন করছেন। কেউ কেউ সরকারের শীর্ষ ব্যাক্তি ও মন্ত্রীদের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কেরাস গাইছেন।
যারা এই মানসিকতা দেখাচ্ছেন ভবিষ্যতে তাদের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে? বিভিন্ন টিভির টকশোতে সাবেক মন্ত্রী ড. মিজানুর রহমান শেলী প্রায় একটি গল্প বলেন। তার গল্পটি এমন। ‘ভিন্ন ভিন্ন জাতের তিন ব্যক্তি একসঙ্গে নিরাপদে বসবাস করছেন। একদিন তৃতীয়জনের ওপর আঘাত এলে নিরাপদ থাকায় অন্যদুজন প্রতিবাদ করেনি। কিছুদিন পর দ্বিতীয় ব্যক্তির ওপর আঘাত এলে একই কৌশল অনুসরণ করে প্রথম ব্যক্তি। অতঃপর একদিন প্রথম জনের ওপর আঘাত আসে। প্রথম ব্যক্তি তখন দুঃখ করে বলেন, আমি থাকলেও আগে প্রতিবাদ করেনি নিজের নিরাপদ ভেবে: কিন্তু আমার ওপর যখন আঘাত আলো তখন প্রতিবাদ করার আর কেউ ছিল না। সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ ও বিদ্যাজীবীদের এ গল্পটির পরিণতি অনুধাবন করা উচিত।
উৎসঃ ইনকিলাব

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: যাক তাও ভালো যে তাদের কে তাদের স্বজন রা শরীর ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায় দেখছে না , কিন্তু বি অ্যান পির আমলে গ্রেনেড হামলায় নিহত দের স্বজন রা তাদের স্বজন দের বোমায় ছিন্ন ভিন্ন লাশ কবর দিয়েছিল ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৪০

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: এভাবেই কি সাফাই গেয়ে থাকেন? ভালো কৌশল, ওপর দলের সাথে তুলনা করে নিজের গায়ের দুর্গন্ধ ঢাকা যায় না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.