নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যিকারের ইতিহাস তুলে ধরা দরকার

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০১

জাতীয়বাদীদের ৭৫ এর পূর্বের ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরা অবশ্যকীয় বটে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, বিএনপির রাজনীতিতেও তো ঐ ইনুর ভাই ভাতারের বুদ্ধিজীবিদেরই প্রাধান্য কিন্তু তৎকালীন ৭২ থেকে ৭৫ এর ৭ ই নভেম্বার ছিল ঐ আওয়মী লীগের দমন পীড়ন হত্যা লুন্ঠন কালোবাজারী দূর্ণীতির এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি আর অপরদিকে স্বাধীনতা পর পরই এই বাংলাদেশের মাটি থেকে বারুদের গন্ধ মিলিয়ে না যেতেই জাসদের সন্ত্রাসী বাহিনীর উত্থান আর ভারত তোষন নির্ভর জাসদ আর মুজিবের অতি ভারতপ্রীতি জাতির ললাটে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কালো থাবা আর রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের ও রাজনীতি বিপক্ষের একচ্ছত্র নিধনে মুজিবের বাকশালীয় একদলীয় রাজনীতির চালু করার পর থেকে প্রচলিত বাম দল ন্যাপ সহ সকল রাজনীতির ধারার স্বাভাবিক রাজনৈতিক চর্চাই যখন রুদ্ধ তখন দেশে সরকারী দল বাকশালই ছিল একমাত্র বৈধ রাজনৈতিক দল আর অন্যদিকে অনান্য স্বাভাবিক ধারা রাজনৈতিক দল গুলো বাধ্য হয়েই যখন ইন এক্টিভ তখন আন্ডারগ্রাউন্ড দল জাসদ দূর্বল সর্বহারা ছাড়া অন্য কোন দলের কোন এক্টিভিটিও ছিলও না আর তখন জাসদের সন্ত্রাসী ও চটকবাজি কর্মকান্ডে জড়িয়ে বহু তরুন বিপথে পা বাড়ায় এবং তখন জাসদের সামরিক শাখা সরাসরিই সরকারের সাথে জনযুদ্ধে লিপ্ত ছিল বিধায় মানুষ তখন নিরপায়ও ছিল। আর জাসদের তাহের ও ইনু গংদের গনবাহিনীর প্রধান কর্ম পরিকল্পনাই ছিল আওয়মী বাকশালকে নেতৃত্বশূন্য করা ঐ সেনাবাহিনীকে ধ্বংশ করা আর সেই সাথে সেনাবাহিনীর ফ্রন্ট লাইনের মুক্তিযুদ্ধরা যারা কর্ণেল তাহেরের নেতৃত্বের জন্য হুমকি ছিল তাদের খতম করাই এই লক্ষ্যেই জাসদ একটু একটু করে অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছিলও যে জাতীয়তাবাদের অতুড় ঘর রচিত হয়েছিল আর যার ফলাফলই যে শহীদ জিয়া এটা সত্য জাতীয়বাদীরা ছাড়া ওরা কখন তুলেও ধরবে না কারন ঐ সময় তাদের ভালো কিছু কখনই ছিল না আর নেতারাই তো এসব ঠিকভাবে উপস্থাপন করে না বা এই সব ভালোভাবে জানেও না। এই জন্যই ওরা আজ যা খুশি বলছেও

যেদিন বীর উত্তম মেজর জলিলকে গুলি করে জেলে বন্দী করা হয়েছিল, যেদিন দশ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। যেদিন ফারাক্কা চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হয়েছিল, যেদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড সিরাজ সিকদারকে হত্যা করা হয়েছিল। যেদিন সুপরিকল্পিতভাবে মেজর জিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল, মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়েছিল।পিলখানা হত্যা হয়েছিল, সীমান্তে যেদিন প্রথম বাংলাদেশী নাগরিককে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছিল।যেদিন ফুলবাড়ি চুক্তি হয়, যেদিন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপণের চুক্তি হয়, যেদিন হেফাজতে ইসলামের সদস্য আলেমদের হত্যা করা হয়, যেদিন বাংলাদেশী পুলিশ প্রথম বাংলাদেশী নাগরিককে মিছিলে গুলি করে হত্যা করে।
যে স্বাধীনতার জন্য আমার জাতি লড়ে গেছে সে স্বাধীন দেশে আমার বাবা পরাধিন, আমি পরাধিন আমার সন্তান পরাধিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.