নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ৩০ জানুয়ারী । ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন দেশে ১ম গুমের ঘটনা ঘটে কৃতী চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান কে গুমের মাধ্যমে ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

"স্টপ জেনোসাইড" ছবিটি নির্মাণের সময় আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁকে নানাভাবে বাধা দিয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে শুটিং করতে দেয় নি, এমন কি কোন কোন সেক্টরে তাঁর গমন পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল। ... আওয়ামী লীগের নেতারা ছবি দেখে ছাড়পত্র না দেয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সেন্সর বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।”
১৯৭২ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদ সম্মেলনে কৃতী চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান ঘোষণা দেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের পেছনে নীলনকশা উদ্ঘাটনসহ মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অনেক গোপন ঘটনার নথিপত্র, প্রামাণ্য দলিল তার কাছে আছে, যা প্রকাশ করলে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই নেয়া অনেক নেতার কুকীর্তি ফাঁস হয়ে পড়বে। আগামী ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই প্রেসক্লাবে ফিল্ম শো প্রমাণ করে দেবে কার কি চরিত্র ছিল।
সাংবাদ সম্মেলনের কয়েকদিন পর ৩০ জানুয়ারি রোববার সকালে এক রফিক নামের অজ্ঞাত টেলিফোন আসে জহির রায়হানের কায়েতটুলির বাসায়।রফিক ছিলেন জহিরের পূর্ব পরিচিত যিনি ইউসিসে চাকরি করতেন । প্রথমে ফোন ধরেছিলেন জহির রায়হানের ছোট বোন ডাক্তার সুরাইয়া যার কাছে জহিরকে খোঁজা হচ্ছিল । সুরাইয়া জহির রায়হানকে ডেকে ফোন ধরিয়ে দেয় । টেলিফোনে জহিরকে বলা হয়েছিল, আপনার বড়দা মিরপুর বারো নম্বরে বন্দী আছেন। যদি বড়দাকে বাঁচাতে চান তাহলে এক্ষুণি মিরপুর চলে যান। একমাত্র আপনি গেলেই তাকে বাঁচাতে পারবেন। টেলিফোন পেয়ে জহির রায়হান দুটো গাড়ী নিয়ে মিরপুরে রওনা দেন।
মিরপুর ২ নং সেকশনে পৌছার পর সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে জহির রায়হানের টয়োটা গাড়ি (ঢাকা-ক-৯৭৭১)সহ থাকতে বলে অন্যদের ফেরত পাঠিয়ে দেন। এভাবেই জহির চিরতরে হারিয়ে যান।
‘আজকের কাগজের ৮ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সংখ্যায় জহির রায়হানের হত্যাকারী রফিক এখন কোথায়' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জহির রায়হান নিখোঁজ এই নিয়ে লেখালেখি হলে একদিন বড়দি অর্থাৎ জহির রায়হানের বড় বোন নাফিসা কবিরকে ডেকে নিয়ে শেখ মুজিব বললেন, জহিরের নিখোঁজ নিয়ে এ রকম চিৎকার করলে তুমিও নিখোঁজ হয়ে যাবে।
(সূত্র : দৈনিক আজকের কাগজ ৮ ডিসেম্বর ১৯৯৩)
তার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে তার আত্মীয়-স্বজন সোচ্চার হতেই পারেন। কিন্তু শেখ মুজিব কেন জহির রায়হানের বড় বোনকে ডেকে নিয়ে নিখোঁজ করে ফেলার হুমকি দিলেন। কি রহস্য ছিল এর পেছনে?
তাহলে কি বুদ্ধিজীবী হত্যার ব্যাপারে শেখ মুজিব এমন কিছু জানতেন, যা প্রকাশ পেলে তার নিজের কিংবা আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতির কারণ হতো?
আর কেনইবা তড়িঘড়ি করে জহির রায়হানের তথাকথিত হত্যাকারী রফিককে সপরিবারে আমেরিকা পাঠিয়ে দেয়া হলো?
(সূত্র : সরকার সাহাবুদ্দিন আহমদ, রাহুর কবলে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঢাকা, পৃষ্ঠা-১০৮)
জহির রায়হান অন্তর্ধান রহস্য ঘাঁটতে গিয়ে এমন কিছু ব্যক্তির এমন কতগুলো চাঞ্চল্যকর তথ্যের সন্ধান পাওয়া গেল যেগুলো পড়ে শরীরের লোম খাড়া হয়ে ওঠে। এসব তথ্য পাওয়া গেছে নিখোঁজ জহির রায়হানের প্রথম স্ত্রী সুমিতা দেবী, দ্বিতীয় স্ত্রী সুচন্দার ভগ্নী, চলচ্চিত্র নায়িকা ববিতা, জহির রায়হানের ভাবী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পান্না কায়সার এবং এই সময়কার সবচেয়ে বড় ঘাদানিক নেতা শাহরিয়ার কবির প্রমুখের কাছ থেকে। এ ছাড়াও এদের জবানীতে সত্যজিৎ রায় এবং শেখ মুজিবের যেসব উক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে সেসব পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, জহির রায়হান তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেস্টনীর মধ্যেই ছিলেন। ঘটনা পরম্পরা পর্যালোচনা করলে তার মৃত্যুর দায়দায়িত্ব তৎকালীন প্রশাসনকেই গ্রহণ করতে হয়

Shahid Khan

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের কি হয়েছিল জানা নেই তবে একথা নিশ্চিত যে জাতি তার কৃতি এক সন্তানকে অকালেই হারিয়ে ফেলেছিল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: আসলেই কি হয়েছিল সত্য উদ্ঘাটন করা উচিত। এতদিন পরে এসেও রাজাকারের বিচার হতে পারে, জহির রায়হানের খুনিরা কি দোষ করল? তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

Biniamin Piash বলেছেন: I love him.Deep respect from heart.

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

ফাহিম আবু বলেছেন: জহির রাইহানের হত্যার বিচার চাই !!

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

াহো বলেছেন: ৩১ জানুয়ারি মিরপুর মুক্ত দিবস

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ৪৬ দিন পর ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয় রাজধানীর মিরপুর এলাকা।
এ জন্য মিরপুরকে বলা হয় বাংলার শেষ রণাঙ্গন। মিরপুরের সেদিনের যুদ্ধে জিয়াউল হক লোদী, সেলিমসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-31/news/220820
http://archive.samakal.net/2015/01/30/115489/print
http://www.banglatribune.com/national/news/70803

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.