নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজো কি শেখ হাসিনা চোখে গ্লিচারিন লাগিয়ে বার্ণ ইউনিটে ছুটে যাবেন?? তারি লালিত পোষা পেটুয়া পুলিশের দেয়া আগুনে দগ্ধ অসহায় চা দোকানীকে দেখতে????

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪




ক্ষমতায় থেকেও নিজেদের রক্তে রঞ্জিত দলীয় নেতাকর্মীরা!
রাজনৈতিক খুনো-খুনিতে শীর্ষে আ’লীগ
৭ বছরে দলীয় কোন্দলে ২০৫ খুন!
- কামাল উদ্দিন সুমন

চাঁদার টাকা ভাগাভাগি, আধিপত্য বিস্তার, দলীয় পদ-পদবি, নানা কারণে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ক্ষমতায় থেকে রাজনীতির মাঠ রক্তে রঞ্জিত করছে দলটি। দলীয় নেতাকর্মীরা খুন করছে নিজ দলের নেতা কর্মীকে। আর খুন আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে আওয়ামী লীগকে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে। রাজপথ থেকে শুরু করে মাঠঘাট সবুজ প্রান্তর সর্বত্রই নিজেদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। কী নেতা, কী তৃণমূল কর্মী রক্ত ঝরছে সবারই। প্রতিপক্ষের কারও আঘাতে নয়, নিজেদের গুলী, নিজেদের রামদার কোপেই বেশির ভাগ নেতা-কর্মী ধরাশায়ী হচ্ছেন। কখন কে কোথায় কীভাবে আক্রান্ত হন সে আশঙ্কায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে তারা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে খুন হয়েছে ২০৫ জন নেতাকর্মী। আর আহত হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮ জন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দল সক্রিয় না থাকায় সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা ব্যক্তিগত নানা সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে দলটির মধ্যে খুনোখুনি ও কোন্দল বাড়ছে।
তারা বলছেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে পাওয়া না- পাওয়া থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ, অন্তর্কলহ থাকবে,এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে এটা আওয়ামী লীগের মধ্যে এটা মাত্রাতিরিক্ত। কারণ আওয়ামী লীগের এখন কোনো দলগত প্রতিপক্ষ নেই। দলটির কোনো কোনো নেতার সময় ব্যয় হয় ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে। ফলে তাঁদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত। কারণ রাজনৈতিক শক্তির ধারা কখনো নিষ্ক্রিয় থাকে না।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলের এক বৈঠকে বলেছিলেন, সম্প্রতি সারা দেশে খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনা কেন ঘটছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসব ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে। এসব ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্রয় দেবেন না।
গতবছরের ১৪ নবেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী হালিমা বেগম জরিনাকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে দলীয় নেতা কর্মীরা।
১০ নবেম্বর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়ন এর বাজেমজকুর গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলী (৫৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
৩০ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর বাজারে আব্দুস সামাদ (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২৫ অক্টোবর নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ কর্মী তারেক হোসেন স্বপন ও মাগুরায় আওয়ামী লীগ কর্মী আরব লস্কর খুন করে দলীয় নেতাকর্মীরা।
৬ সেপ্টেম্বর গফরগাঁও পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সক্রিয় আজিজুল হক খুন হন।
২৩ অক্টোবর রংপুর পীরগাছা উপজেলার দামুরচাকলা বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা সদরুল ইসলামকে (৪৫) নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। ২২ অক্টোবর নাটোরের সিংড়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল হান্নান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন।
১ অক্টোবর ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হাতে গিয়াস উদ্দিন (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন। ৮ অক্টোবর কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকম শাহাব উদ্দিন ফরায়েজী দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন। ২০ অক্টোবর হাতুড়ির আঘাতে রাজশাহী নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম (৫০) খুন হন। ২০ অক্টোবর বাগেরহাটের রামপালে আব্দুল মাজেদ সরদার (৬৫) রাজনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খুন হন।
১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নিগুয়ারি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহর উদ্দিন (৬০) দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন।
১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ কলোনিতে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ কর্মী মেহেদী হাসান বাদল নিহত হয়েছেন। ২১ আগস্ট কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামকে (৫০) খুন করে দলীয় কর্মীরা।
১৫ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকায় সবুজ (২৪) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী খুন হন।
১৩ আগস্ট রাজধানীর মধ্যবাড্ডার পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের দু’গ্রুপের গোলাগুলিতে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা নিহত হন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
১ আগস্ট সন্দীপের মগধরা ইউনিয়নের নামারবাজার এলাকায় যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৭ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়ন যুবলীগের দফতর সম্পাদক মিলন সরকারকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একইদিন বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রাসেল ব্যাপারী (২৩) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। ১২ আগস্ট দুপুরে সিলেট মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকর্মী আবদুল আলীকে খুন করে দলীয় কর্মীরা।
৪ জুলাই চট্টগ্রামে নুরুল হুদা নামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খুন হন। ৫ জুলাই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ইয়াকুব আলী (৫৮) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
১১ জুলাই রাজবাড়ী সদরের পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুস ছাত্তারকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ২১ জুলাই জেলার রানীনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আমজাদ হোসেন (৩৫) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২৪ জুলাই পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে যুবলীগ নেতা দানেজ শেখকে খুন করে দলীয় নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০১

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: শুভ কামনা রইলো।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয়াবহ পরিসংখ্যান!!!!!!!!!!!!!!!!!

সাধারন মানুষের নিরাপত্তা স্মরণকালের মধ্যে সবচে অনিশ্চয়তায়!!

মন্ত্রী মহোদয়গণ পাবলিককে কি বোধাই ভাবেন????? ইমেজ খালী বাড়েই!!!!????? স্বপ্নে নাকি?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.