নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন রহস্যের পোস্টমরটেম করি, চা দোকানিকে পুড়িয়ে হত্যার কুশীলব কেন আজও ধরা ছোঁয়ার বাইরে?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

পুলিশ থেকে বাঁচতে ডিসির কাছে যে আবেদন করেছিলেন চা-দোকানি বাবুল





এই আবেদন করেও বাবুল বাঁচতে পারেননি। বুধবার রাতে শাহ-আলী থানা পুলিশ ও তাদের কথিত সোর্স গুদারাঘাটের ছোট্ট চায়ের দোকানে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে রাজু বাংলা ট্রিবিউনের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তার বাবাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
রাজু বলেন, ‘আমার বাবা বিভিন্ন সময় পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তিনি বাঁচতে পারেননি। ডিসির কাছে কয়েক দফা আবেদন করার পরও পুলিশ থামেনি।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ফজলুর রহমান বলেছেন-
“পুলিশের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে এদের বড্ড বেশী বাড় বেড়েছে। এরা কেন এত বেপরোয়া আচরণ করছে, আসলে এরা কারা ?”
গত বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বাবুল মাতব্বর নামে এক চা দোকানিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবারে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপণ করেন তিনি। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে বলেন, ‘এরা বলছে- তারা নাকি দেশের রাজা, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে এরা কারা, এদের বিরুদ্ধে কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
(http://goo.gl/NCMdXT)

আসলে এ ঘটনা কিভাবে ঘটলো, কার মাধ্যমে ঘটলো এবং কেন ঘটলো এ বিষয়গুলো পুলিশ যেভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, ঠিক তেমনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে মিডিয়া। তবে আমি বাংলামেইল২৪ এর একটি খবরে নিহতের আত্মীয়ের রেফারেন্স দিয়ে কিছু খবর দিচ্ছি, আপনারাই যাচাই করুন, মূল ঘটনার পেছণে দায়ি পুলিশের কোন সদস্য -
১) “বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন (তখন পর্যন্ত) বাবুলের ছেলে রাজু বাংলামেইলকে জানিয়েছিলেন, এসআই শ্রীধাম ঘটনার দিন বেলা ১টায় এবং রাত ১০টার দিকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে তাদের চায়ের দোকানে আসেন। এসময় তার সাথে সোর্স দেলায়ার এবং কয়েকজন কনস্টেবলও ছিল।
দুপুরে বাবুলের মৃত্যুর পর রাজু ঢাকা মেডিকেলে উপস্থিত অনেকের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবাকে মেরে ফেলেছেন শাহ আলী থানার পুলিশ ও সোর্সরা। আমার বাবার কি অপরাধ? ফুটপাতে চা বিক্রি করেন, পুলিশকে চাঁদা দিতে পারেননি? আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্য ও পুলিশের সোর্স তার গায়ে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করেছে। আমরা দুই ভাই ও তিন বোন এতিম হয়ে গেলাম। আমরা এই হত্যার ঘটনায় ন্যায় বিচার চাই।”
(http://goo.gl/8mM5u7)
২) কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাজু বলেন- “শাহ আলী থানার এসআই শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদার আরো দুই পুলিশ কনস্টেবল ও সোর্স দেলোয়ারকে নিয়ে গতরাত নয়টার দিকে আমার বাবার দোকানে যান। এগুলো আমাদের কথা নয়, আমার বাবা মৃত্যু আগে আমাদের বলে গেছেন। তখন এসআই শ্রীধাম আমার বাবাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। আর বলেন, ফুটপাতে দোকান করিস, চাঁদা দে।”
(http://goo.gl/IjV7BD)
পাঠক, এবার আসুন দ্বিতীয় পর্যায়ে, চা বিক্রেতাকে আগুন দিয়ে হত্যা করার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বরখাস্ত হয়েছে ৪ পুলিশ সদস্য। কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হচ্ছে ঐ চার সদস্যের মধ্যে শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদার নেই। এরপর সংবাদেই বলা হচ্ছে শুধু শ্রীধামের নাম বরখাস্তের তালিকায় ঢুকাতে সারাদিন আলোচনা চলে পুলিশ প্রশাসনে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতের বেলায় অবশেষে বরখাস্তের তালিকায় ঢুকে শ্রীধাম হাওলাদারের নাম।(http://goo.gl/nvqZlv)
অর্থাৎ মূল ঘটনায় শ্রীধাম নেতৃত্ব দিলেও তার নাম দাষী তালিকায় ঢুকাতে অনেক সময় পার করতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। কিন্তু কেন ? শ্রীধামের এত পাওয়ার কিসের ? কেন শ্রীধামের নাম আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে ? পুলিশের ঐ দলের নেতৃত্ব ছিলো শ্রীধাম, তবে কেন ছাপোষা সোর্সকে দায়ি করা হচ্ছে ?

পুনরায় সংসদ সদস্য ফজলুর রহমানের প্রশ্নটি তুলে ধরছি। পুলিশ সম্পর্কে
ফজলুর রহমান প্রশ্ন করেছেন- “এরা এত বেপরোয়া আচরণ করছে কেন ?
এর উত্তর দিতে হলে আপনাকে যেতে হবে, কিছুদিন আগে ঢাকার মুহম্মদপুরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার দিকে। সেখানে আশা ইউনিভার্সিটির এক মেয়ে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত হয়েছিলো এসআই রতন কুমার। এসআই রতন কুমার ঐ মেয়েটিকে নিপীড়ন করার সময় বলেছিলো-“আমার কাছে ওসি ডিসি কিছুইনা, কারও কাছে নালিশ করে লাভ নেই”। (http://goo.gl/cnws5Y)
রতন কুমারই বলছে। তার কাছে ওসি ডিসি কিছুই না, আবার কারো কাছে নালিশ করেও লাভ নেই। অর্থাৎ রতন কুমার আর শ্রীধামদের বেপরোয়া আচরণের কারণে পুলিশ এই দুরাবস্থা।

মূল ঘটনা এটাই। পুুলিশে গণহারে যাচাই বাচাই ছাড়া আওয়ামীলীগের পছন্দের লোক নিয়োগের ফলে পুলিশের সিস্টেম ক্র্যাশ করেছে।এখন পুলিশ আর আগের ধারায় চলতে পারছে না, কারণ ঐপার থেকে মনোনিত বহু লোককে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা ধরেই নিয়েছে- তারা যাই করুক, তাদের কিছুই হবে না, তাদের কিছু করার ক্ষমতা আওয়ামী সরকারের নেই। এ কারনেই বর্তমানে পুলিশের এই নিয়ন্ত্রিনহীন অবস্থা।
নয়ন চ্যাঁটারজি

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ অবস্থা কাম্য নয়।

পুলিশি রাষ্ট্রের আলটিমেট ক্ষতিটা সরকারের কাঁধেই যাবে। সময় থাকতে সাবধান হলে জনগণ এবং সরকার উভয়ের মঙ্গল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। হাম্বাদের এসব কথা এক কান দিয়ে ঢুকবে আরেক কান দিয়ে বেড়িয়ে যাবে। প্রয়োজন আপনার আমার সচেতনতার।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

পথে-ঘাটে বলেছেন: আপনি বলেছেন "ঐপার থেকে মনোনিত বহু লোককে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে"। বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করে দিলে ভাল হয়।





সচেতনতামূলক পোস্ট। ভাল লাগা জানবেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: এডমিন আমাকে ব্যান করে দেবে এই ভয়ে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম উচ্চারণ করি নি। আপনি একটু কষ্ট করে এসআই পদে নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের তালিকা নেট থেকে সংগ্রহ করে পড়ুন।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: গুজবে কান দিবেন না। পুলিশের মধ্যে দুর্ণীতিবাজ পুলিশ সবসময়ই ছিল কিন্তু তাই বলে ঐপার থেকে মনোনীত ব্যাক্তিগণ পুলিশে নিয়োগ পাচ্ছে তা একদম বানোয়ট। আর এই বনোয়াট কথাই বেশিরভাগ লোক বিশ্বাস করে যদিও তা সত্যি না।
যারা গুজবে বিশ্বাস করে ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আজাব।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: // যারা গুজবে বিশ্বাস করে ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আজাব।///
এটা কি কুরআনের আয়াত? মনে হচ্ছে পড়েছিলাম।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

শার্লক_ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতেই প্রাণ দিতে হলো। আহারে কত আকুতি ছিল ঐ জিডিতে। জানোয়ার সব।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হ্যা জিডির ছবিটা তুলে ধরেছি। পড়লে মন খারাপই হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.