নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কেন বিএনপি ভারতের কাছে বাংলাদেশের ইজ্জত বিকিয়ে দিলনা"

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

বাংলাদেশে জন্ম, বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছেন, রুজি-রোজগার করেন এখানেই; কিন্তু পাকিস্তানে জায়গা-জমি কিনেন, ব্যাংকে টাকা জমান, পাকিস্তানকে ভালোবাসেন এবং কোনো একদিন পাকিস্তান চলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন-- এমন একজন লোককে খুঁজছি । সন্ধানদাতাকে উপযুক্ত পুরষ্কার দেয়া হবে ।
খোঁজ পাইলে আমাদের জানাইয়েন ।

এমন টি না পেলে ও বাংলাদেশে জন্ম, বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছেন, রুজি-রোজগার করেন এখানেই; কিন্তু ভারতে জায়গা-জমি কিনেন, ব্যাংকে টাকা জমান, ভারতকে ভালোবাসেন এবং কোনো একদিন ভারত হয়ে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর লোকের অভাব নেই

প্রকাশ্যে সরাসরি আওয়ামী-বাকশালী গং এবং ইনিয়ে-বিনিয়ে তথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এ দেশের তথাকথিত এক শ্রেণীর সুশীল সমাজ ভারতের নির্লজ্জ তাবেদারী করে যাচ্ছে। মিজানুর রহমান, মতিউর রহমান সহ ডেইলী ষ্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। এরা ভন্ড সুশীল। সহজ অর্থেই জ্ঞানপাপী। মাহফুজ আনামের বয়সের বিচার করলে সেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হতে ১) তিন বিঘা, ২) ফারাক্কা বাধ, ৩) ভূমি ও সুমুদ্র সীমা বিরোধ, ৪) বাণিজ্য ঘাটতি ইত্যাদি বিষয় দেখে আসছে যে নিজ দেশ ভারতের কাছে কত অসহায়। যার মূলে হচ্ছে ভারতের চরম সদিচ্ছার অভাব, শঠতা-প্রতারণা এবং রাজনৈতিক চাণক্যতা। কেবল মৌখিক আশ্বাস। বাংলাদেশের ক্ষতি করবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশের অবস্থা ভারত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কত করুণ হয়েছে তা নিয়ে মাহফুজ গংদের কোন ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। তারা ভাল ভাবেই জানে যে দুটি দেশের মধ্যে সু-সম্পর্ক কোনদিনও এক তরফা হয় না। তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে উভয়ের সদিচ্ছাতে হতে হয়। ইংরেজীতে একটি কথা আছে You can take a horse to the water but you can not make it drink! তাই বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয়ে সেই মুজিব আমল হতে বেরুবাড়ী, ফারাক্কা বাধ চালু এবং নৌ-করিডোর ভারতকে দিয়ে আসলেও আমাদের দিল্লী হতে প্রাপ্তি সামান্যই। তাই ভারত যদি বাংলাদেশকে উপরোক্ত তিনটি বিষয়ের বিনিময়ে ন্যায্য প্রাপ্তি না দেয় আমরা আর কত ছাড় দিব? সেই জিয়ার পথ অনুসরণ করে খালেদা ১৯৯১-৯৬তে একক ভাবে এবং ২০০১-০৬এ জোটগত ভাবে ভারতের বিভিন্ন প্রস্তাবের বিপরীতে বাংলাদেশেরও ন্যায্য প্রাপ্তি সমূহ যূগোৎপৎ চাইলে দিল্লী আর অগ্রসর হয় নি।
ভারতের কথা হল সে বাংলাদেশ হতে করিডোর সুবিধা নিবে কিন্তু বিএনপি কর্তৃক দাবীকৃত বাংলাদেশের ন্যায্য সুবিধা দিবে না। ভারত একক ভাবে ষোল আনাই ভোগ করবে। কিন্তু সুশীল ও অন্ধ ভারত প্রেমিক মাহফুজ আনাম এই সব বিস্তারিত না বলে ২০১১ সালে এসেও কি বলছেন;
এর আগে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন হোক, তা চায়নি।
যা সম্পূর্ণ নগ্ন মিথ্যা ও বিএনপি বিদ্বেষ। বিএনপি ভারতের করিডোর খায়েশের বিপরীতে ৬টি শর্ত মেনে নিতে বলায় ভারত পিছু হটে। তো এখানে মাহফুজ আনাম কি ভাবে বলল যে বিএনপি ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন চায় নি! মাহফুজ আনামের কথার ও মনোভাব দেখে মনে হয় তিনি বাংলাদেশের নন দিল্লীর শিকল পরিহিত কোলকাতার ভারতীয় বাঙালী বুদ্ধিজীবি। তা না হলে হয় বলতেন যে বিএনপির দেশ বান্ধব শর্তে ভারত রাজি হয়নি অথবা উনি বিএনপির বিষয় না তুললেও পারতেন। কিন্তু বিএনপির ভারতকে দেওয়া শর্ত সমূহ উল্লেখ করলেনই না বরং বিএনপিকে কালপ্রিট বানালেন। স্পষ্টতই চুরি তার উপর শিনা জুড়ি! দেশের শীর্ষ স্থানীয় সুশীল হিসেবে যে বাংলাদেশের ন্যায্য দাবী গুলো বেমালুম চেপে গিয়ে যারা এর পক্ষে কথা বলছে তাদেরকে দোষী ঠাউড়িয়ে নিজেদের জ্ঞাপাপী, দেউলিয়া ও পরগাছা হিসেবেই চিহ্নিত করে। মাহফুজের মতন জ্ঞানপাপী সুশীলরা যেভাবে ভারতের ইন-ডাইরেক্টলি তরফদারি করে তাতে আমাদের জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভারতের কাছ থেকে দাবী আদায়ের সুযোগ হয় না। মাহফুজদের কথা হল ভারত বিনা পয়সায় বাংলাদেশের ইজ্জত হরণ করেই চলবে কিন্তু ভারত হতে আপনি কিছু নিতে পারবেন না। কিন্তু মাহফুজদের মতন দালালদের পথে বিএনপি সব সময় রুখে দাড়িয়েছে। ফলে প্রভু ভারতের পাশাপাশি দালাল মাহফুজরাও বিএনপিকে ভারতের ভাষাই সমালোচনা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ যেন কখনও নিজেদের ন্যায্য পাওনা ভারতের কাছ থেকে আদায় করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না তার বিরুদ্ধে বাকশালী সহ মাহফুজ গংরা সর্বদা সচেষ্ট।
দেশের স্বার্থে কিছু দাবী করলেই তারা তাকে ৭১ এবং তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। ফলে ভারতের সুবিধাই হয় যে বাংলাদেশের মানুষ কখনই আমাদের বিরুদ্ধে আন্তরিক ও দৃঢ় ভাবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে একত্র হতে পারবে না। জিয়া ও তার বিএনপি বরাবর ভারতকে এক তরফা দেশের স্বার্থ বিকিয়ে কোন সুবিধা না দেওয়ায় দিল্লী বার বার হতাশ হয়েছে। এই একই হতাশা মাহফুজ গংদেরও গ্রাস করেছে। তাই এরা আজীবন হতাশা ব্যাক্ত করেই যাবে কেন বিএনপি বাংলাদেশের ক্ষতি করে ভারতকে চাহিদা মাফিক সব সুবিধা দিল না? যে দেশে মাহফুজের মত বিদেশের দালাল থাকে সেই দেশের কপালে খারাপি থাকে। সহজে তার বিপদ কাটে না।
কার্টেসী: বাংলাদেশ জিন্দাবাদ (BD Today)!

৯০ পরবর্তী সব নিবার্চনেই আ.লীগের জন্য কাজ করেছি: প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান
দৈনিক প্রথম জন্মলগ্ন থেকেই পত্রিকাটি আওয়ামী লীগের স্বার্থ রক্ষা করে এসেছে। তবে ব্যবসায়িক সফলতার লক্ষ্যে এটি পক্ষপাত খুবই সুক্ষ্ম ছিল প্রথম দিকে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই পক্ষপাত অনেকটা প্রকাশ্যই ছিল

তবে এ পর্যন্ত প্রথম আলোর আওয়ামী পক্ষপাতের কথা পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষীয় কেউ স্বীকার করেননি। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান তার লেখা একটি মন্তব্য কলামে অবশেষে সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি ৯০ পরবর্তী সবগুলো নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছেন। একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিক হিসেবে মতিউর রহমান ৯০ এর পর থেকে একাধিক জাতীয় পত্রিকার কর্ণধারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে ওইসব পত্রিকাকেও যে তার পছন্দের দলের সমর্থনে ব্যবহার করেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের সময়েও। সব শেষে আমরা আমাদের প্রিয় নেতা মতিয়া আপাকে আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করছি।”
বর্তমান প্রথম আলো প্রতিষ্ঠাই এক সময়কার ডাকসাইটে ছাত্রইউনিয়ন নেতা মতিউর রহমানের হাত ধরে। ১৯৯৯ সালে প্রথম আলোর যাত্রা শুরুর পর থেকে মতিউর রহমান এই পত্রিকার সর্বেসবা। এই সময়ে তিনটি (৫ জানুয়ারিসহ) জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ, মতিউর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী এসব নির্বাচনে প্রথম আলো আওয়ামী লীগের স্বার্থ রক্ষা করেছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

ফাহিম আবু বলেছেন: "বাংলাদেশে জন্ম, বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছেন, রুজি-রোজগার করেন এখানেই; কিন্তু পাকিস্তানে জায়গা-জমি কিনেন, ব্যাংকে টাকা জমান, পাকিস্তানকে ভালোবাসেন এবং কোনো একদিন পাকিস্তান চলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন-- এমন একজন লোককে খুঁজছি । সন্ধানদাতাকে উপযুক্ত পুরষ্কার দেয়া হবে ।
খোঁজ পাইলে আমাদের জানাইয়েন "------ সুপার লাইক !!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

অতীত কাল বলেছেন: বাংলাদেশে জন্ম, বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছেন, রুজি-রোজগার করেন এখানেই; কিন্তু পাকিস্তানে জায়গা-জমি কিনেন, ব্যাংকে টাকা জমান, পাকিস্তানকে ভালোবাসেন এবং কোনো একদিন পাকিস্তান চলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন-- এমন একজন লোককে খুঁজছি । সন্ধানদাতাকে উপযুক্ত পুরষ্কার দেয়া হবে ।
খোঁজ পাইলে আমাদের জানাইয়েন ।

এমন টি না পেলে ও বাংলাদেশে জন্ম, বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছেন, রুজি-রোজগার করেন এখানেই; কিন্তু ভারতে জায়গা-জমি কিনেন, ব্যাংকে টাকা জমান, ভারতকে ভালোবাসেন এবং কোনো একদিন ভারত হয়ে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর লোকের অভাব নেই;



###### ১০০০০০০% হক কথা বলেছেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

এম মিজানুর রহমান বলেছেন: বেওয়ারিশ কুকুর বেড়ে ওঠে রাসতার গু খেয়ে । এর চেয়ে সত্য আর কি হতে পারে ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ওই ব্যাটা তুই আবার আইছস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.