নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাট, তৈরি পোশাক, পোল্ট্রির পর ভারতীয় আগ্রাসনের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়েছে কৃষি খাত

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক এটা প্রতিবেশী দেশটি চাচ্ছে না। এজন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলোর নিম্নমানের বীজ বাংলাদেশে ঢুকিয়ে বীজের জন্য নির্ভরশীল করে ফেলছে। পাশাপাশি ডাম্পিং করে কমমূল্যে ভারতীয় চাল বাংলাদেশে রপ্তানি করে কৃষকদের চাল উৎপাদনে অনাগ্রহী করে তুলছে। দেশের প্রধান খাতগুলোতে ভারতীয় আগ্রাসনের জন্য ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’কে দায়ী করেছেন প্রফেসর আনু মুহাম্মদ। বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, যখন দেশের পাটশিল্পকে ধ্বংস করতে আদমজি বন্ধ করা হয় তখন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন নতুন পাটকল নির্মাণ করা হয়। ভারত বিশ্বব্যাংককে ‘প্রভাবিত’ করেই বাংলাদেশের আদমজি পাটকল বন্ধ করতে বাধ্য করে। একই সময়ে বিশ্বব্যাংক থেকে পাট খাতের উন্নয়নে ঋণ নেয় দেশটি, জানান আনু মুহাম্মদ। পাটে ভারতীয় আগ্রাসন এখানেই থেমে নেই। প্রতিবেশী দেশটির ‘ষড়যন্ত্রে’ মৃতপ্রায় খাতটির উন্নয়নে সরকার চেষ্টা চালালেও ভারতীয় ‘বীজ আগ্রাসনের’ সঙ্গে পেরে উঠছে না। দেশটি বাংলাদেশে নি¤œমানের পাটবীজ ঢুকিয়ে দিয়ে উৎপাদন ব্যহত করছে। পাশাপাশি ভারতীয় বীজের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। বিএডিসি’র খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক (বীজ ও বিপণন) লিয়াকত আলী বলেছেন, আমাদের বীজের মান অত্যন্ত ভালো। এছাড়া এ বীজ দুই বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। কিন্তু তারপরও ভারতীয় পাটবীজে দেশ ছেয়ে যাচ্ছে। আগে চাহিদার পুরো বীজই দেশে উৎপাদিত হতো। ভারতীয় বীজ আগ্রাসনের কারণে এখন আর দেশে তেমন বীজ উৎপাদিত হচ্ছে না জানান লিয়াকত আলী। ভারতীয় বীজ আগ্রাসনের কারণে পাটের আবাদ এবং উৎপাদন কমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরে গতবারের এক লাখ ১৪ হাজার ৩৫৭ বেল পাট কম উৎপাদন হয়েছে । তৈরি পোশাক গত একদশক ধরে ভারতীয় আগ্রাসনের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু বাংলাদেশের ৮১ ভাগ রপ্তানি আয় আসা তৈরি পোশাক খাত। এই খাতের মধ্যমসারির জনশক্তি বেশিরভাগই ভারতীয়। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টে পরিকল্পিত অস্থিরতা তৈরি করে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ আছে। আবার এসব বন্ধ হওয়া কারখানা ভারতীয়রাই কিনে নিচ্ছে। এভাবে প্রায় দেড়শ কারখানা ভারতীয় মালিকানায় গেছে, গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতীয়দের চাকরির বিষয়ে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ফ্যাশন ডিজাইনারসহ বিভিন্ন কারিগরি পদের জন্য দেশে দক্ষ লোক পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই ভারতীয়দের ঢুকানো হচ্ছে। আবার বাংলাদেশের বায়িং হাউজ প্রায় সবগুলোই ভারতীয়। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে তৈরি পোশাকের অর্ডার ভারতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ.. বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্রের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতের কিছু কোম্পানি আমাদের দেশে ব্যবসা করে। তাদের তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু গবেষণা করা হয়। এসব গবেষণা ফলাফল একটাই, আমাদের দেশের মুরগির মাংস খাওয়ার উপযোগী নয়। আমাদের ডিমের ভিটামিন কম, আমাদের ডিমের বাচ্চা উৎপাদন করলে রোগা হবে। তাদের ইচ্ছামতো গবেষণার নামে নানা ফলাফল দেখানো হচ্ছে। সকল গবেষণার একটায় ফল ভারত থেকে মুরগি, ডিম, বাচ্চা এবং খাবার আমদানি করতে হবে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কো-অডিনেশন কমিটির (বিপিআইসিসি) আহ্বায়ক মশিউর রহমান বলেন, এই খাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনেও এসব পরিকল্পিত অপপ্রচার থামছে না। এবার আগ্রাসনের প্রধান লক্ষ্য কৃষি একদিকে ভারতীয় কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশে নিম্নমানের বীজ ঢুকানো হচ্ছে, অন্যদিকে ডাম্পিং করে (বাজার দখলে কমমূল্যে পণ্য সরবরাহ) কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে। এরমাধ্যমে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে বাধা দিচ্ছে দেশটি, বলেছেন বিশেষজ্ঞরা
Shahid Khan

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

পথে-ঘাটে বলেছেন: আদমজর ব্যপারটা জানতাম না। ধন্যবাদ নিশাচর ভাই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

বিপরীত বাক বলেছেন: আবার ঐ ভারত জুজু?

আইলো রে আইলো, খাইয়া ফালাইব কিন্তু।

এসব স্ট্যান্টবাজি থেকে এখনও মুক্ত হতে পারলেন না?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: নাহ পারলাম না

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

বিপরীত বাক বলেছেন: পারবেন কি করে? নিজের কাছে নিজেই তো স্বচ্ছ নন।
ভারত বিরোধিতার আগে ভারত কি বাংলাদেশ কি তা আগে জানুন রে দাদা।
কারিনা আইয়া হোগা দোলাইবো আর ১০০০০ টাকা দিয়া আপনাগো মতো মানুষ রাই টিকেট কিনবো সবার আগে।
এটাই বাঙালের বাস্তবতা।
আর ব্লগে আইয়া দেশ চোদাইবেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: কারিনা-ক্যাটরিনাদের ছবি দেখি না, টিকিট দিয়া শো দেখতে যাওয়া তো দুরের কথা। মাঝে মাঝে ইংলিশ মুভি দেখি অবশ্য।

আপনারা যত ইচ্ছা ন্যাস্টি কথা বলবেন মোডারেটর কিছু করবে না , আর আমরা বিএনপিপন্থীরা সামান্য পান থেকে চুন খসলেই ব্যান খাই। ইনসাফ যে কি হারে হচ্ছে এই সামান্য ব্লগ থেকেই বুঝা যায়, সারা দেশের কথা ছেড়েই দেন।
বাই দা ওয়ে, যত ইচ্ছা গালি দেন ,কিছুই পরোয়া করি না। লেখা লিখছি লিখে যাব পারলে ঠ্যাকায়েন।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

বিপরীত বাক বলেছেন: একটা গালিও আপনাকে দেয়া হয়নি। কিছুটা রুঢ় ভাবে তা ঠিক আছে। কিন্তু বাঙাল ক্যারাকটারেকটিস জানি দেখে বললাম।
আপনারা হলেন আঙুর ফল খেতে টক। এই টাইপের।
খালেদা তো ভারতীয় বংশোদ্ভুত মাল। এতই ভারত বয়কটের খায়েশ থাকে তো ওটাকে বয়কট করা দিয়েই কর্মসুচী শুরু করছেন না কেন হাওয়া দাদা?

ওসব পন্থী টন্থী আমাকে শুনায়েন না।
আপনারা হলেন " হাওয়াপন্থী"।।

কেননা ২০০২ এর পর থেকে বিএনপি পন্থী বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে।
সব হাউয়া ভবনের হাওয়াপন্থী
খোয়াব ভবনের মামুনপন্থী।
চম্পা পন্থী
খাম্বাপন্থী।

বিএনপি বা জিয়ারে আর পচাইয়েন না।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: আপনার মত হাম্বা লিগের সাওরটারের কাছে বিএনপিকে না পচানোর আবেদন কত হাস্যকর।
আর বিএনপি ছিল আছে থাকবে।এইসব লেখা ভালো না লাগলে অন্য কোথাও জান। হাম্বালিগের অফিসিয়াল পেজে গিয়া গ্যাজাইতে থাকেন।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: কৃষি বীজ নিয়ে অন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে ধারনা হয়েছিল অনেক আগে, স্কুল জীবনে। ছাত্র ইউনিয়নের একটি পত্রিকা "সবুজ বিপ্লব" এ সেই সময় পড়েছি।

এ দেশেরই একটা শ্রেনী ভারতের নানামুখী আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দিচ্ছে কাজেই তাদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে গেছে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭

বিপরীত বাক বলেছেন: নতুন গজানো পন্থী টন্থী তো তাই চুলক্চ্ছে বেশি। তিল কে তাল করলেন।
আচ্ছা ঠিক আছে। যাক গে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হ্যাঁ এটা ঠিক
সম্প্রতি যোগ দিয়েছি দলে।
শহীদ জিয়া অমর হোক
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.