নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়াসমিনের বেলায় শেখ হাসিনা রাস্তায় নেমেছিলেন, তনু হত্যায় কেন নয় ?

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৪



১৯৯৪ সালে দিনাজপুরে কিশোরী ইয়াসমিন ধর্ষণের করে হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে শেখ হাসিনা রাস্তায় নেমেছিলেন। তিনিতো এখন ক্ষমতায়, তাহলে কেন তনু হত্যার বিচার করছেন না? কেন তনু হত্যা নিয়ে একের পর এক নাটক মঞ্চায়ন হচ্ছে?’

একবার বলেন আঘাতের চিহ্ন নেই, ১০ দিন পর বলছেন ধর্ষণের আলামত নেই। কিভাবে তনুর মৃত্যু হল সেটা যদি আপনারা না-ই বলতে পারেন, তাহলে কিসের ডাক্তার আপনারা? কে আপনাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে ডাক্তারি করার? মৃত্যুর কারণ যদি বের করতে না পারেন তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এখন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠির স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসব পোস্টমর্টেমের আখ্যান রচনা হচ্ছে

একটার পর একটা ঘটনা সরকার ঘটিয়ে যাচ্ছে। একটা ঘটনার মধ্যে আরেকটা ঘটনা। কোনো ঘটনারই সঠিক বিচার হচ্ছে না। ন্যায় বিচার বানচাল করতেই এসব করা হচ্ছে। জনগণকে বাইরে রেখে সরকার পুশিল আর প্রশাসন দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। প্রতিবাদ আন্দোলন করতে গেলে টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে।’ আওয়ামী লীগের ব্যানার ছাড়া কেউ নিরাপদ নয়। যারা আওয়ামী লীগের ব্যানার নিয়ে দাঁড়াবে শুধু তারাই নিরাপদ। সাধারণ জনগণের কোনো নিরাপত্তা নেই। ইয়াসমিন, শাহানাদের মতো তনুরাও বিচার পাবে না। এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বহাল রাখছে সরকার।


বাশখালি হত্যাকাণ্ড -------
প্রথম আলোর দেয়া নাম 'মিনি পাকিস্তান' বাঁশখালীতে পরিবেশ ধ্বংসকারী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী মিছিলে পুলিশ পাখির মত গুলি করে ইচ্ছামত মানুষ মেরে নেয়ার ঘটনায় পত্রিকায় এসেছে পাঁচ জন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ২৫ জন। স্থানীয়দের অভিযোগ, জোর করে তাদের কাছ থেকে বসত-ভিটার জমি কেড়ে নিচ্ছিলো। যেহেতু এটি একটি অজপাড়াগাঁ এবং আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী লোক জড়িত এই জমি কেড়ে নেয়াতে সেহেতু এগুলো মিডিয়ায় আসেনা।
.

বাঁশখালী জায়গাটির সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় প্রথম আলো। ২০১৩ সালে তারা একটি রিপোর্ট করে, 'দক্ষিণ বাঁশখালী পাকিস্তান নামে পরিচিতি পাচ্ছে' এই শিরোনামে। তারা আরও বলেন, বাঁশখালী স্পর্শকাতর এলাকা। পাকিস্তানি ভাবধারার লোকজনের দাপট এখানে বেশি। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মামলার রায় ঘোষণা করার আগে কিংবা রায় কার্যকর করার আগে থেকেই বাঁশখালীতে নিরাপত্তা জোরদার করা অপরিহার্য। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা কি সেই তাগিদ অনুভব করেন?
.

স্থানীয় প্রশাসন সেই তাগিদ অনুভব করেছেন এবং বর্তমান ওসির নাম স্বপন কুমার মজুমদার। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই পঙ্কজ বড়ুয়া। উনারা বেশ ভালো দায়িত্ব পালন করছেন এবং এই দায়িত্বের তাগিদ পেয়েছেন প্রথম আলোর কাছ থেকে সেই ২০১৩ সালেই। যেহেতু এটি পাকিস্তান নামে ঘোষণা করেছে এই পত্রিকা সেহেতু এই এলাকার মানুষগুলোকে মেরে ফেলবার রাইট আছে সরকারের। এবং এজন্যই প্যারালাল সরকার ইমরান সরকার এবং প্যারালাল গণভবন শাহবাগ থেকে আবেগের মিছিল বের হবেনা।
.

আমার কথা হলো, এই প্রথম আলোই বেশ কয়েকদিন যাবত প্রচার করেছে আমাদের ভারত বন্ধু আমাদেরকে বিদ্যুৎ দিয়ে ভাসিয়ে দেবে। তাহলে আজ এই বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন কেন ছিলো? এবং নিজের ভিটে হারাবার ভয়ে ভীত দরিদ্র ঐ মানুষগুলোর উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর ইমডেনটি পুলিশকে কে দিয়েছে? এই দেশ কি এখন মগের মুল্লুক? কিসের বিপ্লব ফালান চেতনাধারীরা?
.

এদিকে শাহবাগী নন্দিনীরা 'পুলিশকে ফুল দিন' নামে রঙিন যে কার্যক্রম শুরু করেছেন সেই কার্যক্রমে আমিও অংশ নিতে চাই। তবে দানব পুলিশকে ফুল দেবার আগে ফুলগুলোকে এদেশের গরীব অসহায় মানবের রক্তে চুবিয়ে নিচ্ছি। আর প্রথম আলো যে আওয়ামিলীগের টু ইন ওয়ান মানে থিংক ট্যাংক এবং স্পোকসপারসন, তা আবার প্রমাণ হলো। এবার সাংবাদিকদেরও ফুল দিন।

বাঁশখালীতে গুলিবিদ্ধ এক গ্রামবাসীকে হাসপাতালেই হাতকড়া লাগিয়ে শুভেচ্ছা পৌঁছে দিচ্ছেন এই পুলিশ সদস্য।

আমি লজ্জিত, আমি মানুষ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.