নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদাবাজ ছাত্রলীগ নেতাদের খাবারের বিল লাখ টাকা----- বন্ধ করে দেয়া হলো ঢাবির জিয়া হল ক্যান্টিন

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৫



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ক্যান্টিনের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খাবারের বকেয়া প্রায় দুই লাখ টাকা পরিশোধ না করায় ক্যান্টিনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে ক্যান্টিন মালিককে মারধর করার পর ক্যান্টিনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকগুলো রুমে খাবার পাঠাতে হত বলে হলের সুত্রগুলো জানিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলের ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত প্রায় ২০টিরও বেশি রুমে নিয়মিত তিনবেলা খাবার পাঠাতে হত ওই ক্যান্টিন থেকে। অনেকে এর টাকা পরিশোধ করত অনেকে করত না। এতে প্রায় দুইলাখ টাকার মতো বকেয়া হওয়ায় ক্যান্টিন মালিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওই রুমগুলোতে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী হাসিব ক্যান্টিন মালিক সাহাবুদ্দীনকে মারধর করে। এর জেরে পরে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য ক্যান্টিনটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে ক্যান্টিন বন্ধ করে দেয়ার ফলে হলের হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীর খাবার খেতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

জানা গেছে, ওই ক্যান্টিনে হলের পদধারী প্রায় দশজনেরও অধিক ছাত্রলীগ নেতার এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাকি হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে ক্যান্টিন মালিক সাহাবুদ্দীনকে ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী ক্যান্টিনটিতে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, এটা একটা সাময়িক সমস্যা। আমরা সব ঠিক করে ফেলব। ক্যান্টিন মালিক গরিব মানুষ তার কোনো ক্ষতি হতে দেয়া হবে না। এছাড়া যে বা যারা এই সমস্যাগুলো সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

আরব বেদুঈন বলেছেন: যে বা যারা এই সমস্যাগুলো সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে =p~ =p~ ব্যাটা অস্থির ড্রামাবাজ

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: এভাবে না বললে যে প্রভোস্টের চাকরি টিকিয়ে রাখা যাবে না রে ভাই

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

কহেন কবি কালিদাস বলেছেন: আমাদের সোনার ছাত্র ।

এই সমস্ত ছাত্র নামধারি কিছু জানোয়ারদের জন্যই প্রত্যেকটা ক্যাম্পাস এর অবস্থা খারাপ । এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর সময়টার কথা খুব মনে পড়ে । এই সমস্ত সোনার ছাত্ররা তখন চাঁদাবাজি কি জানত না । কোন দলাদলি ছিলনা । সব একদম তারের মত সোজা ছিল ।

এখন প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসএ ছাত্র রাজনীতি আজীবনের জন্য বন্ধ করে দেয়া উচিত । এবং যেই সব শিক্ষকরা রাজনীতির সাথে জড়িত ওদের চাকরি থেকে বের করে দেয়া উচিত ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। বর্তমানের ছাত্ররাজনীতি কোন উপকারটা করছে কেউ কি বলবেন?

ছাত্রসংগঠনগুলোর আচরণ এখন আর ছাত্রসুলভ নয়, তারা কেবলই দলবিশেষের লাঠিয়ালবাহিনী মাত্র। বর্ষবরণে যখন নারীরা নজিরবিহীনভাবে লাঞ্ছিত হলেন, তখন দেশব্যাপী প্রতিবাদের ডাক দেওয়াটা ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সরকারকে চাপ দেওয়াটা ছিল ছাত্রলিগের ফরজ রাজনৈতিক দায়িত্ব। তা না করে ছাত্রলিগ উলটো এটা প্রমাণে ব্যতিব্যস্ত ছিল যে, ঐদিন নারীলাঞ্ছনাই ঘটেনি! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল তৈরির বিরুদ্ধে সরব হওয়া ছিল ছাত্রলিগের জন্য ফরজ, তা না করে তারা কেবল শেখ হাসিনার বক্তব্যেরই অন্ধ পুনরাবৃত্তি করে গেছে! বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাটপ্রত্যাহার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্রলিগ বাহবা কুড়োতে পারত, তা না করে ছাত্রলিগ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর কোথাও-কোথাও হামলে পড়েছে! কোটাবিরোধী আন্দোলনেও দেখা গেছে একই চিত্র। বর্ষবরণ, মেট্রোরেল, ভ্যাট ও কোটা ইশু হচ্ছে ছাত্রস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট; ক্ষমতাসীন-ক্ষমতাহীন নির্বিশেষে সব ছাত্রসংগঠনের কাজই হচ্ছে এসব ইশুতে ছাত্রদের পক্ষ নেওয়া। এরা কোনোভাবেই গত আড়াই দশকের রক্তপাতের কুখ্যাতি ঘোচাতে পারবে না।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুক্তিযোদ্ধা ফাঁসী-দেয়া জিয়াউর রহমানের নামে এখনো হল আছে?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: জিয়াউর রহমান নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। উনার নামে হল থাকা না থাকার টপিক নিয়ে কথা বলতে আসি নি। মুল বিষয়ে নজর ফেরান।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


"লেখক বলেছেন: জিয়াউর রহমান নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। উনার নামে হল থাকা না থাকার টপিক নিয়ে কথা বলতে আসি নি। মুল বিষয়ে নজর ফেরান। "

-মুল বিষয় হলো, ক্ষমতা থাকলে, আপনিও পয়সা দেবেন না; আপনিও ছাত্র, বা ছাত্র ছিলেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: সবাইকে এক কাতারে ফেলবেন না। বর্তমানে আমি ছাত্র, ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও বাসে যাতায়াতের সময় স্টুডেন্ট হিসেবে হাফ ভাড়া কখনো দেইনি। কোথাও খাবার খেয়ে পয়সা দেব না, এমন শিক্ষা আমার পরিবার আমাকে দেয় নি।
সমস্যা হচ্ছে আপনাদের মানসিকতায়, সাদাকে সাদা বলতে পারেন না, কালোকে কালো বলার মেন্টালিটিও নেই আপনাদের। দলকানা আওয়ামীলীগের সমর্থক, তাই ছাত্রলীগের গুন্ডাপান্ডাদের নিন্দা করতে আপনাদের কষ্ট হয়। দলীয় অন্ধসমর্থনের বৃত্তের বাইরে আসতে পারেন নি।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

ফাহিম আবু বলেছেন: সোনার ছেলে বলে কথা !! ওরা যত অন্যায় করুক না কেন কোন বিচার হবেনা , কারন চেতনাব্যবসায়ীদের অনুসারী !!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: সেটাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.