নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার নিশাচর

কাউন্টার নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা --- জেনে নিন অন্দরের গোপন কাহিনী

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

প্রকৃত ইতিহাসঃ

বৈশাখ কি আদৌ আমাদের সনাতন উৎসব??
বলা হয়ে থাকে বাংলা সনের উৎপত্তিলাভ আকবর বাদশাহের মাধ্যমে! তবে তা কেউ দলিল সহিত প্রমাণ করতে পারেন নি!
আমার প্রশ্ন বাদশাহ আকবর কি বাঙ্গালী ছিলেন না বাংলায় বাস করতেন! ভারতব্যাপী এত সব জাতী থাকতে তিনি কোন
প্রেমে বিভোর হয়ে বাংলা সনের প্রবর্তন করে বসলেন?
১৫৮৪ সালের পূর্বে বাংলাতে মাসের হিসাব রাখা হত হিজর ক্যালেন্ডারের অনুকরণে! হিজরি সন গণনা করা হয় চাদের আর্বতনের উপর ভিত্তি করে! তিনি হিজরি সনের পরিবর্তে পারসিয়ান রীতি অনুকরণ করে বাংলা বর্ষপঞ্জী প্রণয়ন করার নির্দেশ করেন! পারসিয়ান ক্যালেন্ডার গগনা করা হত সূর্য আবর্তনের হিসাব রেখে! কথা হচ্ছে পারসিয়ান দের নতুন বছর শুরু হয় ইংরেজি মাসের ২১ মার্চে!
আর আমরা পালন করি ১৪ এপ্রিল? আমরা কি তাহলে আকবর প্রণীত বাংলা বর্ষপঞ্জীতে আছি? না নেই!
না থাকার কারণ? :::
পরে কোন এক সময় বাঙ্গালীরা নিজদের হিসাব নিকাশ শুভ অশুভ নির্ণয় করতে আকবরি সনের মাইগ্রেট পদ্ধতি গ্রহণ করলেও তাঁরা আকবরি সনের মাসের নামকে গ্রহণ না করে হিন্দুদের কাছে প্রচলিত মাসগুলোর নাম গ্রহণ করে। এবং এই মাস গুলো শুরু এবং শেষ হয় রাশি চক্রে সূর্যের অবস্থানের উপর। ১৫ই এপ্রিল মেষরাশিতে যখন সূর্য প্রবেশ করে তখন থেকে বৈশাখ মাসের শুরু হয়। আর এই ভাবে ভিন্ন বার রাশির উপর সূর্যের অবস্থানের উপর ভিন্ন বার মাসের নাম করণ করা হয়েছে। তাই অনেকে আকবর বাদশাহর সময় থেকে বৈশাখ মাসকে বছর শুরু দাবী অসত্য বই আর কিছু নয়। যদি সত্য হত তাহলে তো কোথাও না কোথাও লিখিত দলিল পাওয়া যেত।
আমাদের ইতিহাসবিদগণকে "মনে করি" শব্দটি ব্যবহার করতে হতোনা।আসলে বাংলা সন হচ্ছে হিজরি সন, ইরানীয়ান সন এবং বৈদিক সুরিয়া সিদ্ধান্তের এক মিশ্রিত সন। বৈশাখ কে আমরা মুসলমান রা যে আকবরী সন বলে আত্নতুষ্টী লাভের চেষ্টা করি, তা অত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছু নই!! বাংলায় প্রথম বৈশাখ পালনের রীতির সৃষ্টি করেন রবীন্দ্র নাথ, তার শান্তি নিকেতনের মাধ্যমে! মংগল শুভযাত্রা বলে যে মিছিলের নামে যে আনন্দ মিছিল বের করা হয় তা এসেছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর মঙ্গল শুভযাত্রা থেকে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়সই যেখানে হাজার বছর নয়, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত একটি অনুষদ (চারুকলা অনুষদ) এর আয়োজনে একটি মিছিল বা শোভাযাত্রা কিভাবে হাজার বছরের বাঙ্গালীর " ঐতিহ্য'র" মর্যাদা পায় বিষয়'টা ঠিক বুঝতে পারি না। আসুন উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া কি বলে জেনে নেয়া যাক---

"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা।[১] সে বছরই লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় এই আনন্দ শোভাযাত্রা। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থীগন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে প্রথম বারের মতো। শোভাযাত্রায় থাকে বিশালকায় চারুকর্ম পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা। থাকে বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য।" (বিস্তারিত লিঙ্ক কমেন্টে পাবেন)

সুতরাং এই মিছিলে না গেলে বর্ষবরণ হবে না এমন কিন্তু কোন কথা নেই। ইচ্ছে হলে যান, নইলে না। তবে একটা বিষয় আমার মাথায় ঢুকে না, বর্ষ বরনের সাথে এই পেঁচা, হাতি, ময়ূর, ঘোড়া, কুমির আর ভয়ংকর সব দৈত্য দানবের মুখোশ ব্যাবহারের কি মানে? আপনি জানেন কি ? এসব ভয়ংকর জিনিস দেখিয়ে কেউ যদি আপনাকে স্বাগত জানাইত আপনি কি করতেন ? এর চেয়ে উপকারি প্রানী যেমন গরু, মুরগি এইগুলার মুখোশ দেখলেও ভাল্লাগতো। আপনি তখন ভাবতেন, বাহ এইগুলাই বুঝি আমার জন্যে ওরা রান্না করেছে।

এই মিছিলে এবার মুখোশ পরার ব্যাপারে দেখলাম পুলিশি নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে। নিতান্তই নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত বুঝতে খুব একটা কষ্ট হবার কথা নয়। লবনে আয়োডিনের পরিমাণ ঠিক মত থাকলে তো কথাই নেই। মুখোশ পরা থাকলে সিসি ক্যামেরা'ও কাউকে সনাক্ত করতে পারবে না। তারপরও কয়েকজনকে দেখলাম এই সিদ্ধান্তে বেশ কষ্ট পেয়েছেন। কারণ'টা আমি জানি না, আপনি জানেন কি ?

এবারে আসি সবার প্রিয় পান্তা ইলিশে। আমরা মাছে ভাতে বাঙালি হতে পারি, কিন্তু নির্দিষ্ট করে ইলিশে ভাতে বাঙালি হয়ে উঠলুম কবে। পান্তা ইলিশ আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, পারলে একটা প্রমাণ দেখান। আর প্রমাণ হয়ে গেলেও আমাদের উচিৎ এই ঐতিহ্যকে প্রত্যাখ্যান করা। নইলে হাজার বছর পর আপনার আমার চৌদ্দগুষ্টি ইলিশের জুস ছাড়া আর কিছু চোখেও দেখবে না। আসুন ইলিশ প্রজননের এই সময়ে ইলিশ না খেয়ে, নতুন ইলিশ তৈরি হবার সুযোগ করে দেই।

এই জগাখিচুরী নববর্ষবরন কোন ভাবেই বাঙ্গালি জাতির চির সনাতন উৎসব বলে দাবি করতে পারি নাহ! আমাদের বাপ দাদারা কখনো এমন উৎসব পালন করেনি!
১) অনেকে দাবি করে, পহেলা বৈশাখ বাঙালী সংস্কৃতির অংশ। অথচ বৈশাখ তথা বাংলা মাস সৃষ্টি করেছে মঙ্গলীয় বংশোদ্ভূত বাদশাহ আকবর, যার ভাষা ছিলো ফার্সী।
২) অনেকে দাবি করে, পহেলা বৈশাখ বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য” অথচ বাংলা বা ফসলী সনের সৃষ্টি মাত্র ৪৩০ বছর আগে।
৩) পহেলা বৈশাখ বা বছরের প্রথম দিন নওরোজ পালন মুসলমান জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম। (https://goo.gl/saArW6)
৪) পহেলা বৈশাখে হিন্দু, অগ্নি উপাসক, উপজাতি ও বৌদ্ধদের বিভিন্ন পূজা পার্বন রয়েছে, কিন্তু এদিন ‍মুসলমানদের কোন উৎসব নেই।
৫) রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ১৯৬৭ সালে। এর সূচনারকারী বাংলাদেশে স্বঘোষিত নাস্তিক ওয়াহিদুল হক ও সানজিদা খাতুন। উল্লেখ্য, ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুর পর তার লাশের সামনে কুরআন শরীফের বদলে রবীন্দ্র সংগীত পাঠ করা হয় এবং তার লাশ দাফন না করে হাসপাতালে দেওয়া হয়।
৬) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাসায় ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। ভাবেন, এদিন ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে। এটা সম্পূর্ণ ‍কুফরী আকিদ্বা।
৭) যারা ইসলাম ধর্মকে পাশ কাটিয়ে বাঙালীর উৎসব বলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে, তারা শরীয়ত অনুসারে মুরতাদ হবে। যদি এ মুরতাদ ব্যক্তি মৃত্যুর আগে ঐ গুনাহ থেকে তওবা না করে, তবে শরীয়ত অনুসারে সে জাহান্নামী হবে।
৮) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করেন। অথচ তারা জানেন না,হারাম কাজে খুশি প্রকাশ করলে বিয়ে ফাসেদ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পুনরায় তওবা করে বিয়ে না দোহরালে (এ দোহরানো তালাকের দোহরানোর মত নয়, শুধু স্বাক্ষী রেখে কালেমা পড়তে হয়) স্ত্রী সাথে সম্পর্ক হারাম হয়। এক্ষেত্রে শরীয়ত অনুসারে আগত সন্তান অবৈধ হবে।
৯) পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষে করে কোন বোনাস, অফার, নতুন কাপড় পরিধান, মূল্যহ্রাস, হলের ডাইনিং এ বিশেষ খাবার, পান্তা-ইলিশ খাওয়া কিংবা কোন বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে না। গ্রহণ করলে সেও ঐ কুফরী কাজে শরীক হয়ে যাবে।
১০) যারা সাময়িক আনন্দের জন্য, পবিত্র ইসলামের বিধি-নিষেধ ত্যাগ করে পহেলা বৈশাখ পালন করে, তাদের মৃ্ত্যুর কথা চিন্তা করা উচিত। মৃত্যুর পর কবরে গিয়ে এ পহেলা বৈশাখ পালন সম্পর্কে কি জবাব দিবে সেটাও ঐদিনই রেডি করা উচিত।
১১) অনেকে বলে থাকেন- “সব কিছুতে ধর্মকে টেনে আনা ঠিক নয়। আমরা বাঙালী, তাই বাঙালী সংস্কৃতি পালনে আমাদের পহেলা বৈশাখ পালন করতে হয়।”
এদের বক্তব্যের জবাবে বলতে হয়- কবরে সুওয়াল-জওয়াবের সময় আপনি বাঙালী, কি না, সেটা নিয়ে কিন্তু কোন প্রশ্ন করা হবে না। বরং ফেরেশতারা বলবে- “তোমার দ্বীন (ধর্ম) কি?” তখন যদি বলেন- “একদিন বাঙালী ছিলাম রে”, তখন কিন্তু ফিরিশতাদের গুর্জ তথা লৌহনির্মিত হাতুড়ি দ্বারা আঘাত খাওয়া ভিন্ন অন্য উপায় থাকবে না।
তাই হুশ থাকতে এখনই সাবধান হোন।

কেন পহেলা বৈশাখ হারাম
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসবের দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ। (সমূহ তাফসির)

মূলত: নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালন করার রীতি ইসলামে নেই, এটা পার্সী মজুসীদের (অগ্নিউপাসক) অনুকরণ। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে: “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদের দলভুক্ত।” তাই যে কোন নওরোজ সেটা থার্টি ফাস্ট নাইট হোক, পহেলা নববর্ষ হোক কিংবা পহেলা মুহররম হোক, বিজাতীয় রীতি হিসেবে প্রতেকটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে—–
(১) ইমাম ফখরুদ্দীন উসমান বিন আলী আয যাইলায়ী বলেন: * “নওরোজ ও মেলার নামে কিছু দেয়া নাজায়েয। এ দুই দিনের নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম; বরঞ্চ কুফর”। (গ্রন্থ – তাবইনুল হাকায়েক : ৬/২২৮)
(২) ইমাম হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেন: *(ক) “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে”
*(খ) “যে ব্যক্তি নওরোজের দিন এমন কিছু খরিদ করল যা সে পূর্বে খরিদ করত না, এর মাধ্যমে সে যদি ঐ দিনকে সম্মান করতে চায় তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।”
(৩) হাম্বলি মাযহাবের ফিকাহর গ্রন্থ ‘আল- ইকনা’ তে বলা হয়েছে- “কাফিরদের উৎসবে যোগদান করা, সেই দিন উপলক্ষে বেচা- বিক্রি করা ও উপহার বিনিময় করা হারাম”।

নববর্ষ উদযাপন করে আমরা যাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছি, তারা প্রকৃতপক্ষে আমাদের শত্রু। তারা কখনো আমাদের বন্ধু হবে না, যাবত আমরা আমাদের দীন ত্যাগ করে তাদের ধর্মের অনুসরণ না করি। তারা আমাদের দীন ও নবীকে নিয়ে উপহাস করে।ইরশাদ :হচ্ছে
﴿ ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﻟَﺎ ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍْ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﭐﺗَّﺨَﺬُﻭﺍْ ﺩِﻳﻨَﻜُﻢۡ ﻫُﺰُﻭٗﺍ ﻭَﻟَﻌِﺒٗﺎ ﻣِّﻦَ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃُﻭﺗُﻮﺍْ ﭐﻟۡﻜِﺘَٰﺐَ ﻣِﻦ ﻗَﺒۡﻠِﻜُﻢۡ ﻭَﭐﻟۡﻜُﻔَّﺎﺭَ ﺃَﻭۡﻟِﻴَﺎٓﺀَۚ ﻭَﭐﺗَّﻘُﻮﺍْ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُّﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ٥٧﴾ ] ﺍﻟﻤﺎﺉ ﺩﺓ : ٧ ]
অর্থ: হে মুমিনগণ, তোমরা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যারা তোমাদের দীনকে উপহাস ও খেল- তামাশারূপে গ্রহণ করেছে, তাদের মধ্য থেকে তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে ও কাফিরদেরকে। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক”।
অন্যত্র ঘোষণা দিচ্ছেন, যে তাদের দিকে ধাবিত হবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত। ইরশাদ হচ্ছে :
﴿ ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﻟَﺎ ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍْ ﭐﻟۡﻴَﻬُﻮﺩَ ﻭَﭐﻟﻨَّﺼَٰﺮَﻯٰٓ ﺃَﻭۡﻟِﻴَﺎٓﺀَۘ ﺑَﻌۡﻀُﻬُﻢۡ ﺃَﻭۡﻟِﻴَﺎٓﺀُ ﺑَﻌۡﺾٖۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَﻮَﻟَّﻬُﻢ ﻣِّﻨﻜُﻢۡ ﻓَﺈِﻧَّﻪُۥ ﻣِﻨۡﻬُﻢۡۗ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺎ ﻳَﻬۡﺪِﻱ ﭐﻟۡﻘَﻮۡﻡَ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤِﻴﻦَ ٥١﴾ ] ﺍﻟﻤﺎﺋﺪﺓ : ٥١ ]

অর্থ: হে মুমিনগণ, ইহুদি ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ জালিম কওমকে হিদায়াত দেন না”
অতএব তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া, তাদের সমর্থন জানানো কিংবা কোন ধরণের সহায়তা করা নিজের দীনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। উপরক্ত দলিল দেখলে এটা সহজেই বুঝা সম্ভব, থার্টি ফাস্ট নাইট, পহেলা নববর্ষ, পহেলা মুহররম শুধু পালন করা হারাম নয়, বরং ঐ দিবস উপলক্ষে-
ক) কাউকে শুভেচ্ছা জানানো,
খ) ঐ দিবস উপলক্ষে বোনাস গ্রহণ করা,
গ) ঐ দিবস উপলক্ষে কোন অফার দিলে সেটা গ্রহণ করা,
ঘ) ঐ দিবস উপলক্ষে কেনাবেচা করা,
ঙ) ঐ দিবস উপলক্ষে খাদ্য গ্রহণ করা হারাম এবং ক্ষেত্র বিশেষে শিরক হয়ে থাকে।





শুধুমাত্র একটা দিন নিজেকে বাঙালী বলে জাহির করার লক্ষে, পহেলা বৈশাখে ১ থালা পান্তা ইলিশ খেয়ে হাজার টাকা নষ্ট না করে তাদের হাতে কিছু টাকা দিন যাতে ওরা আরও কিছুদিন বেচে থাকতে পারে!!!!


নাস্তিকরা বই লিখলে হয় মুক্ত চিন্তা, আর ইসলামিক স্কলাররা বই লিখলে হয় মৌলবাদি।
সত্য কথা বললে হয় মুর্খ,আর কুর্‌আন-হাদিস বিকৃত ও মিথ্যাচার করলে হয় জ্ঞানী।
আল্লাহ এবং রাসুল (সাঃ) কে গালি দিলে হয়- বিজ্ঞানী, আর কোন বিশেষ ব্যক্তিকে গালি দিলে হয়- দেশ- দ্রোহী- রাজাকার।
তাসলিমা নাসরিনের বই পড়লে হয়- ডিজিটাল- আধুনিকতা, আর ইসলামিক বই পড়লে হয়- জঙ্গি।
কপালে টিঁপ আর সিঁদুর নিলে হয়- খাঁটি বাঙ্গালী, আর বোরখা,হিজাব পড়লে হয় পাকিস্থানী । সেলুকাস

আল্লাহ আমাদের এসব বিদআত থেকে রক্ষা করুন। আমিন

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩১

বিপরীত বাক বলেছেন: কে বলে রে আই এস নাই,
আইএস সারা বাংলায়।

ঘেউ ঘেউ করতে করতে হুঁশ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন দেখছি।
আপনার নিজের লেখার স্ববিরোধিতাই আপনার অসৎ উদ্দেশ্য, নিচু মানসিকতা, সংকীর্ন চিন্তাভাবনা, ঈর্ষাকাতর চরিত্রের পরিচয় বহন করছে।
ভাল করে নিজেই নিজের লেখাটা পড়ুন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১৮

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: অমুসলিমরা নিসচিন্তে এ উৎসব পালন করুন। এই পোষ্ট আপনাদের জন্য নয়।
আর লেখায় ভুল থাকলে ধরিএ দেবেন।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

শরনার্থী বলেছেন: আপডেটঃ
জার্মান প্রবাসে- 1305
অগ্নি সারথির ব্লগ- 217
ইস্টিশন ব্লগ- 147
প্রবীর বিধানের ব্লগ- 57
ইতুর ব্লগ- 23

অসম ব্যবধান শুরু হয়েছে মোটামুটি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগের সাথে লড়াই করে যাওয়াটা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। আবারো আপনাদের ভোট দেবার অনুরোধ করছি। প্লিজ আপনারা ভোট দিন।

ভোট দিতে যা করতে হবেঃ
প্রথমে https://thebobs.com/bengali/ এই ঠিকানায় যেতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করুন। লগইন হয়ে গেলে বাছাই করুন অংশে ক্লিক করুন। ক্লিক করে ইউজার অ্যাওয়ার্ড বাংলা সিলেক্ট করুন। এরপর মনোনীতদের একজনকে বেছে নিন অংশে ক্লিক করে, অগ্নি সারথির ব্লগ সিলেক্ট করুন। এরপর ভোট দিন বাটনে ক্লিক করে কনফার্মেশন পেয়ে গেলেই আপনি সফল ভাবে আমাকে ভোট প্রদান করে ফেলেছেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা পরপর মে ২, ২০১৬ পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১৯

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ভোট দেব

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৪

কলাবাগান১ বলেছেন: মৌলবাদীরা বড়ই ভয় করে বাংগালী সব উৎসবকে

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: যিনি ইস্লামের মুলনীতি অনুসরণ করেন তিনিই মৌলবাদি। আমি ইস্লামের মুলনীতি অনুসরন করি। এতে আপনাদের শরীরে জালা উঠলে আমি দু:খিত নই।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



নীচু মনের লোকের ভাবনা

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:১১

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: নিচু লোকের মন্তব্ব

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৫২

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: ভালো লেখা। আজকাল ধর্ম পালনে অনাগ্রহী জেনারেশন হিন্দুদের দূর্গা পূজা, মুসলমানদের ঈদকে বাঙালীর উৎসব বলে চালিয়ে দিচ্ছে। সামনে শুনবেন ১৯৯৩ সালের পর বাংলাদেশে চালু হওয়া ভ্যালেন্টাইন ডে(বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস!) আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য!!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০১

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

রাােসল বলেছেন: yes sir, it is for stupid Bangladeshi but not for honest Bangladeshi.

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৩

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: জি ঠিক বলেছেন

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

শারলিন বলেছেন: আপনার লেখাটি আমার অসম্ভব ভাল লেগেছে। মনে হচ্ছে আপনি আমার মনের কথা লিখেছেন। এরকম কিছু কথাই আমার মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না.।.।.।.।.।।
আপনার লেখা থেকে কিছু পয়েন্ট যেগুলো আপনি সোর্স হিসেবে ব্যবহার করেছেন, কিছু আমি আমার লেখায় ব্যবহার করতে চাচ্ছি। যদি অনুমতি দেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হ্যা সিওর

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

যোগী বলেছেন:
বুঝলাম বাংলা সন প্রবর্তন করেছেন রবীন্দ্রনাথ।
তুই কী রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত কখনো গেয়েছিস?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: তোর প্রশ্নটা ভালো ছিল
একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে, আমরা মুসলিমরা অমুসলিমদের অবদানকে অস্বীকার করি না বা সেসব পরিত্যাগ করি না যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে না যায়।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

অেসন বলেছেন: আপনি বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বীরুধে লিখলেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে ১লা জানুয়ারি ও পালন করা হয়। সেটার ব্যাপারে আপনার অভিমত কই ?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৮

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: আপনার প্রশ্ন যৌক্তিক, তবে উত্তর আগেই দেয়া হয়ে গেছে। পোস্টটা ভালো করে পড়লে এই প্রশ্ন হয়ত করতেন না । নিচে দেখুন ব্লগার @তানভীরএফওয়ান বলে দিয়েছেন।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Zajakallahu Khairan.
অেসন বলেছেন:বাংলাদেশে ১লা জানুয়ারি ও পালন করা হয়। সেটার ব্যাপারে অভিমত কই ?

He already mention "তাই যে কোন নওরোজ সেটা থার্টি ফাস্ট নাইট হোক, পহেলা নববর্ষ হোক কিংবা পহেলা মুহররম হোক, বিজাতীয় রীতি হিসেবে প্রতেকটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। "

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১০

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: জি
আমার ধারণা উনারা পোস্ট না পরেই বা শুধু বিরোধিতা করার জন্য প্রশ্ন করেন।

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি ভাই পাক্কা মুসলিম এবং আমি পহেলা বৈশাখ অবশ্যই পালন করবো। আমার মত করে, কেউ এসে বোলবে বিদাত আর আমি লাফ দিয়া উঠব তা কিন্তু নয়। যদি আল্লাহ্‌ আমাকে শাস্তি দেন আমায় দিবেন আপনাকে মুক্তি দিলাম। এখন ইয়া নফসি করেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: আপনার পোস্ট কমেন্ট ইত্যাদি আগেও লক্ষ্য করেছি। আপনি মোটেই পাক্কা মুসলিম নন বরং একজন পাক্কা মিথ্যাবাদী। কথায় কাজে মুসলিমদের কষ্ট দেয়া আপনার মত লোকদের কাজ। আপনারা মুনাফিক। আপনাদের চাইতে নাস্তিকরা বরং হাজার কোটি গুনে ভালো, তারা তাদের মনের অবিশ্বাস প্রকাশ্যে বলে, তারা তাদের অন্তরের কাছে সৎ।

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: তুমি আমার আকাশ থেকে নামো

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: no we will not

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.