নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলোয়

আমার সম্পর্কে কিছু লিখব

বিলোয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউই যদি গ্রেফতার না করে থাকে, তবে সালাহ উদ্দিন আহমদ কোথায়?

১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৩

তবে কি ইলিয়াস আলীর মতই তাকে ঠান্ডা মাথায় গুম করা হয়েছে? এভাবে অনবরত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলতে পারে না। জেগে উঠুন জনতা। কি হচ্ছে আজ বাংলাদেশে। মানুষের চেতনা কি মরে গেছে? এই জন্য স্বাধিন হয়েছিল দেশ?

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং আগামী রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিচারপতি কামরুল ইসলাম ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এর আগে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। আজ দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি আবেদনটি করেন। আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। শুনানিতে সালাহউদ্দিন আহমেদের পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে উত্তরার একটি বাসা থেকে তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে থানায় আমরা জিডি করতে চাইলেও পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি।
দেশের একজন নাগরিক হিসেবে তাঁকে উদ্ধার করা জরুরি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি অস্বীকার করায় আমরা তাঁর জীবননাশের আশঙ্কা করছি। তাই তাঁকে উদ্ধার করার জন্য আদালতের নির্দেশনা কামনা করছি।’ রুলের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘পুলিশের আইজির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। রাজনীতিবিদরা নিজে পলাতক থেকে অনেক সময় রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লোটার জন্য এ ধরনের আচরণ করে থাকেন।’ এ সময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করছি, তাঁকে আটক করা হয়নি।
কিন্তু তিনি নিখোঁজ রয়েছেন, নাগরিক হিসেবে তাঁকে উদ্ধার করাটাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। পুলিশের এই বিষয়ে জিডি না নেওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’ পুলিশ কেন জিডি নেয়নি সে প্রশ্ন রাখেন আদালত। আদালত আরো বলেন, ‘তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি হতে পারেন, তাই বলে কি আপনারা জিডি না নিয়ে এই ধরনের আচরণ করবেন?’ এ সময় অ্যাটর্নি জনারেল আদালতকে বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। যেসব মামলায় তিনি অভিযুক্ত ও পলাতক আসামি। তাই পুলিশ হয়তো জিডি গ্রহণ করেনি।’ এ সময় সালাহউদ্দিন আহমেদের পক্ষের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তাঁকে যদি উদ্ধার না করা হয়, তাঁর দায়-দায়িত্ব কি অ্যাটর্নি জেনারেল নেবেন? তিনি (সালাহউদ্দিন আহমেদ) যদি নিহত হন, তখন তাঁর দায়িত্ব অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিতে হবে।’
এ পর্যায়ে আদালত রুল জারি করেন। এর আগে হাসিনা আহমেদ অভিযোগ করেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরে পেতে তিনি উত্তরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, কোনো যৌক্তিক প্রেক্ষাপট ছাড়া সাধারণ ডায়েরি নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে উত্তরা থানার পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিডি করতে না পেরে উত্তরা থানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে দাবি করেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ২০-দলীয় জোটের মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মঙ্গলবার রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তবে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান দাবি করেন, পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে আটক করেনি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ার পর সালাহ উদ্দিন আহমেদ দল ও জোটের পক্ষে নিয়মিত বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেগে উঠেছি, গোয়েবলস সালাদ্দিন কে আটকানো ঠিক হয়েছে।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

বিলোয় বলেছেন: ঠিক বলেছেন, গোয়েবলস চাঁদগাজীকে আটকানো আসলেই কঠিন।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

শেখ মফিজ বলেছেন: একজন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের দ্বায়িত্ব কি রাষ্টের ?

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

বিলোয় বলেছেন: অবৈধ সরকার নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভাড়াটে লেঠেল সন্ত্রাসীদের দিয়ে অপহরণ করাচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের, এটা কি অনুচিত কাজ নয় মিঃ শেখ মফিজ ?

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

বিলোয় বলেছেন: রাষ্ট্র শামিম ওসমানের মত সন্ত্রাসীদের নির্দ্বিধায় নিরাপত্তা দিতে পারে, নিরাপত্তা দিতে অপারগ হয় সালাউদ্দিনের মত মানুষের ক্ষেত্রে, যাদের অপরাধ হল বিএনপি করা। সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ, ঘৃণা হয় আপনাদের মত হাম্বা সমর্থকদের দেখে, যারা সব দেখে শুনে সরব সমর্থন দিয়ে যান।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

রাফা বলেছেন: হারিস চৌধুরির সাথে যোগ দিতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।মানুষ পুড়িয়ে মারার খুনের আসামি পালিয়ে গেলো কিভাবে।প্রশাসনের নিকট জবাব চাই।রেড এলার্ট জারি করা হউক সালাউদ্দিনের ব্যাপারে।প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য গ্রহণ করা হোক।খুনিদেরকে কিছুতেই পালিয়ে দেওয়া যায়না।তাকে গ্রেফতার করে কঠোর সাস্তী দেওয়া হোক।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

বিলোয় বলেছেন: ///হারিস চৌধুরির সাথে যোগ দিতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে///-----

আন্দাজে একখান কথা কইলেই হইছে। এই জন্য রাতের আধারে সাদা পোশাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। খুনি সরকারের থেকে দোষ সরানোর ধান্দাবাজি, হালার হাম্বা, সারা জীবন হাম্বাই থাকবি, মানুষ হইবি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.