নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলোয়

আমার সম্পর্কে কিছু লিখব

বিলোয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১‘র মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যদের কাজ

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৫

মিত্রবাহিনীর ছদ্মাবরণে ভারতীয় সৈন্যরা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অবস্থানকালে অবাধে লুণ্ঠন চালায়। পাকিস্তানি সৈন্যদের সমর্পিত সকল সমরাস্ত্র তারা সীমান্তের বাইরে পাচার করে। সর্বাত্মক যুদ্ধকালে বাংলাদেশের সীমান্ত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এ সুযোগে টয়লেট সামগ্রী থেকে শুরু করে সবই লুণ্ঠন করে তারা নিজ দেশে নিয়ে যায়। ভারতে বিদেশী সামগ্রী আমদানির সুযোগ সীমিত থাকায় ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশ থেকে বিদেশী সামগ্রী নিজ দেশে নিয়ে যেতে প্রলুদ্ধ হয়। কী পরিমাণ সম্পদ তারা লুণ্ঠন করেছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান বের করা কঠিন। অটল জীপ ও শক্তিমান ট্রাকে করে লুণ্ঠিত মালামাল ভারতে পাচার করা হয়। ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল বাধা দেয়ায় তাকে গ্রেফতার করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্যদের লুণ্ঠনের ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট’ পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, 'After the war was over, India was criticised for overstaying in the Chittagong Hill Tracts. It was also alleged that the Indian army removed by convey of trucks large amounts of arms, ammunitions and machinery from Bangladesh. As a result, tension and suspicion grew up against India’s policy towards Bangladesh, apprehending that India wanted to turn Bangladesh into a client state and not a self-respecting independent state.’
অর্থাৎ ‘যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ করা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশংকা থেকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।’
মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক জনাব জয়নাল আবেদীনের ‘র’ এন্ড বাংলাদেশ’ শিরোনামে লেখা একটি বইয়েও বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্যদের লুন্ঠনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বইটিতে তিনি লিখেছেন, ÔThe real Indian face lay bare after the surrender of Pakistani forces, when I saw the large scale loot and plunder by the Indian Army personnel. The soldiers swooped on everything they found and carried them away to India. Curfew was imposed on our towns, industrial bases, ports, cantonments, commercial centres and even residential areas to make the looting easier.They lifted everything from ceiling fans to military equipment, utensils to water taps. Thousands of Army vehicles were used to carry looted goods to India.’
অর্থাৎ ‘পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় সৈন্যদের ব্যাপক লুটতরাজ দেখতে পেয়ে ভারতের প্রকৃত চেহারা আমার কাছে নগ্নভাবে ফুটে উঠে। ভারতীয় সৈন্যরা যা কিছু দেখতে পেতো তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তো এবং সেগুলো ভারতে বহন করে নিয়ে যেতো। লুটতরাজ সহজতর করার জন্য তারা আমাদের শহর, শিল্প স্থাপনা, বন্দর, সেনানিবাস, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এমনকি আবাসিক এলাকায় কারফিউ জারি করে। তারা সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সামরিক সাজসরঞ্জাম, তৈজষপত্র ও পানির টেপ পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে যায়। লুণ্ঠিত মালামাল ভারতে পরিবহনের জন্য হাজার হাজার সামরিক যান ব্যবহার করা হয়।’
বইটির আরেকটি অংশে তিনি লিখেছেন, 'Through the independence war of Bangladesh India was immensely benefited economically, militarily, strategically and internationally. So India involved in our war of liberation for its own interest, not for us.’
অর্থাৎ ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়।’
বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্যদের লুন্ঠনের ব্যাপারে কানাডা প্রবাসী আজিজুল করিম ‘হোয়াই সাচ এন্টি-ইন্ডিয়ান ফিলিংস এমং বাংলাদেশী?’ শিরোনামে এক নিবন্ধে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ভারতীয় মাসিক ‘অনিক’-এর রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, ‘ভারতীয় সৈন্যদের লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য ছিল প্রায় ১ শ’ কোটি মার্কিন ডলার।’
বিএনপি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ড. কামাল সিদ্দিকী ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭২ সালে তিনি খুলনার ডিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে সময় তিনি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় সরকারের কাছে লিখিত পত্রে বলেন, ভারতীয় সৈন্যরা তার জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও সাজসরঞ্জাম স্থানান্তর করে ফেলেছে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী অভিযোগ করেছিলেন যে, ভারতীয় সৈন্য ও চোরাচালানীরা বাংলাদেশ থেকে ৬ হাজার কোটি রুপি মূল্যের সামগ্রী ভারতে পাচার করেছে।
আর বর্তমানে সীমান্তে ফেলানীর মতো নিরীহ মেয়েদেরকে হত্যা করে তারকাঁটায় ঝুলিয়ে রাখছে! সকল আন্তর্জাতিক নদীর পানি অন্যায়ভাবে বাঁধ দিয়ে বন্ধ করছে!! এদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করার জন্য সীমান্ত জুড়ে মদ আর ফেন্সিডিলের কারখানা তৈরি করে, দেশ জুড়ে মাদকের বন্যা বইয়ে দেয়ার পরও যারা লুন্ঠনকারী ভারতকে বন্ধুপ্রতীম মনে করে! তাদের কেবল আমার একটি কথাই বলতে ইচ্ছে হয়।
আপনাদের চেতনা এত বলদ কেন, এত অন্ধ কেন??

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২১

জলপুরুষ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদারদের ধর্ষণ এর চিত্র নিয়ে সাতকাহন পত্রিকায় একটি গবেশনাধর্মি প্রতিবেদনঃ কেন, কিভাবে পাকিস্তানীরা চার লক্ষ ধর্ষণ করেছিলো ?

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

বিলোয় বলেছেন: কত গবেষণা কত পেপারস জমা হল, উদাস পানে তাকিয়ে রই । ভালো লাগল, থ্যাঙ্কস শেয়ার করার জন্য।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের মুখে জলত্যাগ করতে ইচ্ছে করে। ১৯৭১ সনে দেশ টা স্বাধীন হওয়াতে যে আপনাদের মনে যে ব্যাথা, সেটা কে ভুলে যেত আগডুম বাগডুম বলে স্বাধীনতাটা কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য চটি বইয়ের রেফারেন্স নিয়ে আসেন। বলগে মুক্তিযোদ্ধারা আছেন, যদি ওনারা বলেন এমন কোন ঘটনা হয়েছিল, তাহলে বিশ্বাস করব......আপনাদের মত জামাতি-রাজাকারদের কথা কেন বিশ্বাস করব?

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

বিলোয় বলেছেন: ""জলত্যাগ""--------- দাদা কলিকাতা থেকে কি আসচেন না ওখান থেকেই ব্লগিং করচেন?

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০১

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: মেজর জলিল এর প্রতিবাদ করেছিলেন মনে হয়!তাই তাকে গ্রেফতারও করেছিল ।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এপিক পোস্ট। বুঝলাম সব করছে, কিন্তু কিছু না কইরা আমাদের এইদেশে মরতে দেখলে কি আপনার ভাল্লাগতো?

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৬

শাহ আজিজ বলেছেন: একটা সাধারন নিয়ম আছে যেটা যুদ্ধের সময় ব্যাবহার হয়। বিজিতরা পরাজিতের অস্ত্র সরঞ্জাম দখল করতে পারে। যশোর ক্যান্টনমেন্টে সব কিছু খুলে নিয়েছে বিজিত ভারতীয় সৈনিকেরা । খুলনার দৌলতপুরের ব্রজলাল মহাবিদ্যালয়ে একটা উচু স্তম্ভে ঘড়ি ছিল , তা খুলেছে। ভারতীয় সৈনিকেরা বাংলাদেশ ত্যাগ না করার আগ পর্যন্ত দেশটির দেখভাল তারাই করবে । ওরা যদি মার্চ মাসে বলত আমরা যাবনা তাহলে কি করতেন আপনি? আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং ও অস্ত্র এবং খাবার ভারতের কাছ থেকে পেয়েছে। যুদ্ধের জেনেভা কনভেনশন পড়ে নেবেন। পাকি সেনাদের আত্মসমর্পণ করা উদ্ধারকৃত অস্ত্র ভারতের অধিকারে যাবে কারন শেষ পর্যায়ের ১৩ দিনের যুদ্ধ তাদের সাথেই হয়েছিল। আপনার আমার খারাপ লাগতে পারে কিন্তু এখানে কিছুই বলার নেই , হাতপা বাধা আমাদের। ১৯৭১এ ১৬ই ডিসেম্বর আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছিলাম এটাই আমার ওই সময়ের তৃপ্তি , কিসে আনন্দ তা আপনাদের বোঝানো যাবেনা। বড় ও প্রভাবশালী শক্তিধর প্রতিবেশিকে একটু সমঝে চলতে হয়, এটাই নিয়ম। এটা নিয়ে কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে এখন কিছুই করা যাবেনা। বরং ভাবুন একজন দুর্বল প্রতিবেশী হিসাবে আমরা কি সুবিধা আদায় করে নিতে পারি ভারতের কাছ থেকে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

বিলোয় বলেছেন: তাও আপনার কথা কিছু মন্দের ভালো। সান্তনা মুলক। এটা তো গেল আগের কালের কথা। বর্তমানেও নামে বেনামে টাকা খাওয়ার ধান্দা এদের যায় নাই। সাইন গুলো নিজের চোখেই দেখে নেবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.