নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞানের কাজ বস্তু নিয়ে। বস্তুর ধর্ম, গুণাগুণ, গঠন ইত্যাদি নিয়ে।
অন্যদিকে মানবজাতির প্রধান দু’টি সমস্যা। তার একটি হচ্ছে - প্রকৃতিকে জয় করার সমস্যা।
প্রাকৃতিক শক্তি সমূহের উপর কতৃত্বের সমস্যা। এ সমস্যা সমাধান এগিয়ে এসেছে নানান যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রসম্ভার। এগুলোর যোগান দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা।
মানবজাতির অপর সমস্যাটি হচ্ছে - সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবার কীভাবে চলবে তা’ নিয়ে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা ঐ সমস্যার সমাধান দিতে পারে না।
বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরীতে ঐ সমস্যার সমাধান বানানো যায় না।
ঐ সমস্যার সমাধান দেবে ধর্ম ও দর্শন।
গণতন্ত্র বনাম একনায়কতন্ত্র, ধনতন্ত্র বনাম সমাজতন্ত্র, আন্তর্জাতিক সরকার বনাম আন্তর্জাতিক নৈরাজ্যবাদ, মুক্ত প্রচার বনাম শাসকবর্গের প্রচারিত সরকারী মতবাদ। এইসব ব্যাপারেও বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরী কোন সুনিশ্চিত উপদেশ দিতে পারে না।
ব্যাক্তি, পরিবার কীভাবে চলবে, পারিবারিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, সম্পদের মালিকানাসহ ইত্যাদিসহ হাজারো হাজারো সমস্যা রয়েছে, যাদের সমস্যার সমাধানও বিজ্ঞান দিতে অক্ষম। এখানেও ধর্ম ও দর্শনের ভূমিকা রয়েছে।
দর্শনকে এক অর্থে বলা যায় “জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ”। দর্শনকে (Philosophy) সংকীর্ণ অর্থে ধরলে হবে না। দর্শন মানে শুধু এ নয় যে, যেমন প্রাচীন কালে করা হোত, পৃথিবীর আকার সম্বন্ধে তাত্ত্বিক জ্ঞান লাভ করা। দর্শন মানে এ-ও নয় যে জড় পদার্থের আনবিক গঠন সম্পর্কে ডেমোক্রিটাসের ধারণা, যা’ নিয়ে বস্তা বস্তা বই রচিত হয়েছে, যা’ এখন পরিত্যক্ত। তখন বিজ্ঞান এত বিকশিত হয়নি। এখন এগুলো বিজ্ঞানের আওতায়।
বিজ্ঞান হচ্ছে একটা নিরেট যন্ত্রের মতো। ভাল-মন্দ বোধহীন অন্ধ যন্ত্র। তাকে পরিচালনা করবে ধর্ম ও দর্শন। তা’ না-হলে বিপদ অনিবার্য। গর্ভপাত কীভাবে করা হয়? - বিজ্ঞান তা’ জানে। কিন্তু তা’ করা উচিত কি, উচিত নয়, তা’ ডিকটেট্ করবে ধর্ম/দর্শন। ক্লোনিং কী? কিভাবে করতে হয়? - তা’ জানে বিজ্ঞান। কিন্তু তা’ মানবজাতির জন্য উপকারী, না অপকারী তা’ জানাবে ধর্ম বা দর্শন। বস্তুবিজ্ঞান শুধু বস্তু নিয়ে গবেষণা করবে। সূত্র তৈরী করবে। তা’ নিয়ে প্রযুক্তি বানাবে। কিন্তু তা’ মানব সমাজে প্রয়োগ করার দিকনির্দেশনা দেবে ধর্ম / দর্শন।
পৃথিবীর আয়ুর শেষদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানের সাথে সাথে ধর্ম ও দর্শনের উপযোগীতা থাকবে।
©somewhere in net ltd.