নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলোয়

আমার সম্পর্কে কিছু লিখব

বিলোয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুদ্ধিজীবী হত্যা - নাটের গুরু আসলে কে? বা কারা??

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

১/ শাহরিয়ার কবিরদের মতে যদি অধ্যাপক মূনীর চৌধুরীরা রাজাকারই হন, তাহলে গত ৪৩ বছর যাবৎ আমরা কোন দুঃখে বুদ্ধিজীবী দিবসের নামে সার্কাস করে যাচ্ছি?
২/ ১৯৭১-সালে অধ্যাপক মূনির চৌধূরীরাই ছিলেন এই দেশের মাথা! যার প্রমান-ই হচ্ছে - "A Statement By East Pakistan Scholars & Artists! (ইমেজ - ১ম কমেন্টে) - এই ডকুমেন্ট-টি! তিনি ছাড়াও এই তালিকাভুক্ত সাবিনা ইয়াসমিন, আব্দুল হাদী, লায়লা আর্জুমান্দ বানু, শাহ্‌নাজ রহমতউল্লাহ ,,,,,,,,,এদের মত দেশের বিখ্যাত শিল্পীরা বা "পাঞ্জেরী" খ্যাত বিখ্যাত কবি ফররুখ আহমেদ অথবা এক নদী রক্ত পেড়িয়ে,,,গানটি সমৃদ্ধ "আবার তোরা মানুষ হ'- চলচিত্রের পরিচালক খান আতা সহ উক্ত তালিকাভুক্ত ৫৫ জন শীর্ষ বুদ্ধিজিবী ও শিল্পীরা তথা দেশের তৎকালীন মাথারা সবাই সেদিন ভূল পথে চলেছিলেন, আর মুরগী কবীরের মত তৎকালীন রাজনৈতিক উচ্ছিষ্ট সেবীরাই সঠিক পথে থাকার জন্য ইন্ডিয়া - পাকিস্তানে পালিয়েছিলেন - এ কথা বাল' এর আবাল পাগলরা ছাড়া আর কেঊ কি বিশ্বাস করবে?
৩/ সবচেয়ে বড় কথা, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রেডিও টেলিভিশনে পাকিস্তানী সরকারের দালালী করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য সরকার কতৃক গঠিত "নিলীমা ইব্রাহীম কমিশন"- এর প্রধান এবং "আমি বীরাঙ্গনা বলছি"- বইটির লেখক নীলিমা ইব্রাহীম নিজে যে সত্য লিখে রেখে গেছেন,তার চেয়ে বড় সত্য আর কি হতে পারে??
"শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সর্বময় ক্ষমতায় আসীন হওয়ার ১৫ দিন পর ১৯৭২ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃতী চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান ঘোষণা দেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের পেছনে নীলনকশা উদ্ঘাটনসহ মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অনেক গোপন ঘটনার নথিপত্র, প্রামাণ্য দলিল তার কাছে আছে, যা প্রকাশ করলে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই নেয়া অনেক নেতার কুকীর্তি ফাঁস হয়ে পড়বে। আগামী ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই প্রেসক্লাবে "ফিল্ম শো" প্রমাণ করে দেবে কার কি চরিত্র ছিল!!
সেই সুযোগ আর পাননি জহির রায়হান! ভোঁজবাজির মতই প্রকাশ্য দিবালোকে একটি স্বাধীণ দেশের মাটি থেকেই গুম হয়ে গেলেন তিনি!! তারও কিছুদিন পর জহির রায়হানের ব্যবহৃত "সিডান" গাড়ীটিকে দেখা গেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের "টিএসসি"তে! তবে চালকের আসনে জহির রায়হান ছিলেননা! ছিলো মিরপূরের এক আওয়ামী নেতার পুত্র! যে নেতার দু'দিন আগেও চাল-চুলো বলতে কিছুই ছিলো না!
তারপর বল প্রয়োগে থামিয়ে দেয়া হলো বুদ্ধিজীবি হত্যার তদন্ত!!
জহির রায়হান আসলে কি প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন তা অসম্পূর্ণ থাকলেও আওয়ামী লীগ সমর্থক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মরহুম অধ্যাপক ড. নীলিমা ইব্রাহিম লিখেছেন, - "বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউ মার্কেটে যেতে রাস্তা পার হতেই বাঁ হাতে একটা পেট্রোল পাম্প আছে। ওটার নাম আমরা দিয়েছিলাম জয় বাংলা পাম্প। স্বাধীনতার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এখানে আমাদের অনেক সংবাদ আদান-প্রদান হতো। নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একদিন খুব গম্ভীর মুখে ডাক্তার বললেন, চৌধুরী সাহেব আমাদের বিপদে ফেলবেন? বললাম-কোন চৌধুরী? বললেন-তোমার ভ্রাতা মুনীর চৌধুরী। আজ আমাদের চারটি ছেলে আমাকে পাম্পের পিছনে ডেকে বললো-এখনও সময় আছে, স্যারকে চলে যেতে বলেন, না হলে আমরা ওর মুখ বেঁধে নিয়ে যাবো। যথাস্থানে খবর পৌঁছানো হলো। মুনীর কিছুটা শংকিত হয়েছিলেন এবং সব সময়ে বিভাগীয় পিয়ন লুৎফরকে সঙ্গে নিয়ে চলতেন। (সূত্রঃ '৭১-এর ছাবিবশে মার্চের এ্যালবাম: স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা, নীলিমা ইব্রাহীম, দৈনিক আজকের কাগজ, ১২ চৈত্র ১৪০০)।''
আজ হোক,কাল হোক এই বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হবেই! প্রকৃতিই এই রহস্য উন্মোচন করবে। কোন সন্দেহ নেই!!!
ততদিন পর্যন্ত এই দেশে বুদ্ধিজীবী না জন্মালে তার দায়ভার অবশ্যই গোটা জাতিকেই নিতে হবে!! এটাই আয়রনী অফ ফেইট!!!
পান্না কায়সার জহির রায়হানের বড় ভাই পরলোকগত শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী। বাংলা ১৩৯৯, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ইং ১৯৯২ দৈনিক বাংলার বাণীতে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘কবিতা মিলনকে মিথ্যা সান্ত্বনা।' এই নিবন্ধে তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ চৌধুরীর স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট সেলিম সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়েছেন। আলোচ্য নিবন্ধের এক স্থানে পান্না কায়সার বলেছেন, ‘৩০ জানুয়ারি জহির রায়হান একটি ফোন পেয়ে মিরপুর ছুটে গিয়েছিলেন। একথা বহুবার লেখা হয়েছে, বলা হয়েছে। কিন্তু বলা হয়নি সেলিমের কথা। সেলিমও নাকি সে রকমই একটি ফোন পেয়ে প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদকে না বলেই জহির রায়হানের সঙ্গে মিরপুরে ছুটে গিয়েছিলেন। তারপর দু'জনের ভাগ্যে একই নিষ্ঠুর পরিণতি। দু'জনই নিখোঁজ। সেলিমের মা এ সংবাদ পেয়ে প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। সেলিম বঙ্গভবনের যে ঘরটিতে থাকতেন ইত্যবসরে সে ঘর থেকে সমস্ত কাগজপত্র, কাপড়-চোপড় উধাও। শহীদ সেলিমের মা অনেক কষ্ট করেও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। রহস্য রহস্যই থেকে গেল। জহির রায়হান নিখোঁজ হবার পর বুদ্ধিজীবী হত্যার কোন রকম কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। কাগজগুলোর কোন হদিসই পাওয়া গেল না। পাওয়া গেলে হয়তো পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির অন্য কেউ কাজে লাগাতে পারতেন। শহীদ সেলিমের মায়ের মতে, বঙ্গভবনের ওর ঘর থেকে যে প্রয়োজনীয় কাগজগুলো উধাও হয়েছিল সেগুলো সম্ভবত তদন্ত কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রই হবে। খোদ বঙ্গভবন থেকে জিনিসপত্র উধাও হয়ে যাবে তা ভাবতেও বিশ্বাস হয় না। শহীদ সেলিম বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্তের কাজে সরাসরি জড়িত ছিলেন একথা আমি আগ থেকে জানতাম না। আমি ছাড়া আর কেউ জানে কিনা তাও জানি না। জহির রায়হান ও সেলিমের নিখোঁজ রহস্য এখন আমার কাছে আরো রহস্যজনক মনে হচ্ছে। বুদ্ধিজীবী হত্যার যেমন ১৯৭২ সালের গুরুত্বের সঙ্গে উদঘাটিত হয়নি, তেমনি জহির রায়হান নিখোঁজ রহস্যও গুরুত্বের সঙ্গে উদঘাটিত করার প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করেনি। অথচ এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। যে ষড়যন্ত্রের বিষবৃক্ষের বীজ রোপণ হয়েছিল সেদিন।'

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বুদ্ধিজীবী হত্যার যেমন ১৯৭২ সালের গুরুত্বের সঙ্গে উদঘাটিত হয়নি, তেমনি জহির রায়হান নিখোঁজ রহস্যও গুরুত্বের সঙ্গে উদঘাটিত করার প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করেনি। অথচ এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। যে ষড়যন্ত্রের বিষবৃক্ষের বীজ রোপণ হয়েছিল সেদিন।'

এরকম কত গোলমেলে ইতিহাস যে লুকিয়ে আছে কে জানে? মুরগী কবীররা বড় গলায় কথা বললেই বুঝতে হয়- ইতিহাসের বড় সত্য লুকাতে সক্ষম হয়েছে বলে আজ গলা বড়!!
যারা নভেম্বর পর্যন্ত পাক বাহিনীর কাছে থেকে বেতন নিয়েছে, খাদ্য সাপ্লাই করচে তারাই আজ চেতনার বীর পুঙ্গব!! ! ছো:

তারচে বড় দু:ক জহির রায়হানের উত্তরসূরীরাই আবার সেই অন্ধকারের সাথৈই চেতনা নিয়ে চিৎকার করছে! আজ তারাও যদি পিতার রহস্য উদঘাটনে সোচ্চার হয় কে জানে- হয়তো তারাও নাই হয়ে যাবে.....

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

বিলোয় বলেছেন: ভাই ইদানিং খুব একটা লেখেন না কেন?

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

শাহ আজিজ বলেছেন: তখনকার অসমাপ্ত কাজ এখন যৌথ ভাবে সম্পন্ন হচ্ছে ।

ঠিক কি যে চাই এদের আমার মাথায় ঢোকেনা ।

খুব তথ্যবহুল পোস্ট।

মুছে দেবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

বিলোয় বলেছেন: কে মুছে দেবে?

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

িবষন্নতা বলেছেন: আমার বাবার ঢাকায় সরকারী চাকুরির সুবাদে ৭১ পরবর্তী ৭৫ পর্যন্ত কি হয়েছে তা না দেখলেও জানি। আর এগুলো হল স্বচক্ষে দেখা ইতিহাস। জহির রায়হানের প্রেস কনফারেন্সের কথা আমার বাবার কাছ থেকেও শুনেছি। ওই ফিল্মে অবশ্যই এমন কিছু ছিল বলেই তাকে গুম হতে হয়। একটা সদ্য স্বাধীন দেশে এটা কিভাবে সম্ভব ছিল? লেখা মুছে দিলেও সত্য কখনও মুছা যায় না। ইতিহাস কখনো জোর করে খাওয়ানো যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.