নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলোয়

আমার সম্পর্কে কিছু লিখব

বিলোয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

পার্থক্যটা এখানেই... পার্থক্যটা এখানেই... পার্থক্যটা এখানেই... পার্থক্যটা এখানেই... পার্থক্যটা এখানেই...

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৫

"প্রয়াত জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ'র রাজনৈতিক উপন্যাস 'দেয়াল' থেকে নেওয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তৎকালীন সময় সম্পর্কে কয়েকটা উদ্ধৃতি"
* শুক্রবার ভোরে প্রেসিডেন্ট জিয়া নাস্তা খাচ্ছিলেন। আয়োজন সামান্য।
চারটা লাল আটার রুটি। দুই পিস বেগুন ভাজি। একটা ডিম সিদ্ধ ।
জিয়ার সঙ্গে নাশতার টেবিলে বসেছেন তার বন্ধু ও সহযোদ্ধা জেনারেল মঞ্জুর ।
জেনারেল মঞ্জুর বিস্মিত হয়ে বললেন, এই আপনার নাশতা ?
প্রেসিডেন্ট বললেন, হতদরিদ্র একটি দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই নাশতা কি যথেষ্ট না ? (দেয়াল, হুমায়ুন আহমেদ, ১৮৯-পৃষ্ঠা)
** জিয়াউর রহমানের পাঁচ বছরের শাসনে প্রতি মাঘের শেষে বর্ষন হয়েছিল কিনা তা কেউ হিসাব রাখেনি ,তবে এই পাঁচ বছরে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি । অতি বর্ষনের বন্যা না , খরা না , জলোচ্ছাস না । দেশে কাপড়ের অভাব কিছুটা দূর হলো । দ্রব্যমূল্য লাগামছাড়া হলো না । বাংলাদেশের নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়তে লাগলো ।
বাংলাদেশের মানুষ মনে করতে লাগলো অনেক দিন পর তারা এমন এক রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছে যিনি সত্‍ । নিজের জন্য বা নিজের আত্নীয়স্বজনের জন্য টাকা পয়সা লুটপাটের চিন্তা তার মাথায় নেই । বরং তার মাথায় আছে দেশের জন্য চিন্তা । তিনি খাল কেটে দেশ বদলাতে চান । জিয়া মানুষটা সত্‍ ছিলেন , এতে কোনো সন্দেহ নেই । লোক দেখানো সত্‍ না , আসলেই সত্‍ । তার মৃত্যুর পর দেখা গেল জিয়া পরিবারের কোনো সঞ্চয় নেই । (দেয়াল, পৃষ্ঠা-১৯৩)
*** তারিখ ৩০ মে রাত এগারোটা । জিয়া প্রান হারান তার একসময়ের সাথী জেনারেল মঞ্জুরের পাঠানো ঘাতক বাহিনীর হাতে । বলা হয়ে থাকে , জেনারেল মঞ্জুর তার রুপবতী স্ত্রী দ্বারা পরিচালিত ছিলেন । এই স্ত্রী মঞ্জুরের শেষ দিন পর্যন্ত তার সঙ্গী ছিলেন । সেনা অভ্যুত্থান ঘটানো এবং জিয়া হত্যার পেছনে প্রলয়ংকারী স্ত্রীবুদ্ধি কাজ করতে পারে । সে সময় জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভ করতে থাকে। তাদেশে মনে হল, এই যেন পুরো দেশ কাঁদছে। (দেয়াল, পৃষ্ঠা-১৯৬)
**** বঙ্গবন্ধুর অতি কাছের মানুষ তার রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বসে আছেন রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তর সাভারে । আতঙ্কে তিনি অস্থির । বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন ।
বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রক্ষীবাহিনী ঝিম ধরে বসে আছে । একসময়ের সাহসী তেজি ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদও ঝিম ধরে বসে আছেন । শুরু হয়েছে ঝিম ধরার সময় । রাস্তায় মিছিল বের হয়েছে । দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি , সেই মিছিল আনন্দ মিছিল । শফিক বাংলামোটরে গিয়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখল । সেখানে রাখা ট্যাংকের কামানে ফুলের মালা পরানো । কিছু অতি উত্‍সাহী ট্যাংকের উপর ওঠে নাচের ভঙ্গি করছে । আমার বাবর রোডের বাসার কথা বলি । বেতারে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে একতলার রক্ষীবাহিনীর সুবেদার পালিয়ে গেলেন । তার দুই মেয়ে ছুটে এল মা'র কাছে । তাদের আশ্রয় দিতে হবে । মা বললেন তোমাদের আশ্রয় দিতে হবে কেন ? তোমরা কি করেছ ? তারা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল , খালাম্মা , এখন পাবলিক আমাদের মেরে ফেলবে । এই ছোট্ট ঘটনা থেকে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার এবং তাদের প্রতি সাধারন মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃনাও টের পাওয়া যায় ।
(দেয়াল, পৃষ্ঠা-১০৭)।
কি বুঝলেন???

পার্থক্যটা এখানেই।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পার্থক্যটা এখানেই।

+++++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

বিলোয় বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাস দেয়ার জন্য

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাবা পাকীদের হাতে নিহত হওয়ার পরও হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবালেরা যুদ্ধে যায়নি; যতসব নন্দলাল!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

বিলোয় বলেছেন: আপনাদের মনের অবস্থা বুঝতে পারি, যারাই হাম্বাদের সাপোর্ট দেয় আপনাদের দৃষ্টিতে তারাই ভালো।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৬

রঙতুলি বলেছেন: পার্থক্যটা এখানেই

ভাই এই সব রাম গুরুরের ছানা
ভাল জিনিস দেখতে তাদের মানা র দল কে এসব বোঝানো যাবে না ।

এবং ঠিক পার্থক্যটা এখানেই।

++++++++এবং প্রিয় তে

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

বিলোয় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় তালিকায় নেয়ার জন্য

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৯

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: একজন সামান্য মেজর, বউ বাচ্চার চিন্তা না করে যুদ্ধ করতে যাওয়া সহজ proposition না।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪০

বিলোয় বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২১

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: বাবা পাকীদের হাতে নিহত হওয়ার পরও হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবালেরা যুদ্ধে যায়নি; যতসব নন্দলাল!

মি.চাদগাজী, বাবাকে মেরে ফেলেছে মা এবং সব ভাই বোনকে নিরাপদে রাখার কোন জায়গা নেই, হুমায়ুন সবার বড় তখন সদ্য বাবাহারা পরিবারকে বাঁচানো তার জন্য সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ছিলো।
ভুল ধরা খুব সহজ, তবে বাস্তবতা বোঝার ক্ষমতা সবার থাকে না। আপনাদের কাছে কলকতায় বাঈজী নৃত্য দেখে ও মদিরা পান করে ৯ মাস কাটিয়েছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা বাকি সব বাংলাদেশী হলো বোগাস।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪২

বিলোয় বলেছেন: কাকে কি বুঝাচ্ছেন, দুনিয়া উল্টালেও চাঁদগাজীর মত হাম্বারা বুঝবে না

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
জিয়া সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ছিলেন।

এখনকার সরকার ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে এ্ই দেশ প্রেমটারই অভাব বেশি।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

বিলোয় বলেছেন: জি ভাই ঠিক বলেছেন

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

ইমরান আশফাক বলেছেন: দেয়াল বইটি পড়তে হবে তাহলে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

বিলোয় বলেছেন: জি পড়ে দেখবেন ভালো লাগবে

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৬

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: নেশার খেয়ালে মুতে দিছি দেয়ালে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৪

বিলোয় বলেছেন: যার যেমন স্বভাব সে তো তাই করবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.