নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান ও আলাওল হলে লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের ২১টি আবেদন জমা পড়েছে। গতকালের লুটপাটের ঘটনার জন্য সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগকে দায়ী করছে। এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য হল দুটির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই হলে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা হল দুটি ছেড়ে পালিয়ে যান। সাধারণ শিক্ষার্থী ও হল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল দুটিতে লুটপাট করেন।
এ এফ রহমান হল সূত্র জানায়, আজ শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৬ জন শিক্ষার্থী ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে নয়জন শিক্ষার্থী ল্যাপটপ হারানোর কথা বলেছেন। অন্যরা মুঠোফোন, টেবিল ফ্যান, নগদ টাকাসহ কাপড়চোপড় হারানোর কথা উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে আলাওল হল সূত্র জানায়, এই হলে আবেদন জমা পড়েছে পাঁচটি। এখানেও ল্যাপটপ, মুঠোফোন, টেবিল ফ্যান লুটের কথা বলা হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করা এ এফ রহমান হলের ৪৩৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী প্রসুন কুমার দাশ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম। পরে ঝামেলা শেষ হলে রাতে রুমে এসে দেখি দরজা ভাঙা। রুমে থাকা আমার ল্যাপটপ ও মডেম খুঁজে পাইনি।’
তদন্ত কমিটি: এদিকে গতকালের ঘটনা তদন্তের এ এফ রহমান হলের জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ আমিনুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে আলাওল হলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বখতেয়ার উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এফ রহমান হলের প্রভোস্ট স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় কমিটিকে লিখিতভাবে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের একটি অংশের কতিপয় কর্মীরা হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর ও ছাত্রদের মালামাল লুটের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।’ এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করতে কমিটির সদস্যদের বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও সাধারণ সম্পাদক এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রথম আলো
©somewhere in net ltd.