নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলোয়

আমার সম্পর্কে কিছু লিখব

বিলোয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে মোড়লী শাসন চলছেঃ আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার

২৫ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বাংলাদেশে মোড়লী শাসন চলছে মন্তব্য করে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে খারাপ সময়টা পার করছে। নীতি-নৈতিকতা বা মূল্যবোধ বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকছে না। জাতীয় জীবনে আমাদের অবস্থা এখন মাৎসন্নাই এর মত। বড় মাছ ছোট মাছগুলোকে খেয়ে ফেলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো আধুনিক সুশাসনের দেখা পায়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে চলছে মোড়লী শাসন। এই পদ্ধতিতে দেশ চালাতে গিয়ে আমরা ব্রিটিশদের দিয়ে যাওয়া সুশাসনের ব্যবস্থাগুলোও ধ্বংস করে দিয়েছি।
গত শনিবার রাতে নিউ ইয়র্ক এর জ্যাকসন হাইটস এ বইমেলা ও বাংলা উৎসবের অনুষ্ঠান মঞ্চে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিষয়ক এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের কন্যা শারমিন আহমেদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রবাসী সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ।
বক্তৃতার সময় বার বার চিরকুট দিয়ে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে তাগিদ দেওয়ায় তিনি প্রচন্ড বিরক্তি প্রকাশ করেন। দেশের বর্তমান অরাজক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে বলেন, বাংলাদেশ এখন তার সবচেয়ে খারাপ সময়টা পার করছে । মানুষ বড় অসহায় । সমাজে নীতি-নৈতিকতা ধংসের চরম সীমায় গিয়ে ঠেকেছে । এতসব সত্বেও বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার অনেক কিছু আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে নানা অঙ্গনেই বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, আরও এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এটার কৃতিত্ব পুরোপুরি দেশের সাধারণ মানুষের। এসব সাধারণ মানুষের চেষ্টায়ই বাংলাদেশ একদিন বদলাবে। তিনি বলেন, আমার ছাত্রসহ অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, সেই বদলানো কি আমরা দেখে যেতে পারব ? তখন আমি তাদের পাল্টা প্রশ্ন করি এই বলে যে, আমরা দেখে যেতে পারব কি-না, এই চিন্তা করে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে কি চলবে ?
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে বলেন, দেশে এখন যে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে, আমরা সেটার নির্মূল চাইনা, আমরা বলি এটাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার কথা। কিন্তু সেরকম কোনো চেষ্টাও নেই।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা রয়েছি স্বৈর শাসনের মধ্যে। কখনো সামরিক স্বৈর শাসন। কখনো বেসামরিক স্বৈর শাসন। সেটার একটা সুবিধা ছিল যে, সমাজের খুব বেশি মানুষ প্রকাশ্যে সেই শাসনকে সমর্থন করত না। সে ধরনের শাসকদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে সবার মধ্যে একটা সংকোচ কাজ করত। তাই তারা সব সময় পতনের আতংকে থাকত। নব্বই সালের পর থেকে আমরা যে নির্বাচিত স্বৈর শাসনের মধ্যে প্রবেশ করেছি এটা আরো ভয়াবহ। কারণ, এই স্বৈরশাসকদের সমর্থনে কথা বলার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ দাড়িয়ে গেছে। এ কারণে নির্বাচিত স্বৈর শাসকরা অনেক বেশি বেপরওয়া হয়ে উঠছে। বাকি জনগোষ্ঠী তাদের কাছে হয়ে পড়ছে মারাত্মক অসহায়। তিনি বলেন, আমরা আসলে কখনই সুশাসনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারিনি। স্বাধীনতার আগে আমদের সমাজব্যবস্থা ছিল মূলত মোড়লী পদ্ধতি নিভর্র। স্বাধীনতার পর আমরা সেই মোড়লী ব্যবস্থাটাকেই জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করেছি এবং আজও সেই ধারায় চলছে। সে কারণে সুশাসন ব্যাপারটা আমরা কখনো বোঝারই সুযোগ পাইনি।
ইংরেজ শাসনের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক আব্দুাহ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, যে যাই বলুক ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দায়ভার বাঙালিদেরকেই নিতে হবে। কারণ, মীর জাফর, উমিচাঁদ ও রায় দুর্লভরা বাংলারই লোক ছিল এবং তাদের সহযোগিতা নিয়েই ইংরেজরা ভারতবর্ষে চেপে বসার সুযোগ পায়। তবে ইংরেজ শাসনেরও অনেকগুলো ভালো দিক ছিল। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা সুশাসনের বেশ কিছু ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে যায়। সেই সময় একটা পদ্ধতি তারা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল। হয়তো তারা পুলিশ দিয়ে দেশ শাসন করেছে এবং সেই ক্ষেত্রে দারোগার ঘুষ খাওয়ার ব্যাপারটা অনেকটা প্রচলিত ছিল। কিন্তু মিলিটারী কোথায় থাকতো, তা সাধারণ মানুষ এমনকি জানতও না। দুর্ভাগ্য হলো, ব্রিটিশরা যেটুকু সুশাসনের ব্যবস্থা রেখে গিয়েছিল, স্বাধীন হওয়ার পর আমরা সেইটুকুও ধ্বংস করে দিয়েছি। আমরা আবার পুরোপুরি মোড়লী শাসনে ফিরে গেছি।
(উৎসঃ জাস্ট নিউজ)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
এই ভাবে হাটে হাড়ি ভাঙবার জন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া হোক। রাস্তায় লাঠিপেটাও করা জেতে পারে। কত বড় বেয়াদব গাঁয়ে থাকবি আর মোড়লের সমালোচনা করবি

২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১৯

বিলোয় বলেছেন: হুম অবস্থা সেরকমই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.