নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলোয়

আমার সম্পর্কে কিছু লিখব

বিলোয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক দর্শনই যেন হয় বাক স্বাধীনতা

২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

বার্গাস ইয়োসা গভীর ভাবে সমাজ সচেতন। তিনি মনে করেন যে রাজনীতি রাজনীতিবিদদের একচেটিয়া অধিকার নয়। লেখক এবং সংস্কৃতি কর্মীরাও রাজনীতিতে গভীর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বর্তমান বিশ্বে রাজনীতিকে এড়িয়ে থাকার অবকাশ নেই। তিনি মনে করেন বর্তমান সমাজের প্রধান সমস্যা সহনশীলতার প্রকট অভাব। সহনশীলতার অভাবে গণতন্ত্র গণতন্ত্র থাকে না। তিনি মনে করেন একবিংশ শতাব্দীর মূল আন্তজাতির্ক সমস্যা হলো "সন্ত্রাসবাদ‍"। সন্ত্রাসবাদের উৎপত্তি "‍ফ্যানাটিজম‍" থেকে ; ফ্যানাটিকরা স্বীয় বিশ্বাসকে অবিমিশ্র সত্য মনে করে এবং প্রতিপক্ষ অসত্য বিধায় তাকে ধ্বংস করে দেয়ার নীতিতে কাজ করে। তিনি মনে করেন ল্যাটিন আমেরিকার সকল সমস্যার মূলে রয়েছে ভ্রস্ট রাজনীতি। বার্গাস ইয়োসা লেখকের রাজনৈতিক দর্শনের ব্যাপারে অনাপসী।
বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন বাক স্বাধীনতাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন দশায় কখনো কোন দিনও কাউকে হেও কোন মন্তব্য করেন নি।
বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনী এক ঝলক জেনে নেওয়া যাকঃ
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। বেগম জিয়া এর বিরোধিতা করেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নিবাঁচিত হন। ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই মূলত বিএনপির পূর্ণ বিকাশ হয়।
১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেয়ার পর থেকে মোট চারবার তিনি গ্রেফতার হন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ত্যাগের একটি বিরল ঘটনা এবং তিনি এখনও বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষার তাগিদে আপসহীন অটল রয়েছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর গ্রেফতার হন। সর্বশেষ তিনি ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন এবং এই মামলায় চলতে থাকা তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।
১/১১ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া বাক স্বাধীনতা ও সুন্দর, সু্ষ্ঠ ধারার আন্দোলনের গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে যে আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রেখে যেমন - সারা বাংলাদেশে শান্তি পূর্ণ জনসভার মাধ্যমে জনসম্মুখে মতামত প্রকাশের ভিত্তিতে জনগণের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তা বাংলাদেশ সহ বহিঃবিশ্বে তাঁর নাম উজ্জ্বল করেছিলো। এবং ঢাকায় শান্তিপূর্ণ জনসভা না করতে দেওয়ার লক্ষেই বর্তমান সরকার গত জানুয়ারি থেকে দীর্ঘ ৩ মাসের অধিক সময় বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর কার্যালয়ে বন্দী করে খাবার না দিয়ে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে যে নাটকীয় ভাবে নির্যাতন করেছে তা স্পষ্ট করে দেয় এই সরকারের সকল কর্মকাণ্ডই স্বৈরাচারী সরকারের ন্যায়।
বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রেখে সারা দেশ জুড়ে পেট্রোল বোমা হামলার যে নাটক বর্তমান সরকার সাজিয়ে ছিল তা সকল পত্র পত্রিকায় সরকারী দলের ক্যাডার ও প্রশাসনের ছবিসহ প্রকাশ হয়ে দেশেবাসী সহ বহিঃবিশ্বের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য।
বার্গাস ইয়োসা লেখক সাংবাদিকের মতে- একবিংশ শতাব্দীর মূল আন্তজাতির্ক সমস্যা হলো "সন্ত্রাসবাদ‍"।
ঠিক এই কথার প্রতিফলন আমাদের দেশে বর্তমান সরকার পেট্রোল বোমা ফাটিয়ে সন্ত্রাসবাদ করে বিরোধী জোটকে দমন, নিপীড়ন ও ধ্বংস করতে নাম দিচ্ছে "মৌলবাদ"।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সম্মান প্রদর্শন করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় বেগম খালেদা জিয়া জন সাধারণের কাতারে নেমে এসে শুদ্ধ রাজনীতির ধারার এক নতুন অধ্যায় সূচনা করলেন বাংলাদশে। শত হামলা বাধা জীবনের হুমকিও যেন খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রাখতে পারল না। আসলেই তিনিই বাংলাদেশের প্রকৃত দেশনেত্রী। যিনি ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী না , গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।
যেই কারণে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য জেনে শুনে ২০০৮ এর জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারলেই হয় না , ইতিহাস বলতে একটি অধ্যায় আছে যা হয়তো অবৈধ ক্ষমতা ধারীদের ক্ষমা করবে না।
বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতা কর্মী ও দেশের জনগণের জীবন নিয়ে রাজনীতি করেন নি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। তিনি দেশের জন্য জনগণের জন্য রাজনীতি করেন।
স্বৈরাচারী এরশাদ পতনের আন্দোলনে সুদীর্ঘ ৭ বছর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে লড়ে গিয়েছেন। ঠিক একই ধারায় এখনো অব্যাহত রয়েছেন।
একটি দেশের সুধী সমাজ, লেখক ও সাংবাদিক ঐ দেশের ভাল মন্দের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে লিখে বা বলার মাধ্যমে পর্যালোচনা করেন। এই সমাজকে সমর্থন করা ছাড়া দেশের ভবিষ্যৎ কখনোই উজ্জ্বল হতে পারে না। দুঃখের বিষয় এই সমাজের অনেকেই আজ বাক স্বাধীনতা হারিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত আর ঐ সমাজে জায়গা করে নিয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতির শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই তাঁর সকল কর্মকাণ্ডেই সুধী সমাজ সহ লেখক, সাংবাদিক ও জনগণের মতামতের ভিক্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কারণেই হয়তো বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন অনেক বেশি। এই রাজনৈতিক দর্শনে পুরোপুরি ভাবে গণতন্ত্রের প্রতিফলন প্রকাশ পায়।

(লেখক: রাকেশ রহমান, এনডিপি)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.