নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলোয়

আমার সম্পর্কে কিছু লিখব

বিলোয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ !

২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০১

গল্পের শিরোনামটি সঠিক মনে নেই, (হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর মহানুভবতা) হবে হয়ত,
যাই হোক ২৮ বছরের আগের গল্পটি পুরোপুরি মনে নেই আমার, বর্তমানে শিশুদের পাঠ্য বইয়ে এ গল্পটি আছে কিনা তাও আমি জানিনা ।
কিন্তু যতোটুকু মনে আছে সেটুকু ধারন করলেই অনেক অনেক মহান হওয়ার শুযোগ আছে !
হ্যা, গল্পটির শুরুটা ছিল - আজ মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ, ঈদের নতুন জামা গায়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সে কি আনন্দ সবাইর মাঝে, ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ে একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করছেন, শিশুরাও আনন্দে মেতে আছেন ধনী গরিব সবাই আজ একে অন্যের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন,
সবাই ভালো ভালো খাবার রান্না করেছে, আজ সবাই খুশি, ঈদের এই আনন্দও সবাই সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিবে, আজ ধনী গরিবের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই !
ঈদের নামাজ পড়ে, হযরত মোহাম্মদ (সা:) দেখলেন ৬/৭ বছরের একটি ছেলে মাঠের এক কোনে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন, তার পরনে ছিল পুরাতন একটি ছেড়া জামা,
হযরত মোহাম্মদ (সা:), তাকে জিজ্ঞেস করলেন খোকা তুমি কাঁদছো কেন ?
শিশুটি কান্না জরিত কন্ঠে বললেন, হুজুর আমরা অনেক গরিব, আমার আব্বা আমাকে ঈদের নতুন জামা কিনে দেয়নি, আমার সব বন্ধুরা নতুন জামা পড়ে মাঠে খেলছে কিন্তু আমার ছেঁড়া জামার জন্য ওদের সাথে খেলতে পারছিনা,
হযরত মোহাম্মদ (সা:) শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন, তাকে কোলে তুলে আদর করলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের বাড়ি কোন দিকে ?
শিশুটি হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিলেন তাদের বাড়ি, হযরত মোহাম্মদ (সা:) শিশুটিকে কোলে করেই তাদের বাড়িতে গেলেন,
তিনি গিয়ে দেখলেন শিশুটির বাবা অসহায় ভাবে বসে আছেন আর তার পাশে শিশুটির মা কান্না করছেন ছেলেকে নতুন জামা কিনে দিতে না পারাতে,
আজ তাদের ঘরে খাবার রান্না করাও হবে না, ঘরে খাবার নেই,
হযরত মোহাম্মদ (সা:) দরিদ্র পরিবারটির বাড়িতে যেতেই, তারা লজ্জায় অপ্রস্তুত হয়ে যায়, এবং হুজুরের কোলে তাদের সন্তানকে দেখে তারা যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না যে হুজুর সয়ং নিজে তাদের বাড়িতে এসেছেন,
হযরত মোহাম্মদ (সা:) তাদের সালাম দিয়ে ঘরে ঢুকে এবং তাদের সব কথা শুনে শিশুটির মা বাবাকেও তার সাথে নিয়ে আসলেন তার বাড়িতে,
হযরত মোহাম্মদ (সা:) তার সাথে বসিয়ে সেই দরিদ্র পরিবার টিকে খাওয়ালেন, এবং ছোট্ট শিশু ও তার মা বাবাকেও নতুন জামা কাপড় উপহার দেয় ।
গল্পটি মোটামুটি এমন-ই ছিল, এখানে আমার লিখায় হয়ত কিছু ভুলভ্রান্তি হতে পারে, যার জন্য আমি দু:ক্ষিত, ক্ষমাপ্রার্থী !
এ গল্পটি হঠাৎ মনে পরল এ জন্য যে, আজ বাংলাদেশ সামান্য একটি খেলায় জয় পেয়েছে, (ক্রিকেট খেলায় ইন্ডিয়ার বিপরীতে)
তাতে সমগ্র বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যেন আনন্দের বন্যা বইছে যা হারলেও এমন কোন ক্ষতির সম্মুখীন হতোনা জাতি !
কিন্তু আমি আনন্দিত নই, আজ আমি যেন সেই ৬/৭ বছরের দরিদ্র শিশুর মতোই মাঠের এক কোনে দাঁড়িয়ে কাঁদছি !
কাঁদছি এই জন্য যেঁ, পৃথিবীর সব জাতির ঘরে ঘরে আজ আনন্দ, শুধু বাংলাদেশি জাতি হিসেবে আমি ছেঁড়া জামা গায়ে দাঁড়িয়ে আছি তেমন-ই এক জায়গায়,
অন্য সব জাতির যেখানে জাতীয় স্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়ে,
আমরা-ই কেবল সামান্য খেলায় ঝাঁপিয়ে পড়ি, দেশ গোল্লায় যাক তাতে কি, হাজার হাজার অসহায় মানুষ সামান্য কাজের জন্য নীল সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, জীবন বিলিয়ে ছিচ্ছে হায়নাদের কবলে পড়ে,
নিজেদের কস্টের পয়সায় লালন পালন করা বর্ডার গার্ড আজ মিয়ানমারের নিকট অপমানিত তার প্রতিবাদ করতে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ছিনা,
আমার সবুজ রঙের পাশপোর্ট-টাও আজ ভিন্ন দেশির কাছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য হচ্ছে, সেখানে সম্মান ফিড়াতে ঝাঁপাচ্ছি না,
হাড়িয়েছি গণতন্ত্র ও নিজের ভোটাধিকার, সেখান থেকে উদ্ধার হওয়ার চেস্টায় ঝাঁপিয়ে পড়ছিনা !
ঝাঁপিয়ে পড়েছি এমন এক জায়গায়, যেখানে প্রতিদিন এমন ম্যাচ জয় জাতির কোন কাজে আসবে না,
এমনকি যদি প্রতিদিন একটা করে বিশ্বকাপও জিতি তাহলেও সমুদ্রে ভাষা, ঐ সকল অসহায় মানুষগুলোর উপকারে আসবেনা কোন !
আপনারা আনন্দে আনন্দিত হোন, শুভেচ্ছা জানাই,
তবেঁ জাতি এবং জাতির সত্যিকারের বিজয় কোনটা, তা একটু ভাববেন আশাকরি ।
আমি নির্লজ্জ, বেহায়া ও হারামি এবং
আমি বাংলাদেশি।
মাহে রমজানের শুভ কামনা রইল

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্রী মনোভাবের লেখা।

২১ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

বিলোয় বলেছেন: এমন মন্তব্য করলেন কেন? কত কষ্ট করে লিখি আর ফালতু সব মন্তব্য করে যান কেন? এখন থেকে ভালো ভালো মন্তব্য করবেন বুঝেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.