নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নরকল্পতরু বা তরুকল্পনর...

কুড়াই প্রহরব্যেপে স্মৃতিলগ্ন ধূলি

হারুন আল নাসিফ

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ব লেখকের। এখানকার কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপানো বা অনুলিপি করা অগ্রহণযোগ্য। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © হারুন আল নাসিফ [email protected] [email protected]

হারুন আল নাসিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাওয়া স্কুল-মহিলা কলেজ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

কেনো যে গেলাম কে জানে?

বিনে পয়সার মাস্টারি। শখে

না ঠেকে, কোন সম্পর্কের টানে

এখনো ধরে না এ মস্তকে।



মহিলা কলেজ বিশেষত

ইংরেজিটা, ফাঁকে অর্থনীতি

বাতলে নেবে। করি ইতস্তত,

পরে রাজি, পাছে ঠেলে ভীতি।



খাজারোড ধরে পায়ে হেঁটে

অথবা রিকশায় প্রতিদিন

থামি চৌধুরী বাড়ির গেটে,

বেল টিপি। ‘প্লিজ, কাম ইন’



বলে দরজা খুলে দাঁড়ায়

বাওয়া স্কুল। কমন কাজিন।

দুষ্টুমি চোখে। হাত বাড়ায়:

আহা দিন তো, চটপট দিন।



রোবটের প্রায় ডান হাত

চলে যায় স্বাগতিক ডানে।

টের পাই রক্তে অকস্মাৎ

বিদ্যুৎ প্রবাহের কি মানে!



পড়ার টেবিলে কোন ফাঁকে

কলেজের পাশাপাশি ঢুকে

পড়ে স্কুল। ব্যাপারটাকে ও

নেয় না আমলে। তবে বুকে



খেজুরের কাঁটা বিঁধে যেন

খচ করে। ভাবে পরক্ষণে

পুঁচকে এ বালিকার নামে কেন

যে মিছে সন্দেহ জাগে মনে!



আমি অপরাধবোধে ভুগি

কিন্তু হৃদয় বড় চঞ্চলা।

ছিলাম না তো প্রেমের রুগি-

কলেজকে কিছু যাবে না বলা!



আচ্ছা, ওকি কিছু বোঝে না?

নাকি বোঝে? বুঝে কষ্ট পায়

নীরবে। গোপনে কি খোঁজে না

এ থেকে পরিত্রাণের উপায়?





অপূর্ব দিন স্বপ্নিল রাত

কেটে যায় কি ঘোরের মাঝে!

কী খোঁজে দু’চোখ, দুই হাত

সায়াহ্ন-সকাল থেকে সাঁঝে?



ভুলে যাই আশ-পাশ, সাথে

নিজেকেও। সারা দিনমান

মজে থাকি ভেনাসে-মৌতাতে

বাজে অন্তরে ধ্র“পদী গান।



ছোঁয়ায় জাদু- ঘুমন্ত কলি

দল মেলে, ফুল হয়ে যায়

ছড়ায় সুবাস- উড়ে চলি

সমগ্র পেলব উষ্ণতায়।



চোখ ফোটে আঙুলের গায়ে

রোমকূপও দিব্যদৃষ্টি পায়,

ভেসে যাই অলৌকিক নায়ে

আকাশের প্রবাল ডাঙায়।



এই তো স্বর্গ! হাতের কাছে।

ডুবেছি মায়ার এ অতলে

যে অমায় আলো শুধু আছে,

অমিয় সুধা তো একে বলে!



ভেবেছি অতীত পুণ্য বলে

ঘটেছে এ প্রাপ্তিযোগ ভালে।

তারিয়ে তারিয়ে পলে পলে

পিয়েছি জীবন খোশ হালে।



হারিয়ে ফেলেছি সময়ের

সিঁড়ি। শূন্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি।

একি শুধু কপালের ফের?

কি ছিলাম, কি আমি হয়েছি!



কলেজ তো ছিল এতদিন

নীরব দর্শক, বলা যায়।

আমি তো ছিলাম অন্তরীণ

খোলা সে মঞ্চের কারায়।



এবার সেও বুঁজেছে চোখ

স্কুল দিয়েছে মুখেতে তালা।

সে একরোখা- তবে কোন রোখ?

ভাবিতে হৃদয় ফালা ফালা।



গড়ায় সময়ের সে গুঁড়ি

আমি বুড়িয়ে যাই, তাতে কি?

ও তো এখনো একফোঁটা ছুঁড়ি।

দু’চোখে শুধু আঁধার দেখি।



ভেবেছিল মা-মরা ছেলেটি

খালা সেও তো আসলে মা-ই।

শেষে দেখে ভুল ছিল সেটি-

সেজন্যে সে একাই তো দায়ী।



প্রশ্রয় কিছুটা যদি দিয়ে

থাকে, দিয়েছে। তাই বলে কি

তার একপাতা মেয়েটা নিয়ে

আদিখ্যেতা করতে হবে? সে কি!



মেয়ে বনে যায় পুরোপুরি

মা-বাবার যাকে বলে বাধ্য।

বলে, ওর মনেতে জোচ্চুরি।

ছেলে ভাবে, হায় সাধ! সাধ্য!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.