নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত আধারে

আমি নিরপেক্ষ নই সত্যের পক্ষে...................

আলোকিত আধারে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তমনার প্যাকেজ - তিন (তলে তলে টেম্পু চালাও, আর আমরা কইলেই কও হরতাল )

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

ধরুন, আপনি শ্বশুর গিয়েছেন আর মনে মনে চিন্তা করছেন এইবার কয়েক মাস শ্বশুর বাড়ি থাকবেন। তো আপনি শ্বশুর বাড়ি পৌছার পরই রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে শাশুড়ি আম্মা বলবে,‘আহা বাবা, এত দিন পরে এলে, কেমন শুকিয়ে একেবারে কাঠ হয়ে গেছো! তারপর দুপুরের খাবার আইটেমে - পোলাও, মুরগি, গরুর ভুনা, রুই মাছ, ডিম সহ আরো কতো কিছু যে হাজির হবে তার ঠিক নাই॥ আর তখন নিজেকে আপনার সম্রাট আকবর বলে মনে হবে। এইভাবে রাতের বেলায় আবার খাসি, গরু, ইলিশ মাছ, দই, মিষ্টি কতো কিছু খাবেন। এই ভাবে যতই দিন যাবে আপনার খাবার আইটেম ততই কমতে থাকবে। দশ দিন পর দেখবেন
দুপুরের খাবার টেবিলে গোশত নেই, মাছ আছে তবে ইলিশ নয়,পাঙাশ। যতই দিন যাবে আপনার আদর ততই কমতে থাকবে। এমনকি আপনার মমতাময়ী শাশুড়ি এগিয়ে এসে হাসিমুখে ধরিয়ে দেবে বাজারের ব্যাগ। অপমানিত বোধ করছেন? করবেন না। কোনো একদিন যে আপনার হাতে ঝাড়ু কিংবা হারপিক আর ব্রাশ ধরিয়ে দিবে না তার কোনো গ্যারান্টি আছে কি??? আমাদের দেশের মুক্তমনা নামধারী নাস্তিকদের অবস্থাও ঠিক এইরকম॥ তারা মনে করে ইসলাম বিদ্বেষি লেখা লিখলেই সস্তা জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ইউরোপ আমেরিকায় শ্বশুর বাড়ির মতো থাকা খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে। অনেকেই তো পেয়েছে, আমরাও পেতে পারি॥ কিন্তু বোকারা বোঝেনা শ্বশুরবাড়িতে বেশীদিন থাকলে যেমন আদর যত্ন কমে যায় তেমনি বেশীদিন ইসলাম বিদ্বেষী কথা লিখালিখি করলে তার আর ভ্যালু থাকে না। সবার ভাগ্যে আসিফ মহিউদ্দিনের মতো জার্মানির টিকিট মিলে না। ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো সারাজীবন লাফালাফিই করে যাবে কিন্তু বিদেশ যাওয়া ভাগ্যে মিলবে না। কারণ আস্তিক, নাস্তিক উভয়েই দাঁত ব্রাশ করে, কিন্তু ধর্ম বিদ্বেষীরা কখনোই দাঁত মাজে না এবং তার মুখের উৎকট দুর্গন্ধ সকলের মাঝে ছড়িয়ে বেড়ায়। এই পদ্ধতিটাকে তারা কথায় কথায় 'বাক স্বাধীনতা' বলে থাকে!
নাস্তিকতা এদের কাছে একটা স্মাটনেস এবং এদের দৌড় কিন্তু ঐ ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননা বা হাসি তামাশার মাঝে সীমাবদ্ধ । একটু ভাল করে চিন্তা করলে দেখা যায় এরা নাস্তিক নয় এক প্রকার বুদ্ধি বৃত্তিক প্রতিবন্ধী । মুক্তমতের নাম করে এরা অনেক দিন থেকেই ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে যাচ্ছে। হাদিস কোরআনের ভুলভাল রেফারেন্স এবং ভুল ব্যাখা এদের কাছে খুব সাধারণ ব্যপার॥ একজন মানুষের যেমন ধর্মপালন করার অধিকার আছে তেমনি ধর্ম না মানারও অধিকার আছে। একজন নাস্তিককে আপনি বোঝাতে পারবেন, যুক্তি তর্ক করে তার ধারনার পরিবর্তন করতে পারবেন কিন্তু একজন ধর্ম বিদ্বেষীর কিছুই করতে পারবেন না। ধরুন,আপনি একজন ধর্ম বিদ্বেষী মুক্তমনা। আপনাকে একজন মুসলিম খুব আগ্রহ নিয়ে ইসলামের কথা বলছে। আপনার কোনো ভুল সংশোধন করার জন্য কিছু উপদেশ শোনাচ্ছে, কুরআন হাদিস থেকে কোটেশন দিচ্ছে। কিন্তু আপনার সেটা সহ্য হচ্ছে না। আপনি কোনো যুক্তি দিয়ে তাকে খন্ডন করতে পারছেন না। আর আপনার কাছে কোনো বিকল্প প্রস্তাবও নেই। সেই অবস্থায় আপনি যদি তাকে পুরোপুরি নাস্তানাবুদ করে দিতে চান, তাহলে সোজা তার মুখের উপর কর্কশ ভাষায় জোর গলায় বলুন, "কী সব আবোল তাবোল কথা বলছেন! আপনার কি মাথা খারাপ নাকি? এই সব গাঁজাখুরি কথাবার্তা কোথা থেকে পান আপনারা? ইসলাম মোটেও এটা সমর্থন করে না!"

এই পদ্ধতিটি সাইকোলজির ভাষায় ‘গ্যাসলাইটিং’ এর একটি উদাহরণ।
নাস্তিকরা এই পদ্ধতিটিই ব্যবহার করে॥
কাউকে তার নিজের সম্পর্কে সন্দেহে ফেলে দেওয়া, তার কথা, কাজকে একেবারেই ফালতু - ভুল - পাগলের প্রলাপ ইত্যাদি বলে বোঝানোর চেষ্টা করা, - এটাই হচ্ছে গ্যাসলাইটিং। ধর্ম বিদ্বেষী মুক্তমনারা এক ধরনের বিকৃত মানসিকতার অধিকারী এবং তাদের জন্য বিশেষ ধরনের মানসিক চিকিৎসা রয়েছে। এ ধরনের মানুষরা সাধারণত পরিবর্তীতে নানা ধরণের জটিল মানসিক রোগের শিকার হন।



আপনি ব্লগে ফেসবুকে অহরহ ইসলামের বিরুদ্ধে পোস্ট দিচ্ছেন কুরআন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে কিন্তু জীবনে একটাও হাদিস কুরআনের বই কেনেননি। রেফারেন্স গুলো বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে কপি করে দিচ্ছেন। কিন্তু কোনোদিন কি বই হাতে নিয়ে খুজে দেখেছেন যে সত্যিই ঐ হাদিস বুখারি বা তিরমিজি শরীফে আছে কি না। আপনি জীবনেও একটা হাদিসেরও তাফসির পড়লেন না তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে ঐ হাদিসটাতে কি বোঝানো হয়েছে॥ নিজের বোধবুদ্ধি থাকার পরেও ইচ্ছামতো কুরআন হাদিসের আয়াত দিয়ে ভুল ব্যাখা দিয়ে লিখছেন - তাহলে কি আপনাকে মুক্তমনা বলা যাবে নাকি ধর্ম বিদ্বেষী বলা হবে? মুলতো, নাস্তিকতা সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করার একটা মাধ্যম হয়ে গেছে। এর ফলে এই নোংরামি গুলো যারা করছে তারা আলোচিত সমালোচিত যাই হোক না কেন মাঝ খান থেকে সবার মাঝে পরিচিত হয়ে উঠছে । কেউ কেউ জার্মানির ভিসাও পাচ্ছে। আমি মুসলিম,কিছু যুক্তি মেনেই মুসলিম। একজন নাস্তিক সেও কিছু যুক্তি মেনেই নাস্তিক। একজন নাস্তিকের কাছে অন্য মতের যুক্তি গ্রহনযোগ্য নয় ,কেন নয় তা আমরা যুক্তি দিয়েই ডিফেন্ড করব কোপাকুপি করে নয় । কিন্তু মজার ব্যাপার হলো নাস্তিকতার একটা শাখা তৈরি হয়েছে তা হলো যুক্তিহীন ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিক । এদেরকে আপনি যদি বলেন (তুমি কেন নাস্তিক) এই প্রশ্ন টি করলে তার উত্তর দিতে পারবে না । ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকরা মূলত ভুয়া আর ভণ্ড নিতির উপর নির্ভর করে নাস্তিকতা প্রচারণা চালায় মুক্তমতের নাম করে॥
অথচ আপনি যদি তাদের কথার প্রতিবাদ করেন তবে আপনি হয়ে যাবেন মৌলবাদী এবং মুক্ত চিন্তার বাধাদান কারী। মুক্তচিন্তার নাম করে তারা তলে তলে টেম্পো চালাবে আর আমরা কিছু বললেই বলবে হরতাল - আমাদের কোনো দোষ নেই, আমরা মুক্তমনের লোক, মত প্রকাশের অধিকার সবারই আছে॥
কিন্তু তারাই যে মুসলমানদের উসকানি দিয়ে খেপিয়ে তুলছে এই কথা তারা ভুলেও স্বীকার করবেনা।



একজন মানুষ নাস্তিক হতেই পারে। ধর্ম বিশ্বাস যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। গনতান্ত্রিক দেশে একজন মানুষের যেমন ধর্মপালন করার অধিকার আছে তেমনি ধর্ম না মানারও অধিকার আছে। পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি নাস্তিক ছিলেন কিন্তু তারা ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোনোদিন কোনো কুটুক্তি করেনি। তাই ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকরা প্রকৃত জ্ঞানী নয়। এদের বুদ্ধি বিকাশে সমস্যা থাকার কারনে এরা ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিক। কুকুরকে আমরা যেমন বুদ্ধিমান প্রানি বলে মানি তেমনি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকরাও বুদ্ধিমান। কুকুর যেমন ঘেউ ঘেউ করে মানুষকে বিরক্ত করে তেমনি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকরা মানুষকে বিরক্ত করে। সুতরাং ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের পাগল কুকুর আখ্যা দেওয়াটা যথোপযুক্ত। এদের কাছ থেকে যত দুরে থাকা যাবে ততই ভালো। কবির ভাষায় বলবো, কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুরের পায়ে কামড় দেয়া মানুষের শোভা পায়।






মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

এইস ম্যাকক্লাউড বলেছেন: আপনি ব্লগে ফেসবুকে অহরহ ইসলামের বিরুদ্ধে পোস্ট দিচ্ছেন কুরআন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে কিন্তু জীবনে একটাও হাদিস কুরআনের বই কেনেননি। রেফারেন্স গুলো বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে কপি করে দিচ্ছেন। কিন্তু কোনোদিন কি বই হাতে নিয়ে খুজে দেখেছেন যে সত্যিই ঐ হাদিস বুখারি বা তিরমিজি শরীফে আছে কি না। আপনি জীবনেও একটা হাদিসেরও তাফসির পড়লেন না তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে ঐ হাদিসটাতে কি বোঝানো হয়েছে॥

দারুণ বলেছেন

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

এইস ম্যাকক্লাউড বলেছেন: আপনি ব্লগে ফেসবুকে অহরহ ইসলামের বিরুদ্ধে পোস্ট দিচ্ছেন কুরআন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে কিন্তু জীবনে একটাও হাদিস কুরআনের বই কেনেননি। রেফারেন্স গুলো বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে কপি করে দিচ্ছেন। কিন্তু কোনোদিন কি বই হাতে নিয়ে খুজে দেখেছেন যে সত্যিই ঐ হাদিস বুখারি বা তিরমিজি শরীফে আছে কি না। আপনি জীবনেও একটা হাদিসেরও তাফসির পড়লেন না তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে ঐ হাদিসটাতে কি বোঝানো হয়েছে॥

দারুণ বলেছেন।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

রিওন মনি বলেছেন: যে কুকুর কামড় দেয় তাকে শুধু ছেড়ে দিলে তো আবার কামড়াবে। তবে আইন নিজের হাতে নেওয়া ঠিক না

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

আলোকিত আধারে বলেছেন: বেওয়ারিশ কুত্তা দমনে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়জন। কিন্তু তা কি সম্ভব??? রিওন মনি

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের পাগল কুকুর আখ্যা দেওয়াটা যথোপযুক্ত। এদের কাছ থেকে যত দুরে থাকা যাবে ততই ভালো। কবির ভাষায় বলবো, কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুরের পায়ে কামড় দেয়া মানুষের শোভা পায়।

মুক্তমনা নামের ইসলামবিদ্বেষীদের থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়. তাদের কামড় বা কোপ দিতে যাওয়া, কোনটাই শোভা পায় না. ভাল লিখেছেন. ধন্যবাদ.

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
দারুণ লিখেছেন।+++

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

আলোকিত আধারে বলেছেন: ক্ষতিগ্রস্থ এবং বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় //// মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.