নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত আধারে

আমি নিরপেক্ষ নই সত্যের পক্ষে...................

আলোকিত আধারে › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানির সমালোচনা না কি ইসলাম বিদ্বেষ

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

আজকে কুরবানী ঈদ। কুরবানি ঈদের সময় এলেই দেখেছি কিছু ইসলাম বিদ্বেষী কুরবানির গরুর মত হাম্বা হাম্বা শুরু করে দেয়। এই ঈদ নিয়ে তাদের মনে দুঃখের শেষ নেই। চারিদিকে এতো পশু হত্যা!!!! ধর্মের নামে পশু হত্যা বন্ধ করা উচিত।
ওদের ভাষায় মুসলমানরা ঈদুল আজহার নামাজ পড়ে উৎসব করে পশু হত্যায় মেতে ওঠে। বর্তমানে গরুর গোশতের কেজি ৪০০ টাকা অথচ তাদের কেউ কি কখনো বাজার থেকে ৫ কেজি গরুর গোশত কিনে নিয়ে এসে গরীবদের দিয়েছে? কুরবানি হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কোন ব্যাক্তির সর্বদা আত্মসমর্পন করার জন্য যে কোন বিষয়, বস্তুকে ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকা। আরবী ‘কুরবান’ শব্দটি ফারসী বা ঊর্দূতে ‘কুরবানী’ রূপে পরিচিত হয়েছে, যার অর্থ ‘নৈকট্য’। আর ‘কুরবান’ শব্দটি ‘কুরবাতুন’ শব্দ থেকে উৎপন্ন। আরবী ‘কুরবাতুন’ এবং ‘কুরবান’ উভয় শব্দের শাব্দিক অর্থ নিকটবর্তী হওয়া, কারো নৈকট্য লাভ করা প্রভৃতি। "ইসলামী পরিভাষায় ‘কুরবানী’ ঐ মাধ্যমকে বলা হয়, যার দ্বারা মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন ও তার ইবাদতের জন্য পশু যবেহ করা হয়। (মাজদুদ্দীন ফীরোযাবাদী, আল-ক্বামূসুল মুহীত্ব, পৃ. ১৫৭-৫৮, তাফসীরে কাশশাফ, ১/৩৩৩)॥" মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন; 'অতএব তুমি তোমার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানি কর। (সূরা কাওছার: ২)'। কুরবানি প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এর সময় থেকেই চালু ছিল। তখনকার সময়ে কুরবানি হত একটু ভিন্ন পন্থায়। কুরবানির জন্য আনা পশুটিকে উপর থেকে আগুনের ফুল্কি এসে জ্বালিয়ে দিত যার কুরবানি কবুল হত। এ সম্পর্কে কুরাআনে উল্লেখ করা হয়েছে - "অর্থাৎ আপনি তাদেরকে আদমের দুই পুত্রের বাস্তব অবস্থা পাঠ করে শুনান। যখন তারা উভয়েই কিছু উৎসর্গ (কুরবানি) নিবেদন করেছিল, তখন তাদের একজনের উৎসর্গ গৃহীত হয়েছিল এবং অপরজনের গৃহীত হয়নি। সে বললঃ আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। সে বললঃ আল্লাহ ধর্মভীরুদের পক্ষ থেকেই তো গ্রহণ করেন। (সূরা মায়িদা, আয়াতঃ ২৭)।' অতএব কুরবানির বিধান অনেক পুরনো॥ ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসারে যেভাবে পশু জবাই হয় তা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান সম্মত। জার্মানির Hanover University এর প্রফেসর Wilhelm Schulze এবং তার সহযোগী Dr. Hazim এর নেতৃত্বে একটি গবেষণা পরিচালিত হয় এবং সেখানে দেখা যায় ইসলামিক নিয়মে পশু জবাইয়ের প্রথম ৩ সেকেন্ড EEG graph এ কোন change দেখা যায় না। ফলে পশু কোন উল্লেখযোগ্য ব্যথা অনুভব করে না। ঈদে কুরবানি বিরোধিতা কারীরা ভুলে যান যে মানুষের সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে পশু এবং উদ্ভিদ খেয়ে। প্রতি বছর প্রায় ১২ বিলিয়ন পশু শুধু আমেরিকাতে হত্যা করা হয়। 10 billionland animals are killed every year for food in the United States, and 58 billionare killed worldwide. কুরবানি বিরোধী পশু প্রেমিকেরা কী জানেন যে ম্যাকডোনাল্ড প্রতি বছর গড়ে ৬-৭ বিলিয়ন বীফ বার্গার বিক্রি করে থাকে এবং এ জন্য তারা বছরে ১০ মিলিয়ন গরু হত্যা করে ? তারা কী এটাও জানেন যে, কানাডা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ (Seal) মাছ এর বাচ্চার মাথায় বাড়ি দিয়ে হত্যা করে শুধু তাদের চামড়ার জন্য ? হিন্দু রাষ্ট নেপালে 'গাধিমাই' নামে একটি উৎসব পালন করে হিন্দুরা। আর এই উৎসবের মুল আকর্ষন হচ্ছে যে, এরা একটি খোলা ময়দানে হাজার হাজার গরু ছেড়ে দিয়ে গরু দাড়ানো অবস্থায় একের পর এক গরুর মাথা কাটে। যদিও এইসব নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষিদের মনে কোনো চিন্তা নেই। হাতে কেএফসির ফ্রাইড চিকেন নিয়ে যারা কুরবানির বিপক্ষে গলা ফাটিয়ে যান এবং মুরগীর রোস্টে কামড় দিতে দিতে যারা বলেন, একদিনে এতগুলো প্রান নিধন বর্বরতা ইত্যাদি ইত্যাদি। মনে হয় তারা ময়লা আবর্জনা আর প্লাস্টিক খেয়ে জীবন ধারণ করেন। যেন তারা কোন প্রান (গরু, মুরগি, ছাগল,গাছ,শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি ) নিধন করে না নিজের খাদ্যের সংস্থানের জন্য।
.
.
নাস্তিকতার নামে ক্রমাগত মিথ্যা চর্চা করে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে অদ্ভুত-অদ্ভুত যুক্তি দিচ্ছে আর নিজেরা এসব হাস্যকর কথাবার্তা বলে সকলের কাছে সার্কাসের জোকারে পরিণত হয়েছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

Jahirul Sarker বলেছেন: যথার্থই বলেছেন।
আমরা যতই তাদের ত্রুটি ধরিয়ে দিই না কেন,, মহান আল্লাহ পাকের ইচ্ছা ব্যতিত এরা কখনোই সুধরাবে না।
আল্লাহ তো এদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। তারা চোখ থাকতেও অন্ধ। আর কান থাকতেও শোনে না।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আসলে ইব্রাহিম (আ) এর দোহায় দিয়ে আমরা যে কোরবানী করে আসছি সেটাকি এই কোরবানী এটা আমারো প্রশ্ন? েপবিত্র কোরআনে যেটা পাওয়া যায় সেটা পড়লে বোঝা যায় এটা কেবল হাজ্বীদের জন্য কোরবানী। চলুন কোরআনের আয়াতটা একটু দেখে নেয়:
সূরা বাকারা ২:১৯৬ আয়াত
وَأَتِمُّواْ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ وَلاَ تَحْلِقُواْ رُؤُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضاً أَوْ بِهِ أَذًى مِّن رَّأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ فَإِذَا أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

অর্থঃ আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে পৌছে যাবে। যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ্ব ওমরাহ একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যাকিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন।

কোরআনের এই আয়াত অনুযায়ী স্পষ্ট পানির মত পরিস্কার এই কোরবানী কেবল হাজ্বীদের জন্য। কোরআনে এই আয়াত অনুযায়ী এই দিনে হাজ্বীরা কোরবানী দিবে এটাই সাভাবিক। কিন্তু আমরা তাহলে কেন হাজ্বীদের সঙ্গে পৃথিবী জুড়ে কোরবানী দিচ্ছি? কোথাও বলা নাই এটা সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য।

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

আলোকিত আধারে বলেছেন: মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন; 'অতএব তুমি তোমার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানি কর। (সূরা কাওছার: ২)'।

.

সেলিম জাহাঙ্গীর ... এই রকম আরো আয়াত আছে ॥

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

চারশবিশ বলেছেন: জনাব সেলিম জাহাঙ্গীর
আপনি বা আপনার বাবা, মা, ভাই বোন কেউ কি এবার কুরবানি দিয়েছে?

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

ঢাকাবাসী বলেছেন: রিস্কি আসয় বিষয়!

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আলোকিত আধারে, কোরবানী যুগযুগ ধরে ছিলো কিন্তু আমরা যে কোরবানী করছি সেটা নিশ্চয় ধর্ম পিতা ইব্রাহিম (আ) এর বিধান? যদি তায় হয় তবে হাজ্বীদের সঙ্গে কেন?
১।ধর্মপিতা ইব্রাহিমের এই বিধান এর আগের রাসুলগুলো কেন ধরে রাখেননি?
যেমন: মুসা (আ) হতে ঈশা (আ) পর্যন্ত। এই রাসুল গুলোর উম্মাততো এই পৃথিবীতে আছে।

৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: ছুম্মুম বুক্মুম ফাহুম লা ইয়ারজিউন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.