নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবই ভাল

সবই ভাল

চলন বিল

সবই ভাল

চলন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রলীগের ধর্ষণ মাস্তানি গুণ্ডামির পালা শেষ, এবার জুতা চুরির ব্যবসা শুরু

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫০

মিরপুরের একটি মেস থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক জুতাসহ দুই ছাত্রলীগের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মিরপুর ৬ নং সেকশনের একটি মসজিদ থেকে জুতা চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় মসজিদ সংলগ্ন চায়ের দোকানের এক কর্মচারি জুতা চোরদের পিছু নেয়। তাদের ঠিকানা জেনে থানায় অবহিত করলে পুলিশ ছাত্রলীগের আসাদ ও রবিনকে গ্রেফতার করে। মেস থেকে পাঁচ শতাধিক জুতা ছাড়াও ফেনসিড্রিল ইয়াবা সহ অস্র পাওয়া যায় । সারা দেশে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা ৩০ লাখ। রাজধানীর সহ সারা দেশে এমন কোনো গলি বাদ নেই যেখানে ইয়াবা ফেনসিড্রিল ব্যবসায়ী নেই। বাংলাদেশ জুড়ে ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরাই এই সমস্ত ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে।
আসাদ ও রবিন মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য। নেশার টাকা যোগাড় করতে তারা জুতা চুরির সাথে জড়িয়েছে বলে স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে এই দুই ছাত্রলীগ কর্মী ।
জানা গেছে, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে জুতা চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছে।লাগামহীন আইন শৃঙ্খলা অবনতির কারণে যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা রাজনৈতিক পায়দা লুটে টাকার পাহাড় গড়তে অনেকেই মাদক ব্যবসা সহ জুতা চুরির মত ব্যবসায় জড়িত হয়েছে । দেশের স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা যুবলীগ ছাত্রলীগের মাদকাসক্তদের দিয়ে সরকার বিরোধীদের আন্দোলন দমাতে, গাড়ি পোড়ানো ও বোমাবাজিতে জড়িত করছে । অনেকে ছিনতাই ও চুরি ডাকাতিতেও জড়িত রয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত দুই যুবলীগ ছাত্রলীগের মাদকাসক্তরা জানিয়েছে ঢাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জন এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে। মূলত মাগরিব এবং এশার নামাজের সময় বিভিন্ন মসজিদে ওত পেতে থাকে চুরির জন্য, তবে শুক্রবারে সবচেয়ে বেশি জুতা চুরি করতে পারে। তারা আরও জানায়, চুরিকৃত জুতা হাজারিবাগের কয়েকটি দোকানে বিক্রি করা হত, নতুন জুতা হলে এলিফ্যান্ট রোডের ২টি শো রুমে বিক্রয় করা হত।
এসআই সাদিক জানান যুবলীগ ছাত্রলীগের এই জুতা চুরির সিন্ডিকেটকে গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রামেও যুবলীগ ছাত্রলীগের জুতা চুরির সিন্ডিকেট
বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও যুবলীগ ছাত্রলীগের জুতা চোর চক্রের রয়েছে বিশাল একটি সিন্ডিকেট। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে বিশাল আকারের একটি সিন্ডিকেট। আওয়ামীলীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে।
সপ্তাহের শুক্রবারকে সামনে রেখে আগেই থেকেই প্রস্ততি নিয়ে রাখে নিজেদের। এলাকাভিত্তিক তারা এ চুরির ঘটনা ঘটায়। মুসল্লিদের সাথে তারাও নামাজে শরিক হয়। মোনাজাত করার আগে তারা বেরিয়ে পড়ে।
নগরীতে ছোট বড় মিলে কমপক্ষে তিনশ’র বেশী মসজিদ রয়েছে। প্রতি শুক্রবার এসব মসজিদের এমন একটি দিন নেই যে চুরির ঘটনা ঘটছে না। নগরীর নিউ মার্কেট, জলসা মার্কেট,আমতল রাইফেল ক্লাব, আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের পূর্ব গেইট সংলগ্ন সড়কে, চকবাজার শাহেন শাহ মার্কেট, লালচান রোডে চকবাজার থানার সামনে, মুরাদপুর ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ষোল শহর ২ নং গেইট শেখ ফরিদ মার্কেট সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে, জিউসি মোড়ে স্ট্যার্ডাড চার্টাড ব্যাংক এর সামনে, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোড বটগাছের নীচে সন্ধ্যা গড়ালে এসব চুরি হয়ে যাওয়া জুতো বিক্রি করতে দেখা গেছে। বর্তমানে যুবলীগ ছাত্রলীগের এ চক্রের সাথে মহিলা লীগের কয়েকজন মাদকাসক্ত মহিলাকেও দেখা গেছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এটিও একটি অপরাধের তালিকায় পড়ে। যুবলীগ ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মী এই চক্রের সাথে সক্রিয় আছে বলে জানতে পেরেছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর আছি আমরা। তিনি আরো জানান, সারা দেশ জুড়ে জুতা চুরির একটি সংগবদ্ধ দলকেও আটকের চেষ্টা চলছে

দেশের মসজিদে, মসজিদে জুতা চুরিতে সক্রিয় যুবলীগ ছাত্রলীগের মাদকাসক্তরা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভাই খবরটি কথা হতে সংগ্রহ করা লিংক টা শেয়ার করবেন যদি সম্ভব হয়

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:১৫

চলন বিল বলেছেন: Click This Link

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:১৬

চলন বিল বলেছেন: খবরের লিঙ্ক দেয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু পেজ নট ফাউন্ড শো করছে।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: অবাক হওয়ার কিচু নেই, এরা ওরকমই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.