নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবই ভাল

সবই ভাল

চলন বিল

সবই ভাল

চলন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হু ইজ ভন্ড?

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৩০

ইনসেস্ট মানে পরিবারের ভেতর যৌনাচার। এই যেমন ছেলে-মা, বাপ-মেয়ে বা ভাই-বোন। এখন, আপনার প্রেমিকা আছে। আপনি প্রেমিকার সাথে মাঝেমধ্যে লিটনের ফ্ল্যাটেও যান। আপনার অপরাধ আর একজন ইনসেস্ট যে করে তার অপরাধ কি সেইম? যদিও দুইটাই কিন্তু ব্যাভিচার।

একটা ছেলে পর্ন দেখে, মিথ্যা বলে, মাস্টারবেট করে। ইভেন গার্লফ্রেন্ডের সাথে হোটেলেও যায়। এরপরও তার রাইট আছে হোমোসেক্সুয়ালিটির এগেইন্সটে কথা বলার। শুধু তাই না, ইভেন ইসলামকে বেইজ করেও তার রাইট আছে হোমোসেক্সুয়ালিটির এগেইন্সটে যাওয়ার।

যেহুতু আমি মিথ্যা কথা বলি সেহুতু আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষী দেওয়ার প্রতিবাদ করতে পারব না, যেহুতু আপনি বালছান যুক্তি পেইজের এডমিন সেহুতু আপনার কথাই সত্য- এই টাইপের এবসার্ড লজিক আপনি পোস্টাইলে পোস্টান, আপনার হোমো পার্টনাররা শেয়ার করলে শেয়ার করুক। আমি প্রতিবাদ করবই।

বিয়ের আগে ব্যাভিচার করার শাস্তি বেত্রাঘাত। আর হোমোসেক্সুয়ালিটির শাস্তি সর্বদা সর্বাবস্থায় মৃত্যুদন্ড। বোঝা গেছে কোনটার মাত্রা কেমন? চুরি আর জমি দখল দুইটাই অন্যায়। কিন্তু একজন চোর কি জমি দখলের প্রতিবাদ করতে পারবে না? অথচ আপনারাই সিনেমা বানান, সিনেমায় ডায়ালগ দেন- ইজ ইট ওকে টু রেইপ এ প্রস্টিটিউট? নামাজ না পড়লে, রোজা না রাখলে এর জন্য ইসলামে কোন শাস্তি নাই। কিন্তু হোমোসেক্সুয়ালিটির জন্য শাস্তি আছে।

যেহুতু তুমি নামাজ পড় না, সেহুতু তুমি হোমোসেক্সুয়ালিটিকে হারাম বলতে পার না! উঠায়া নাও মাওলা! আমাকে না, যে এই যুক্তি দেয় তারে। যেহুতু তুমি বিছানায় পেশাব কর সেহুতু তুমি পাবলিক প্লেসে মোতার প্রতিবাদ করতে পার না! যুক্তির কি বাহাররে ভাই!

আপনার পোস্টে হাজার লাইক পরবে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা যেখানে গে ম্যারেজ সাপোর্ট করে সেখানে ফেসবুকে সমকামী আর সমকামী বান্ধব লোকরাই বেশী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। পপুলার অপিনিয়ন ইজ নট অলওয়েজ দ্য রাইট অপিনিয়ন। আজ পৃথিবীর সমস্ত মানুষও যদি হীরাকে মাটি বলে তবুও হীরা হীরাই থাকবে। আপনাদের করা প্রশ্নটাই আপনাদের করি-
ইজ ইট ওকে টু রেইপ এ প্রস্টিটিউট

সুদ এবং মদপান ইসলামে এক্সপ্লিসিটলি হারাম। তবে সরাসরি হারাম ঘোষণা করার আগে আল্লাহ কুর'আনে সুদ এবং মদপানকে ডিমনাইয করেছেন।

যেমন, সুদের ক্ষেত্রে, আল্লাহ প্রথমে বলেছেন সূরা রূমের ৩৯ আয়াতে, যে সুদে মানুষ যা দেয়, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায়না। এক্ষেত্রে সুদকে আল্লাহ লিটারেলি পাত্তাই দিলেন না। এরপর সূরা নিসার ১৬০-১৬১ আয়াতে আল্লাহ বলছেন ইহুদিদের জন্য অনেক হালাল জিনিসকে হারাম করে দিয়েছিলেন এই কারণে যা তারা সুদে ডীল করতো। এখানে আল্লাহ সুদকে একটা মরাল চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন। এরপর আল্লাহ সূরা আলি ইমরান এর ১৩০ আয়াতে মু'মীনদের মানা করছেন যাতে তারা সুদ না খায়। প্রথমবারের মত আল্লাহ সুদ খেতে বারণ করলেন। শেষ পর্যন্ত, সূরা বাক্কারার ২৭৫ আয়াতে গিয়ে আল্লাহ সরাসরি ঘোষণা দিলেন সুদ হারাম।

তেমনি মদের ক্ষেত্রে আল্লাহ প্রথমে সূরা বাক্কারায় ২১৯ আয়াতে বলছেন, মদ খাওয়ার মাঝে ভালোও আছে খারাপও আছে, তবে এই জঘন্য জিনিসটার খারাপ হল ভালোর চাইতে বেশি। এরপর নিসার ৪৩ আয়াতে বলছেন যে মদ গিললে নামাযে যাওয়ার দরকার নাই। অর্থাৎ ফরজ কাজ করতে পারবেন না। এটা এতই জঘন্য একটা জিনিস। অতঃপর সূরা মা'ইদার ৯০ আয়াতে আল্লাহ মদ হারাম করে দিলেন।

আল্লাহ হারাম জিনিসগুলোকে হারাম বলার আগে থেকেই বার বার ডিমনাইয করে মানুষের কাছে এর তিক্ততা তুলে ধরেছেন। বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এইসব আসলে মানুষের জন্য কত ক্ষতিকর। এরপরেই আল্লাহ স্পষ্ট হারামের ঘোষণা দিয়েছেন।

ইসলামে যা কিছু হারাম আর গুনাহের, তা অবশ্যই কুর'আন সুন্নাহ এর আলোকে হারাম বলে মানুষকে দা'ওয়াহ করতে হবে। তবে সে জন্য কেউ এই গুনাহ করলে তাকে কাজটা কতটা জঘন্য, তা বোঝানো থেকে বিরত থাকার কোন মানে নেই। অতি অবশ্যই সমস্ত পাপকাজের জঘন্য রূপটাও দেখাতে হবে, যাতে তাদের মাঝে ইয়াক্কিন চলে আসে। ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আল্লাহ শক্তিতে বিশ্বাস করতেন, কিন্তু মনের শান্তির জন্য আল্লাহ কীভাবে মৃতকে জীবিত করেন দেখতে চেয়েছিলেন। আল্লাহ দেখিয়েছিলেনও।

ব্যবসা পড়েছি বিধায় সুদ নিয়ে যথেষ্ট জল ঘোলা করার সুযোগ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। যেই লেভেলেই সুদ নিয়ে পড়েছি, সব খানেই একটা পোরশান ছিল যেখানে সুদকে আধুনিক ফাইনান্সিয়াল ওয়ার্ল্ডের প্রেমিসে ডিমনাইয করে বেজ্জত করা হয়েছে। সুদের ক্ষতিকর দিকটা তুলে ধরা হয়েছে। সুদকে হারাম বলেই খান্ত দেয়া হয় নি। সুদ যে শুধু মুসলিমদের জন্য হারাম, আর বাকিদের জন্য আরাম - এই ভুল ধারণা মিটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে দিস্তার পর দিস্তা বই লিখে। ২০০৮ ওয়ার্ল্ড রিসেশানের পেছনে ডেট বেইসড ব্যাঙ্কিং কীভাবে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেকেছে, তা নিয়ে লেখা হয়েছে বিস্তর স্ক্ললারলি আর্টিকেল। অর্থাৎ, সুদকে যেখানে যেভাবে পারা যায় সেখানেই ডিমনাইয করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

তো বলছিলাম, সমকামীতা ইসলামে হারাম। দলিল প্রমাণ দিয়ে তা প্রমাণ করার পাশাপাশি সমকামীতা ন্যাচারাল ইন্সটিঙ্কট নাকি নেহায়েৎ লুইচ্চামি, সেটা নিয়েও আলোচনা করবো। বায়োলজি, সাইকোলজির ছাত্ররা সেসব নিয়ে বিস্তর লিখবে, এবং আলহামদুলিল্লাহ লিখছেও। গত ঈদে একটা সংকলন হয়েছে দেখেছিলাম, যেখানে আমাদের দেশের ইসলামিস্ট বিজ্ঞানমুখী ছাত্ররা সমকামীতা যে ন্যাচারাল নয়, বরং ইলাজযোগ্য অসুস্থতা; সেটা বায়োলজিকাল পারস্পেক্টিভ থেকে লিখেছে এভিডেন্স সহ। যেটা দাওয়াতের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ্‌।

আমরা মুসলিমরা আল্লাহর বেঁধে দেয়া নিয়মের দিকে মানুষকে দাওয়াত দেব ঠিক। তবে সাথে আল্লাহ যা কিছু হারাম করেছেন, সে সব কিছুকেই ডিমনাইয করবো। মানুষকে হারাম কাজের প্রকৃত ডিমন রূপটা তুলে ধরবো, মানুষকে সেই পাপটাকে প্র্যাক্টিকাল সেন্সে ঘৃণা করতে শেখাবো। আর সেই সীফাতটা আমরা নেব আল্লাহর কাছ থেকেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

"২০০৮ ওয়ার্ল্ড রিসেশানের পেছনে ডেট বেইসড ব্যাঙ্কিং কীভাবে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেকেছে, তা নিয়ে লেখা হয়েছে বিস্তর স্ক্ললারলি আর্টিকেল। "

২০০৮ সালের রিসেশনের পেছনে ডেট বেইসড ব্যাঙ্কিং কিভাবে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেকেছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.