নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দয়াল বাবা কেবলা কাবা আয়নার কারিগর

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা

কি করার কথা কি করছি, কি লেখার কথা কি লিখছি!

জ্বিনের বাদশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ হেফাজত হত্যাকান্ড: মুখ বন্ধ করার আয়োজনের শেষ পেরেক?

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

৫ই মের হেফাজত হত্যাকান্ড বিষয়ে নোংরামির আর কিছুই বাকি রাখলোনা সরকার। অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইয়াহি্যাগিরির ষোলোকলা পূর্ন করলো তারা। সরকারের এই কাজকর্মগুলোর ইন্টারপ্রিটেশন একটাই, "আমরা কিন্তু কলা খাইনাই!"



বাংলাদেশের পা-চাটা গেলমান স্বভাবের মিডিয়া আর গালভরা নাম-সিলসর্বস্ব হ্যানত্যান সংস্থা যা করার সাহসটাও রাখেনা, অধিকার সে কাজটা করছিলো। ৫ই মে হেফাজত ম্যাসাকারের নিহতের সংখ্যা বের করার কাজ। ১০ই জুন প্রকাশিত তাদের শেষ রিপোর্টে তখন পর্যন্ত ৬১ জন নিহতের তালিকা তারা করেছিলো। আমাদের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া সরকারের ঢোলে বাড়ি দিয়ে "তালিকা কই? তালিকা কই?" বলে ছাগলের তৃতীয় ছানার মতো লাফিয়েছে ঠিকই, কিন্তু অধিকারের এই রিপোর্টের খবর বড় করে প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি।



সরকার থেকে অধিকারকে অনুরোধ করা হয়েছিলো ঐ ৬১ জনের তালিকা সরকারকে দিতে। অধিকার সরকারকে জানিয়েছে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে তারা সন্দিহান, এবং শুধু নিরপেক্ষ কোনো তদন্ত কমিশনের কাছেই তারা এরকম লিস্ট হস্তান্তর করতে রাজি আছে। সাথে এও শর্ত ছিলো যে নিহতদের পরিবারকে কোনোরোকম হয়রানি করা যাবেনা। অধিকারের আশংকা ছিলো, সরকার হয়তো ঐ ৬১ জনের পরিবারের মুখ চেপে ধরার জন্য প্রশাসনিক অপচেষ্টা চালাতে পারে। অধিকারের সাধারন সম্পাদক আদিলুর রহমানের গ্রেফতার হওয়া, তাদের সেই আশংকাকেই জাস্টিফাই করে। একইষাথে এই ঘটনাটি এব্যাপারটাও প্রমাণ করে যে, কোনো এক ধরনের ভীতির শিকার হয়েই দেশের মুলধারা মিডিয়া এরকম একটা জঘন্য হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে এমন চুপ হয়ে আছে।





আমি আগেও বলেছি, এখনও বলি, একদিকে সব মাদ্রাসার উপর শোকজ নোটিশ দিয়ে আরেকদিকে "তালিকা কই? লিস্টি কই" বলে ফাত্রামি করে বেড়ানো যায়। তবে তাতে শুধু এটাই প্রমান হয় যে, কোনো মাদ্রাসাই শোকজের ভীতি মাথার উপর ঝুলানো অবস্থায় মৃতের সংখ্যা বা দাবী নিয়ে আসবেনা। নিহতদের আত্মীয়রা তো আরো বেশি ভয় পাবে! ফলে ৫ই মের হেফাজত হত্যাকান্ডের প্রকৃত নিহতের সংখ্যা সম্ভবত খুব নিকট ভবিষ্যতে আমরা জানতে পারবোনা।



তবে পাপ বাপরেও ছাড়েনা। এই যে জানতে না দেয়া, এটা যা ক্ষতি করবে, খুনী দলেরই ক্ষতি করবে। এই জানতে না দেয়ার সময়টকালটা জত দীর্ঘ হবে, মানুষের অবিশ্বাস আর সন্দেহ, বিরোধী পক্ষের হাজার হাজার মৃত্যুর অপপ্রচার -- এ সবকিছুই ঘাতকপক্ষকে হন্ট করে বেড়াবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

অজানা এক আমি বলেছেন: কোন কথা বলা যাবে না :( .. আপাতত চুপচাপ থাকাই ভালো :|

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

samolbangla09 বলেছেন: ..............পাপ বাপরেও ছাড়েনা................

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

মদন বলেছেন: পাপ বাপরেও ছাড়েনা

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: প্রসঙ্গত, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ৫/৬ মে মিলিয়ে কমপক্ষে হেফাজতের ৫১ জন মারা গেছে। ১২ বছরের একটা ছেলেকে মাথার দুই মিটার কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে, তাকে মৃতদেহের স্তুপে ডাম্প করেছে।

রিপোর্ট এখানে,
Click This Link

এর ২৩ পৃষ্ঠায় আছে,
While the claims of the BNP lack credibility
and those of Hefazat appear overstated, the
government’s account also appears inaccurate
. The evidence obtained by Human Rights
Watch suggests that serious human rights ab
uses were committed by
the security forces
and that some people were ki
lled during the early hours of May 6. In total, based on
hospital logs, eyewitness accounts, and well-
sourced media reports, Human Rights Watch
believes that at least 58 people died on Ma
y 5 and 6, seven of whom were members of the
security forces. The death toll may be higher.

অথচ এই রিপোর্টকে আওয়ামি গেলমান কালের কন্ঠ প্রকাশ করেছে এই বলে যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে ঐদিন রাতে কাউকে হত্যা করা হয়নি। আর অনলাইনে আওয়ামি ছাগুর দল মেইন রিপোর্ট না দেইখাই লাফানো শুরু করছে যে হিউম্যান রাইটস বলছে কেউ মরেনাই।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

জগ বলেছেন: অথচ এই রিপোর্টকে আওয়ামি গেলমান কালের কন্ঠ প্রকাশ করেছে এই বলে যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে ঐদিন রাতে কাউকে হত্যা করা হয়নি।

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

স্বাধীকার বলেছেন:

সত্য ঘটনাটি প্রকাশ যত দীর্ঘতর হবে
ততই সন্দেহ বাড়বে, সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা কমবে।

সরকার যত কথাই বলুক, যত রাখঢাক করার চেষ্টা করুক, সেদিনের যে প্রক্রিয়ায় হেফাজতিদের তাড়ানো হয়েছে-তাতে যেকোনো সুস্থ্যমানুষই প্রশ্ন করবে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে। মিডিয়ার গলাটিপে ধরে বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে মতিঝিল খালি করার যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে আম্লীগের কুবুদ্ধি ও নৃশংসতার প্রশংসা করা যায়। জনতার পক্ষ থেকেও আগামী নির্বাচনে বাকশালীদের জুতার মালাসহ জবাব দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ৫/৬ মে মিলিয়ে কমপক্ষে হেফাজত + শিবিরের ৫১ জন মারা গেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিনিধী বিবিসি বাংলায় বলেছেন ৬ই মে শেষ রাতে ২০ জনের মত মারা গেছে। সরকার বলেছে ১১ জন।

তার মানে মাত্র ৯ জনের ডিফারেন্স।

অতচ অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান দাবি করেছিলেন ১২৬ জন নিহত।
প্রপাগান্ডা ছড়াতে পারবেন, কিন্তু প্রমান দিতে পারবেন না।

প্রথমে বিএনপির সাথে তাল মিলিয়ে বলেছিলেন তিন হাজার নিহত!

এটি পড়ুন
৩০০০ লাশ গুম! যেভাবে?

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: পাপ বাপরে ছাড়ে না ছাড়বেও না...

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: মিস্টার কালবৈশাখি, আপনি দেখা যায় হিসাবে ভালোই ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছেন।

প্রথমত, সরকার যে ১১ জনের কথা বলছে সেটা রাতের না, সরকার বলছে সারা দিনে ১১ জন নিহত হয়েছে জার মধ্যে সরকারি বাহিনীর লোকও আছে।

দ্বিতীয়ত, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ৫১ জনের যে হিসেব, এটা জাস্ট একটা এস্টিমেশন। তারা সেইভাবে জরিপ চালাইতে পারেনাই, দেশি মিডিয়ার খবরের (মুলতঃ নিউ এজ) উপর ভিত্তি করে একটা এস্টিমেট করেছে। যেজন্য তাদের রিপোর্টে শেষে দেখবেন তারা বলছে যে সংখ্যাটা আরো বেশি হছে পারে।

তৃতীয়ত, যে জায়গাটায় আপনি হিসেবের তাল হারিয়ে ফেলেছেন, তা হলো, হিউম্যান রাইটস বলছে, কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছে যার মধ্যে ৫ই মে দিনের বেলা ১১ জন, ৬ই মে দিনের বেলা ১৬ জন নিহত হয়েছে। বাকী ৩১ জন নিহত হয়েছে তাহলে রাতের আঁধারে।
আর আপনার আওয়ামি লিগ বলছে রাতের আঁধারে একজনও মারা যায়নি!!


অধিকার আ২৬ জন না, ৬১ জনের লিস্ট করেছে, কনক্রিট লিস্ট। কোনো এস্টিমেশন না। এখন আবার "লিস্টি কই, লিস্টি কই?" বলে বিশেষ এক প্রাণীর তৃতীয় সন্তানের মতো বুলি না আওড়ালেই খুশি হবো। কারণটা এই পোস্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। লিস্ট প্রকাশ করে ঐ পরিবারগুলোকে বিপদে ফেলতে কেউ চাইবেনা।

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
মৃত্যু ৬১ জন। হুমম ! না না, মাত্র ৫/৬ জন। আরে না, সরকার ১১ জনের বেশি মারে নাই। আরে ধুর! ৩০০০ মাইরা গুম কইরা ফালাইছে। উহু! ৫১ ত মারছে নিশ্চিত!
---- মৃত্যু আর আজকাল মৃত্যু নয়, শুধুই সংখ্যা। কোথায় যাচ্ছে দেশ!

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ঠিক বলছেন, সংখ্যা দিয়া মৃত মানুষের ওজন বোঝানো যাবেনা।

তবে হত্যাকারিদের পাপের মাত্রা বোঝাতে আর কি করার আছে বলেন? এইদেশের মিডিয়া কি মারা যাওয়া ছেলেগুলোর পরিবারের কাছে গিয়া তাদের দুঃখের কথা প্রকাশ করার সাহস রাখে?

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মিডিয়ার কথা আর কি বলব! বিন্দুমাত্র ভরসা পাই না আর।

চারদিকে এত এত মৃত্যু! কত অবহেলায়, কত কত তুচ্ছ কারনেই না আমাদের তাজা প্রাণগুলো ঝড়ে যায়! ঢিলের আঘাতে, গনধোলায়, পাহাড় ধস, প্রকাশ্যে কুপিয়ে, লঞ্চ ডুবি, লগি বইঠার আঘাত, ভবন ধস! পুলিশের গুলি! আহা! কত মৃত্যু! কত মৃত্যু!!

গুরু দত্তের মত বলতে হয়, "যেখানে জীবনের চেয়ে মৃত্যু সস্তা, সেই দুনিয়া পেয়ে গেলেও কি আছে তাতে?

কবে যে "মানুষ" আসলেই মানুষ হবে!!

আপনাকে আবার ব্লগে পেয়ে ভাল লাগল। নিয়মিত লেখেন বস। আপনারা লিখলে ভরসা পাই, যে না; এখনও মানুষ নিয়ে কেউ কেউ ভাবে।

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: জ্বিনের বাদশা ভাই,

ভজঘট কারা পাকিয়েছে দেখুন

বিএনপি-জামাত ও তার চ্যালা অধিকার ও Asian HRC ও ভাড়াটে ইকোনমিষ্ট ম্যাগাজিন নির্লজ্জ বেহায়ার মত প্রথম দিকে ৩ হাজার নিহত বলে দাবি করে যাচ্ছিল।
বিএনপি-জামাত পরদিন গায়েবানা জানাজাও পরে। যদিও হেফাজত তাৎক্ষনিক ভাবে এইসব অযাচিত গায়েবানা জানাজা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
এরপরও তারা 'আড়াই হাজার' বলে যাচ্ছিল

কিছুদিন পর মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে তাদের দাবি অসাড় প্রমানিত হওয়াতে তারা বেহায়ার মত ৩ হাজারের দাবি থেকে সরে এসে ১২৬ জন নিহত দাবি করে।
পরে এইসংখা আরো কমিয়ে ৬১ জনে এসে ঠেকে।

কিন্তু কোন নাম দিতে চায় না, বলে নাম দিলে নাকি স্বজনদের উপর অত্যাচার হবে!
ফাজলামো আর কি!

তাহলে ৬ তারিখ সকালে কাঁচপুর-শানার পার এলাকায় পুলিশ-বিজিবির সাথে সংঘর্ষে ৩৩ জন নিহত + ৭ পুলিশ-বিজিবি নিহত হল, এই ৩৩ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেল! সায়েদিকে চাঁদে দেখা নিয়ে বগুড়া, চাপাই, মানিকগঞ্জে মো ১৫০ জন মারা গেল
কই? এদের পরিবারের উপর কোন অত্যাচার হয়রানি হয়েছে বলে তো শোনা যায় নি?

মতিঝিলের ওরা তো আরো নিরিহ, কোন পুলিশ বিজিবি হত্যা করেনি।

আমি হিসেবের তাল হারিয়ে ফেলিনি, দাবিদাররাই তালগোল পাকিয়েছে

প্রথমে - ৩০০০
তারপর - ২,৫০০
এরপর - ১২৬
এর কিছুদিন পর - ৬১

যারা একের পর এক বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানবধিকারের নামে উদ্দ্যেশ্যমুলক প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে! এইসব মতলবি টোকাইদের কথামত " সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি"। একটা ফাজলামো দাবি ছাড়া কিছু না।
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.