নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেহ নই।

শরীফ আজাদ

আমি সব, আমি সবাই, আমিই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। আমি নীরবতা, আমিই কোলাহল। আমি অনুভূতিহীন, আমিই সকল অনুভূতি! আমিই তুমি।

শরীফ আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিওঃ দ্যা জিরো থিওরাম (২০১৩)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭



আপনে কেডা? কইথাইকা আইছেন? দুনিয়াতে কি করতাছেন? কেন করতাছেন? শেষ পর্যন্ত আপনে কই যাইবেন অথবা আপনার আদৌ কোন আল্টিমেট ডেসটিনেশন আছে কি? জীবনের কি কোন অর্থ আছে? নাকি শুধু আইলেন, খাইলেন, হাগলেন, বিয়া করলেন, সেক্স করলেন, বাচ্চা পয়দা কইরা এক সময় পটল তুললেন এইডাই জীবন? এইসব প্রশ্ন নিয়া বহু আগেই বুইড়া বুইড়া দার্শনিকরা অনেক কছলাইছে, মাথা ঘামাইছে, উত্তর খুঁজছে। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর কেউ দিতে পারেনাই। হয়তো পারছে কিন্তু সবাই সন্তুষ্ট হয় নাই। তবে এইসব প্রশ্নের খুব সহজ কিছু উত্তর রিলিজিয়ান দিয়া দিছে, যদিও এইসব উত্তরেও সবাই কনবিন্সড না। তয় এই রিভিও অথবা মুভিটা কি রিলিজিয়ানের বিরুদ্ধে গেল কি গেল না সেই তর্ক মুভি দেইখা নিজের লগে নিজে করা উত্তম। যেহেতু এইসব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর এখনো পাওয়া যায় নাই, তাই মানুষ এইগুলারে নিয়া এখনো কছলায় এবং ভবিষ্যতেও কছলাইব।

মুভির নাম জিরো থিওরাম হওয়ার কারন মুভিটা থিওরি অব গ্রাভিটেশনাল সিঙ্গুলারিটি নিয়া ডিল করছে। উপরোক্ত প্রশ্নগুলাও এই মুভিতে উইঠা আসছে। মুভিতে দেখায় একজন টাকলা মাথার এবনরমাল (?)যুবক একলাই একটা বিশাল বিল্ডিঙে থাকে। দালানে অনেক গুলা ফ্লোর থাকলেও অন্য কেউ এই বিল্ডিঙে থাকেনা। এবং বাইরে থেকে দেখলে বুঝা যায় না ভিত্রে কিরকম হইতে পারে। মুভির কেন্দ্রীয় এই টাকলা পোলাডা অত্যন্ত লাজুক এবং অদ্ভুত। তার ঘরে একটা বিশাল কম্পিউটার আছে, যেইটায় প্রতিদিন সে একটা গেইমের মত কি একটা খেইলা শেষ পর্যন্ত কখনই যাইতে পারেনা। সবচেয়ে অদ্ভুত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হইল পোলাডা চরম অস্তিত্ব সংকটে ভোগে এবং একটা ফোন কলের আশায় প্রতিদিন বইসা থাকে। সে বিশ্বাস করে এই ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারবে জীবনের আসলে কোন অর্থ আছে কিনা। কিন্তু দিন যায়, রাইত আসে, এই ফোন কল আর আসেনা। আদৌ আসবে কিনা সেইটা মুভি দেইখা জাইনা লওয়ার ভার আপনাগো উপর বর্তাইল। পোলাডার মাঝে মাঝে মেজাজ চইরা গেলে কম্পিউটার ভাইঙ্গা ফালায়, কিন্তু লগে লগে করপোরেশনের লোকজন আইসা ঠিক কইরা দিয়া যায়। একটা সুন্দরি মাইয়া তাঁর প্রেমে পরলেও সে লাজুকতা আর অস্তিত্ব নিয়া জটিলতায় থাকায় সাড়া দিতে পারেনা। একসময় যে টের পায় তাঁর পুরা ঘরে ক্যামেরা এবং তাঁর প্রতিটা মুভমেন্ট কেউ একজন মনিটর করতেছে। আরও অনেক অদ্ভুত জটিলতা নিয়া আগাইতে থাকে মুভির কাহিনী।

মুভিটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী আন্ডাররেটেট সাইন্স ফিকশন মাস্টারপিস। মুভিটা শুরু থাইকাই আপানারে একটা অন্য জগতে নিয়া যাইব। নিয়া যাইব আপানার অস্তিত্বের গভীরে। মুভিটার মেইন থিম এক্সিসটেনশিয়াল ক্রাইসিস এবং গুরুত্বপূর্ণ থিম হইল পোস্ট মডার্ন মিজারেবল ফুল অব শিট লাইফ যা করপোরেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আপনে মানেন আর না মানেন। আপনার জীবনের প্রতিটা মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রিত। এবং আপনি যা চিন্তা করেন সেগুলাও আপনের না। আপনে একটা পুতুল, আমিও। মুভিতে এক পর্যায়ে দেখায়, কেন্দ্রীয় পোলাডা যখনি ঘর থাইকা বাইর হইয়া রাস্তায় নামে, লগে লগেই একটা ডিজিটাল এড তাঁর পিছনে লাইগা যায়। এবং এইডা লগে লগেই ঘুরে। আর এই এড এর মূল ভাষ্য হইল “তুমি যথেষ্ট নও”। আপনারে আর আমারে প্রতিদিনই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বোঝানো হয় আমাদের যা আছে তা যথেষ্ট না। আরও লাগবো। কিন্তু ঠিক কতটুকু হইলে যথেষ্ট হইব সেইটা কখনই বলা হয়না। আর আমরা এইডা নিয়া ভাবিওনা। খালি দৌড়াই আরও টাকা, আরও সম্পদ, আরও খ্যাতির পিছনে যেই দৌড়ের কোন শেষ নাই। জীবনে বসে জিরানোর সময় পাইনা। জীবনডারে উপভোগ করা অথবা তা না পারলেও জীবনরে প্রশ্ন করার সময় আর মগজও আমাদের অবশিষ্ট থাকেনা। দৌড়াই আর দৌড়াই। মুভিতে এক পর্যায়ে বোঝায় আপনি আসলে কতটা বড়। এই ব্যাপারে সুফি কবি রুমি বলছিল “তুমি মহা সমুদ্রে এক ফোঁটা জল নও, তুমি আসলে এক ফোঁটা জলে আস্ত একটা সমুদ্র”।

মুভিটা ভিন্ন ধাঁচের, কাহিনী, প্লট অরিজিনাল। আপনি একাকীত্বের রোগী না হইলে মুভিটা আসলে আপনার জন্য বানাইছে। আর যদি আপনি হইয়া থাকেন একজন লোনলি ভদ্র নেকড়ে তাইলে মুভিটা আপনের জন্য টনিক। আর যদি আপনি চিন্তাশীল হন, তাইলে মুভিটা নিয়া বইসা পরা আপনের জন্য ফরজ। হেপি মুভি ওয়াচিং।

আমার রেটিং ৯.৫

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রিভিউয়ের ধরণটা ভাল লাগল। আপনি মুভির এই তথ্যগুলো সংযুক্ত করে দিলে আরো ভাল হতো। লেখার সাথে মিল রেখে বাংলাকরণ করে।


Director: Terry Gilliam
Writers: Pat Rushin (screenplay), Terry Gilliam (additional dialogue)
Stars: Christoph Waltz, Lucas Hedges, Mélanie Thierry
Taglines: Nothing is everything.
Genres: Drama | Fantasy | Sci-Fi
Language: English
Release Date: 19 August 2014 (USA)
Runtime: 107 min
Sound Mix: Dolby Digital
Color: Color | Black and White (surveillance footage)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২

শরীফ আজাদ বলেছেন: আপনারে অনেক ধইন্যবাদ। এইসব তথ্য রিভিওতে দেওন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ঠেকে নাই। তাই দেই নাই।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

মাহাবুব হাসান রািবব বলেছেন: মানুষ আল্লাহ তায়ালার সর্বোত্তম সৃষ্টি। মানুষের শারীরিক অবয়বসহ সব কিছুকেই তিনি এমন অসাধারণ সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন যে, এক কথায় অতুলনীয়। তিনি মানুষকে জ্ঞান-বুদ্ধি, মেধা–মননশীলতা দান করেছেন, সর্বোত্তম রিজিক দিয়েছেন, সৃষ্টির সবাইকে তাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। সর্বোপরি মানব জাতিকে সন্মানের সর্বোচ্চ চূড়ায় যাওয়ার যোগ্যতা দিয়েছেন, তবে এটা তাকে অর্জন করে নিতে হবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ প্রশ্ন আসে যে, আল্লাহ কেন আমাদের সৃষ্টি করলেন? কেন সব সৃষ্টির মাঝে মানুষকে আলাদা মর্যাদা প্রদান করলেন? জমিনে আমাদের মিশন কী? শুধু খাওয়া ও পান করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন? অথবা শুধু মাত্র ক্রীড়া-কৌতুকের জন্য? এরপর যেমনি এসেছিলাম তেমনি চলে যাবো? এরপর সব শেষ হয়ে যাবে?”
কুরআনি চিন্তাধারা অনুসারে মানুষ শারীরিক ও আত্মিক উভয় দিক দিয়ে সর্বোত্তম আকৃতি ও গঠনে সৃষ্ট। [সূরা তীন : ৪] স্বয়ং স্রষ্টা তাঁর ঐশী হাতে [সূরা সাদ : ৭৫] তার রূপ দিয়েছেন যাতে সে তাঁর সকল সৌন্দর্য ও শক্তিমত্তার নাম ও গুণবাচক বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে পারে। মানুষ ব্যতীত সকল সৃষ্টি, যেমন স্থায়ী ও অস্থায়ী জগৎ [পরজগৎ ও ইহজগৎ], ফেরেশতা ও বস্তুজগৎ, দৃশ্য ও অদৃশ্য জগৎ সকল কিছু তার [মানুষের] উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রকৃতি ও অতি প্রাকৃতিক, ইন্দ্রিয় ও অতীন্দ্রিয়, বস্তু ও অবস্তু জগতের প্রতিফলন তার মধ্যে ঘটেছে। তুচ্ছ কাদা মাটি থেকে ঐশী আত্মার সমন্বয় মানুষের অস্তিত্বে ঘটেছে। আল্লাহ্ বলেন : ‘অতঃপর যখন তার গঠন কার্য সুসম্পন্ন করি তখন নিজের আত্মা থেকে তাতে ফুঁকে দেই’ [সূরা হিজর : ২৯ ও সূরা সাদ : ৭২] যাতে মানুষ তার সত্তাগত পূর্ণতায় পৌঁছার মাধ্যমে ঐশী সত্য ও বাস্তবতাকে ধারণের যোগ্যতা লাভ করে। এরূপ ঐশী সম্পদ লাভের কারণে মানুষ সৃষ্টির মধ্যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক অবস্থানে পৌঁছায় । তখন সে সৃষ্টজগতের সকল রহস্য অনুধাবন ও সকল নাম আল্লাহ্‌র নিকট থেকে শিক্ষা লাভ করে- ‘তিনি আদমকে সকল নাম শিক্ষা দান করলেন।’ [সূরা বাকারা : ৩১]।
মানুষ একদিকে ওহীর মাধ্যমে তার অস্তিত্বের রূপকে চিনতে পারে অন্যদিকে এমন এক প্রকৃতির [ফিতরাতের] অধিকারী যা অদ্বিতীয় ও অপরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন । এ দুই ব্যতিক্রমী ও অতি প্রাকৃতিক সম্পদ কেবল মানুষকেই দেয়া হয়েছে। কুরআন মানুষকে আল্লাহ্‌র প্রতিনিধি ও তার আমানতের সংরক্ষক হিসাবে পরিচিত করিয়েছে যাতে মানুষ তার প্রকৃত মর্যাদাকে যথার্থ ও গভীরভাবে অনুধাবন করে। পবিত্র কুরআন মানব-পরিচিতি ও মানুষ তৈরির পূর্ণতম গ্রন্থ যা সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে [সূরা মুমিনূন : ১৪] ব্যাখ্যা করা, শিক্ষা দান ও প্রশিক্ষিত করার সর্বোত্তম বাণী [সূরা যুমার : ২৩] নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এ গ্রন্থে সর্বাপেক্ষা সুদৃঢ় পথনির্দেশনা [সূরা বনি ইসরাইল : ৯] সুন্দরতম গঠনের সৃষ্টির জন্য বর্ণিত হয়েছে। এ মানুষের মধ্যে যেমন সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন বিষয় [পবিত্র কুরআনের মুহকাম বা সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন আয়াতের ন্যায়] রয়েছে তেমনি তার মধ্যে অস্পষ্ট বিভিন্ন রূপ ব্যাখ্যামূলক বৈশিষ্ট্যও [কুরআনের মুতাশাবিহ আয়াতের ন্যায়] রয়েছে। মানুষের অস্তিত্বের প্রাকৃতিক ও প্রবৃত্তিগত [জৈবিক] দিক যা তার অস্পষ্ট ও বিভিন্ন রূপ ব্যাখ্যাকারী দিক তাকে তার অস্তিত্বের সুদৃঢ় ও দ্ব্যর্থহীন ঐশী প্রকৃতির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতে হবে যাতে ওহীর ভিত্তিতে মানুষকে চেনার ক্ষেত্রে কোনো রূপ শূন্যতা, অস্পষ্টতা ও ঘাটতি না থাকে। মানুষ কুরআনের আলোতে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়কে জানবে এবং তার সত্তাগত রূপ ওহীর মধ্যে অনুসন্ধান করবে। কারণ, মানুষের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ব্যাখ্যা কুরআনের আলোয় বাস্তবরূপে আবির্ভূত হয়।’
মানুষের পরিবর্তন, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও পূর্ণতার উপকরণসমূহ সম্পর্কে জানতে চাইলে মানুষের সত্তাগত পরিচয় ও অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ, যতক্ষণ পর্যন্ত না জানব যে, মানুষ কী এবং তার অস্তিত্ব ও সত্তাগত পরিচয় কী, ততক্ষণ তার শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দৃষ্টিভঙ্গি, প্রবণতা ইত্যাদির প্রকৃতি ও ধরন নির্ধারণে সক্ষম হবো না। মোট কথা, মানুষের জ্ঞান, কর্ম ও ব্যবহারিক বিকাশ ও আত্মগঠনের জন্য তার পরিচয় লাভ অপরিহার্য। বর্তমান পৃথিবীতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যে বিভিন্নতা [চিন্তাগত, কাঠামোগত ও পরিকল্পনাগত রূপে] লক্ষ্য করা যায় তার মূলে রয়েছে মানুষ সম্পর্কে প্রত্যেক চিন্তাধারার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি। তাই এক্ষেত্রে সর্বোত্তম হলো মানুষের পরিচয়কে তার সৃষ্টিকর্তার বাণী থেকে উদ্‌ঘাটন করা। এ উদ্দেশ্যেই মহান আল্লাহ্ তাঁর প্রতি বিশ্বাসীদের উদ্দেশে বলেছেন : ‘হে যারা ঈমান এনেছো! তোমাদের নিজেদের [সম্পর্কে জানা ও আত্মগঠনের] দায়িত্ব তোমাদের ওপরই ন্যস্ত’ [সূরা মায়েদা : ১০৫]। অর্থাৎ তোমাদের অস্তিত্বের গভীরে অনুসন্ধান কর এবং নিজেদের সম্পর্কে জ্ঞানগত ধারণা অর্জন ও অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে স্বীয় বাস্তব রূপকে দর্শন কর যাতে তোমাদের সঠিক দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হতে পার। এ কারণেই কোনো কোনো মনীষী বলেছেন : ‘আত্মপরিচিতি সবচেয়ে কল্যাণকর জ্ঞান।’২ পূর্ণতা ও বিকাশ লাভ এবং আত্মপরিশুদ্ধির পথকে মসৃণ করার উপকরণ হলো আত্মপরিচিতি। আয়াতুল্লাহ্ জাওয়াদী আমুলীর ভাষায় : ‘এ জ্ঞান [আত্মপরিচিতির জ্ঞান] একদিকে চিন্তাগত ও তাত্ত্বিকভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকে পরিশুদ্ধ করে অন্যদিকে ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও বুদ্ধিবৃত্তিকে পরিশুদ্ধতা দান করে।’৩ অতএব, মানুষের সর্বোত্তম পরিচয় দানকারী হলো পবিত্র কুরআন এবং তার সর্বোত্তম প্রশিক্ষক ও পূর্ণতা বিধায়ক হলো ‘পূর্ণ মানব’ যিনি ঐশী প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত। যদি মানুষ নির্বাক কুরআন [ঐশী গ্রন্থ] এবং সবাক কুরআনের [পূর্ণ মানব] মাধ্যমে নিজেকে চিনে ও তাদের নির্দেশিত পথে চলে তবে সাফল্য ও সৌভাগ্য লাভ করবে। কারণ, পবিত্র কুরআন ও পূর্ণ মানব [ইনসানে কামেল] মানুষের পূর্ণতা ও বিকাশের সহযোগী [প্রভাবক] ও প্রতিবন্ধক উপাদানসমূহ, তার উত্থান ও পতন এবং পথপ্রাপ্তি ও বিচ্যুতির কারণসমূহকে সর্বোত্তমরূপে বর্ণনা করেছে।
মানুষ খোদা তাঁয়ালার আজব সৃষ্টি। বৈচিত্র তাঁর গঠন, আকার-আকৃতি, হাঁটা-চলা, বলা-কলা। শৈল্পিক তাঁর প্রতিভা। আকর্ষণীয় তাঁর দেহ-সৌষ্ঠব। কাব্যিক সুসমায় ভরা তার কথা। সৃজনশীল তাঁর প্রতিভা। পবিত্র কুরআন শরীফে মানুষকে সর্বোত্তম সৃষ্টি, দুর্বলতম সৃষ্টি, নাপাক পানি থেকে সৃষ্টি- এসব নামে অভিহিত করা হয়েছে। আবার বলা হয়েছে মানুষ যখন তার মনুষ্যত্ব হারায় তখন সে জন্তু জানোয়ারের চাইতেও অধম হয়ে যায়। মানুষ তার চিন্তা-চেতনা, কাজ-কর্ম, সাধনায়-অরাধনায় ফেরেস্তাদেরকেও পিছনে ফেলতে পারে। আসলেই মানুষ ফেরেস্তাদের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। মানুষ হল আশরাফুল মাখলুকাত। কিন্তু একটা বিষয় আমাকে ভাবনায় নিমজ্জিত করে। চিন্তা করেও এর কোনো কূল কিনারা করতে পারিনা যে মানুষ আবার মানুষকেই কেন প্রজা বানায়। আমরা সবাই তো মানুষ তবুও কেউ আমীর কেউ ফকির কেন হব। সব মানুষের ভেতর থেকে গুটি কয়েক মানুষ হয়ে ওঠে অশ্চর্য রকমভাবে ক্ষমতাবান। ক্ষমতাবান মানুষরা ক্ষমতার গুটি চালে দুর্বল মানুষদের উপর। মানুষ মানুষকে চাকর বানায়। আবার এই মানুষই সুযোগ বুঝে সমাজের অসহায় মানুষগুলোর উপর মধ্যযুগীয় বর্বর নীতি চালু করে। সামান্যতে মানুষ মাথা গরম করে ফেলে আবার একটু ভালবাসা ফেলে সে মোমের মত গলে যায়। মানুষ মানুষকে ভালবাসে। ভালবাসার জন্য সে জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দেয়। মানুষ মানুষকে ঘৃণা করে। ঘৃণার মাত্রা এতটাই বাড়ে যে সে অবশেষে খুন করেই ক্ষান্ত হয়। মানুষ মানুষকে বেইজ্জতি করে। সুযোগ ফেলে অপমান-অপদস্ত করতেও ছাড়ে না। মামলায় জড়িয়ে ঘর ছাড়া করে। আবার মানুষ মানুষকে এত সম্মান করে যে অনেক সময় সৃষ্টিকর্তার আসনেও বসিয়ে ফেলে যা সৃষ্টিকর্তার সাথে স্পষ্ট বেয়াদবিরই সামিল। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, তিনি মানব জাতীর সকল গুনাহ মাফ করবেন কেবল তার ক্ষমতায় ভাগ বসানো ব্যাক্তি ব্যাতিরেকে। মানে তাঁর সাথে অংশিদারিকে তিনি কিছুতেই ক্ষমা করবেন না।
মানুষ আল্লাহ তায়ালার সর্বোত্তম সৃষ্টি। সব সৃষ্টির মাঝে মানুষকে আল্লাহ তায়ালা সর্বোত্তমভাবে সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরানের একটি সুরায় চারটি জিনিসের কসম দিয়ে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেছেন, আমি মানুষকে সর্বোত্তম ছাঁচে তৈরি করেছি। আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেছেন, আমি মানুষকে সম্মানিত করেছি। মানুষকে উত্তমভাবে সৃষ্টি করা এবং তাকে সম্মানিত করার কারণ কী? কারণ হলো, মানুষকে যে কাজটি প্রদান করা হয়েছে, যে দায়িত্ব দিয়ে মানবজাতিকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে, সেটি হলো উত্তম কাজ। সুন্দর আমল, ভালো কাজ এবং সুন্দর কর্মসূচি পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু দিয়ে সমৃদ্ধভাবে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তায়ালা। সর্বোত্তমভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং উত্তম কাজের জন্য প্রদান করেছেন সর্বোত্তম গাইড বই পবিত্র কোরান। মানুষ আল্লাহ তায়ালার সব সৃষ্টির মধ্যে উত্তম। অন্য সৃষ্টিগুলোও উত্তম, কিন্তু মানুষ হলো সর্বোত্তম। অন্যসব সৃষ্টি এবং মানুষের সৃষ্টির মধ্যে কোনো ধরনের ত্র“টি-বিচ্যুতি নেই। মানুষকে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে তার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছে মানুষকে। যদি ন্যায় প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব থেকে মানুষ বিরত থাকে, তবে আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানোর উদ্দেশ্য বিঘ্নিত হবে। যে সুন্দর কাজ করার জন্য মানুষকে সুন্দরভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেই সুন্দর কাজ না করা হলে সুন্দর সৃষ্টির কোনো দাম থাকবে না। আর মানুষ যখন তার দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে আদায় করবে, তখন তাকে আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে সর্বোত্তম বিনিময় প্রদান করা হবে।
মানুষ সর্বোত্তম সৃষ্টি, তার কাজ সর্বোত্তম এবং তার কাজের বিনিময় সর্বোত্তম। মানুষের সর্বোত্তম বিনিময় জান্নাত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সৎকর্মশীলদের আমি এমন বিনিময় প্রদান করব, কোনো চোখ কখনো যা দেখেনি, কোনো কান কখনো যা শোনেনি এবং কোনো অন্তর কখনো যা ভাবেনি। পক্ষান্তরে সর্বোত্তম সৃষ্টি এই মানুষ যখন তার সুন্দর দায়িত্ব বা সর্বোত্তম দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তখন তাকে বলা হয় পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। মূল কথা হলো মানুষকে বিবেক ও জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো সৃষ্টিকে প্রদান করা হয়নি। মূলত এই বিবেক-জ্ঞানের বিবেচনায়ই মানুষ সর্বোত্তম সৃষ্টি। বিবেক-জ্ঞানই হলো মানুষের শ্রেষ্ঠ-অশ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হওয়ার মূল মাপকাঠি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

শরীফ আজাদ বলেছেন: ধইন্যবাদ।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

মহা সমন্বয় বলেছেন: “তুমি মহা সমুদ্রে এক ফোঁটা জল নও, তুমি আসলে এক ফোঁটা জলে আস্ত একটা সমুদ্র।
উক্তিটি খুবই ভাল লাগল।

মুভিটি দেখতে হবে আর অবশ্যই দেখতে হবে এক্ষুনি ডাউনলোড দিতে হবে.. কাম কাজ সব বাদ আগে জীবনের গূঢ় রহস্য উদঘাটনট কইরা লই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

শরীফ আজাদ বলেছেন: দেইখা ফালান। শুভ কামনা রইল।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: মাহাবুব হাসান রািবব @ মন্তব্যটিও মন ছুঁয়ে গেল।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

রেওয়ান বলেছেন: ডাউনলোাডিং......................................।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

শরীফ আজাদ বলেছেন: :)

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২

রেওয়ান বলেছেন: http://www.imdb.com/title/tt2333804/

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

শরীফ আজাদ বলেছেন: ধইন্যবাদ।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনে মানেন আর না মানেন। আপনার জীবনের প্রতিটা মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রিত। এবং আপনি যা চিন্তা করেন সেগুলাও আপনের না। আপনে একটা পুতুল, আমিও। - সহমত।
রিভিউ চমৎকার লিখেছেন। মুভিটা দেখন লাগব।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

শরীফ আজাদ বলেছেন: দেখি ফালান। অনেক ধন্যবাদ :)

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভি কমন পড়ে নাই। তবে পরিচালকটা কমন পড়েছে। টেরি জিলিয়ান। ইনসেন বিউটি! প্রতিটা ছহবিই তার আলাদা। তার পরিচালিত ছবিগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয়, Fear and loathing in las vegas. জনি ডেপ এবং বেনিসিও দেল তোরো ফাটায়া অভিনয় কর্সে। ড্রাগস নিয়া মুভি। চরম। এছাড়া টুয়েলভ মাংকিসও অসাধারণ একটা সাই-ফাই। টাইডল্যান্ড একটু বেশিই বিচিত্র। এগুলো দেখেছেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

শরীফ আজাদ বলেছেন: টুয়েলভ মাংকিস দেখছি, বাকি গুলা দেখি নাই। ধন্যবাদ এই গুলার সন্ধান দেওয়ার জন্য :)

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ডি মুন বলেছেন:
রিভিউ এর স্টাইলটা ভাল্লাগছে।
মুভিখান দেখবার ইচ্ছা জাগল।

ধইন্যবাদ :)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শরীফ আজাদ বলেছেন: দেইখা ফালান। আপনারেও ধইন্যবাদ :)

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

কালনী নদী বলেছেন: সুন্দর রিভিউ! প্রিয়তে তুলে রাখলাম পরে সময় করে দেখে নিবো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

শরীফ আজাদ বলেছেন: দেখে নিয়েন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: রিভিয়ুর স্টাইল খুব ভালো লাগলো ! ছবিটা অবশ্যই দেখতে হবে

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

শরীফ আজাদ বলেছেন: দেইখা ফালান। আপনারে ধইন্যবাদ :)

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৫

মন ও মানুষিকতা বলেছেন:
বড় প্রীত হইলাম, ,,মুভির চাইতে রিভিউ টাই মনে হয় বেশি মজা হইছে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

শরীফ আজাদ বলেছেন: আপনারে ধইন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.