নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেহ নই।

শরীফ আজাদ

আমি সব, আমি সবাই, আমিই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। আমি নীরবতা, আমিই কোলাহল। আমি অনুভূতিহীন, আমিই সকল অনুভূতি! আমিই তুমি।

শরীফ আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শোষণ, বন্ধিত্ব ও মানুষের মুক্তি-ফোবিয়া

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২



সাধারণ মানুষ ইনডিভিজুয়াল লেভেলে ব্যক্তি স্বাধীনতা আর সমতায় মোটামুটি বিশ্বাস করলেও, কালেকটিভ লেভেলে মোটেও তা করে না। গুটি কয়েক এলিট শ্রেণীর লোকজন তাঁদেরকে যুগ যুগ ধইরা শাসন ও শোষণ দুইটাই সমহারে কইরা যাবে এইটা তাঁরা পুরাপুরি মাইনা নেয়। এবং শাসকের শোষণ নিয়া সাধারণ মানুষের মনে যেন কোন প্রশ্ন না জাগে সেই জন্যে শাসকরা কিছু “ইমাজিনড অর্ডার” তৈরি কইরা রাখে। তারপর তাঁরা সেই অর্ডারগুলারে “ডিভাইন অর্ডার” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং মানুষরে বুঝাইয়া দেয় যে এইসব অর্ডার মাইনা না চললে সমাজের শৃঙ্খলা ঠিক থাকব না। সাধারণ মানুষ এইটারে মাইনাও নেয়, তাঁরা ভাবে যে আসলেই তো ‘শাসক আর অর্ডার না থাকলে সমাজ চলব ক্যামনে!’ তারপর চলতে থাকে শোষকের রক্ত চুষাচুষি। এইসবের বিরুদ্ধে কেউ যখন আওয়াজ তোলে তখন তাঁরে বলা হয়, রাষ্ট্রদ্রোহী কিংবা সন্ত্রাসী। মিশরের ফেরাউনদের আমলে যদি কোন সাধারণ মানুষরে বলা হইত যে এমন একটা সময় আসবে যখন আর ফেরাউনরা শাসক থাকব না, তাঁদের পতন হইব, তখন হয়তো তাঁদের চক্ষু কপালে উইঠা যাইত আর ভাবত, “পাগল নাকি! ফেরাউন ছাড়া ক্যামনে শাসন ব্যবস্থা টিকা থাকব!” ফেরাউনরা যখন তাঁদের ঘরের আরাম কেদারায় আরাম করতে করতে বাইরে তাকাইত, জানালা দিয়া দেখতে পাইত মাঠে রোদে পুইড়া কিভাবে কৃষকরা কাজ করতেছে। এবং ঐসব কৃষকরা দিন শেষে একটা শসা খাইতে পাইলেই সেইটারে আশীর্বাদ মনে করতো। কখনো তাঁদের আর ফেরাউনদের মাঝে যে অসমতা বিরাজ করতেছে সেইটা নিয়া তাঁরা ভাবত না, বরং ভাবত এইটাই ঠিক আছে।

এইসব শাসন আর শোষণ শুরু হইছে কৃষি বিপ্লবের পর থাইকা। শিল্পায়নের যুগে আইসা সেইটা অন্য রূপ ধারণ করছে। কৃষি বিপ্লবের আগের সময়টায় মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ ছিল না, এমনকি প্রকৃতির সাথেও মানুষের কোন দূরত্ব ছিল না। এই জন্যে এক ইতিহাসবিদ কৃষি বিপ্লবরে বলছিল ইতিহাসের “বিগেস্ট ফ্রড”।

এখন সময় অনেক বদলাইছে। মানুষ নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হইছে। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে মজার বিষয় হইল, সেই “ইমাজিনড অর্ডার” এর অস্তিত্ব এখনো রইয়া গেছে। এখনো শিক্ষিত জনগণ ডিসিপ্লিনের দোহাই দিয়া শোষকের আইনরে ভ্যালিডেট কইরা নেয়। তাঁরা এর বাইরে যাইতে ভঁয় পায়, মুক্তি তাঁদের কাছে একটা আতঙ্কের বিষয়। তাঁরা ভঁয় পায় যে এই ডিসিপ্লিন না থাকলে পৃথিবীতে একটা কেয়স সৃষ্টি হবে। অথচ তাঁরা কখনো মহাবিশ্বের “প্যাটার্নড কেয়স”রে দেখতে পায় না। তাঁরা দেখতে চায়ও না, কারণ তাঁরা তা সহজে হজম করতে পারে না। যুগে যুগে তাঁদের সেই হজম শক্তি নষ্ট কইরা দেওয়া হইছে। আর তাঁদের এই ইগনরেন্সের সুযোগ নিয়া শোষকরা আর ব্যবসায়ীরা শোষণ আর ব্যবসা দুইটাই কইরা যাইতেছে নির্বিচারে।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: ধর্মের দোহাইও একপ্রকার ভাঁওতাবাজী বলেই প্রতিপন্ন হয়। এই ইস্যু চাগিয়ে সাধারণ মানুষকে উছলে দেয়া হচ্ছে।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: একশ্রেণী নিয়ম শৃঙ্খলার নামে শোষণ করছে। আর আরেক শ্রেণী শোষিত হচ্ছে। তারা মেনে নিয়েছে এইডাই তাদের নিয়তি বা জীবন।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা জটিল হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.