নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেহ নই।

শরীফ আজাদ

আমি সব, আমি সবাই, আমিই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। আমি নীরবতা, আমিই কোলাহল। আমি অনুভূতিহীন, আমিই সকল অনুভূতি! আমিই তুমি।

শরীফ আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাণ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮



মহাবিশ্বের কাছ থাইকা আমরা যা চাই, আর মহাবিশ্ব আমাদেরকে যা দেয় তাঁর মধ্যে বিশাল কনফ্লিক্ট। আমরা চাই মিনিং, অর্ডার, পারপাস, আর রিজন, কিন্তু মহাবিশ্বে আছে শুধু ফর্মলেস কেয়স (formless chaos). আর যেইসব ডিসিপ্লিন আমরা দেখতে পাই, এইগুলা জাস্ট মাইক্রো লেভেলে আমাদের সেন্স পারসেপশন। বিগ পিকচারে সবই আওলাঝাউলা।

এই কনফ্লিক্টের মধ্যে বাইচা থাকার সবচাইতে সহজ পন্থা হইল ডিনায়াল (Denial). অর্থাৎ চোখের সামনে যা ঘটে সেইটারে ডিনাই কইরা নিজের তৈরি ইমাজিনারি রিয়্যালিটি নিয়া বাইচা থাকা। এইটাই প্রায় আমরা সবাই করি। আর কঠিন পন্থাটা হইল, রিয়্যালিটিরে একসেপ্ট কইরা তাঁর সাথে নিজের একত্বতা উপলব্ধি কইরা এক হইয়া যাওয়া, যেইটারে সিদ্ধার্থ গৌতম কয় – নির্বাণ।

নির্বাণ।। নভেম্বর, ০৬, ২০১৭।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



গৌতম আপনার মত এতো "কনফ্লিক্ট মনফ্লিক্ট" বুঝতেন বলে মনে হয় না; আপনার ভাবনা বড়, নাকি গৌতমের ভাবনা বড়?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

শরীফ আজাদ বলেছেন: কেউ কারো চাইতে বড় হয় না, ছোটও না। প্রত্যেকেই ইউনিক।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

ওয়াজেদ বিপ্লব বলেছেন: মহাবিশ্বে যদি শুধু formless chaos -ই থাকে, তবে মহাবৈশ্বিক বাস্তবতা (Reality) -ই হল এই Chaos. তাহলে এই বাস্তবতাকে অ্যাকসেপ্ট করার মানেই হল, নিজেও এই Chaos -এর একটা অংশ হয়ে যাওয়া। শুনতে নির্বাণ যতটা পজিটিভ মনে হচ্ছে, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তা না!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

শরীফ আজাদ বলেছেন: নির্বাণ পজিটিভ-নেগেটিভের ঊর্ধ্বে।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"লেখক বলেছেন: কেউ কারো চাইতে বড় হয় না, ছোটও না। প্রত্যেকেই ইউনিক। "

-আমার ধারনা, আপনি ইউনিক, অপরিচিত ইউনিক; স্টিফেন হকিংও ইউনিক, পরিচিত ইউনিক!

-গৌতম আপনার চেয়ে বেশী বুঝতেন, সন্দেহ নেই

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

শরীফ আজাদ বলেছেন: বেশী বোঝা দিয়া বেশী বোঝাই বোঝায়। বেশী বোঝা, কম বোঝা কাউরে বড়-ছোট করে না। গৌতমের কথা উল্লেখ করা মানে তারে বড় কইরা দেখা না, মানে হইল সে তার রিয়েলিজেশন শেয়ার কইরা গেছে যেইটা এখন যে কেউ চাইলে পাইতে পারে। নির্বাণ কোন বিশেষ ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য না।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: নিউটন বলেছেন,
"যেহেতু বিশ্বে অসীম স্থিতি বলতে কোনও বস্তু নেই, সুতরাং অসীম গতিরও অস্তিত্ব নেই।"
সবই আপেক্ষিক। আপনি ভালো তো জগৎ ভালো মনে হবে।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২

ওয়াজেদ বিপ্লব বলেছেন: আপনার লেখায়- নিজের মহাবৈশ্বিক বাস্তবতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো অস্তিত্বে কুলোয়নি দেখে সে এরই মধ্যে নিজের নির্বাণ খুঁজে পেয়েছে। নির্বাণ পজিটিভ-নেগেটিভৈর কতটা উ্‌র্ধ্বে বুঝতে চাইছিলাম। আপনি ইউনিভার্সের কথা আনায় আমার মাল্টিভার্সের কথা মনে পড়ে গেল। প‌্যারাল্লেল ইউনিভার্সে যার বাস তার সচেতনতায়/সেন্সে- আপনার এই নির্বাণ আসলে কি? আপনার ইউনিভার্সাল রিয়েলিটি বা Chaos -কে সত্য মেনে তার মধ্যে সমর্পিত এক সত্তা, যে সমর্পণের নাম আপনি দিচ্ছেন নির্বাণ; আমি বলছি অস্তিত্বের পরাজয়। যে অস্তিত্ব তার সচেতনতায় নিজের মহাবৈশ্বিক Chaos -কে ডিফাইন করতে পেরেছিলো, সে চেয়েছিলো - অর্ডার, রিজন, মিনিং-- বড়্ই আশ্চর্য- আপনি কিন্তু অস্তিত্বের এই চাওয়ার উৎসস্থলে যেতে চাননি। অথবা হয়তো যেতে চাননা। আপনার ওদিকে কোন আগ্রহ নাই। হয়তো তাতে আপনার নির্বাণ বিপথগামী হবে। কোথা থেকে এলো তার এই চাওয়া, অর্ডার, মিনিং আর রিজনকে সে নিজের সচেতনতায় ডিফাইনই বা করলো কিভাবে নিজের জৈবদেহকে ছাড়িয়ে? এই চাওয়া কি সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারতো না? আপনি যাকে অস্তিত্বের নির্বাণ বললেন, তাতো আসলে শেষবিচারে অস্তিত্বের পরাজয় বৈ ভিন্ন কিছু নয়।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

শরীফ আজাদ বলেছেন: যে অস্তিত্ব তার সচেতনতায় নিজের মহাবৈশ্বিক Chaos -কে ডিফাইন করতে পেরেছিলো, সে চেয়েছিলো - অর্ডার, রিজন, মিনিং-- সে কেন এইটা চায় সেই চাওয়ার উৎসস্থলে যাওয়ার পরেই সে আল্টিমেট রিয়্যালিটিরে রিয়েলাইজ করে - সেইটাই নির্বাণ। আর এর পরে জীবনের কোন সংগ্রাম থাইমা যায় না, খালি এটিটিউড চেঞ্জ হয়, আর এই চেঞ্জটারে আপনার বর্তমান কমপালসিভ মাইন্ডের কাছে পরাজয় বইলা ঠেকতেছে।

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

ওয়াজেদ বিপ্লব বলেছেন: প্রাণ, জীবন, দেখা-দর্শন; এমনকি আমরা মাইক্রোলেভেলে পারসেপশন যে চোখ দিয়ে করছি, সেটারও বিবর্তন/ক্রমবিকাশ হচ্ছে। এই যখন অবস্থা, তখন আপনার আল্টিমেইট রিয়েলিটি -র আলটিমেসি কিভাবে ডিফাইন্ড হয়? আল্টিমেইট রিয়েলিটি- কি বোঝায় যখন আপনার আর আমার ফ্রেইম অব রেফারেন্স ভিন্ন? আপনি নির্বাণকে সংজ্ঞায়িত করছেন, মহাবিশ্বকে ফ্রেইম অব রেফারেন্স ধরে, যেখানে আমি সম্ভাবনাকে আরেকটু বাড়িয়ে প্যারাল্লেল ইউনিভার্স কিংবা মাল্টিভার্স থেকে নির্বাণকে দেখতে চেয়েছিলাম।

নির্বাণের পরে অ্যাটিটিউড-ইতো থাকার কথা নয়। নির্বাণের পরও যদি জীবনের সংগ্রাম চলে, অ্যাটিটিউড থাকে, এবং তাতে কিছুটা চেইঞ্জ আসে; তাহলে আপনার সংজ্ঞায়িত নির্বাণ আবার ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়। নির্বাণেরও পর্যায় বা ধাপ থাকতে পারে যেটা অ্যাটিটিউডের আরো চেইঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। আর নির্বাণের চূড়ান্তে আপনার দর্শন অনুযায়ী জীবন-সংগ্রাম বলে আর কিছু থাকার কথা নয়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

শরীফ আজাদ বলেছেন: সবকিছুই ক্রমবিকাশমান, কোন কিছুই স্থির হইয়া থাকে না - রিয়েলটির এই ন্যাচাররেই বলা হয় আল্টিমেট রিয়্যালিটি। মহাবিশ্বরে এইখানে ফ্রেম অব রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় নাই। এইটা পুরা অস্তিত্বরেই বোঝায়, প্যারালাল ইউনিভার্স সহ। কোথায় কে কিভাবে নির্বাণরে দেখে সেইটা স্টুপিড কুয়েশ্চেন। কারণ নির্বাণ কোন পারপেসকটিভ না। এইটা উপলব্ধি।

নির্বাণের পরে অ্যাটিটিউড থাকবে না কেন? নির্বাণ হইল কমপালসিভ মাইন্ডের ছোট্ট গণ্ডি থাইকা বাইর হইয়া রিয়্যালিটিরে মিট করা। এইটার কারণে কারো নাওয়া-খাওয়া, সেক্স করা, হাগু করা কোন কিছুই বন্ধ হইয়া যায় না। সবকিছুই তার নিজের মত চলতে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.