নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাদারি

মাদারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কর্মীদের ৭৬ মামলা: আড়ালে কর্পোরেট শ্রম শোষণের অন্ধকার

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

এলার্ম আসলেই তাদের ছুটতে হয়- পাওয়ার এলার্ম, ফায়ার এলার্ম, হাই টেম্পারেচার, লো ভোল্টেজ ইত্যাদি যেসব এলার্ম বা বিপদ সংকেত মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার বা বিটিএস এর জন্য বিপদজনক, সেসব এলার্ম আসলে যে মানুষগুলো সবার প্রথমে ছুটে যায় টাওয়ার থেকে টাওয়ারে তারা বাংলালিংকের নীচু তলার কর্মী, টেকনিশিয়ান। দিন রাত যে কোন সময়, শীত বর্ষা বন্যা ঝড় যাই থাকুক তাদেরকে ছুটতে হয়। তারা বিটিএস রুমের মেইন ডিস্ট্রিবিউশান বোর্ডের ইলেক্ট্রিক্যাল মেনটেনেন্স, বিটিএস থেকে বিটিএস এ ঘুরে ঘুরে জেনারেটর চালানো, জেনারেটর সার্ভিসিং, ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্যবার সিড়ি বেয়ে বহুতল ভবনের ছাদে উঠা থেকে শুরু করে কয়েকশ ফুট উচু টাওয়ারে উঠে মাইক্রোওয়েভ এন্টেনার ট্রাবলশুটিং ইত্যাদি সকল বিপদজনক,দূরহ, ঝুকিপূর্ণ কাজগুলো মূলত তারাই করে। এদেরকে বিএসএস অফিসার, এনএসএস অফিসার ইত্যাদি গালভরা ডেসিগনেশান বা পদবী দেয়া হলেও বাংলালিংকের কর্পোরেট জগতে কিন্তু তাদের স্থান নেই- তারা অস্থায়ী কর্মী, তাদের চাকুরি কন্ট্রাক্টচুয়াল বা চুক্তি ভিত্তিক। কন্ট্রাক্টচুয়াল হিসেবে রেখে দিয়ে বছরের পর বছর ধরে তাদেরকে প্রাপ্য সমস্ত অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়, তাদেরকে পার্মানেন্ট করা হয় না। কারণ পার্মামেন্ট করা হলেই এদেরকে ‘বাড়তি’ বেতন দিতে হবে, নানান সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে- যার ফলে কর্পোরেট কোম্পানির মুনাফা কমে যাবে।



তাদের চাকুরির কোন নিশ্চয়তা নাই, মুখের কথায় কারো চাকুরি চলে যেতে পারে। ছয় মাস বা একবছর পর পর তাদের কন্ট্রাক্ট নবায়ণ করা হয়- অবশ্য যদি মুখ বুজে যা করতে বলা হয় তাই করে, কোন আপত্তি বা গাইগুই না করে তবেই। ফলে জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তাদের কাটে না। বাংলালিংকের একজন পার্মামেন্ট বা স্থায়ী কর্মী যে অধিকার গুলো পায় তার সব কিছু থেকেই তারা বঞ্চিত: তাদের কোন বার্ষিক ছুটি নাই, ইনক্রিমেন্ট নাই, স্থাস্থ্য বীমা বা স্বাস্থ্য সেবা নাই, প্রভিডেন্ড ফান্ড নাই, প্রমোশন নাই, স্থায়ী কর্মীর তুলনায় বেতন অনেক কম - মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা। বাধ্যতামূলক ওভারটাইম করতে হয় মাসে এমনকি ১০০ ঘন্টারও বেশি অথচ বেতন দেয়ার সময় ৪০ ঘন্টার চেয়ে বেশি ওভার টাইমের টাকা দেয়া হয় না। এমনও অনেক কর্মী আছেন যারা ৭ বছরেরও বেশি সময় বাংলালিংকে কাজ করলেও তাদেরকে স্থায়ী করা হচ্ছে না। স্থায়ী করার কথা তুললেই হুমকী দেয়া হয় চুক্তি নবায়ণ না করার, বলা হয় কাগজ পত্র অনুযায়ী তোমাদের চাকুরির মেয়াদ ছয় মাস বা এক বছরের বেশী না। এই জালিয়াতিটি করবার জন্য কন্ট্রাক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কয়েকদিন গ্যাপ দিয়ে তারপর নতুন করে কন্ট্রাক্ট করা হয় যেন কেউ বলতে না পারে সে টানা ৫/৭ বছর ধরে কাজ করছে!



এরকম একটা পরিস্থিতিতেই বাংলালিংকের ৭৬ জন অস্থায়ী কর্মী তাদের চাকুরি স্থায়ী করার দাবীতে শ্রম আদালতে গত ৪ অগাষ্ট পৃথক ভাবে ৭৬টি মামলা রজ্জু করেছে। আদালত তাদের মামলা গ্রহণ করে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে জাবাবদিহি করার জন্য নোটিশ দিয়েছে, নোটিশটি বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের কাছে ১৯ আগষ্ট পৌছেছে।





ছবি:শ্রম আদালত থেকে পাঠানো বাংলালিংককে পাঠানো রুল(নিরাপত্তার সার্থে মামলাকারীর নাম মুছে দেয়া হলো)



এত দিন পার হয়ে গেল, অথচ এটা নিয়ে পত্রপত্রিকাতে কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কোন সংবাদ প্রচারিত হলো না। লাখ লাখ টাকা বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদেরকে কিনে রেখেছে বাংলালিংকের মতো কর্পোরেট কোম্পানিগুলো। সরকার বা শ্রম মন্ত্রণালয়েরও এ বিষয়ে কোন তদারকি নেই যদিও শ্রম আইন ভঙ্গ করেই কোম্পানিগুলো এই কাজ গুলো করছে।



বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুসারে:

“কোন শ্রমিককে সাময়িক শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ সাময়িক হয়।”

“কোন শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ এমন কোন কাজের জন্য হয় যা একান্ত ভাবে অস্থায়ী ধরণের এবং যাহা সীমিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”

(সূত্র: শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ৪(৪), ৪(৫))



বাংলালিংকের এই কর্মীদের নামের সাথে অফিসার কথাটি যুক্ত থাকলেও এরা ম্যানেজারিয়েল কাজ করেনা, এদেরকে গায়ে গতরে পরিশ্রমই করতে হয়, এরা বস্তুত দক্ষ শ্রমিক। এদের কাজটি সাময়িক নয় কারণ বছরের পর বছর ধরে তারা এই কাজ করছে। এদের কাজকে অস্থায়ীও বলা যাবে না কারণ এরা যে অপারেশন ও মেনটেনেন্সের কাজগুলো করে সে কাজগুলো অস্থায়ী ধরণের নয় কিংবা সীমিত সময়ের জন্যও নয়; যতদিন মোবাইল কোম্পানি সার্ভিস দিবে, ততদিনই এই কাজগুলো করতে হবে। বাংলালিংকের এইচআর পলিসি অনুসারেও এই ধরণের রুটিন কাজ সম্পন্নকারীদেরকে অস্থায়ী বা সাময়িক শ্রমিক বলা যাবে না।



ছবি: বাংলালিংকের এইচ আর পলিসি অনুসারেও এই কর্মীদেরকে



ফলে এই দক্ষ শ্রমিক বা কর্মীদেরকে আইনগত ভাবে এভাবে অস্থায়ী বা টেমপরারি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে শ্রম শোষণ করা বৈধ নয়। কিন্তু এ বিষয়ে রাষ্ট্রের কোন তদারকি বা নিয়ন্ত্রণ আমাদের চোখে পড়ে না।



শুধু বাংলালিংক নয়, গ্রামীণ ,এক্টেল, এয়ারটেল সহ সকল দেশি বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানিতেই এই মডেলের শ্রম শোষণ প্রত্যক্ষ করা যায়। মুনাফা সর্বোচ্চ করণের জন্য এরা দক্ষ শ্রমিকদের কন্ট্রাক্টচুয়াল করে রাখে, অদক্ষ বা আধা দক্ষ শ্রমিকদেরকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টির কাছ থেকে নিয়োগ দেয়। যেমন: টিবয়, পিয়ন, ক্লিনার, ড্রাইভার, সিকিউরিটি ইত্যাদি পেশার শত শত কর্মীকে অতি সস্তায় কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা ছাড়াই স্বল্প বেতনে সেন্ট্রিসিকিউরিটি, ক্লিনকো, হার্জ ইত্যাদি বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে খরচ কমায়, মুনাফা সর্বোচ্চ করে। অথচ বিদেশী কিংবা কর্পোরেট বিনিয়োগের পক্ষে প্রধান যুক্তিই দেয়া হয় এই বলে যে এরা বিপুল মুনাফা দেশের বাইরে পাচার করলেও এরা ভালো বেতনের কর্মসংস্থান তৈরী করে। বাস্তবতা হলো, এরা গুটিকয়েক স্থায়ী কর্মীকে তুলনামূলক ভালো বেতন প্রদান করলেও বেশির ভাগ কর্মীকে সাব স্ট্যান্ডার্ড বেতন দেয় এবং শ্রম আইন লংঘন করে বিভিন্ন অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখে আর রাষ্ট্রের শাসকরা বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশের নামে কমিশনের ধান্দায় এসব দেখেও না দেখার ভান করে।



এই রকম একটা অসহনীয় পরিস্থিতিতেই বাংলালিংকের অস্থায়ী কর্মীরা বাংলালিংকের শ্রম শোষণের বিরুদ্ধে একযোগে মামলা করেছেন। কর্পোরেট শ্রম শোষণের বিরুদ্ধে তাদের এই লড়াইয়ের সাথে সংহতি জানানো, তাদের পাশে দাড়ানো, তাদের দাবী মেনে নিতে কোম্পানিকে বাধ্য করা সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও দ্বায়িত্ব।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

অজানাবন্ধু বলেছেন: কর্পোরেট শ্রম শোষণের বিরুদ্ধে তাদের এই লড়াইয়ের সাথে সংহতি জানানো, তাদের পাশে দাড়ানো, তাদের দাবী মেনে নিতে কোম্পানিকে বাধ্য করা সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও দ্বায়িত্ব।


সহমত।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: এই রকম একটা অসহনীয় পরিস্থিতিতেই বাংলালিংকের অস্থায়ী কর্মীরা বাংলালিংকের শ্রম শোষণের বিরুদ্ধে একযোগে মামলা করেছেন। কর্পোরেট শ্রম শোষণের বিরুদ্ধে তাদের এই লড়াইয়ের সাথে সংহতি জানানো, তাদের পাশে দাড়ানো, তাদের দাবী মেনে নিতে কোম্পানিকে বাধ্য করা সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও দ্বায়িত্ব।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: তথাকথিত কর্পোরেট মোবাইল কোম্পানী গুলোর কুৎসীত চেহারাটা সামনে নিয়ে আসার জন্য। সাহসী এই ৭৬ জন শ্রমিকের নিরাপত্তা এবং সাফল্য কাসনা করি।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: তথাকথিত কর্পোরেট মোবাইল কোম্পানী গুলোর কুৎসীত চেহারাটা সামনে নিয়ে আসার জন্য। সাহসী এই ৭৬ জন শ্রমিকের নিরাপত্তা এবং সাফল্য কামনা করি।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

রেওয়ান বলেছেন: সাহসী এই ৭৬ জন শ্রমিকের নিরাপত্তা এবং সাফল্য কাসনা করি।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হোক।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

নিজাম বলেছেন: শোষণ আর বঞ্চনার এই ধারাবাহিকতা কবে শেষ হবে??

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরা সুবিচার পাক। কর্পোরেট রক্তচোষাদের বিরুদ্ধে একটা বড়সড় প্রতিবাদ হওয়া দরকার।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল, প্রতিবাদ হওয়া দরকার...

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: মানবিকতার কথা বাদ দিলাম, আইনের দিক থেকেও আপনি যে পয়েন্টগুলো বলেছেন সেগুলো খুবই শক্তিশালী। সঠিক বিচার হলে কোনভাবেই তা কর্মীদের বিপক্ষে যাবার কথা নয়। তবে বাংলাদেশ বলে কথা.....।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

মদন বলেছেন: সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ :(

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রুপ।ই বলেছেন: সব তো টাকা দিয়ে কিনে রেখেছে কে বিচার করবে ?

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আনির্বান বলেছেন: ভাল

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এত দিন পার হয়ে গেল, অথচ এটা নিয়ে পত্রপত্রিকাতে কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কোন সংবাদ প্রচারিত হলো না। লাখ লাখ টাকা বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদেরকে কিনে রেখেছে বাংলালিংকের মতো কর্পোরেট কোম্পানিগুলো। সরকার বা শ্রম মন্ত্রণালয়েরও এ বিষয়ে কোন তদারকি নেই যদিও শ্রম আইন ভঙ্গ করেই কোম্পানিগুলো এই কাজ গুলো করছে। .....

দুঃখজনক।

তারা আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হোক।

১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
জোর যার মুল্লুক তার অবস্থা আর কি।
একটা বড়সড় প্রতিবাদ না হলে আর হচ্ছে না!

১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

মাথা নষ্ট সিপাহি বলেছেন: বিদেশী কিংবা কর্পোরেট বিনিয়োগের পক্ষে প্রধান যুক্তিই দেয়া হয় এই বলে যে এরা বিপুল মুনাফা দেশের বাইরে পাচার করলেও এরা ভালো বেতনের কর্মসংস্থান তৈরী করে। বাস্তবতা হলো, এরা গুটিকয়েক স্থায়ী কর্মীকে তুলনামূলক ভালো বেতন প্রদান করলেও বেশির ভাগ কর্মীকে সাব স্ট্যান্ডার্ড বেতন দেয় এবং শ্রম আইন লংঘন করে বিভিন্ন অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখে আর রাষ্ট্রের শাসকরা বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশের নামে কমিশনের ধান্দায় এসব দেখেও না দেখার ভান করে।

স্থায়ী হলেও হয়না, এসব কম্পানীর আপার লেভেল এ যে সব জানোয়ারের বাচ্চা রা থাকে এগুলো তাদের কারসাজি, নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য লোয়ার লেভেল কে বিভিন্ন টালবাহানায় সুযোগ সুবিধা থেকে বন্ছিত রাখে। এমনকি প্রমোশোন পর্যন্ত দেয় না, অথচ নিজেদের প্রমোশোন হয় বছরে বছরে।

১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

হুমায়ুন কিবর বলেছেন: Click This Link

১৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

হুমায়ুন কিবর বলেছেন: কর্মী ছাঁটাইয়ের মামলায় উচ্চ আদালতে হেরেছে ‘রবি’

Click This Link

১৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

সংবাদিকা বলেছেন: এখানে লেখক একটি মারাত্মক ফাকি দিয়েছেন। লেখক এখানে যাদের কথা বললেন তা হল বিশাল টেলিকম শিল্প জগতের কেবল "রোল আউট" ডিপার্টমেন্ট যাদের কাজের ক্ষেত্র মূলত বিভিন্ন বিটিএস কিংবা নোড-বি আর খুব বেশি হলে বিএসএস পর্যন্ত - এর পরের লেভেল তথা সুইচ, এনএসএস কিংবা কোর কিংবা সিস্টেম সলিউশনে সাধারণত খুব দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার, অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এবং ভেন্ডরের (যন্ত্রপাতি সাপ্লাই কোম্পনি ) লোকরা সরাসরি কাজ করে।

টেলিকমের সবচাইতে শারীরিক পরিশ্রমের কাজ বিটিএস এর কাজ - এর ধরনের জন্যই। কেননা হেন কোন জায়গা নেই যেখানে বিটিএস / নোড-বি স্টেশন বসাতে হয়না। সহজ ভাষায় বললে - গ্রাহকের সাথে প্রাথমিক যোগাযোগের কাজটি হয় এর মাধ্যমে। তবে আরেকটি দিকও স্বীকার করতে হবে- শারিরিক পরিশ্রম বেশি হলেও এর পার্টটি সবচাইতে কম জটিল - এটাও যন্ত্রের ধরনের জন্যই।

টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে "সাবকন" বলে একটা টার্ম আছে- সবাই তা জানেন। আসলে সাবকন সব ইন্ডাস্ট্রিতেই আছে। যেমন হ্যালিবার্টন নামক ওয়েল-গ্যাস ইন্ডাস্ট্রির সাবকন (যারা মূলত শেল, বিপি কিংবা অন্যান্য কোম্পানির বিভিন্নকাজ করে দেয়) বিলিয়ন ডলার কোম্পানি।

কিন্তু বাংলাদেশী টেলিকম সাবকন অনন্য বৈশিষ্ট্যর অধিকারী। টেলিকমের বিভিন্ন সাবকন আছে- যেমন সিভিল, পাওয়ার এবং টেলিকম। এখানে যারা টেলিকমের কাজ করে তাদের কথা বলা হচ্ছে।

সাবকন বলতে টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে কেবল “টেলিকম সাবকন” কেই বোঝায়। যারা মূলত বিটিএস / নোড-বি এ বিভিন্ন কাজ করে। দেশের প্রায় সব বিটিএস এই এই সাবকনের লোকেরা কাজ করে। অপারেটর এর লোকেরা যেয়ে মূলত কাজ বুঝে নেয়। তাছারা মেইন্ট্যানেন্স এর কাজ অপারেটর দের নিজেস্ব লোক করে। এখন আবার কোম্পানি এসব মেইনট্যানেন্স কাজো সাবকনকে কন্ট্রাক দিয়ে দিচ্ছে।

টেলিকমের শ্রম আইন যদি আসলেই প্রয়োগ করতে হয় তাহলে এই টেলিকমের সাবকনে আগে প্রয়োগ করতে হবে। বাংলা লিঙ্ক তো তাও চুক্তি করে – এসব সাবকন তাও করেনা। চাকুরীর কোনই নিশ্চয়তা নাই। আজ আছে তো কাল নাই। সবচাইতে নিন্দনীয়- অনেক সাবকন আজকাল নাকি চাকুরীর সময় সার্টিফিকেট নিয়ে রাখে!!!

প্রজেক্ট বাতিল হতে হয়না- কোন কারনে স্থগিত হলেই চাকুরীই থাকেনা। আবার চাকুরী গেলে এক/দুই মাসের বেতন দেবার কথা এটাও সবার কাছে অপরিচিত। জীবনের নিরাপত্তাই থাকেনা – কোন সেফটি থাকেনা। মালিক পক্ষ তথা কন্ট্রক্টার জোর করে বৃষ্টির সময় টেকনিশিয়ানদের টাওয়ারে উটতে বাধ্য করে। এখানে যেসব ইঞ্জিনিয়ার কাজ করে তাদের অবস্থাও খারাপ – একই দিনে ইঞ্জিনিয়ারদের গাড়ী না দিয়ে লোকাল ট্রান্সপোর্টে কয়েক জেলায় যেতে বাধ্য করা হয়– বেতন ভাতাও লজ্জাজনক।

আর এতে কাজের কোন নিরাপত্তা নেই – জীবনও ঝুঁকিতে পরে প্রায়ই। কিছুদিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে টেলিকমের কাজ করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছে তারা টেলিটকের কাজ করা এক সাবকনের সদস্য। তাদের নিজ কোম্পানি স্রেফ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তাছাড়া কেউ যদি আহত হয় – কাজ করতে কিংবা কাজ করতে যাওয়ার সময় পথে- তাদের ক্ষতিপূরণ অনেক দূরের ব্যাপার – চাকুরীই অনেক সময় চলে যায়।

আমি আমার এক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুকে দেখেছি সে সাবকনে ৮ মাস কাজ করে অসুস্থ হয়ে চাকুরী ছেড়ে দিয়েছে। টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিকে বাই বাই জানিয়ে যে এখন প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকুরী করছে। সে সাইটে ক্রমাগত কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেলেও তাকে কোন চিকিৎসার খরচ দেওয়া হয়নি সেই সময় !!!!!!! আর বিভিন্ন অপারেটরে কিংবা ভেন্ডরে লোক নিয়োগে অনিয়মের ফিরিস্তি এখানে না বলাই ভালো।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



৭৬ জনের কারো সাথে কি একটু যোগাযোগ করার কোন ব্যবস্থা আছে কি?
তাহলে আমাকে একটা মেইল করুন।
[email protected]

২১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

ইনফা_অল বলেছেন: Eder kotha keu mone rakhe na

২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

এম. মিজানুর রহমান সোহেল বলেছেন: মাদারি ভাই,
আমি দৈনিক যুগান্তর ও প্রিয় ডটকমের টেলিকম রিপোর্টার। সম্প্রতি আমি বাংলালিংকের নানান অনিয়ম নিয়ে স্ট্যাডি করছি। আপনি প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এখানে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে আমার আরও কিছু তথ্য দরকার। অনুগ্রহ করে আমাকে একটু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন?
আমার মেইল এড্রেস [email protected]
আপনার ফোন নম্বর একটু মেইল করে পাঠালে আমিই আপনাকে ফোন করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.