নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব

এটাই আমার একমাত্র আইডি,বাকি সবগুলো আমার ছবি ব্যবহার করে ফ্যাক আইডি ক্রিয়েট করা হয়েছে। ব্লগিং র টাইম দেখেই বুঝতে পারবেন কোনটা নতুন আইডি কোনটা পুরনো আইডি।ফ্যাক আইডি থেকে সাবধান থাকুন।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফার্মের মুরগী সমাচার!! সাথে ছাত্রলীগ কথন!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে অথচ তার পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ুয়া বন্ধু কতৃক ফার্মের মুরগী বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভরা কথা শুনে নাই এমন ভাগ্যবান ছাত্র বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোন কিছু হলেই ""তোমরা ত ফার্মের মুরগী ,তোদের দ্বারা হবে না,তোরা পারবি না,অমুক তমুক অনেক কিছু"" এরা প্রাইভেটের পোলাপাইনেরে ফার্মের মুরগী বলে নিজেরাই নিজেদের দেশী মুরগী দাবি করে নিজেরাই গর্ববোধ করে। তারা মানুষ তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে নিজেদের মুরগী দাবি করে কেন? তা আজও আমার বোধগম্য নয়! তারা মনে হয় জানে না দেশী মুরগীরা মানব বিষ্ঠা থেকে শুরু করে সব খায়। তাহলে হয়ত নিজেদের এসব ভাবত না বা তাদের স্বভাব ই দেশী মুরগীর মত না ত??

ছবিঃ পান্থপথ সিগনালে আন্দোলনরত সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা।

গত কয়েক দিন ধরে এই ফার্মের মুরগী কথাটা একটু বেশিই শুনতে হয়েছে। কারন শিক্ষার উপর ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য রাস্তায় নেমেছিলো হাজার হাজার প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্ররা। যাদের আন্দোলনের প্রথম কথাই ছিল ,আন্দোলন হবে অহিংস। কারো সম্পদের ক্ষতি করে নয়। তাদের এই কথায় অনেকেই মুচকি হেসে ছিল। বাঙ্গলাদেশে অহিংস আন্দোলন করে দাবি আদায়!! এরা আসলেই ফার্মের মুরগী।

গত শুক্রবারে টিএসসিতে বিকালে কিছু ফ্রেন্ড এবং বড় ভাইদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সবাই ই পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ে বা পড়া শেষ করছে। আমি এই বিষয় নিয়ে লিখালিখি করে বলে তিতুমীর থেকে মাস্টার্স করা ভাই আমাকে খোচা দিয়েই বলল "" কিরে ফার্মের মুরগি,আন্দোলন কত দূর?? তোদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। এভাবে আন্দোলন হয়? আমাদের যদি হত এক দিনেই বুঝিয়ে দিতাম আন্দোলন কি?? আমাদেরও এক সময় ২ টাকা বেতন বাড়াইছিলো,তখনই বুঝিয়ে দিয়েছি আমরা কি?"" ঐ ভাই ঠিকই বলেছে তারা কি জিনিস। মহাখালী গুলশান রোডে বাসে ভাড়া না দেয়া,২/১ টাকার বাস ভাড়ার জন্য বা বন্ধুদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় রাস্তায় গাড়ি ভাঙ্গার জন্য বিশেষ পারদর্শী তারা। আজকেও আন্দোলনের শেষ দিকে তিতুমীরের পোলাপাইন প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্রদের উপর হামলা করে তার প্রমান দিছে ,আসলেই তারা কি জিনিস যেখানে মেয়েরাও তাদের আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পায় নাই।

প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্রদের উপর তিতুমীর কলেজের ছাত্রদের হামলা

ছবিঃ তিতুমীরের ছাত্ররা।

আরেক বন্ধু বলল "" রাস্তায় গাড়ি যদি না ভাঙ্গে তবে কিসের আন্দোলন?? বাংলাদেশে কবে জ্বলাও পোড়াও ছাড়া দাবি আদায় হইছে? আসলে তোদের দিয়া আর যা ই হোক আন্দোলন হবে না,ফার্মের মুরগী"

এর প্রতিবাদে আমি বলেছিলাম "" যাদের গাড়ি নাই তারাই ক্ষোভে গাড়ি ভাঙ্গে। তারা যদি জানত গাড়ি কিনতে কতটাকা লাগে তবে ভাঙ্গত না। ত্রিশ চল্লিশ লাখ টাকা, মুখে বললে খুবই সামান্য শুনায় কিন্তু সেই জানে যে টাকাটা উপার্জন করতে কত ঘাম জড়াতে হয়েছে তার। অপেক্ষা কর,বাংলাদেশে হয় নাই আমরাই তা করে দেখাবো""

হ্যা ,তা করে দেখিয়েছে প্রাইভেট ভার্সিটির সব ছাত্ররা। দেখিয়ে দিয়েছি জ্বালাও পোড়াও ছাড়াও আন্দোলন সফল করা যায় নিজের অধিকার আদায় করা যায়। এই আন্দোলন বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি একটা ম্যাসেজ। সবাই এক থাকলে নিজের অধিকার অন্যের বা রাষ্ট্রের ক্ষতি ছাড়াই আদায় করা যায়। কোন আন্দোলনেই এম্বুলেন্স,স্কুল-কলেজের গাড়ি যেতে পারে নাই। কিন্তু এই আন্দোলনে এম্বুলেন্স সহ সব জরুরী গাড়ি ছাত্ররা নিরাপদে যেতে দিয়েছে। যা একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

ছবিঃ পুলিশকে ফুল দিচ্ছে আন্দোলনরত প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্ররা,ধন্যবাদ স্বরুপ পুলিশও ছাত্রদের পানির ব্যাবস্থা করে দিয়েছিল।

এই আন্দোলনে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বমর্থন ছাড়াও সাধার মানুষের সমর্থন ছিলো চোখে পড়ার মত। বাস,লেগুনা রিক্সা চালক পর্যন্ত আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। তারা তাদের যানবাহন রাস্তার মাঝে ঘুরিয়ে রাস্তা বন্ধ করতে সহায়াতা করেছে। অনেকে নিজের বাসে ছাত্রদের স্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড লাগিয়ে রেখেছে। ধন্যবাদ তাদের আমাদের এভাবে সমর্থন দেয়ার জন্য।

এবার শুরু হইছে নতুন গল্প। আন্দোলনের শুরুতেই অনেকেই ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে বলতে চেয়েছিলেন এই আন্দোলনের সাথে বিরোধী রাজনৈতিকদলের যোগসাজশ আছে। অনেকে অবাক হয়ে গিয়েছিল প্রাইভেটের ছাত্ররা !! কিভাবে এত বড় আন্দোলন পরিচালনা করছে! অনেক জ্ঞানী-গুনিকেই রাতের টকশোতে এই সব কথা বলতে শুনেছি। কিন্তু ছাত্ররা যখন স্পষ্ট ভাবে বলে দিল আমাদের আন্দোলনের সাথে কোন রাজনৈতিকদল বা গোষ্ঠির কোন ধরনের সংযোগ নেই। আমাদের নেতাও নেই। নিজেরাই নিজ থেকে এই অহিংস আন্দোলন পরিচালনা করছি। তখন কিছুটা দমেগেল তারা।

এরপর শুরু করে ছিল একটা প্লেকার্ড নিয়ে। মন পাবি,দেহ পাবি,ভ্যাট পাবি না। সুশীলরা তার শিক্ষার মান নিয়ে কথা বলা শুরু করল।সেটার ব্যাখ্যা কিন্তু সে মেয়েটা দিয়েছে। এবং বুঝিয়ে দিয়েছে সেই সব মানুষদের মন মানষিকতা কত নিচু মানের। মজার ব্যাপার হল মেয়েটা ইষ্ট ওয়েষ্ট থেকে অনার্স শেষ করলেও মাস্টার্স কিন্তু ঢাকা ভার্সিটিতে করতেছে। প্রাইভেটের শিক্ষার মান তথা যোগ্যতা যদি না থাকত সে কি ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পেত? অন্য উপায় আছে নাকি??

এবার আবার বলতেছে,ছাত্রলীগ যদি এই আন্দোলনের সমর্থন না দিত তবে নাকি দাবি দাওয়া পুরন হতো না। ধানমন্ডিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর পুলিশের সাথে এক হয়ে কারা যেন হামলা চালিয়েছিল?? এটা কি তাদের সমর্থনের ভাষা?? আজ সকালে মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ এই আন্দোলনের সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু যা হাওয়ার তা ত গত রাতেই প্রধানমন্ত্রী আর অর্থমন্ত্রীর বৈঠকেই হয়েগেছে। সেখানেই ফয়সালা হয় ভ্যাট প্রত্যহার করা হবে। আজ সকালের মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে ৭.৫% ভ্যাট নিয়ে কোন আলোচনা হয় নাই। তবে ভ্যাট প্রত্যহার করা হবে এটা সাংবাদিকদের বলেছিলেন,খদ্য মন্ত্রী এবং নৌ মন্ত্রী।

এখানে তাহলে ছাত্রলীগের কৃতিত্ত্বটা কি? কেউ কি আমাকে বলবেন?? সারা সপ্তাহ আন্দোলন করলাম রাস্তায় আমরা। তোমরা তার বিরোধিতা করলে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে ত আন্দোলনরত ছাত্রদের লাঠিপেটা করার হুমকিও দেয়া হয়েছিল। তাহলে তারা কিভাবে দাবি করে এটা তাদের সফলতা??

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

শায়মা বলেছেন: হ্যা ,তা করে দেখিয়েছে প্রাইভেট ভার্সিটির সব ছাত্ররা। দেখিয়ে দিয়েছি জ্বালাও পোড়াও ছাড়াও আন্দোলন সফল করা যায় নিজের অধিকার আদায় করা যায়। এই আন্দোলন বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি একটা ম্যাসেজ। সবাই এক থাকলে নিজের অধিকার অন্যের বা রাষ্ট্রের ক্ষতি ছাড়াই আদায় করা যায়। কোন আন্দোলনেই আম্বুলেন্স,স্কুল-কলেজের গাড়ি যেতে পারে নাই। কিন্তু এই আন্দোলনে আম্বুলেন্স সহ সব জরুরী গাড়ি ছাত্ররা নিরাপদে যেতে দিয়েছে। যা একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এই আন্দোলনে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বমর্থন ছাড়াও সাধার মানুষের সমর্থন ছিলো চোখে পড়ার মত। বাস,লেগুনা রিক্সা চালক পর্যন্ত আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। তারা তাদের যানবাহন রাস্তার মাঝে ঘুরিয়ে রাস্তা বন্ধ করতে সহায়া করেছে। অনেকে নিজের বাসে ছাত্রদের স্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড লাগিয়ে রেখেছে। ধন্যবাদ তাদের আমাদের এভাবে সমর্থন দেয়ার জন্য।


অনেক ভালো লাগা ভাইয়া।

শুভকামনা।:)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: আপনার প্রতিও শুভকামনা রইলো আপ্পি।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যাদের গাড়ি নাই তারাই ক্ষোভে গাড়ি ভাঙ্গে। তারা যদি জানত গাড়ি কিনতে কতটাকা লাগে তবে ভাঙ্গত না।[/sb

সহমত!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: আপনার আছে আমার নাই সেই দুঃক্ষে।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এইটা হইলো শেষ মুহুর্তে দলের পরাজয় নিশ্চিত জাইনা সুর পরিবর্তনের পারফেক্ট উদাহরন। ছাত্র আন্দোলনের জন্য ইস্যু যুক্তিযুক্ত হইলে দলের ট্যাগ লাগেনা। সবাই এমনিতেই এক হয়, ইতিহাস তার সাক্ষী। দেশ থেকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হইলে নিজের টাকা খরচ কইরা আনন্দ মিছিল বাইর করতাম তা যেই সরকারই করুকনা কেন।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: শিক্ষার উপর ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন চলছে। ভ্যাটে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় যেহেতু এই আন্দোলনে শুধুমাত্র বেসরকারি বিশ্বাবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অংশগ্রহণ করছে, সেহেতু প্রচ্ছন্নভাবে বেসরকারি এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যকার একটা দ্বন্দ্ব এই আন্দোলনের সামান্তরালে কাজ করছে।

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছি, তবুও আমি এই আন্দোলনকে সমর্থন করছি। কিন্তু সত্যিকারার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে চরিত্রগত পার্থক্য আছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে শামসুন্নাহার হলে পুলিশ ঢোকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন এবং সেনা সমর্থিত সরকারের সময়ে জিমনেসিয়াম মাঠে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনের সময়ে স্বশরীরে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের যে চরিত্র দেখেছি, আজকে আমার বাসার একজন সদস্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্রের আন্দোলনের বর্ণনায় সে চরিত্রের বিন্দুমাত্র খুঁজে পাইনি।

সামসুন্নাহার হলে পুলিশ ঢোকা, বা জিমনেসিয়াম মাঠে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন ছাত্র ছাত্রীদের ব্যক্তি স্বার্থে বিশেষ কোন আঘাতজনিত কারণে ছিল না, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অহংবোধে আঘাত লেগেছিল; এই এতটুকু কারণেই সমগ্র ছাত্রসমাজ (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ,বলাই বাহুল্য) ফুসে উঠেছিল এবং বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। ডেইলি স্টারে প্রকাশিত আজিজ মার্কেটের সামনে একজন সেনাসদস্যের দিকে উড়ন্ত এক নির্ভিক ছাত্রের ছবি সেই আন্দোলনেরই প্রতিভূ।

যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলন করার অধিকার এবং সুযোগ কম, সেহেতু তাদের আন্দোলনের ঐতিহ্যও নেই বললেই চলে। এরকম অবস্থায় আন্দোলন শিখতে শিখতেই হয়ত এই আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মত প্রতিকুল পরিস্থিতিতে, পুলিশ/আর্মি/প্রশাসনযন্ত্রের মারমুখী অবস্থানের বিপরীতে দাড়িয়ে আন্দোলন করে সফলতা ছিনিয়ে নিয়ে আসার পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত ফার্ম বিষয়ক আওয়াজ চলতেই থাকবে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, আবার একটা আন্দোলন সফল হয়েছে বলে, দেখিয়ে দিলাম টাইপ ভাব নেওয়ারও কিছু নেই। এটা চলমান প্রক্রিয়া।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: কিন্তু সেই আন্দোলনে আপনাদের ব্যাবহার করে ছিল আওয়ামিলীগ এবং বিএনপি এবং কিছু রাজনৈতিক দল। সেই আন্দোলনে আমার বড় ভাইও ছিলেন।

যার উপহারস্বরুপ আওয়ামী সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বানালেন আরিফিন সিদ্দিকিকে। যদিও আপনারা দাবি করেন জয় আপনাদের কিন্তু লাভ কিন্তু অন্যদের। একই কথা এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রেও।

পাবলিকের দু বন্ধু মারামারি করলেও রাস্তায় আন্দোলন করে। গাড়ি ভাঙ্গে। আমরা তার পরিবর্তন দেখিয়েদিয়েছি। আমরা নিজেরদের অধিকারের জন্য লড়াই করি অন্যের দাবার গুটি হয়ে নয়। পাবলিক- প্রাইভেটের কোন দিক দিয়েই তুলনা চলে না। প্রত্যকে নিজ নিজ অবস্থানে পারফেক্ট।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: শায়মা বলেছেন: হ্যা ,তা করে দেখিয়েছে প্রাইভেট ভার্সিটির সব ছাত্ররা। দেখিয়ে দিয়েছি জ্বালাও পোড়াও ছাড়াও আন্দোলন সফল করা যায় নিজের অধিকার আদায় করা যায়। এই আন্দোলন বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি একটা ম্যাসেজ। সবাই এক থাকলে নিজের অধিকার অন্যের বা রাষ্ট্রের ক্ষতি ছাড়াই আদায় করা যায়। কোন আন্দোলনেই আম্বুলেন্স,স্কুল-কলেজের গাড়ি যেতে পারে নাই। কিন্তু এই আন্দোলনে আম্বুলেন্স সহ সব জরুরী গাড়ি ছাত্ররা নিরাপদে যেতে দিয়েছে। যা একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: শায়মা আপু বলে নাই। আমার লিখার কিছু অংশ উনি তুলে ধরেছেন,
ধন্যবাদ আপনাকে ।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

মন মণষা বলেছেন: আমি খুবই অবাক হলাম যে পাবলিক ইউনিভার্সিটির কোন সংগঠন সহমর্মিতা প্রকাশ করে নাই। নাকি তারা আশা করছিল যে ভ্যাট এর কিছু অংশ তাদের ভর্তুকী খাতে ব্যায় হবে? নিজেরা যদি দেশি মুরগীই হবেন তো চরে খাওয়া শিখেন , মাগনা খেয়ে আর কত দি্ন

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কনগ্রাচুলেশন!

এভাবে বাংলাদেশ বিজয়ী হোক তার সকল ন্যায্য দাবীতে।

ফিরে আসুক গণতন্ত্র!

মুক্তি পাক স্ব-দেশ!

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

জেকলেট বলেছেন: অবশ্যই এই আন্দোলন একটা মাইলস্টোন। কোন প্রকার মারামারি কাটাকাটিতে না গিয়ে দাবি আদায়ের যে মাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিয়েছে এবং যেভাবে সফল হয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। আরেকটা ব্যাপার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা যে পাবলিক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের থেকে আধুনিক এবং প্রগতিশীল চিন্তার অধিকারি তা তারা এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রমান করল। আর এই আন্দোলন যদি পাবলিকের স্টুডেন্টদিয়ে হত তা হলে কি হত তা আজকের ছাত্রলীগের স্টেটমেন্ট আর তিতুমীর কলজের ছেলেদের ডন্ডাবাজি দিয়ে প্রমান হল।
পাবলিক হলে সেখান যে কয়টা ব্যাপার হত
১) ভাংচুর, লুটতরাজ। কার সম্পদ কে পোড়াচ্ছে কোন ঠিক নেই।
২) দলীয় করন। ছাত্র সংগঠন গুলো নিজেদের মাঝে মারামারি শুরু করে দিত নেতৃত্ব নিয়ে।
৩) নিজেদের মধ্যে সিনিয়র জুনিয়র, নেতা-কর্মী নিয়ে মারামারি। ফলাফল দুই-তিনজন নিহত।
৪) আন্দলোনের নামে চাদাবাজি।
আজকের প্রেক্ষাপটে এইগুলো অচল তা এরা বুঝেনা। মানুষের চিন্তাধারা চেইন্গ হইছে তা এরা বুঝতেও চায়না। অবশ্য বোঝবে কেমনে নিজেরা তো সঘোসিত মহা টেলেন্ট। দুনিয়ার আর কেউ কিছু জানে নাকি???

তবে এখানে সরকারের ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য। খুব সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মার্ট সরকার বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছে। এরা গোয়াতুর্মির মাঝে না গিয়ে নিজেদের ভূল দ্রুতই সংশোধন করেছে। সধারন ছাত্রদের উপর পুলিশ লেলিয়া দেয়েনি। সরকারকেও ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

কালীদাস বলেছেন: গাড়ি ভাঙার এই কালচার যে কবে যাবে এই দেশ থেকে :|
বাইদ্যাওয়ে, মন/দেহ/ভ্যাটের পোস্টারটা খুবই কনফিউজিং এবং এরকম সিরিয়াস একটা আন্দোলনের জন্য খুবই সস্তাদরের একটা স্লোগান।
অনেকেই হয়ত পাবলিক-প্রাইভেট ক্যাঁচালের ধান্দা খুজতে পারে এই মারামারি নিয়ে, বাট স্যরি টু সে, ঢাকা শহরের সবচেয়ে উগ্র আর উশৃংখল ছেলেগুলো কিভাবে জানি তিতুমীরেই পড়ে। জানিনা, কিভাবে হয়। আমরা যখন ঢাবিতে পড়তাম, আমাদের সাথেও কয়েকবার মারামারি লেগেছিল ফালতু কারণে। এরা নিজেদের কি মনে করে আল্লাহয় জানে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: মন পাবে= যদি ভ্যাট উঠিয়ে নাও তবে সব ছাত্রদের মন পাবে।
দেহ পাবে= যদি না উঠাও আমরা আমাদের দেহ দিলাম,গুলি কর,লাঠিপেটা কর,

কিন্তু ভ্যাট পাবে না।


এটাই ছিল সেই প্লেকার্ডের মুল কথা। কিন্তু কেউ যদি সেই লিখার ভাষা না বুঝে প্লেকার্ডকে সচ্ছ গ্লাস মনে করে বা নিজের চোখকে এক্স-রে মেশিন মনে করে ঐ আপুর দেহের দিকে ভিন্ন দৃষ্টি দেয় তাহলে তাদের শিক্ষা এবং চরিত্র নিয়ে আমরাও কনফিউজড।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে। হ্যা এই কথা আমিও মানি যে জালাও পোড়াও ছাড়াও সুষ্ঠভাবে আন্দোলন করা যায়। তবে এ কথা ১০০% সত্য যে পাব্লিক স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাইভেট স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শান্ত। আর শান্তভাবেই তাদের আন্দোলন সফল করেছে। তবে যে কোনো আন্দোলন ই হোক সব শ্রেনীর সহযোগীতা ছাড়া সফল হয়না।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ভাই সত্যিই অসাধারণ। আপনারা কোন প্রকার জান মালের ক্ষতি ছাড়া যে আন্দোলন পরিচালনা করলেন তা একটি মাইলস্টোন হয়েই রইবে।
তবে, শুধু নিজেদের উপরে পড়লেই নয় যেহেতু এই দেশটাও আমার আপনার সকলের তাই দেশের স্বার্থেও রাজপথে আপনাদের সরব উপস্থিতি এদেশের খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে কিছুটা হলেও মানসিক স্বস্তি দিবে।
কেননা, খেটে খাওয়া মানুষগুলো পেটের ধান্ধায়ই সারাদিনমান ব্যস্ত থাকতে হয়। দেশের কথা ভাবার সময় কোথায় তাদের?
আর এই সুযোগে লুটেপুটে নিচ্ছে ওরা দেশটাকে।
এই লুটপাটের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাদের। ভালো থাকবেন সব সময়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,মাত্র দুটা আন্দোলন সফল হলো তাও একই দাবি নিয়ে। আশা করি সামনে অন্য আন্দোলনেও আমরা অংশ নিব।

কিন্তু বাস্তব বড় নির্মম,আমাদের হাত-পা বাধা ঐ ভার্সিটি কতৃপক্ষের টিসি,বহিস্কার,এবং আইডি ব্লক নামের রশি দিয়ে। চাইলেও পারব না। কথায় কথায়,আইডি ব্লক,টিসি।

আর প্রত্যেকটা প্রাইভেট ভার্সিটির মালিক কোন না কোন ভাবে সরকারের সাথে জড়িত। যদি না হত তবে ত সে ভার্সিটির অনুমোদন ই পেত না। হয় ত দেখাযাবে কোন মন্ত্রীর সাথে শেয়ার ভাগ করেছে বা পার্সেন্টিস পায় সরকারের বড় কর্তারা।

আর প্রত্যেক প্রাইভেট ভার্সিটি রাজনীতি মুক্ত। তাই চাইলেও রাষ্ট্রীয় কোন ঝামেলায় আমরা জড়াতে পারি না। আর আমাদের বাবা মাও চায় না আন্দোলন করতে যেয়ে পাবলিকের ছাত্রদের মত গুলি,টিয়ার গ্যাস বা গোলাগুলি,মারামারি করি। এ জন্যই তারা আমাদের প্রাইভেটে টাকা খরচ করে পড়ান।

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: আন্দোলনে কে কি পোষ্টার নিয়ে আসবে তা তার ব্যক্তিগত মতামত । তবুও আমাদের ভার্সিটিতে আমরা পোস্টার মনিটরিং এর চেষ্টা করেছি ।।

আর আপু'র পোষ্টার সম্পর্কে বলতে চাই , বাংলাদেশের মানূষের সারকাজম বোঝার ক্ষমতা খুবই কম । আর আপু'র পোষ্টার নিয়ে যারা চিল্লাচিল্লি করেছে বেশীরভাগই জিরো ফেসবুক চালানো মুরাদ টাকলা নয়তো বা টাকা খাওয়া শহরের কুকুর ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.