নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব

এটাই আমার একমাত্র আইডি,বাকি সবগুলো আমার ছবি ব্যবহার করে ফ্যাক আইডি ক্রিয়েট করা হয়েছে। ব্লগিং র টাইম দেখেই বুঝতে পারবেন কোনটা নতুন আইডি কোনটা পুরনো আইডি।ফ্যাক আইডি থেকে সাবধান থাকুন।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিলো প্রাইভেট পাবলিক ক্যাচাল লাগানোর চেষ্ট!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

শিক্ষায় করারোপ প্রসঙ্গে উত্তাল ছিল রাজধানী ঢাকা, মিডিয়া সংশ্লিস্ট ব্যক্তিবর্গও সোচ্চার হয়েছেন সোশ্যার নেটওয়ার্কিং সাইটে। অবশেষে বাতিল হয়েছে আরোপিত কর- বিশেষ এই দিনে নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,

আমি নিশ্চিত এই 7.5% ভ্যাট বাতিল করা হবেই।
তবে শুধু যে এই (সম্ভাব্য) বিজয়ের জন্য এই আন্দোলনকে ভবিষ্যত মনে রাখবে তা না ।

সমাজ পাঠে আগ্রহী যে কোনো মানুষই খেয়াল করে থাকবেন ক্ষমতাবান এবং ক্ষমতাহীনের জন্য এই আন্দোলন অনেক গুরুত্বপূর্ন ইংগিত রেখে যাচ্ছে। আমি ছাত্রদের এই আন্দোলনের দিকে ছাত্র হয়ে তাকিয়ে ছিলাম কিছু শিখব বলে। ইহা আমার “পরিবেশ পরিচিতি সমাজ” পাঠ।

# প্রতিবাদের বড় সৌন্দর্য হচ্ছে এটা ক্ষমতাবানকে খেয়াল করিয়ে দেয় চাইলেই যা ইচ্ছা তা করা সম্ভব না । এই জন্য গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজনের কথা বলা হয়। বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় এইরকম বড় মাত্রার আন্দোলন থেকে ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতাহীন উভয়ের জন্যই নেয়ার মতো বার্তা রয়েছে।

# যাদেরকে তথাকথিত বুদ্ধির ট্যাংকরা উঠতে বসতে হেয় করে ফার্মের মুরগী বলে, তাদের জন্য একটা বিনীত জবাব হয়ে থাকবে এই আন্দোলন । এতো বৃহৎ পরিসরের আন্দোলন এতো সুশৃংখল ভাবে এরা কিভাবে করছে এটা ভেবে আমি অনেককেই পেরেশান হতে দেখেছি । এমন না যে এই আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয় নাই। সেই চেষ্টা আলবৎ হয়েছে। সব কিছু এড়িয়ে এরা আন্দোলন ধরে রেখেছে এবং সাথে ধরে রেখেছে বেশীরভাগ শহরবাসীর সমর্থন । ব্রাভো!

(সম্পূরক নোট: কিছুটা অপ্রাসঙিক। তবুও বলে রাখি। অনেকেই আবার প্রাইভেট ভার্সিটি সম্বন্ধে একটা আজব মিথ পোষণ করেন “প্রাইভেটে মেধাহীনরা পড়ে।” ভাইয়েরা ও বোনেরা আমার, প্রাইভেট এবং পাবলিক দুই জায়গাতেই আমি ক্ষুরধার মেধাবী ছেলে মেয়ে দেখেছি। আর যদি পেশাগত সাফল্য দিয়েও মাপতে চান- এই দুই জায়গা থেকেই পাশ করা ছেলে মেয়েদের দেখেছি দেশী বিদেশী টেক জায়ান্ট এবং কর্পোরেটে সাফল্যের সাথে কাজ করছে। প্লিজ, এই উদ্ভট উপসংহার থেকে বেরিয়ে আসুন।)


# সাম্প্রতিক কালে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নগরে আন্দোলন হওয়ার প্রবণতা নাই বললেই চলে। ইদানিং নগরে সংঘটিত আন্দোলন গুলো হয় হয়েছে ইতিহাসের মালিকানা নিয়ে, নয় ঐশ্বরিক বিষয় নিয়ে, আর না হয় ভোট নিয়ে । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বা ভোট নিয়ে আন্দোলন জমিয়ে তোলা কোনো সমস্যা না । কিন্ত যে বিষয় আমার বর্তমানে বসবাসের পথে কাঁটা সেটা নিয়ে এতো বড় আন্দোলন আমাদের বাস্তবতায় সহজ না।
এটা একটা আশার আলো দেখায় । এই আশা আরো বাড়ে যখন দেখা যায় এটা করতে কোনো বড় দল বা নেতা লাগে না ।

# আর কিছু না পেয়ে কেউ কেউ ভাষাতত্ত্বের পুস্তক মেলে এদের হেয় করতে চেয়েছে। যেনো উনারা যে রাজনৈতিক শ্লোগানগুলো দিতেন সেগুলো খুব শালীন বা মহৎ ছিলো। “অমুকের চামড়া তুলে নিবো আমরা”, “জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো”, “একটা দুইটা নাস্তিক / শিবির ধর, সকাল বিকাল নাস্তা কর “- এইসব শ্লোগান তো আমরা এর আগে শুনেছি! বরং আমাদের এইসব ছাত্র ছাত্রীরা সমসাময়িক সংলাপ, শব্দবন্ধ দিয়ে এই আন্দোলনে এক দারুণ গতি এনেছে, রিলেটেবল করেছে। ব্রাভো। পন্ডিত মশায়দের বোঝার সময় এসেছে কালিদাসের ভাষায় এই সময় কথা কইবে না।

# এমনকি তারা কিছু দারুণ স্পুফও তৈরি করেছে যেটা নিয়েও দেখলাম অনেকের সমস্যা । আবার এটার উত্তরে এক বোন ব্যাখ্যাও দিয়েছে। বোন এবং ভাই আমার, তোমার প্যারোডির ব্যাখ্যা দিতে যেও না । এটাকে পলিটিক্যালি কারেক্ট করার চেষ্টার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। তোমার প্যারোডিকে কেউ যদি আক্ষরিক অর্থে নেয় সেটা তার রসবোধের সংকট, তোমার প্যারোডির নয়।

# সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিলো প্রাইভেট পাবলিক ক্যাচাল লাগানোর চেষ্টা । তোমাদের দুই দলকেই অভিনন্দন এই ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য । বাংলাদেশ তোমাদের সকলের,তোমরা সকলেই বাংলাদেশের ।

সুত্রঃ মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর ফেসবুক স্ট্যাটাস

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: প্রাইভেট থেকে কয়টা বিসিএস ক্যাডার হয় আর পাবলিক থেকে কয়টা হয়?২/১ টা ভালো ছাত্র সব প্রাইভেট এ আছে, কিন্তু এভারেজে পাবলিক ভার্সিটির ছাত্ররা মেধায় যোজন যোজন এগিয়ে।আসানুল্লার টা ঐ ২/১ টার মধ্যে পড়ে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৪

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: আর বলতে হবে না,আপনার মেধার পরিচয়টাও দিয়া দিলেন ,আপনার কমেন্ট দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি ন্যাশনাল ভার্সিটি বা অন্য কোন পাবলিক ভার্সিটি থেকে নরমাল একটা বিষয়ে অনার্স,মাস্টার্স করেছেন যার স্বপ্ন ঐ বিসিএস পর্যন্ত। আহসানউল্লাহতে হয়ত কোন ফ্যামিলি মেম্বার পড়ে নয়ত গার্লফ্রেন্ড পড়ে।


ভাই যারা প্রাইভেটে পরা তাদের কারই ইচ্ছা থাকে না সে বিসিএস দিবে। লাখে দু একজন আছে যারা চিন্তা করে বিসিএস দিবে। সেখান থেকে হয়ত ২/১ জন সুযোগ পায়।

প্রাইভেটের ছেলে মেয়ের চিন্তাধারা আর পাবলিকের ছেলে-মেয়ের চিন্তা ধারার মাঝে যোজন যোজন দূর ফারাক।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিজয়ী প্রাইভেটের ডাকাত মালিকেরা।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনার প্রতিউত্তর দেখে আমিও বুঝতে পারছি আপনি প্রাইভেটে এবনরমাল সাবজেক্টে পড়া কোন ছাত্র।অনেক ফকির আছে,ভিক্ষা করে ভাত জোটাতে না পারলে বলে "আমি ভাত খাই না।"

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন:




"অনেক ফকির আছে,ভিক্ষা করে ভাত জোটাতে না পারলে বলে "আমি ভাত খাই না।"



ঠিক বলছেন ভাই,আপনার কথার সাথে আমি হাজারবার একমত! ধন্যবাদ আপনাকে বুঝার জন্য।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনার লেখা পড়লেও বোঝা যায়, আপনি বাবার কালো টাকায় সাটিফিকেট কেনা ইঞ্জিনিয়ার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.