নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব

এটাই আমার একমাত্র আইডি,বাকি সবগুলো আমার ছবি ব্যবহার করে ফ্যাক আইডি ক্রিয়েট করা হয়েছে। ব্লগিং র টাইম দেখেই বুঝতে পারবেন কোনটা নতুন আইডি কোনটা পুরনো আইডি।ফ্যাক আইডি থেকে সাবধান থাকুন।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবখানে ফতোয়া দেয়া জায়েজ না!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৭

তার আগে জেনে নেই ফতোয়া কি??

আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ
ফাতাবীরের বহুবচন হল ফতোয়া।এটি একবচন হিসেবে ফুতয়া রুপে ব্যবহৃত হয়।ফকীহ কর্তৃক প্রদত্ত অভিমত হল ফতোয়া।
কেউ কেউ বলেছেন এটি একটি বিশুদ্ব শব্দ।
আবার কেউ বলেছেন তা আরবী আল-ফুতওয়া থেকে এসেছে যার অর্থ হল অনুগ্রহ,বাদন্যতা,দানশীলতা,মনুষত্ব ঈ শক্তি প্রদর্শন।
আবার কারও মতে ফতোয়া আফতা ক্রিয়াপদ থেকে আগত বিশেষ্যপদ। আফতা অর্থ হল কোন বিষয় বিষদ্ভাবে প্রকাশ করা।এ থেকে গঠিত ক্রিয়ামূল ইফতা অর্থ হল ফতোয়া প্রদান করা।
আবার কেউ বলেছেন তা ফাতা থেকে এসেছে যার অর্থ হল তারুণ্য,নতুনত্ব,স্পষ্টকরণ,ব্যাখ্যা।
ইমাম আবূ রাগিব ইসফাহানী(রঃ) বলেন, “জটিল বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান হল ফতোয়া।”
মুফতী আমিমুল ইহসান বলেন, “ফতোয়া হল শরীয়াতের বিধান।”
আল্লামা শামী(রঃ) বলেন, “আল-ফতোয়ার মূল উৎস হল আল ফাতাহ আর আল-ফাতাহ বলা হয় শক্তিশালী যুবককে।এর মাধ্যমে ফাতওয়ার নামকরণের কারণ হল মুফতী সাহেব প্রশ্নকারীকে উত্তর দানের মাধ্যমে দ্বীনের উপর চলার ব্যাপারে শক্তির যোগান দিয়ে থাকেন।”
আধুনিক পণ্ডিতগণ বলেন, “ফতোয়া হল ইসলামী আইনে বিশেষজ্ঞ কর্তৃক আনুষ্ঠানিক আইনগত মতামত প্রদান।”
তাফসীরকারকগণ বলেন, “কোন ব্যক্তির জিজ্ঞাসার জবাবে দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে শরীয়াতের বিধান স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল ফতোয়া।”

কুরআন-হাদীসের আলোকে ফতোয়া

কুরআনে ফতোয়া শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।যেমন পরামর্শ ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে,
“বিলকীস বলল, হে পরিষদবর্গ, আমাকে আমার কাজে পরামর্শ দাও। তোমাদের উপস্থিতি ব্যতিরেকে আমি কোন কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না”। [নমলঃ৩২]
ব্যাখ্যা প্রদানে বলা হয়েছে,
“আপনি আমাদেরকে এ স্বপ্ন সম্পর্কে পথনির্দেশ প্রদান করুনঃ যাতে আমি তাদের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের অবগত করাতে পারি।” [ইউসুফঃ৪৬]
শরীয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,
তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম। [বাকারাঃ১৮৯]
তারপর কুরআনে বলা হয়েছে, “তারা আপনাকে কালালা সম্পর্ক জিজ্ঞাসা করেছে?” আল্লাহ আরও বলেন, “তারা আপনার কাছে নারীদের বিবাহের অনুমতি চায়। বলে দিনঃ আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে অনুমতি দেন” [নিসাঃ১২৭]
“মানুষ আপনার নিকট ফতোয়া জানতে চায় অতএব, আপনি বলে দিন, আল্লাহ্ তোমাদিগকে কালালাহ এর মীরাস সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নির্দেশ বাতলে দিচ্ছেন,” [নিসাঃ১৭৬]
বহু হাদীসে ফতোয়ার ব্যবহার হয়েছে। সহীহ মুসলিমে ৪ বার,আহমদ ১২বার, নাসাই এ ২বার,আবূ দাউদ এ ৩বার,ইবনে মাজাহতে আছে দুইবার,দারিমীতে রয়েছে ৭বার।এভাবে করে বহুবার ফতোয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
সুনানে দারিমীর বলা হয়েছে, “যে ফতোয়া প্রদানে দুঃসাহস দেখান সে যন জাহান্নামে প্রবেশের দুঃসাহস দেখাচ্ছেন।
রাসূল(সাঃ) আরও বলেন, “যে ব্যক্তি কোন বিষয় জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও সে বিষয়ের সমাধান দিল তাহলে তার গুনাগ তার উপর বর্তাবে।”
ফতোয়া হল কোন প্রশ্নের জবাব।তা নামায,রোযা,হাজ্জ,যাকাত,ব্যবসা-বাণিজ্য,অর্থনৈতিকিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত বিষয় হতে পারে,রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে যেকোন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরের নাম হল ফতোয়া।মানব জীবনের যেকোন বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত ইসলামী জিজ্ঞাসার নাম হল ফতোয়া।কিন্তু যারা বিচারক তারা বুঝতে চায় যে ফতোয়া মানেই হল এই যে, বিবাহ-তালাক সংক্রান্ত কোনকিছু বলে দেওয়ার নাম হল ফাতওয়া।কিন্তু কেউ যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করে নামাযের ফরয কয়টি আর যদি সে বলে নামাযের ফরয চারটি তাহলে তাই ফতোয়া হিসেবে বিবেচিত হবে।

ফতোয়ার ভিত্তি
ফতোয়ার ভিত্তি হল চারটি আর তা হল কুরআন,সুন্নাহ,ইজমা এবং কিয়াস।মুহাম্মদ(সাঃ) যখন মুয়াজ ইবনে জাবাল(রাঃ)কে ইয়ামেনের শাসনকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তখন মুহাম্মদ(সাঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে,কি দিয়ে তুমি বিচার করবে?তিনি উত্তরে বললেন, “আল্লাহের কিতাবেরর দ্বারা করব।” তখন মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, “যদি কুরআনেও যদি তার সমাধান না পাও তাহলে তার সমাধান কীভাবে করবে?” তখন মুয়াজ(রাঃ) বললেন, “হাদীসের দ্বারা।” তখন মুহাম্মদ(সাঃ)বললেন যদি তার সমাধান হাদীসে না পাও তখন কি করবে?তখন সে উত্ততে বললেন, আমি তা আমার বিবেকের সাহায্যে সমাধান করব”। তার এই জবাব শুনে মুহাম্মদ(সাঃ) সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন আর আল্লাহের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।উমার(রাঃ) এর সময় প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লিখেছিলেন, তুমি যদি কোন বিষয়ের সমাধান দিতে চাও তাহলে তা কুরআনে পাও তাহলে আর হাদীসে তা ঘাটবে না।তারপর যদি কুরআনে না পাও তাহলে হাদীস ঘাটবে আর যদি সেখানে সমাধান পাও আর কিছু খোজার দরকার নেই।আর যদি কুরআন-হাদীসে যদি কোন কিছুই না পাও তাহলে কুরআন-হাদীস ঘাটবে এবং ইজতিহাদ করে যা পাও তার আলোকেই তুমি সমাধান দিয়ে দিবে।তা আমি উমার মেনে নিব।

ফতোয়া যে দিতে পারবে

কেবল মাত্র মুফতীগণ ফতোয়া দিতে পারবে।যারা ফতোয়া দিতে পারবে তাদের যোগ্যতা ও গুণাগুণ নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
মুফতীর যোগ্য্যতা
১. মুসলিম হওয়া
২. ফিকহ,উসূলে ফিকহ,নাসিখ এবং মানসূখ সম্পর্কে অবহিত হওয়া
৩. হালাল,হারাম,ফরয,সুন্নাত,ওয়াজিব,নফল,মুবাহ,মাকরুহ তাহরীমী এবং মাকরুহ তানযীহী সম্পর্কে জানা
৪. কুরআন,হাদীস,ফিকহ সম্পর্কে সম্য অবহিত হওয়া
৫. সকলকে তার দৃষ্টিতে সমান হতে হবে।
৬. সমকালীন বিষয়য়াদী সম্পর্কে জ্ঞান রাখা
৭. উপযুক্ত মুফতীর কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা
৮. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া

ফতোয়াদানের ক্ষেত্রে শর্তাবলী
১. মৌখিকভাবে ফতোয়া দিয়ে পারিশ্রমিক নেওয়া নাজায়েয।তবে লিখিতভাবে হলে তা নেওয়া যায় তবে না নেওয়াই উত্তম
২. পরামর্শের মাধ্যমে ফতোয়া প্রদান
৩. প্রশ্ন করার পর সমতার ভিত্তিতে মুফতীর রায় প্রদান যাতে ফিৎনা সৃষ্টি না হয়।
৪. প্রশ্নকারীর অস্পষ্টতা স্পষ্ট করতে হবে
৫. সহজ,সরল এবং প্রাঞ্জল ভাষায় ফতোয়া প্রদান করতে হবে।
৬. আকীদা এবং ইবাদত সংক্রান্ত বিষয় ফতোয়া সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে দিতে হবে।সমকালীন বিষয়ে ফিকাহের কিতাব থেকে ফতোয়া দিবে
৭. বিরক্ত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় ফতোয়া দেওয়া
৮. নিজ মাযহাবের উপর ভিত্তি করে ফতোয়া প্রদান

ফতোয়া লিখার নিয়মাবলী

১. লিখা সুন্দর হওয়া
২. বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম উল্লেখ করা
৩. ফতোয়া লিখা শেষে আল্লাহ ভাল জানেন এই কথাটি লিখা
৪. ফতোয়া লিখা শেষ হলে তারিখ দেওয়া


কিন্তু বাংলাদেশে ফতোয়া দেয় কারা?? গ্রামের চেয়ারম্যান,মেম্বার,মুরুব্বি যাদের মাঝে হাদীস কোরআনের কোন জ্ঞান নাই তারা।

কয়েকটা ঘটনা আপনাদের সামনে দেয়া হলো যা কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ঘটছে।

শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা গ্রামের মৃত হেনা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, প্রতিবেশী মাহবুবের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়া ছিল হেনার। গত ২২ জানুয়ারি রাতে পরিত্যক্ত এক ঘরে মাহবুব-হেনাকে আপত্তিকর অবস্থায় আবিষ্কার করেন মাহবুবের স্ত্রী শিল্পী। পরে শিল্পীর চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এসে ব্যাপক মারধরের মাধ্যমে হেনাকে চরমভাবে আহত করে। পরদিন গ্রাম্য সালিশে কথিত ফতোয়ার মাধ্যমে আরো ১০০টি দোররা মারা হয় তাকে। এতে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ভর্তি করা হয় নড়িয়া হাসপাতালে। কিন্তু সুস্থ হবার আগেই বাড়ি পাঠানো হয় তাকে। অবস্থার আরো অবনতি হলে আবারও হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেনি হেনা। মৃত্যু তাকে চিরবিদায় করে এ ধরণী থেকে। ১৭ই জুন,২০০৯ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মা মেয়েকে দোররা মেরে আহতের ঘটনার ৭ দিন পর অবশেষে পুলিশ বাদি হয়ে বুধবার ১৩ ফতোয়াবাজ সমাজপতির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ২রা ডিসেম্বর,২০০০ সালে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় একটা প্রতিবেদন বের হয়েছিল যে, যেখানে বলা হয়েছিল নওগা জেলার সদর উপজেলার আতিফা গ্রামে শনিবার ১লা ডিসেম্বর কিছু ফতোয়াবাজদের চেষ্টায় এক গৃহবধুর সাথে অনমনীয় আচরণ করা হয়েছিল যেখানে তাদের সাথে হিল্লে বিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল।২০০৯ এর ৩০ জুন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার খাইয়ার গ্রামে ফতোয়াবাজদের দোররার ঘটে।২২ মে ২০১০ এ বাঞ্ছারামপুরে তরুণীকে ১০১ দোররা মারা হয়।এভাবে করে ভুল ফতোয়া দানের মাধ্যমে অসংখ্য সংসার এবং জীবন ধংস্ব হয়ে গিয়েছে।



উপরের ঘটনাগুলা কি চেয়ারম্যান সাবের মেয়ে বা সমাজের কোনো উচ্চ বিত্তের মানুষের সাথে ঘটতে পারত?? ফতোয়ার অপব্যবহার করে সমাজের দরিদ্র-নিরীহ মানুষদের নির্যাতন করেন তারা। বিশেষ করে এর শিকার হয় গ্রামের দরিদ্র-অশিক্ষিত নারীরা। বাংলাদেশে যেখানে ইসলামিক আইনই নাই সেখানে মাঝ থেকে ফয়দা লুটার জন্য ফতোয়া দেয়া আমি মনে করি নাজায়েজ বা অপরাধ।

ফতোয়া জায়েজ তবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে সব বিষয়ে ফতোয়া দেয়া জায়েজ নয়।

(সব ইনফরমেশন নেট থেকে নেয়া,এবং আমাদের এলাকার ২/১ জন হুজুরের সাথে এ নিয়ে কথা বলার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখা,তারাও আমার সাথে একমত ছিলেন)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪০

ইঞ্জিন মাধব ও ঘাওড়া মজিদের যৌথ প্রযোজনা বলেছেন: আমি সেক্স, মাইয়ামানুষ, রেপ এইসবের ইঞ্জিনিয়ার। আমারে সংক্ষেপে ইঞ্জিন মাধব ডাকলে আমি খুশি থাহি । আমি নিশ্চিত, আমার ইঞ্জিনে চাদ্গাজি গু দেয়, তাই তার পিছনে আমি ঘাওড়া মজিদরে লেলায় দিসি , এইবার সে বুঝব মজা । বেকুবের লাহান ঘাওড়া মজিদরে দিয়া আমার আসল ইঞ্জিনে মানে আমার আসল ব্লগে দাগ ফালাইছিলাম মানে দুই একটা কমেন্ট দিসিলাম, পরে বুঝবার পাইরা মুছে ফালাইছি । আমি খুব সরল সোজা মানুষ । তাই আপ্নেগোরে এত সব কয়া দিলাম। ব্যাকআপ হিসাবে এই আইডিটা খুলি রাখলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.