নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব

এটাই আমার একমাত্র আইডি,বাকি সবগুলো আমার ছবি ব্যবহার করে ফ্যাক আইডি ক্রিয়েট করা হয়েছে। ব্লগিং র টাইম দেখেই বুঝতে পারবেন কোনটা নতুন আইডি কোনটা পুরনো আইডি।ফ্যাক আইডি থেকে সাবধান থাকুন।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজের এহেন রাজনৈতিক ছাত্র লইয়া আমরা কি করিব?

২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজের এহেন রাজনৈতিক ছাত্র লইয়া আমরা কি করিব?

স্কুলে যখন পড়তাম তখন রাস্তাঘাটে মারামারি, ইভটিজিং সহ সকল প্রকার অন্যায় কাজের সাথে যুক্ত থাকত যারা একটু পড়াশুনোয় খারাপ তারা। ফ্যামিলির বড়রা,এলাকার মুরুব্বিরা এদের দেখলেই বলে দিত “পড়াশুনো ত নাই,শুধু আকাম কুকাম করে, আর টই টই করে ঘুরে” এরাই থানা,ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত রাজনীতি করে। মিছিলে আগে,ক্লাসে লাষ্ট বেঞ্চে।
ভালো ছাত্র মানেই,সব দিক দিয়েই ভালো। কোন মারারমারি ঝগড়াঝাঁটি কিছু নেই। সবার চোখেই তারা ভালো!

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা ভালো স্টুডেন্ট তারাই প্রতিযোগিতা করে,ভর্তি পরিক্ষার মাধ্যমে শুধু পাস করেই না,হাজার হাজার জনকে পিছনে ফেলে সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে। মানে ভালোর ভিতর যারা বেষ্ট,বেষ্টের ভিতর যারা আরো বেষ্ট, তারাই সুযোগ পায়। তার পরেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা এত এত ক্রাইমের সাথে জড়ায় কিভাবে?

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রাইমের পরিমান খুব কম,নেই বললেই চলে। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপানত মেধাবী না, এরাই সেই আকাম,কুকাম করা বা টই টই করে ঘুরাদের এক বিরাট অংশ কোথাও ভার্তি হতে না পেরে এখানে ভর্তি হয়। তাহলে ক্রাইম কম কেন?

ক্রাইমের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক একটা ব্যাপার। ঢাকা কলেজ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য বিরাট অবদান রাখা দুটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের নেতারা আজ চাঁদাবাজি,হত্যা,ধর্ষণ, মাদকতা সহ এমন কোন ক্রাইম কি আছে যা তারা এখন করছে না? ভার্সিটির নাম ভাঙ্গিয়ে সবখানেই ত্রাসের রাজ্য বানিয়ে নিজে রাজা সাজার চেষ্টা।

সিনেমা দেখতে যাবে,টিকেটের টাকা রাখা যাবে না! শপিং করবে, টাকা দিবে না। রেস্টুরেন্টে খাবে, বিল দিবে না। বাসে চড়বে,ভাড়া দিবে না। কারন আমি পাবলিক কলেজ,ভার্সিটির ছাত্র।

“”রাস্তায় জ্যাম,আমরা ভিভিআইপি,আমরা ইচ্ছামত ভার্সিটির বাস রঙ সাইড দিয়ে রোড ব্লক করে নিব। বাকিরা না হয় আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করুক,এম্বুলেন্সে রুগী মারাযাক। আমাদের বাস আগে যেতেই হবে। পুলিশ ব্যাটার কত সাহস,রাজাদের বাস রঙ সাইড দিয়ে যেতে দিবে না! কত বড় সাহস, মগেরমুল্লুক নাকি? কইরে পাইক,পেয়াদা। এই ব্যাটারে শায়েস্তা কর। সাবধান ক্যামেরা এড়িয়ে চলিস। যা দিনকাল। প্রাইভেসি বলে কিছুই রাখল না!””

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ,দেশের পাবলিক ভার্সিটির,কলেজের বাসের ভি আই পি স্ট্যাইলে চলা নিয়ে বলার কিচ্ছু নাই। অনেক বলেছি,অনেক লিখেছি লাভ নাই!

নবীন বরণ অনুষ্ঠানের লাইট নিভিয়ে যারা ছাত্রীদের উপর হিংস্র ভাবে,কুকুরের মত ঝাপিয়ে পরতে পারে তাদের যদি রাস্তায় ফেলে জুতা পেটা করেন লাভ কি??
কথায় আছে “ল্যাংটার নাই বাটপারের ভয়” আমাদের ছাত্রসমাজের অনেকের মানইজ্জতই নাই হারাবে কি?

বুয়েটে আগে রাজনীতি ছিল না। আসলে যারা পড়াশুনো করতে চায় তার রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় না খুব একটা। যখন রাজনীতি ঢুকল,তার কিছুদিন পরেই রাজনৈতিক কারনে একজন খুন হলো বুয়েট ক্যাম্পাসে,তাও সেই রাজনৈতিক মিছিল থেকে। টানা দেড় দুই মাস বুয়েট বন্ধ।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের এই ঘটনা থেকে কি প্রমাণিত হয় না? “”বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারামারি, চাঁদাবাজি সহ সব ধরনের ক্রাইমের অনুঘটক হিসাবে কাজ করে রাজনীতি “”



এরশাদ সাহেব নাকি চেয়েছিলেন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে। আর আমাদের নেতারাও সেই সুযোগ নিয়ে ছাত্রদের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করলেন। আমি তার সাথে ১০০+% সহমত,ছাত্ররা রাজনীতি কেন করবে? তাদের কাজ পড়াশুনো করা। বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাঙ্গন রাজনীতির জায়গা না। অনেকে বলবেন
“আপনি ৫২,৭১ এর ছাত্রদের ভূমিকার কথা কি ভুলে যাচ্ছেন? তাদের কারনেই আজ বাংলাদেশ “

তখন যারা রাজনীতি করত তা ছিলো দেশের জন্য, দেশপ্রেম থেকে অবহেলিত মানুষের জন্য,নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য। ছাত্র রাজনীতি করে টাকা ইনকামের চিন্তা কেউ করত না।
যদি বলেন “বর্তমানে যারা আছে তারা কি দেশ প্রেমী না?”
এরাও দেশ প্রেমী, এসব ছাত্র নেতারা পুতুলের মত। তাদের গুরুরা তাদের যদি বলে আজকে শাহবাগের সব গাড়ি ভেঙ্গে দিবি,তারা তাই করবে, দেশপ্রেমী হিসাবে। কেন? তার উত্তর তারা নিজেরাও জানে।

এরশাদকে হটিয়ে এই ছাত্রদের উপর ভর করে আজ আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি। এর খুব সুন্দর সুফল আমরা পাচ্ছি। ছাত্রদের মাধ্যমেই সরকার গঠন করা হয়। জমিদার আমলে যেমন লাঠিয়াল বাহিনী থাকত। যাদের মাধ্যমে তারা জমিদারি টিকিয়ে রাখত। সেই লাঠিয়াল বাহিনীর আধুনিকরুপ আজকের ছাত্ররাজনীতির ছাত্রনেতারা। লাঠিয়াল যুগের জমিদার, এযুগের সরকার কোনটাই জনগনের কথা ভাবে না। নিজেদের কিভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখে আখের গুছাবে তাই নিয়ে তারা ব্যস্ত।

ছাত্র সমাজকে জাতীয় রাজনীতে অংশগ্রহণ করতে দেওয়াটাই উচিৎ না। যারা ছাত্র রাজনীতির পক্ষে যুক্তি দিবেন,তারা বলেন ত ছাত্ররা রাজনীতি করবেই কেন? তারা তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা,দাবিদাওয়া নিয়ে রাজনীতি করুক। এতে তাদের পড়াশুনোর পাশাপাশি নিজেদের সমস্যার সমাধান এবং রাজনীতি চর্চা দুটাই হলো!

আজকে ছাত্রনেতা মনে হলে চোখে ভেসে উঠে “ভয়ঙ্কর চেহারার,মাতাল,অস্ত্রসজ্জিত হুন্ডার বহর নিয়ে চলা এক লোকের চেহারা”
দেশের কোন উন্নয়নমুলক কাজে নয় এদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মারামারি করে খবরের শিরোনামে বেশি দেখা যায়!

রাজনৈতিক দলগুলোর ছত্রসংগঠন মানেই একদল ক্যাডার,যাদের উপর ভর করেই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে। কোন রাজনৈতিক দলই ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করবে না। যদি করে তবে রাস্তাঘাটে মারামারি, গাড়ি ভাঙ্গবে কাদের দিয়ে?

“”ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে,মারমার, কাট কাট রাজনীতি এভাবেই বন্ধ হয়েযাবে””

আমাদের ছাত্ররা জাতীয় রাজনীতিতে এতটাই মশগুল যে তাদের আসল রাজনীতি ছাত্র সংসদের কথা তারা বেমালুম ভুলেগেল! কত বছর হয়েগেল ডাকসু র নির্বাচন হয় না। তারা এখন ব্যস্ত নারী,মদ,চাঁদাবাজি সহ নানান ক্রাইমে। দুদকের তদন্তে এক ছাত্র নেতার চারশ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান। এত টাকা সে কোথায় পেল??

কিছুদিন আগে এক ছত্রসংগঠনের সম্মেলনে মিডিয়ার সামনেই টাকা ভাগাভাগি, ছাত্রনেতা হলে থাকত,এখন ৫৫ হাজার টাকার বাসা ভাড়া করে কিভাবে থাকে? আপনি টাকা পেলে আমার ভাগ কই? লজ্জার কথা,সামান্য পেয়ারা নিয়ে এর পরের দিনই একই সংগঠনের ছাত্রীনেত্রীরা বরিশালে মারামারি করে আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি। ব্যপারগুলো হাস্যকর হলেও সত্য।

অনেক জ্ঞানী বলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দিলে নাকি ছাত্ররা বিপথে চলেযাবে,সব জঙ্গি হয়েযাবে। তাই তাদের রাজনীতি করতে দেয়া হয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে--
“”ছেলে দুষ্টামি করে বলে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয়া হত,আজ ছেলের মাদক সেবন করে ইনজেকশনের মাধ্যমে, নেশাই এখন তার সব””

প্রাইভেট ভার্সিটি, বুয়েট চলছিলো কিভাবে? ভ্যাটের বিপক্ষে আন্দোলন করে দাবী আদয় করে রাজপথ থেকে বিদায় নিয়ে সবার কাছে আন্দোলনের একটা রোল মডেল রেখেগেছে জাতীয় রাজনীতি না করা আপনাদের ভাষায় “ফার্মের মুরগি খ্যাত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা”
স্বাধীন বাংলাদেশে এটাই ছিল প্রথম কোন সফল আন্দোলন যেটায় নিজেদের উপর আঘাত আসলেও তারা কোন সহিংসতায় জড়ায়নি। বড় বড় রাজনৈতিক দলকে শিখিয়ে দিয়েছিল রাজনীতি কি! কিভাবে আন্দোলন করতে হয়। সবাই বাহ বাহ দিয়েছিল।

তাদের ২/১ টা ঘটনা ছাড়া কেউ বিপথে যায় নাই। বিপথে গেলে এই রাজনীতির কারনে হাজার হাজার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গেছে,জঙ্গি এইসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বের হয়েছে। কই রাজনীতি ত তাদের ফিরাতে পারে নাই।
কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বলে না তুমি বিপথে চলো। ছাত্ররা বিপথে যায় কিছু স্বার্থসিদ্ধ লোকের কারনে।

এই নোংরা রাজনৈতিক ছাত্রদের কারনে যারা সাধারণ ছাত্র তারাও সমস্যায় ভুগে। অনিচ্ছা সত্যেও তাদের মিছিল,মিটিং এ যেতে বাধ্যকরা হয়। না হয় হলে থাকতে দেয়া হয় না। হলে থেকেও বড় ভাইদের সাথে না গেলে সাজাও মিলে।

গত শীতে, এক জ্বরে আক্রান্ত ছাত্রকে ঢাবির এক হলের নেতা সারারাত বাহিরে দাড় করায়া রাখে,অপরাধ সে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যায়নি। ছেলে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হলে, বাসে করে মায়ের কাছে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

সব বাবা মা ই চায় তারা ছেলে ভালো পড়াশুনো করে ভালো কিছু করবে,শেষবেলায় অন্তত তাদের পাশে থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ধনীর বা শহরের ছেলে মেয়েদের থেকে মফস্বল, অজো পাড়াগাঁয়ের দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরাই বেশি চান্স পায়। তাদের কারই স্বপ্ন বা ইচ্ছা থাকে না তারা নেতা হবে,রাজনীতি করবে। অনেকের পরিবার এই রাজনীতিকে ভয় পায়,ছেলে খারাপ হয়েযাবে,পড়াশুনো হবে না মনে করে। সেই ছেলে যখন পড়তে এসে খুন হয় রাজনীতির কারনে,এর দায় কে নিবে?

আল্লাহ না করুক,আজকে ছাত্রলীগ সভাপতি বা ছাত্রদল সভাপতি যদি খুন হয়ে যান কি হবে? তার জায়গায় অন্য কেউ আসবে,২/৪ দিন মিছিল,গাড়ি ভাঙ্গাচুরা চলবে, তারপর? সেই আগের মত সব কিছু! কিন্তু যার সন্তান,যার ভাই,যার একমাত্র ছেলে,যার ভিতর সব স্বপ্ন ছিল একটা পরিবারের। তারা কি তাকে ফিরে পাবে? কি জবাব দিবে তার মাকে? কি বলে শান্তনা দিবেন?

উন্নত দেশের ছাত্ররা কি আমার দেশের ছাত্রদের মত রাজনীতি করে? তারা কি জঙ্গি হয়েগেছে? করে না বলেই আজ তারা উন্নত। মেধাবী, বুদ্ধিতে পরিপক্ক,অভিজ্ঞদের দিয়ে জাতীয় রাজনীতি হয়,যা দেশের উন্নয়নে লাগে। ১৮/২০ বছরের এক বালকরে দিয়ে আপনারা কি রাজনীতি করাবেন আর তার সুফল দেশ না বরং ঐ সব সুবিধাভোগী রাজনৈতিক নেতারাই পায়। কারন ১৮/২০ বয়সটা কোন যুক্তি মানতে চায়না,চলে আবেগে যতটা না বাস্তবে।

আমরা সব কিছুতেই বিদেশীদের অনুকরণ করি,সংবিধান, আইন,বিভিন্ন বাহিনী, গান, সিনেমা সব সব। শিক্ষা ব্যবস্থা,ছাত্রদের ভূমিকা কেন উন্নত দেশের অনুকরণে হয় না? হলেও খুব খুবই ধীরে ধীরে।

আজকের অনেক ছাত্রনেতা আগামীতে মন্ত্রী হবেন,এমপি হবেন। দেশের কি যে উন্নতি হবে আর আমরাই গনতন্ত্রের যে কি সুফল পাবো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!

লোক দেখানো, ফটোসেশন ছাড়া, দেখাতে পারবেন বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন বাধ ভেঙ্গে গেছে সারানোর জন্য গেছে,নিজেরা সেচ্ছায় রাস্তা নির্মাণ, স্কুল নির্মাণ করে দিছে? দিবে কিভাবে? তারা ত বড় বড় নেতাদের প্রটেকশন এবং মারামারি, মিছিল,মিটিং নিয়ে ব্যস্ত।

ছাত্র সমাজকে ব্যস্ত রাখার জন্য, বিপথে না যায়, তাই ঘুমের ইনজেকশন রাজনীতি দিয়ে তাদের বিবেককে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে,আর আমাদের বুদ্ধিজীবীরাও তাই বলে। আসলে এই সো কল্ড বুদ্ধিজীবীরাও টাকার কাছে বিক্রি। টাকার বিনিময় তারা আদর্শ বিক্রি করে।
(ভালোভাবে বুঝার জন্য মোশারফ করিমের নাটক সু-শীল দেখেন,অনেক ভালো বুঝতে পারবেন)

ছাত্রদের যদি ব্যস্ত রাখতে হয় তবে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চের ব্যবস্থা করেদিন,রিসার্সের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখুন। গবেষণায় উৎসাহ দিতে ছাত্রদের রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মাননার ব্যবস্থা করুন। এতে করে বলতে পারবে
“মরার পর না,আমি তরুন বয়সেই আমার মেধার জন্য সম্মাননা পেয়েছি” ছাত্রদের যদি গবেষণা মুলক ক্রিয়েটিভ কাজে ব্যস্ত রাখা যায় তারাই আমাদের ফেসবুক,মাইক্রোসফট, ইয়াহু,গুগলের মত বড় বড় প্রতিষ্ঠান উপহার দিবে।

আমার দেশের এমপি,মন্ত্রীর সন্তানরা সব দেশের বাহিরে পড়াশুনো করে। দেশে কি ভালো স্কুল,কলেজ,ভার্সিটি নাই? না থাকলে তৈরি করে না কেন? সব ক্ষমতাইত তাদের হাতে। আর বিদেশের কালচারে বড় হয়ে বাচ্চাদের মত ভাঙা ভাঙা বাংলা বলা নেতা কতটা আমাদের মত গরীব জনগনের দু:খ বুঝবে? আমাদের নেতারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ঠিকই বুঝে। এটাও বুঝে ছাত্রদের যতদিন তাদের হাতে রাখতে পারবে, ক্ষমতায় ততদিন তারাই থাকবে,লুটেপুটে তারাই খাবে। রাজনীতি বাংলাদেশের একটি লাভজনক পেশা। এখানে ইনভেস্ট কম,লাভ বহুগুন। ৫ শ কোটি খরচ করে যদি মন্ত্রী হতে পারেন। আগামী পাচ বছরে পাচ হাজার কোটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সব শেষে ২০ তারিখে ঘটে যাওয়া ঘটনা। ঢাবির অধিনে ৭ টা সরকারি কলেজের পরিক্ষার সময়সূচী, সিলেবাসের জন্য আন্দোলন হলো,পুলিশের হাতে অনেক ছাত্র আহত হলো। কই এখানে ত আমাদের জাতীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত কোন ছত্রসংগঠন আসলো না। যারা করেছে তারা সাধারন ছাত্ররাই করেছে। তাহলে ঐ সব ছাত্র সংগঠন কেন?

“”বর্তমান ছাত্ররাজনীতি কিশের জন্য? কেন আপনার সন্তানকে জাতীয় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতা/কর্মী হতে দিবেন? “” প্রশ্ন দুটোর উত্তর পারলে দিবেন প্লিজ।

(ছাত্ররাজনীতির কুফল এবং এর খুঁটিনাটি ভালো করে জানতে পারবেন প্রায়ত নায়ক ‘সালমান শাহ্‌,শাবনূর অভিনীত “বিক্ষোভ “ সিনেমায়’)

নোট:- চেয়েছিলাম সামু ছেড়ে দিব,কিন্তু কিছু লোকের জন্য ব্যাক করলাম,প্রতিবাদ চলবেই। ভদ্রতার মুখোশ পরাদের বিরুদ্ধে অলটাইম আছি! আগামী পোষ্টেই বিস্তারিত বলব!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

ফেল কড়ি মাখ তেল বলেছেন: শুরু হয়ে গেছে মাল্টিনিকদের আপনার বিরুদ্ধে গালাগালি। গাজি সাহেবেরা এইসব হয়তো চোখে তুলো দিয়ে আছে।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৫

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: আমার প্রতিটা পোষ্টে আর কেউ কমেন্ট করলেও গাজী সাহেব করবে। সেটা গঠনমূলক হোক না হোক কমেন্ট করা চাই। আজকে তিনি নাই?

ব্লগ সিন্ডিকেট, কথাটা গতকাল শুনেছিলাম। আজ নমুনা দেখছি।

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

টমাটু খান বলেছেন: লিখতে থাকুন।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২২

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

এম আর তালুকদার বলেছেন: “”বর্তমান ছাত্ররাজনীতি কিশের জন্য? কেন আপনার সন্তানকে জাতীয় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতা/কর্মী হতে দিবেন?
ব্লগে ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৬

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: লিখা চলবেই,যেখানে অন্যায় হবে সেই বিষয়টা নিয়ে লিখবই।

দেখি কতদুর যেতে পারি।

ধন্যবাদ আপনাকেও।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২১

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: গাজী সাহেব প্রায় সবার পোষ্টেই খুঁটিনাটি কমেন্ট করে। আজকে তাকে এবং ভদ্রতার মুখোশ পরা সেই সব লোকদের দেখছি না!

উপরের কমেন্ট ডিলিট করি নাই,দেখুন চেতনাওয়ালার ভদ্রতার আড়ালে কি কি করতে পারে তারা। আমি সে দিন সত্য এবং ইনফরমেশন সোর্স সহ পোষ্ট লিখলেও,কতগুলো ব্লগার গলির কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করেছিল। তারা আমার পোষ্ট মিথ্যা তা প্রমান না দিয়ে আমাকে পার্সোনাল এটাক করেছিল!

সত্য বলেছিলাম বলেই অনেকের গায়েলেগেছিল,আমার মনে হয় তারা ঐসবের সুবিধাভোগী।

আজকে সেই সব ভদ্ররা কি দেখবে? তাদের সেইজন কিভাবে ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করছে।

ব্লগেও চলে সিন্ডিকেট!

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

ফেল কড়ি মাখ তেল বলেছেন: চাঁদ গাজী এই ব্লগের এইডস। সে সব পোস্ট থেকে ফায়দা পাবে, সেখানে গিয়ে মজা লুটবে। আর তার সাথে কিছু ননীর পুতুল তো থাকবেই।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: সব খেইল খতম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.