নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব

এটাই আমার একমাত্র আইডি,বাকি সবগুলো আমার ছবি ব্যবহার করে ফ্যাক আইডি ক্রিয়েট করা হয়েছে। ব্লগিং র টাইম দেখেই বুঝতে পারবেন কোনটা নতুন আইডি কোনটা পুরনো আইডি।ফ্যাক আইডি থেকে সাবধান থাকুন।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাং-গালি!

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩০

বাং-গালি!

হেডিংটাকে বাঙ্গালি বা বাংলায় গালি পড়তে পারেন! অনেকে আবার একটু মাথা চুলকিয়ে চিন্তা করতে পারেন
“এ কেমন মশকরা!”
আমরা একমাত্র কিউট জাতি,যাদের নাম গালি,মুর্খ,বোকা আর অশিক্ষিত হিসাবে বুঝাতে আমরাই ব্যবহার করি!

জাতিটাই আমরা মুর্খ এবং অন্যের দাসত্ব করার জন্য,আমাদের মাঝে যদি কেউ সেই দাসত্ব থেকে বেরিয়ে এসে ভিন্ন কিছু করতে চায়,জাতি তা মেনে নিবে না।
বাঙ্গালি চায়
“”অন্যেরা যা ১০০ বছর ইউজ করে পুরানা করে ফেলে দিয়েছে সেটা কুড়িয়ে ইউজ করে নিজেদের তাদের মত আপগ্রেড ভাবতে।””

“”বাসার দাড়োয়ান, সাহেবের ৩/৪ বছরের পুরানো কোর্ট,প্যান্ট পরে,নিজ গ্রামে এসে নিজেকে সাহেব ভাবে। নিজের হাতে তৈরিকৃত লুঙ্গী, জামা পরে ওরা ত খ্যাত “”

“”ঢাকা এটাক মুভির পোষ্টার নিয়ে কত কথা হলো,কপি,কপি বলে চিল্লাইলো একটা হংকং,চায়না মুভি “শক ওয়েভ”র পোষ্টারের কপি বলে।,যখন প্রমান দেখানো হলো ঢাকা এটাকের পোষ্টার রিলিজ হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আর শক ওয়েভ মুভি ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল রিলিজ পেয়েছে,এরপরেও তারা কেন জানি বাংলাদেশিদের প্রতিভা মানতে চাচ্ছে না।

শাকিব খানের কানের সেফটিপিন নিয়ে কত কথা কিন্তু যখন দেখানো হলো ওটা সাউথের তামিল মুভির কিছু নায়ক শাকিবের আগে ইউজ করছে,তখন সবাই চুপ,ওহ,এটা স্ট্যাইল।

সালমান শাহর স্ট্যাইলের সাথে শাহরুখ,সালমান খান,আমিরের পিক দিয়ে মিলিয়ে বলছে স্ট্যাইল একই,এখানে তারা বলতে সাহস পাচ্ছেনা, বলিউড নায়করা সালমান শাহ্‌ র স্ট্যাইল কপি করছে কিন্তু উলটা হলে সবাই বলত বলিউড ফ্ল করত সালমান শাহ্‌ “”


অনন্ত জলিল সাহেবরে ত সবাই চিনেন,তাকে নিয়ে কত শত ট্রোল। অসম্ভবকে সম্ভব করাই যার কাজ। হ্যা,এইলোকটা দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ২০/২২ হাজার টাকার স্যালারির চাকরি করে একটা গ্রুপ অভ ইন্ডাস্ট্রির মালিক হওয়া যায়,দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে CIP হওয়াযায় দেশের জন্য কাজ করে। যেখানে হাত দিয়েছে সেখানেই সফলতা পেয়েছে।

তার কল্যানেই বাংলা সিনেমা চেঞ্জ হয়েছে,আমরা ডিজিটাল, ঝকঝকে স্ক্রিনে সিনেমা দেখতে পাই। লাল,পানি পরা স্ক্রিন ছাড়াও যে আমাদের সিনেমা হয় তার কারনেই আমরা প্রথম দেখলাম।

দেশের গার্মেন্টস শিল্পের এমন কোন মালিক কি আছে যার গার্মেন্টস তার শ্রমিকরা পাহারা দেয়। শ্রমিকরা মালিকের উপর অনেক খুশি,আছে? নাই,কিন্তু সেখানে ভিন্ন অনন্ত। অনন্ত গার্মেন্টস দেখিয়ে দিয়েছে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কটা কেমন হয়।

সেই মানুষটাকে আমরা কতই ট্রল করলাম,হাসাহাসি করলাম।

“”বিল গেটস, স্টিভ জবস এবং কি ভারতের সুন্দর পিচাই নিয়ে আমরা কত না মিথ রচনা করি,কতই অনুপ্রেরণা পাই,কতই না সুনাম করি অথচ নিজেদের সম্পদ, নিজেদের অনুপ্রেরণা, নিজেদের পরিবেশে থেকে যারা সফল তাদের চিনলাম না, তাদের নিয়ে মশকারা করলাম””

বাংলাদেশের কোন নায়ক ইসলাম প্রচারে এগিয়ে এসেছে কি না আমার জানা নাই,সেখান থেকে অনন্ত সাহেব,তার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসছে ইসলাম প্রচারে। এটা নিয়েও শুরু হয়েছে ট্রোল এবং নানান কথা! সে ১০০% না পারলেও ত চেষ্টা করতেছে।

যারা তার বিরুদ্ধে লেগেছেন….

“”আপনার কি এমন যোগ্যতা আছে তাকে নিয়ে কথা বলার? আপনি পারবেন কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির পিএ সিস্টেমের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত দিতে? পারবেন সমাজের মন্ত্রী, এমপি বা বড় বড় অফিসারদের দাওয়াত দিতে? যাদের সাথে দেখা করতে হলে ৫/৭ দিন আগে এপোয়েন্টমেন্ট নেয়া লাগে। অথচ অনন্ত খুব ইজিলি তা করতেছে,নিজের বিজনেসের টাইম থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা টাইম করে সে ইসলামের প্রচারে কাজ করছে। লোকজন তাকে দেখতে জড়ো হয়,আর তখনি যদি তাদের দাওয়াত দেয়া হয় ক্ষতি কি?””
তিনি যদি লোক দেখানো পিকচারও আপলোড দেন তা হাজার হাজার লোকের কাছে পৌঁছে যায়,বাকিদের উচিৎ তাকে সাপোর্ট দেয়া,ভুল ধরা ত আমাদের রক্তে মিশে আছে।

আসলে আমরা আমাদের মেধা নিয়ে গর্ব করতে পারি না,আমরা সব সময় অন্যের এবং বিদেশীরা এই করছে,সেই করছে বলে বলে আফসোস করি কিন্তু নিজেরা কিছু করতে এগিয়ে আসি না,কেউ করলে তাকেও কথার বানে আঘাত করতে ছাড়ি না!

তাদের জন্য কবি আব্দুল হাকিম একটা সুন্দর কবিতা লিখেগেছেন “বঙ্গবাণী “ এই কবিতার কিছু লাইন আপনাদের জন্য।

“”যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে না জুয়ায়।
নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়।।
মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি।
দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।।””


*পুলিশকে ঘুষ দিবে
*মামলা করতে যেয়ে ৫-১০ হাজার ঘুষ দিবে।
*নর্মাল ঝালমুড়িওয়ালা থেকে দোকানদার মাসে ১-১০ হাজার চাঁদা দিবে লোকাল মাস্তানকে।
*ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিবে
*দালাল ধরে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে লাইসেন্স, পাসপোর্ট করাবে।

এরকম অনেক অনেক কাজ আছে যা তারা করতে আনায়েসে তারা খরচ করবে,অথচ এর থেকে কম টাকা যদি সরকার নির্ধারিত করে দেয়,দেশের উন্নতি ত হবেই সাথে অবৈধ, অসাধু উপায় বন্ধ হবে,সরকার সার্ভিস দেয়ার জন্য অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিতে পারে। কিন্তু তারা বৈধ উপায়ে দিতে নারাজ,অবৈধ উপায়ে দেয়ই,বহুগুণ।

বাবুরা বিদেশ গেছেন, ২/৪ টা দেশ ঘুরে নিজের দেশকে ময়লা,দুর্গন্ধ, নোংরা দেশ হিসাবে গালি দিবে।
অথচ সেই বাবুই চিপ,কোল্ডড্রিংস খেয়ে খালি ক্যান দিয়ে রাস্তায় ফুটবল প্রাকটিস সেরেনিবে।


লাইনে দাঁড়ানো,ট্রাফিক আইন নিয়ে বিদেশের প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলেফেলবে। অথচ তারে কেউ লাইনে দাঁড়াতে বললে নিজের পরিচয় ভুলে যায়,অন্যজনরে জিজ্ঞাস করে

“”আপনি চিনেন আমি কে?””

আমরা কোন কাজেগেলে সঠিক পথ খোঁজার আগে পিছনের দরজা দিয়ে কিভাবে ঘুষ দিয়ে কাজ করতে হয় তা খুঁজি।

সবচে হাস্যকর কাজ করে আমাদের নেতারা,আমেরিকার কোন আইন তাদের নিজেদের পক্ষেগেলে তা তারা আমাদের দেশেও চালু করে।
ধরুন

“”নেতা দেখল আমেরিকায় শহরের খালে স্পীডবোট চলে,তারাও বাংলাদেশে এসে ধোলাই খালে স্পীডবোট নামায়া দিল,কিন্তু খাল যে চলাচলের উপযোগী না এবং ময়লা,দুর্গন্ধ সব সরাতে হবে তা তাদের মাথায় ঢুকে না””
আইন সহ সব ব্যবস্থায় একই অবস্থা।

বিদেশে ফাইনের জন্য ফাইন। মানে সুন্দর করার জন্য জরিমানা। আমাদের দেশে ফাইনের জন্য ফাইনের পাশাপাশি ইনস্ট্যান্ট সাজা দিলে সবাই আইন মানবে।

ট্রাফিক আইন মানবেন না? জরিমানা দিবেন সাথে রাস্তায় কান ধরে উঠবস,দেখবেন সবাই ভদ্র হয়েগেছে।

একবার ট্রাফিকের জন্য সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল,দেখছেন সবাই কত সুন্দর করে আইন মেনেছিল! কেউ যেখানেসেখানে গাড়ি পার্ক করে নাই,উল্টাপাল্টা গাড়ি চালায় নাই। সব জায়গায় ট্রাফিকজ্যাম থাকলেও ক্যান্টনমেন্ট এ জ্যাম থাকেনা কেন? এই ফাইনের জন্য সাজা এবং ফাইনের কারনে। শুধু বিদেশিদের অন্ধ ভাবে ফ্ল করলেই চলবে না, নিজেদের উপযোগী, নিজেদের সাথে যায় এমন আইন করতে হবে,যা দিয়ে আমাদের জনগনরে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

এখনো আমরা নিজেদের প্রতিভা এবং নিজেদের উপর বিশ্বাস আনতে পারি নাই। দেশীয় কোন সংস্থার নিউজ,রিপোর্ট ,পন্যের প্রতি আমাদের যতটা আস্থা তা যদি দেশী পিয়াজ আর মুরগির মত হতো,তাহলে নির্বাচন থেকে শুরু করে কোন কিছুর জন্যই বিদেশীদের উপর আস্থা রাখতে হতো না।

আমরা বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রথম,অথচ আমাদের দেশের মার্কেট ইন্ডিয়ান আর পাকিস্তানি পোশাকে ভরপুর, দেশী পন্যের চাহিদা নাই।

ইন্ডিয়া আবার ভিসা সহজ করে দিছে,তাই আগে যারা বসুন্ধারায় শপিং করত তারা এখন ইন্ডিয়া চলেযায় শপিং করতে। দেশীয় পোশাক শিল্প,পর্যটন শিল্প সহ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

চিকিৎসা শিক্ষায় এশিয়াতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো,চায়না ইন্ডিয়া থেকেও আমাদের মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক ভালো,তাইত মালয়েশিয়া, নেপাল,শ্রীলংকা, আফ্রিকা, ইন্ডিয়া সহ অনেক দেশ থেকে স্টুডেন্ট আসে আমাদের দেশে,ডাক্তারি পড়তে।

অথচ আমরা চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা করচ করে হাজার হাজার লোক ইন্ডিয়া যাই,আমাদের দেশে এপোলো হসপিটাল আছে, রুগী যেয়ে ইন্ডিয়ার এপোলোতে ভর্তি হয়। ওদের দেশে যদি এপোলো ঐ সেবা দিতে পারে আমাদের দেশে নয় কেন? রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী সবাই সিঙ্গাপুর যায় চিকিৎসা নিতে,কেন আমাদের দেশে ঐ টাইপের হসপিটাল চালু করা হয় না? লাখ লাখ খরচ যদি বিদেশ যেয়ে করতে পারে,সেই টাকা তারা দেশেই খরচ করবে যদি একই বা তার থেকে ভালোমানের সেবা পায়। বিদেশী নির্ভর আর কত?

সবখানেই মেইড ইন বাংলাদেশে অভ্যস্ত হতে হবে,নিজেদের পন্যের প্রতি আস্থা আনতে হবে,আমরাও যে পারি,আমারও যে আমাদের পরিবেশ উপযোগী, আমাদের কালচার অনুযায়ী পন্য তৈরি করে নিজেরাই ব্যবহার করতে পারি সেই আস্থাটা তৈরি করতে হবে। বিদেশিদের কপি করে আর কত দিন?

আরেকটা বিষয়,অন্যের পিছনে লাগা বন্ধ করতে হবে,অন্য কেউ কিছু করে এগিয়েগেলে সবাই তার পিছনে লাগে। কেউ গরু,মাছ,মুরগির খামার করে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে,রাতের অন্ধকারে খাবারে বিষ দিয়ে আসলাম, নিমিশেই ধ্বংস হয়েগেল একজনের স্বনির্ভরতার স্বপ্ন। পত্রিকায় এমন অনেক অনেক নিউজ আপনারা দেখেছেন। কিন্তু কেন এমন??

অন্যের পিছনে লেগে যে সময় ব্যয় করা হচ্ছে,তা যদি নিজের কাজে এবং যারযার কাজ সে যদি সততার সহিত করত,দেশ নামে সোনার বাংলা না সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ হয়েযেত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.