নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব

এটাই আমার একমাত্র আইডি,বাকি সবগুলো আমার ছবি ব্যবহার করে ফ্যাক আইডি ক্রিয়েট করা হয়েছে। ব্লগিং র টাইম দেখেই বুঝতে পারবেন কোনটা নতুন আইডি কোনটা পুরনো আইডি।ফ্যাক আইডি থেকে সাবধান থাকুন।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব › বিস্তারিত পোস্টঃ

“নো-ভেইল জয়ী”

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮


""শান্তিতে নোবেল তারাই পায় যাদের দিয়ে ঐসব দেশে অশান্তি লাগানো যায়""
সুচি,ইউনুস,দালাই লামা সহ অনেকেই আছে এই তালিকায়......

পশ্চিমা বিশ্ব যখন দেখে ঐসব দেশে তাদের পা চাটা কুকুর নাই,থাকলেও জনগনের কাছে পৌঁছানোর মত না,তখন একজনরে নোবেল দিয়ে নিজ দেশে না সারাবিশ্বে পরিচিত করা হয়,তাদের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বা বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয় তাদের সম্মানে।

চীন,মায়ানমার, তুরস্ক সহ এসব দেশের শিক্ষিত সমাজ ভাবে

""বাব্বারে,আঙ্গো কুদ্দুইচ্চার পাওয়ারডা দেখছনি! দেশের সরকাররে বেইল না দি আমিরিকার প্রেসিডেন্ট বারেক কাহায় আঙ্গো কুদ্দুইচ্চারেই চিনে। হেতে আসলেই আঙ্গো দেশের একখান মাল।""

আরেক গ্রুপ যায় বিদেশ পড়াশুনো করতে,দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার মত বা সারা বিশ্বে নিজ দেশের কাউকে চিনে কিনা এমন কাউকে নিয়ে বলার মত বা লিখার মত কাউকে খুঁজে না পেয়ে যখন হতাশ,তখনই কোম্পানির প্রচারের জন্য ৩০০ টাকার এনার্জি বালব,১০০ টাকায় অফারের মত হাজির নোবেলজয়ী!!

“”আমাদের মত থার্ডওয়ার্ল্ড কান্ট্রি যারা আছে তারা অলটাইম উন্নত দেশের দিকে তাকিয়ে থাকে,তাদের সৃষ্টি দেখে আর বিস্ময় প্রকাশ করে। বাপরে কি কি করে ফেলছে। এরা যখন বাহিরে যায় তাদের সম্মান দেয়ার থেকে নাক ছিটকানো লোকের অভাব হয় না। খাস বাংলায় গরিবরা ধনীদের থেকে যে আচরণ পায়,এরাও তেমনটাই পায়,যখন দেখে সাহেবরা এই থার্ড ওয়ার্ল্ডের একজনকে খুব আদর আপ্যায়ন করছে,তখন তারা ভাবে
””লোকটা কি হনুরে,হিলারীর ফ্রেন্ড””

একটা বাস্তব ঘটনা বলি।

“”ফ্রেন্ড রুমমেট খুঁজতেছে,কোনভাবেই পাচ্ছেনা ত পাচ্ছেই না,আজকে মাসের ২৭ তারিখ তাও রুমমেট পাচ্ছেনা। শেষমেশ এক লোক পাওয়াগেল যে শাহজালাল ইসলামিক ব্যাংকে জব করে। জব হলো সে সেখানকার পিওন পোষ্টে আছে।

বন্ধুরে বললাম,এটা চলেগেলে তর একমাসের টাকা মাইর যাবে,যত দিতে চায়,দামাদামি করে রেখে দে। ২/১ মাস পরে না হয় চেঞ্জ করে নিস যদি রুমমেট হিসাবে ভালো না লাগে। আর সবাই ত মানুষ, ছোট জব করে বলে নেগলেট করার কিছু নাই।

বন্ধু আমার যুক্তিতে তাকে রেখেদেয়,কয়েকদিন যেতে না যেতেই সমস্যা শুরু হয়েগেল। লোকটার সাথে তার এক ফ্রেন্ড মিলাতে পারছেনা, আচরণ এবং কার্জকালাপ দিয়ে।

“একদিনের ঘটনা,পিসিতে নর্মাল্লি উড়াধুড়া,হাই বিটের পার্টি সং শুনা হয় না ওদের,তখন হৃত্বিকের ব্যাঙব্যাঙ মুভির
‘তু মেরি.. রি রি...মেহ তেরা রা রা….’ গানটা শুনতে শুনতে বাসি খাবার মনে হতে লাগল,মাঠেঘাটে সবখানেই চলে।

লোকটা খাবার খাওয়ার সময় এই গানটা ছেড়েই খাবার খায়,ফ্রেন্ড এবং বাকিরা বিরক্ত হয়ে চেঞ্জ করে দিত।

একদিন লোকটা আমার কাছে অভিযোগই করেফেল্ল…

“”ওনারা শিক্ষিত হইছে,কিন্তু আধুনিক হইতে পারে নাই,আমার অফিসের বস,মোবাইলে এই গানটা ছেড়ে তারপর খেতে বসে,শুনতে খাবার খায়,আর ওনারা বলে এটা নাকি ফালতু গান!””

এবার আমি মনে মনে চিন্তা করলাম
“আরে ব্যাটা তোমার বস এই গান মাত্র শুনে,আর আমরা ত এটা ২ মাস আগে খাইয়া ছাইড়া দিছি””

ত বিদেশে পড়াশুনো বা বিদেশি বাবুদের অবস্থা হলো ঐ পিয়নের মত। সাহেব করে তার মানে এটা না কি না কি। কিন্তু সাহেবরা কোন স্বার্থ ছাড়া এই গরীব দেশের কাউকে কোন দিন সম্মান দিবে না।

“”ধনীর সাথে গরীবের বন্ধুত্ব তখনই হয়,যখন ধনী গরীবের মাধ্যমে বড় কোন দাও মারে বা মারার অপেক্ষায় থাকে””

ইউনুস সাহেবরে দিয়ে, দালাইলামা,সুচি সহ অনেকরে দিয়েই দাও মারার চেষ্টা করেছে আমেরিকা।

ইউনুস সাহেব নির্বাচন পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন। এবার পত্রিকায় পড়লাম
“”বিএনপি নয় আসল প্রতিপক্ষ এবার ইউনুস””

ইউনুস সাহেবের নোবেল পাওয়ার সবচে বড় এবং একমাত্র যোগ্যতা তিনি হিলারির কাছের লোক ছিলেন। (মেবি একই ভার্সিটিতে পড়েছিলেন একসাথে,আমি শিওর না)

“”গ্রামীনব্যাংক এবং ইউনুস সাহেবরে যে জন্য নোবেল দেয়া হয়েছে,সেই যোগ্যতায়,এদেশের নীলকর, মাহাজন,সুদখোররা তার আগে নোবেলজয়ী হওয়ার কথা।

কারন,মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্র লোনের নামে সুদের ব্যবসা তারাই এই দেশে আগে চালু করেছে

একই ভাবে ব্রাক সহ অন্য এনজিওরা কেন পাচ্ছেনা, ব্রাক ত শুধু বাংলাদেশে না সারাবিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকায়ও কাজ করে। শুধু সুদের ব্যবসা না,শিক্ষা,স্বাস্থ্য,চিকিৎসা সহ নানান সেবা নিয়ে কাজ করে।””

“”পাকিস্তানের মালালা ইউসুফ যদি নোবেলজয়ী হয় যে যোগ্যতায় সেই একই যোগ্যতায় নাবিলা নোবেলজয়ী হয় ১০০ বার,পার্থক্য মালাকে গুলি করেছিল তালেবানরা আর নাবিলা তার পরিবার হারিয়েছে মার্কিন সেনাদের হামলায়। অথচ দুজনই শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করত বরং মালালা থেকে নাবিলা অনেক অনেক এগিয়ে””


ইউনুস সাহেব নিয়ে কথা বললাম তাই অনেকেই আমার উপর হয়ত ক্ষেপে গেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন

“”নোবেলজয়ী ইউনুস আমাদের দেশের উন্নয়নে তার একটু ভূমিকা দেখান। দেখান এই কাজ তার জন্য,তার কারনে হয়েছে। যেখানে তার বিন্দুমাত্র স্বার্থ নাই।

উলটো তার গ্রামীনব্যাংকের ঋনের সুদের টাকা দিতে না পেরে আমার নিজ গ্রামের ১০/১২ টা পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে,তাদের ঘরের টিনের চাল খুলে নেয়ারও ঘটনা ঘটেছিল(২০০৫/৭ সালে)””

বাংলাদেশে যতটা এনজিও ক্ষুদ্রঋণ দেয়,তাদের থেকে গ্রামীনব্যাংকের সুদের হার সবার উপরে।
গ্রামীনব্যাংক হারিয়ে গ্রামীনশক্তি নামক এক প্রতিষ্ঠানের খোজও পেলাম। সেখানেও চড়া সুদের কারবার সোলার প্যানেল নিয়ে।

আমার কথা যদি আপনার উল্টাপাল্টা মনে হয় বা পাগলের প্রলাপ মনে হয়,নরওয়ে রেডিওর তৈরি করা ডকুমেন্টারিরা দেখেনিয়েন,ক্ষুদ্রঋণ আর ইউনুস সাহেবরে নিয়ে। তারা এই সুদের ব্যবসা এবং এর অত্যাচারের কথা ভালোভাবে তুলে ধরেছে,সত্য হলেও আমরা বিদেশী প্রোডাক্টে আস্থা বেশি রাখি।

তিব্বতের মাধ্যমে চীনকে অশান্ত করার জন্য দালাইলামা,চীনের আরেকজনকেও নোবেল দেয়া হয়েছে,মারাগেছে কিছুদিন আগে,নাম মনে নেই। তাকে দিয়েও চেষ্টা করা হয়েছিল চীনকে অশান্ত করার।

তৎকালিক মায়ানমার জান্তা সরকারকে ভাগে আনতে সুচিকে এবং তুরস্কেও একজন নোবেলজয়ী আছেন যার বিরুদ্ধে সামরিক ক্যু এর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার অভিযোগ আছে,তিনি আমেরিকায়ই এনখন বসবাস করেন।

বারাক ওবামা নোবেল পেয়ে নিজেই অবাক হয়েছিলেন। তেল মারার জন্য লোকে কত কিছু করে,তাই বলে নোবেল??

রবীন্দ্রনাথের নোবেল নিয়েও বিতর্ক আছে,গীতাঞ্জলীর ইংরেজি অনুবাদের জন্য পেয়েছেন,তাহলে ত নোবেলজয়ী হওয়ার কথা অনুবাদকের, রবীন্দ্রনাথের না। কিন্তু দাবার গুটি ছিল এখানেই,যারা এই নোবেল কমিটিতে তখন ছিলেন,তাদের নিজেদের স্বার্থেই দেয়া হয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে,কারন তারে পরেই সেই কমিটির বা সুপারিশ কারি দুজন একই কৃতীর জন্য নোবেলজয়ী হয়। এসব পুরান কথা।

নতুন কথা,
“”শান্তিতে নোবেলজয়ীরা কতটা ভূমিকা রাখছে বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে? সুচি,যে গণতন্ত্র বলতে বলতে নোবেল পেল,কতটা গণতন্ত্র সে দিতে পেরেছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে সে কথা বলতে পারেনা বুঝলাম,সেই ক্ষমতা তার নাই,সেটাও না হয় মানলাম,সামান্য নিন্দা জানানোর মত ক্ষমতাও কি তার নাই?””



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শান্তির জন্য নোবেল, (আমার মতে) পুরোই রজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেয়া হয়।।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪০

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: অশান্তি লাগানোর জন্যই দেয়া হয়!

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২০

নতুন বলেছেন: আপনার মতন জ্ঞানীর সান্নিধ্য পাইয়া বাংলা ব্লগ ধন্য হইয়া গেছে ভাইয়া।


আপনার কাছে দালাই লামা, ড: ইউনুস ধুনপুন কুদ্দুইচ্চা :|

গুনী মানুষকে সম্মান দিতে হলে নিজেরও ঘটে কিছু জ্ঞান থাকা চাই। না হইলে সবাইকেই কুদ্দুইচ্চা বইলা মনে হয়।

আরেকটা কথা শুনেছিলাম.... ফলবতী গাছের ডাল নিচে ঝুকে থাকে ফলের ভারে।

জ্ঞান মানুষকে বিনয়ী করে.. অপরকে সম্মান করতে শেখায়।

১জন দালাই লামার কতটুকু জ্ঞান/প্রজ্ঞা থাকে সেটা আপনার বোঝার কথা না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৯

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: কেন এবং কোন প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে তা ভালোভাবেই তুলে ধরা হয়েছে!

“”দুর্জন বিদ্যান হলেও সকলের কাছে পরিত্যাজ্য “”

ইউনুস সাহেব,খুব জ্ঞানী,সুদ কিভাবে খায় আর ধোকা দিয়ে গ্রামীনফোন নামক কোম্পানির লাইসেন্স কিভাবে আদায় করা যায় তা নিয়ে।

নোবেল বিহীন ইউনুসরে কল্পনা করুন! তাহলেই হবে।

দেশের বড় বড় দুর্নীতি,ব্যাংক ডাকাতি সব বড় বড় শিক্ষিত ব্যক্তিরাই করে! তাই বলে তারা জ্ঞানী হলেও আপনার ভাষায় ধুনুপুনো কুদ্দুইচ্চা থেকেও নিকৃষ্ট জন,কুদ্দুইচ্চারাও দেশের কল্যানে কাজ করে,এরা না!

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩১

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: সব মিডিয়ার দোষ!

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: নোবেল পুরুষ্কার আর শান্তি দুটিকে দুই মেরুর মনে হয়। শান্তিতে নোবেল জয়ী কারো নাম শুনলেই আতংকিত হই

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৪

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: শান্তিতে নোবেল মানে ঐ দেশে অশান্তি লাগানোর মত একজন পাওয়াগেল!

পুরো নোবেলটাই এখন এমন হচ্ছে!

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি চাইলেই সকাল বিকেল ২/৪টা নোবেল যে কোনদিন জিততে পারেন, আপনি চাচ্ছেন না, তাই হচ্ছে না!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:১৯

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: তর লজ্জা বলতে কিছুই নাই,তরে মানা করছিনা আমার পোষ্টে কোনোদিন কমেন্ট করবি না??

তুই হারামী মিচকা শয়তান,আবার কেন কমেন্ট করছ?

আসলে তর জন্মটাই বেলুন দুর্ঘটনায়,না হয় মানুষ এত বেহায়া হওয়ার কথা না!

বিশ্ব বেহায়াপনায় যদি নোবেল দেয়া হত, তুই বাস্টার্ডই প্রতিবছর সেটা জয়ী হতি!!

আবার বলছি,নেক্সট,আমার পোষ্টে কোনদিন কমেন্ট করবি না।

তর জন্য আমার কাছে এর থেকে ভদ্র ভাষা আর জানা নাই! যা এবার ফুট….

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.