নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত দুইমাসে যে ৬০+ বই পড়ে শেষ করেছি, সবগুলি যথাযথ পাঠপ্রতিক্রিয়া লেখা হয়নি। কখনো হয়তো ইচ্ছে করেনি, কখনো বা দু'লাইন বা চার লাইন লিখতে ইচ্ছে হয়েছে। তাইই করেছি। এই দু'চার লাইনের অনুভূতি গুলি একসাথে গুছিয়ে রাখতে ইচ্ছে হল।
১।
অবমানব
রুমানা বৈশাখি
বাংলাদেশী একজন "লেখিকা" জীবনধর্মী জেনরের বাইরে অন্য কোন জেনর নিয়ে লিখছে - জেনেই খুব ভাল লাগছে। চমৎকার প্লট, কাহিনিও বেশ। তবে হরর হলেও, ভয় পাইনি। তেমন থ্রিলও পাইনি। শেষটা যেন প্রথমেই বুঝে গিয়েছিলাম।
গবেষণাধর্মী বই। লেখিকাকে খুব কষ্ট করতে হয়েছে তথ্যগুলির জন্য। কিন্তু তিনি তথ্যগুলি সুন্দর করে সাজাতে পারেননি। কিছু কিছু জায়গা একঘেয়ে লেগেছে। ভাষাটাও সাবলিল মনে হয়নি।
কিন্তু সব মিলিয়ে ভালোই। মনে হচ্ছে আগামিতে উনার কাছ থেকে ভাল কিছু বই পাব।
২।
তেইল্যা চোরা
ওবায়েদ হক[/sI]
সাদামাটা গল্পটা যে কখন যুদ্ধের গল্প হয়ে গেল, টেরই পাইনি। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, জেলখানার ভিতরে যেন আমিই ছিলাম! যুদ্ধের সেই ভয়াবহ দৃশ্য আমার চোখের সামনেই ঘটছে। যে হুরমতি সবসময় কর্কশ কণ্ঠে চোর চোর করে গালিগালাজ করত, সে যখন বলল, "আরে ব্যাটা তুই কান্দিস না, তুই মুক্তিযোদ্ধার পোলা!" - তখন আমেনার সাথে সাথে আমারও চোখ ভিজে গেছে। বেশ ভাল লেগেছে। চমৎকার লেখনি। মন ছুঁয়ে গেছে।
৪।
শ্রাবণ মেঘের দিন
হুমায়ূন আহমেদ
বইয়ের শেষ পড়ে কাষ্ঠমানবীর চোখ ভিজে গেছে। তাও আবার স্টুডেন্টের সামনে বসে …
৫।
মানবী
হুমায়ূন আহমেদ
অসহ্য লেগেছে। এমন একটা পৃথিবীতে বাস করছি, ভাবতেই গা কিড়মিড় করছে। স্যার হয়ত সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। প্রযুক্তির দৌড় সবক্ষেত্রে ভাল ফল বয়ে আনে না …
[শেষ দুইটা বই শেষ একদিনে পড়েছিলাম। দুইলাইনে প্রতিক্রিয়া লিখেছিলাম কারণ স্যারের বই পড়ার সময় অদ্ভুত একটা ঘোরে আচ্ছন্ন থাকলেও পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার সময় লেখার মত কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না।]
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
মাদিহা মৌ বলেছেন:
২| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
শাহেদ খান বলেছেন: "গত দুইমাসে যে ৬০+ বই পড়ে শেষ করেছি" -- এই জন্যই অভিনন্দন জানবেন! হয়তো আরও বিস্তারিত রিভিউ দিবেন কোনও এক সময়।
শুভকামনা।
২০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মাদিহা মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ
কিছু কিছু গল্পের রিভিউ ডিটেইলে লিখেছি তো। ওগুলো বইকথা শিরোনামে দেওয়া আছে।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রুমানা বৈশাখী বিভিন্ন পত্রিকায়- ম্যাগাজিনে লিখে হাত পাকিয়েছেন। তার কাছে ভাল কিছু আশা করছিলাম।
২১ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১৪
মাদিহা মৌ বলেছেন: উনার ছোট গল্পের একটা সংকলন পড়েছিলাম, ওটা বেশ
লেগেছে। ছোট গল্পে দক্ষতা বেশ।
৪| ২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: রুমানা বৈশাখীর লেখা পড়তাম রহস্য পত্রিকায়। ভালোই। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন আমারও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে নি। অনেক ক্লাসিক বইয়ের ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে। এর কারণ হিসেবে আপনি যা বলেছেন সেটাই ঠিক। শ্রাবণ মেঘের দিন খুব ভালো লেগেছিলো। মানবী আবার কবে বের হলো! তার শেষবেলার বেশ কিছু বই মিস গেছে।
২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
মাদিহা মৌ বলেছেন: হ্যাঁ, রুমানা বৈশাখির ছোট গল্প লেখার হাত দারুণ!
হ্যাঁ, আরো কিছু ক্লাসিক বইয়ের ক্ষেত্রে আমারো এমনটা হয়েছে।
হুমায়ূন স্যারের বই পড়ার জন্য এখন তো আমি উনার সমস্ত বইয়ের লিস্টই বানিয়ে নিয়েছি। কারণ এমন অনেক বইই আছে, যেটা পড়া হয়েছে, কিন্তু নাম মনে নাই, এমনকি প্রথম ২০-২২ পৃষ্ঠা পড়ার পরেও বোঝা যায় না যে ওটা আগে পড়া হয়েছে। তাই এখন যেটাই পড়ি, সেই লিস্টে নামের পাশে টিক দিই। যাতে এক বই দুইবার না পড়া হয়।
আপনার ক্ষেত্রেও সেটা ঘটতে পারে।
৫| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫
কালনী নদী বলেছেন: সেবা বই, প্রিয় বই। অবসরের সঙ্গি।
২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
মাদিহা মৌ বলেছেন: সেবার স্লোগান সবার কণ্ঠে কণ্ঠে
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
শামছুল ইসলাম বলেছেন:
//বইয়ের শেষ পড়ে কাষ্ঠমানবীর চোখ ভিজে গেছে। তাও আবার স্টুডেন্টের সামনে বসে …// - বেশ মজার মন্তব্য। এই বইটা পড়ার সময় কোথা থেকে যেন বালি এসে এই অধমের চোখে পড়েছিল, তাই বেশ বার কয়েক চোখ মুছতে হয়েছিল।
আপনার শেষের কথাগুলো আমাকে ভাবাচ্ছেঃ
//[শেষ দুইটা বই শেষ একদিনে পড়েছিলাম। দুইলাইনে প্রতিক্রিয়া লিখেছিলাম কারণ স্যারের বই পড়ার সময় অদ্ভুত একটা ঘোরে আচ্ছন্ন থাকলেও পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার সময় লেখার মত কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না।]//
ব্যাপারটা যদি এরকমই হয়, তবে বুঝতে হবে, লেখায় গভীরতা কম - এটা একান্তই আমার ধারণা।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
মাদিহা মৌ বলেছেন: হ্যাঁ, এটা ঠিক যে স্যারের শেষ দিককার লেখাগুলোয় যেগুলি উপন্যাস নামে ছাপানো হলেও আদতে ছিল নোভেলা বা উপন্যাসিকা, সেগুলিতে গভীরতা কম ছিল। কিন্তু প্রথম দিকের উপন্যাসগুলো তো অনবদ্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: