নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাদিহা মৌ

মাদিহা মৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই কথাঃ ১০ - অক্টারিন

৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

আমি রিভিউ খুব ভাল লিখতে পারিনা। শুধু চেষ্টা করি পড়ার পরের প্রতিক্রিয়াটা ব্যক্ত করতে।



কাহিনি সংক্ষেপ

মার্ডার মিস্ট্রি হয়তো পড়েছেন আগে, কিন্তু পজেশন মিস্ট্রি?
কোন অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ের ওপর-সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়োগ করা হলো অদ্ভুত এক মানুষকে; অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার সাথে যার আছে নিবিড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা। কিন্তু তদন্তে ডুব দেবার পরই বুঝতে পারলো চোরাবালি আসলে কতোটা গভীর। একা একা সমস্যার জট খোলা সম্ভব নয়, অন্য এক ধরনের বিশেষজ্ঞের সাহায্যের দরকার। দরকার একজন রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ানের।
ওরা দু-জন মিলেও কি এই মারাত্মক রহস্যের জাল ভেদ করতে পারবে? প্রতি পদে অপেক্ষা করছে বিপদ-ছায়ার আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে আছে অকল্পনীয় ক্ষমতাধর এক আততায়ী।


পাঠ প্রতিক্রিয়া

লেখকের দেওয়া সময়সূচী অনুসরণ করতে গিয়ে বইটা পড়তে অনেক দেরি হয়ে গেল। তবে ভালোই হল। ভালো জিনিস, দেরিতে পড়েই মজা। রাতে পড়ায়, ভৌতিক আবহটা তৈরি হয়েছিল ভালো মতোই। সুনসান নীরবতায় ভয়টা জেঁকে বসেছিল ভালোমতই। এমনকি বইটা পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ায় স্বপ্নেও ভয়েরা হানা দিচ্ছিল।

আধিভৌতিক, হরর আমার প্রিয় জনরা; আগেই বলেছি। এই জনরার বই অনেক পড়েছি। কিন্তু আমার কাছে অক্টারিনকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে। ৩৮৪ পৃষ্ঠার মোটা বইটা পড়ে শেষ দিকে আসার পর মনে হচ্ছিল, এত জলদি শেষ হয়ে যাচ্ছে কেন বইটা?

চমকপ্রদ অনেক অনেক তথ্য জানতে পারলাম বইটা পড়ে। জ্বীনদের এত প্রকারভেদ সম্পর্কে আগে শুনিনি কখনো। সেই সাথে ম্যাজিক সম্পর্কেও অনেক কিছু জানা হল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্লটটা একদম মানানসই। অভিনব একটা প্লট, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু পড়ে মনে হয়েছে এই উপন্যাসের পটভূমি অন্য যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশেই পারফেক্ট!

দুইটা মূল চরিত্রের মধ্যে অ্যানিমা চরিত্রটাকে আমার বেশি ভালো লেগেছে। স্বাধীনচেতা মেয়েটার ভক্ত বনে গেছি। শুরুতে যখন ওর বর্ণনা দেওয়া হচ্ছিল, তখন খুব অবাক লাগছিল। আমাদের দেশে একটা মেয়ের তো এভাবে একা থাকার কোন উপায়ই নাই। পরে ব্যাপারটা বিশ্লেষণ করে দেওয়ায় আর সন্দেহ রইল না।
আমার নিজের খুব শখ ছিল, জীবনের অন্তত একটা অংশ নিজের মত করে পুরোপুরি একা কাটাবো। আমার পক্ষে হয়ত এটা কখনো সম্ভব হবে না। তাই মেয়েটাকে দেখে একটু হিংসেই লেগেছে।

বরাবরের মতোই কিছু টাইপো আছে। আরো কিছু ব্যাপার, আয়াতুল কুরসি কিন্তু কোন সূরা নয়। এটা সূরা বাকারার ২৫৫ তম আয়াত। এই আয়াতের অনেক ফজিলত, তাই বিপদে আপদে পড়া হয়।
আর ইয়াজুজ মাজুজদের আটকাবার জন্য জুলকারনাইনের বানানো যে দেয়ালটা, সেটা কোন রূপক দেয়াল নয়। সত্যি সত্যিই দেয়াল আছে। এটুকু তো কুরআনেই উল্লেখ আছে।
কথিত আছে, প্রতিদিন ভোরে ওরা দেয়ালটাকে ঘসতে শুরু করে, সন্ধ্যায় সেটা অনেকটাই পাতলা হয়ে যায়। ওরা ভাবে পরদিন এসে বাকি কাজ শেষ করবে। কিন্তু রাতের মধ্যেই ফেরেশতারা দেয়ালকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। কেয়ামতের আগে ইয়াজুজ মাজুজরা দেয়াল ভেঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারবে।
এখন কথা হল, সেই শক্তিশালী ইয়াজুজ মাজুজদের কি সত্যিই কোন জাদু করে পৃথিবীতে আনা যাবে? এরকম কোন তথ্য কোথাও থেকে থাকলে, রেফারেন্স দেওয়া উচিৎ ছিল।
আর মুমিন যেহেতু মাদরাসায় পড়াশোনা করেছে, কুরআন সম্পর্কে তার ভালো জ্ঞান থাকার কথা। সেই সাথে ইয়াজুজ মাজুজদের সম্পর্কেও। এই ব্যাপারটা কেন অ্যানিমির কাছ থেকে জানতে হল ওকে? এই জায়গাটা একটু অসংলগ্ন লেগেছে। ডিসকাশনটা মুমিনের তরফ থেকে এলে ভালো হত।

শেষ কথা হল, বইটা এই জনরার সবচেয়ে সেরা। কেমন হয় যদি অ্যানিমি-মুমিনের এই কাহিনির সিরিজ বের হয়?

বই পরিচিতিঃ

বইঃ অক্টারিন
লেখক: তানজিম রহমান
প্রচ্ছদ: ডিলান
পৃষ্ঠা: ৩৮৪
মূল্য: ৩৬০
প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী
প্রকাশকালঃ বইমেলা-১৬
রেটিংঃ ৫/৫

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

ইমরান-মাহমুদ-ডালিম বলেছেন: বাহ অসাধারণ । ভালো লাগল খুব ।

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: আচ্ছা

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

আর. এন. রাজু বলেছেন: অসাধারণ রিভিউ লিখেছেন।

০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

মাদিহা মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



হয়তো রিভিউ ভালো হয়েছে; যেহেতু, আমি এই এই ধরণের বই পড়ি না, কিছু বলতে চাচ্ছি না

০২ রা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:২৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: :)

৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২২

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: রেটিং ৫ এ ৫ !! পড়তেই হবে দেখি ;)

০২ রা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:২৭

মাদিহা মৌ বলেছেন: জি, বইটা খুবই ভাল

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১০

শেখ মিজান বলেছেন: রিভিউ ভালোমন্দ বুঝিনা, তবে আমার ভালোলেগেছে, লিখক তানজিম রহমানের এফবি/টুইটার বা অন্য কোন ভার্চুয়ার আইডি জানা থাকলে দিতে পারেন, আমার মনে হয়, মুমিন হওয়ার জন্য ধর্মজ্ঞানের প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন অন্ধভাবে ধর্মিও গোড়াযুক্তিগুলি বিশ্বাস করলেই মুমিন হওয়া যায়, তবে মাদ্রাসায় পড়া ছেলেরা খুব কমই অন্ধধার্মিক হয়, তারা যুক্তি বুঝেন, জঙ্গি হয়, ধর্মের অজ্ঞ ইউনিভার্সিটি / সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্ররা, তবে এটা সত্য যে, মাদ্রায় শিক্ষিত লোকজন, নিজে জঙ্গি না হয়ে অন্যদের জঙ্গি হতে যাবতীয় সহায়তা করে থাকে। নিজে থাকে পর্দার আড়ালো। এখানে ইয়াজুজ মাজুজ সমর্পর্কে ধর্মিও ব্যবখ্যা বা এটি কখনো আসবে কিনা তা আমি বলবো, তবে সময় সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

মাদিহা মৌ বলেছেন: আপনার বক্তব্য আমার বোধগম্য হলো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.