নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাদিহা মৌ

মাদিহা মৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদে বইকথা - ০২

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২১

তিনমাসে যে ৮০+ বই পড়ে শেষ করেছি, কিছু কিছু বইয়ের পূর্ণ প্রতিক্রিয়া লিখলেও, সবগুলি যথাযথ পাঠপ্রতিক্রিয়া লেখা হয়নি। কখনো হয়তো ইচ্ছে করেনি, কখনো বা দু'লাইন বা চার লাইন লিখতে ইচ্ছে হয়েছে। তাইই করেছি। এই দু'চার লাইনের অনুভূতি গুলি একসাথে গুছিয়ে রাখতে ইচ্ছে হল।




আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরী



যে কারণে ডায়েরিটা বিখ্যাত, সে ব্যাপারটা আমাকে তেমন ছুঁয়ে যায়নি। আমি একটু কাঠখোট্টা টাইপের মানুষ। যুদ্ধের সময় জার্মানরা ইহুদীদের কেমন অত্যাচার করেছে, সেই কাহিনি পড়ে আমার চোখে পানি আসেনি। পাকিস্তানিরা এরচেয়ে বহুগুণ বেশি অত্যাচার আমাদের করেছে।

আমার যেটা ভালো লেগেছে, সেটা হল ছোট্ট মেয়েটার ব্যক্তিত্ব। ওর তীব্র জীবনবোধ, আত্ম-উপলব্ধি আর বুদ্ধিমত্তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সেই সাথে ওর লেখক সত্ত্বাকেও আমার খুব ভাল লেগেছে। ছোট একটা মেয়ে এত গুছিয়ে ডায়েরী লিখেছে যা দেখে আমার মনে হয়েছে, আমিও যদি এভাবে ডায়েরী লিখতে পারতাম! ওর লেখা কিছু কিছু অংশ তো আমার সাথে মিলেই গেছে!
যেমন -
"কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও আমি ভেঙ্গে পড়িনি, আমার আদর্শকে জলাঞ্জলি দিইনি। জানি, বর্তমান অবস্থায় সেগুলোর বাস্তবায়ন অসম্ভব, তবুও সযত্নে তাদের বুকের ভেতর লালন করছি। কারণ আমি এখনো বিশ্বাস করি মানুষের ভিতরটা নির্মল সুন্দর। এই বিশ্বাসই আমার স্বপ্নের ভিত্তি, আমি তো আমার স্বপ্নগুলোকে এমন কিছুর উপর দাঁড় করাতে পারি না, যা কেবল মৃত্যু - ধ্বংস দিয়ে গড়া।"
প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও আমি তো জানি, ওর এই কথাগুলি আমার সাথে কতটা মেলে!

বইয়ের পরিশিষ্টতে বলা আছে হল্যান্ড মুক্ত হবার মাত্র দুইমাস আগে নির্যাতিতা আনা ফ্রাঙ্ক মৃত্যুবরণ করে। আমি জানি না, ঠিক কী ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়ে ও মারা গেছে। কোনভাবে জানা গেল ভাল হত।
খুব কষ্ট লেগেছে মেয়েটার জন্য। কষ্টটা শুধু ওর জন্যই লেগেছে, আর কারো জন্য নয়।

কবি
হুমায়ূন আহমেদ



প্রচন্ড মাথা ধরা নিয়ে মোটা একটা উপন্যাসের বই পড়ে যাচ্ছি। উপন্যাসের শুরুটা খুবই বিরক্তিকর লেগেছে আমার কাছে। মনে মনে ভাবছিলাম, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস আবার বিরক্তিকরও হয়!!!
বিরক্তি লাগার কারণ হলো কবিতা। কবিকে নিয়ে লেখা উপন্যাসে কবিতা থাকবে, সেটা খুব স্বাভাবিক।

কিন্তু আমার যে কবিতা পছন্দ নয়!
একজন সাহিত্যপ্রেমী হিসেবে এটা যে খুব ভয়াবহ অপরাধের পর্যায়ে পড়ে, সেটা আমি জানি। কিন্তু তবুও আমার যে কিছু করার নাই। পাঠ্যবইয়ের কবিতা ছাড়া আমি হাতে গোনা কিছু কবিতা পড়েছি। তাও হয়ত ঠেকায় বেঠেকায় পড়ে। ছোটবেলায় পিনি কে দেখতাম, কোথাও সুন্দর কিছু পঙক্তি দেখলেই ডায়েরীর পাতায়, টেবিলের কাঠে, এখানে সেখানে লিখে রাখত। ওর অতি আগ্রহ কপি করার জন্য আমিও চেষ্টা করতাম কবিতা পড়তে। কবিতাকে ভালোবাসতে। হয়নি কখনো।

কবি উপন্যাসটা পড়ছিলাম কবিতাগুলি এড়িয়ে। কিন্তু বোনের বিয়েতে জাগতিক বস্তুগত কিছুই দিতে না পারা আতাহারের বাড়িয়ে দেওয়া চিরকুটের কবিতাটা আমি এড়িয়ে যেতে পারিনি। ওটা পড়ে মিলির মতোই কেঁদে ফেলেছি।
দুপুরে বন্ধু জিজ্ঞেস করছিল, হুমায়ূন আহমেদের কোন লেখা পড়ে আমি কেঁদেছি। ওকে বলা হয়নি, স্যারের প্রায় সবগুলি বই পড়ার কোন না কোন সময়ে আমার চোখে জল এসেছে। সেই অশ্রু কখনো চোখ থেকে গড়িয়ে পড়েনি, চোখেই মরে গেছে।


রূদ্রপ্রয়াগের চিতা
জিম করবেট



একটা মানুষখেকো চিতা, ঠিক কতটা ধুরন্ধর আর তীক্ষ্ণ বুদ্ধির হতে পারে, এই বইটা না পড়লে জানতাম না। জঙ্গল নিয়ে, মানুষখেকো সিংহ নিয়ে আগে পড়লেও মানুষখেকো চিতা সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। মানুষের কাছাকাছি থেকে মানুষের গতিবিধি সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান তো ছিলইই, সঙ্গে ছিল দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আর ক্ষিপ্ততা। আর ভাগ্যের সহায়তা। ভাগ্য যেন বার বার চিতাটাকেই সাহায্য করে গেছে তার জীবন বাঁচাবার জন্য। আর বহাল তবিয়তে রূদ্রপ্রয়াগের আশেপাশেরর পাঁচশ বর্গমিটার এলাকায় সদর্প রাজত্বে বিঘ্ন না ঘটানোয়।

জিম করবেটের চমৎকার একটা অ্যাডভেঞ্চারস বই "রূদ্রপ্রয়াগের চিতা"। খুব ভাল লেগেছে। প্রাকৃতিক বর্ণনাগুলি এত নিখুঁত হয়েছে যে আমি চোখের সামনেই যেন সব কল্পনা করতে পারছিলাম। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে। আমি যেটা পড়েছি, সেটা হল সেবা থেকে কাজিদার রূপান্তর। মূল বইটা কি আরো বিস্তারিতভাবে লেখা? কেউ জানেন? সেবা সম্পর্কে একটা অভিযোগ প্রায়ই যেটা পাওয়া যায়, মূল বইয়ের তুলনায় রূপান্তর অনেক অনেক ছোট হয়। এই বইয়ের মূল লেখাটা যদি এরচেয়ে বড় হয়, তাহলে তো সেটা খুব একঘেয়ে হবার কথা। এরচেয়ে বিস্তারিত লিখলে সত্যিই বইয়ে মনোযোগ রাখা যেত না।

দ্য রোড ব্যাক
এরিক মারিয়া রেমার্ক



টান টান উত্তেজনা নাই। বোরিং টাইপের বই হলেও বইয়ের মূল বিষয়টা চমৎকার লেগেছে। যুদ্ধ ফেরত সৈনিকদের ব্যথাটা আমিও অনুভব করেছি।

---------------
ক্ষুদে বইকথা সিরিজের অন্য লেখা - ক্ষুদে বইকথাঃ ০১

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭

ক্লে ডল বলেছেন: তিন মাসে ৮০+ বই!!! তার মানে দিনে প্রায় একটা! তারপরও সুন্দর রিভিউ লিখেছেন! ভাল লেগেছে।

উভচর মানব খুব প্রিয় একটা বই আমার!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

মাদিহা মৌ বলেছেন: একটা পরীক্ষা দিয়ে বইমেলা থেকে কেনা সব বই নিয়ে বসেছি। এখনো অনেক বই অপঠিত রয়ে গেছে। আরেকটা পরীক্ষার ডেট আসা পর্যন্ত চলবেই।

আপনার খুব ভালো লাগছে, এমন কিছু বই চাইলে সাজেশন করতে পারেন …

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬

টাইম টিউনার বলেছেন: ভালো আরো পড়তে থাকুন.....

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

মাদিহা মৌ বলেছেন: জ্বী, পড়ছি …

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর বুক রিভিউ, বইগুলো অনেক আগে পড়েছি আপনার রিভিউ পড়ে আবার ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

মাদিহা মৌ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ … :)

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এবার বেশ কিছু বই কমন পড়ে গেলো। কবি বোরিং লেগেছে! বলেন কী! সে সময় পরে বেশ ভালো লেগেছিলো। নি- চমৎকার। উভচর মানুষ ভালোভাবে মনে নাই। তবে যে বইটার কথা সারাজীবন মনে থাকবে, তা হলো "দ্যা রোড ব্যাক"। যুদ্ধ বিরোধী লেখার ক্ষেত্রে এরিক মারিয়া রেমার্কের চেয়ে ভালো কেউ নেই। তার অন্যান্য বই গুলো পড়ে দেখতে পারেন। বিশেষ করে থ্রি কমরেডস এবং অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট।

আপনি মনে হয় রোমাঞ্চকর থ্রিলার বেশি পছন্দ করেন পড়তে।

এ মুহূর্তে পড়ছি পিজি ওডহাউজের জিভস অফ অল ট্রেড। আমার খুব প্রিয় একজন লেখক। রস সাহিত্যে তার মত কেউ নেই। পড়ে দেখতে পারেন সেবা প্রকাশনী থেকে অনুদিত থ্যাংক ইউ জিভস, ক্যারি অন জিভস এবং লর্ড এমসওয়ার্থ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: কবি'র শুরুটাই শুধু বোরিং লেগেছিল। কারণ তো বলেই দিয়েছি। শেষটায় তো চোখে পানিই চলে এসেছে।

থ্রি কমরেড খুঁজেছিলাম মেলায়। পাইনি। ওটা খুঁজতে গিয়েই দ্য রোড ব্যাক কিনেছি।
পিজি ওডহাউজের কোন বই এখনো পড়িনি। আপনার সাজেস্ট করা বইগুলি তালিকাবদ্ধ করলাম। অবশ্যই পড়ব।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

বিপ্লব06 বলেছেন: তিন মাসে আশিটা বই!!! অসাধারণ! বইয়ে আসক্তি থাকার জন্য আপনার প্রতি এক্সট্রা রেস্পেক্ট!

যতদূর জানি, অ্যানা ফ্রাঙ্ক প্রত্যক্ষভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যায়নি। টাইফুস নামে এক মহামারির কারণে সে ক্যাম্পেই মারা যায়। তাঁকে নির্যাতিতা বলার কারণ মনে হয় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের বর্ণনাতীত নির্যাতন।

ভালো থাকবেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: বইয়ের প্রতি ভালোবাসাটা একদম ছোট থেকে। কত মার খেয়েছি আম্মুর হাতে! কত বই যে আম্মু ছিঁড়েছে। কোন বাঁধাই বই পড়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। আর এখন তো সবই নিজের হাতে, তাহলে পড়ব না কেন?

তথ্যটির জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৮

রুদ্র কায়সার বলেছেন: রুদ্র প্রায়োগের চিতাটা কোন প্রকাশনী??

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: তোমার অতি অপছন্দের সেবা প্রকাশনি … :/

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪০

রুদ্র কায়সার বলেছেন: দিয়েন তো। পড়বো।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০০

মাদিহা মৌ বলেছেন: ওকে। নিয়াসবো ঢাকায় যাওয়ার সময় …

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তিন মাসে আশি বই পড়ার কথা এখন আমি চিন্তাও করতে পারিনা, অথচ এক সময় এমনটা বললে বলতাম এ আর কি.....সত্যিই এখন আর বই পড়ার সময় খুব একটা হয়না। তবে আমি একটা লাইব্রেরী গড়ে তোলার চিন্তায় আছি, তখন আবার নতুন করে বই পড়া শুরু করবো ইনশাআল্লাহ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: ছোটবেলায় তিন গোয়েন্দা দিয়ে যখন হাতে খড়ি হয়েছিল, প্রচন্ড নেশা দেখে লোকে বলেছিল, বড় হলে এই নেশা কই পালাবে! তখন থেকে একটা রোখ চেপে গিয়েছিল। আর এখন তো রীতিমত অভ্যাস হয়ে গেছে। ব্যাগে একখানা বই না থাকলে নিজেকে নিঃস্ব নিঃস্ব লাগে …

প্রায় সাত মাস ধরে ব্লগে আছি। এই পর্যন্ত আমার কোন লেখা কাওকে পড়তে দিইনি। সমগোত্রীয় বলে আপনায় দিতে ইচ্ছে করলো।

বিশাল বিশাল বুকশেলফ বানানোর জন্য ফ্যাসিনেশন আছে। ওটা থেকেই এই লেখা …

বই পড়া নিয়ে আমার যত পাগলামি …

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক সময় আমার প্রোফাইলে ছিল............ "একসময় বই পড়তে পড়তে বুকে ব্যাথা হয়ে যেতো গভীর রাত পর্যন্ত বালিশে উপুর হয়ে বই পড়ি বলে, এখনো আমার বুকে ব্যথা হয়, তবে সেটা বইয়ের মলাটে ধুলোর আস্তর দেখে। ছিলাম বই পোকা এখন হলাম নেট পোকা"

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: জমাট ধুলোর আস্তর সরে যাক পরম মমতায় …

এখন তো আপনি ভ্রমণ পোকাও … :P

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বই পড়া মানুষদের আমি সব সময় শ্র্ধা করি, সুতরাং.........

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

মাদিহা মৌ বলেছেন: আঁজলা ভরে আপনার শ্রদ্ধা গ্রহন করলাম ;)

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

সামিয়া বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

প্রামানিক বলেছেন: তিন মাসে ৮০+ বই পড়েছেন, তার মানে ৯০ দিনে প্রায় ৮৫টা বই পড়েছেন। ধৈর্য আছে বটে! রিভিউ চমৎকার হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: ৮৫ হবে না। বড়জোড় ৮২ …

বইমেলার সময়ে ছিল পরীক্ষা … তখন যেসব বই কিনে জমিয়েছিলান, সেসব শেষ করেছি এই তিন মাসে। আবার পরীক্ষা এসে যাচ্ছে। এখন আর তেমন পড়া হবে না। :(

আপনার ধন্যবাদ গ্রহণ করে স্বাগত জানালাম …

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, এখন ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফির পোকাটা মাথায় সব সময়ই কিলবিল করে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

মাদিহা মৌ বলেছেন: ও হ্যাঁ, ফটোগ্রাফি! ওটার কথা তো ভুলেই গিয়েছিলাম। এখন না হয় এই দুটোই চলুক। পরে আবার বইয়ের পোকা হবেন!

১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা এবং সেবা প্রকাশনীর ওয়েষ্টার্ন গুলো এখন আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকলেও বই পড়া শুরু করেছিলাম আরব্য উপন্যাস, পারস্য উপন্যাস পরে শরৎচন্দরট দেবদাস, দত্তা এই রকম বইগুলো দিয়া।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৫৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: আরব্য উপন্যাস পড়েছিলাম ওই সময়েই। তবে বাকিগুলি এখন পর্যন্ত পড়া হয়নাই …

১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পড়াশুনার একাগ্রতা দেখে খুশী হলাম । ইতিমধ্যে পি এএইচ ডি করা না হয়ে থাকলে এই বুক রিভিউর অভ্যাসটা তখন খুব কাজে লাগবে । এমনো হতে পারে দিনে ৯০ টা বই পড়া লাগতে পারে থিসিসের লিটারেচার রিভিউ পার্টের জন্য । যাহোক Oxford University Press থেকে প্রকাশিত The Man-eating Leopard Of Rudraprayag 1947 পুস্তকটি ইউ এস আর্কাইভ থেকে নিন্মের লিংক হতে ডাউনলোড করে নিতে পারেন ।
https://ia600504.us.archive.org/1/items/TheMan-eatingLeopardOfRudraprayag1947/TheMan-eatingLeopardOfRudraprayag1947.pdf

শুভেচ্ছা রইল ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: রূদ্রপ্রয়াগের চিতা তো পড়ছিই। নতুন করে আবার ডাউনলোড করতে হবে কেন?

১৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জিম করবেটের চমৎকার একটা অ্যাডভেঞ্চারস বই "রূদ্রপ্রয়াগের চিতা"। খুব ভাল লেগেছে। প্রাকৃতিক বর্ণনাগুলি এত নিখুঁত হয়েছে যে আমি চোখের সামনেই যেন সব কল্পনা করতে পারছিলাম। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে। আমি যেটা পড়েছি, সেটা হল সেবা থেকে কাজিদার রূপান্তর। মূল বইটা কি আরো বিস্তারিতভাবে লেখা? কেউ জানেন?
আপনার লিখার উপরে দেখানো বোল্ড করা অংশ আমাকে মিসগাইড করেছে । যাহোক সরি , আপনার লিখার প্রেক্ষিতে মুল ব্ইটির বিষয়ে আমার ব্যার্থ প্রয়াসের জন্য, সে সাথে আপনার মুল্যবান সময় অপচয় করার জন্যও বটে । ভবিষ্যতের বিষয়ে সচেতন হওয়া গেল । ধন্যবাদ ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: ভুল বুঝবেন না ভাইয়া। আমি কেবল জানতে চেয়েছিলাম এটা আসলে কত বড়। তাছাড়া আমি বুঝতে পারিনি আপনি কী উদ্দেশ্যে লিংকটা দিয়েছেন।

যেহেতু পিডিএফ বিষয়টার উপর একটু অনিহা আছে, তাই হুট করে অসন্তোষ টা প্রকাশ করে ফেলেছি। দুঃখিত।

১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বই পড়ার সুপার স্পীডের সাথে কখনোই তাল মেলাতে পারবে না। তবে আপনার পড়ার চমৎকার অনুভূতি গুলো মিস না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ।

আপনার কিছু চমৎকার অনুভূতি মাধ্যমে আপনার সুন্দর মানস জগতের সাথে পরিচিত হয়ে ভাললাগছেঃ

//যে কারণে ডায়েরিটা বিখ্যাত, সে ব্যাপারটা আমাকে তেমন ছুঁয়ে যায়নি। আমি একটু কাঠখোট্টা টাইপের মানুষ। যুদ্ধের সময় জার্মানরা ইহুদীদের কেমন অত্যাচার করেছে, সেই কাহিনি পড়ে আমার চোখে পানি আসেনি। পাকিস্তানিরা এরচেয়ে বহুগুণ বেশি অত্যাচার আমাদের করেছে।//

//খুব কষ্ট লেগেছে মেয়েটার জন্য। কষ্টটা শুধু ওর জন্যই লেগেছে, আর কারো জন্য নয়।//

ভাল থাকুন। সবসময়।


০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

মাদিহা মৌ বলেছেন: তাল মিলিয়ে পড়তে হবে না। লাইনে একটু পিছিয়ে পড়েই না হয় বই পড়া চালিয়ে যান :P

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও ভালো থাকুন।

১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একটা বিষয়ে আপনার সাথে আমার মিল আছে, আমিও বই কিনে সাথে সাথে পরিনা , পরে সময় হলে রসিয়ে রসিয়ে পড়ি।
গত বইমেলা থেকে ৪২ টা বই কিনেছি , কয়েকটা এখনো পড়িনি ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

মাদিহা মৌ বলেছেন: বিয়াল্লিশ! !! একসাথে এত বই তো পড়েও শেষ করা সম্ভব না।

আমি একসাথে এত বই কিনিনি কখনো। তবে প্রত্যেক মাসেই আমার বই কেনা চলছে …

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.