নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাদিহা মৌ

মাদিহা মৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই কথাঃ ১৭ - স্টর্ম ফ্রন্ট

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

ঠিক রিভিউ যেটাকে বলে, আমি সেটা লিখি না। বই নিয়ে আমার যাবতীয় অনুভূতি লিখে রাখি। তা হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপন্যাসের কাহিনির বাইরের কথাও এসে যায়। বই নিয়ে আমার এই অনুভূতিকে বইকথা হিসেবে প্রকাশ করি। পারফেক্ট রিভিউ এখানে পাওয়া যাবে না।



কাহিনি সংক্ষেপ

হ্যারি ড্রেসডেন শহরের একমাত্র জাদুকর গোয়েন্দা। যখনই পুলিশের হাতে এমন কেস আসে যেটার জট যুক্তি দিয়ে খোলা সম্ভব নয়, ডাক পড়ে তার। নিরীহ মানুষ অতিপ্রাকৃত শক্তির হাতে জিম্মি হয়ে পড়লেও ডাক পড়ে হ্যারির। নিজের পেশায় সে এক এবং অদ্বিতীয়। কিন্তু এই তুখোড় গোয়েন্দা কল্পনাও করেনি কোন মহাবিপদ ধেয়ে আসছে তার দিকে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন কেসে জড়িয়ে পড়ে হ্যারি। অসম্ভব নিষ্ঠুর এবং বুদ্ধিমান এক শত্রুর মোকাবেলা করতে হয় তাকে। প্রতিবার দু-ধাপ পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে, পরবর্তি আক্রমণ কোত্থেকে আসবে কিছুতেই আন্দাজ করা যাচ্ছে না--এই বিপদ থেকে কি হ্যারি বেঁচে ফিরতে পারবে? স্টর্ম ফ্রন্ট আপনাকে শিহরিত করবে, রোমাঞ্চিত করবে, নিয়ে যাবে জাদু আর রহস্যে ঘেরা এক নতুন জগতে।

পাঠ প্রতিক্রিয়া

উত্তম পুরুষে সবাই ভালো লিখতে পারে না। আর সবার লেখা উত্তম পুরুষ এক ক্যাটাগরির হয় না। জিম বুচারের বই আমি এই প্রথম পড়ছি। এবং কেবলমাত্র একটা চ্যাপ্টার পড়েই তাঁর লেখার প্রেমে পড়ে গেছি। একে তো ফ্যান্টাসি, তার উপরে চমৎকার লেখনি। বুচারের উত্তম পুরুষের বর্ণনাভঙ্গীটা এতোই বাস্তবিক যে আমি ভাবতে শুরু করেছি, এই বইয়ে যা যা ড্রেসডেনের সাথে হচ্ছে, তার সবই আমি নিজের সাথে ফেইস করছি। বাচনভঙ্গিটা এত চমৎকার যে পরীক্ষা দোরগোড়ায় রেখে, হাতের কাছে একগাদা বই থাকা সত্ত্বেও "কিছুই পড়তে ভালো লাগছে না" - টাইপ সিচুয়েশনে এই বই আমাকে চুম্বকের মত আটকে রেখেছে।

ফ্যান্টাসি বলে ভেবে বসবেন না, এটা নেহায়েত বাচ্চাদের বই। জাদু দুনিয়ার অনেককিছুর চমৎকার বিশ্লেষন এটা। সেই সাথে মসৃণ কাহিনি। কোথাও হোঁচট খাবার উপায় নেই। আড়াইশ পৃষ্ঠার বইটা এক সন্ধ্যায় পড়ে শেষ করেছি। বলতে গেলে শেষ করতে বাধ্য হয়েছি।
একদম ঝরঝরে একটা বই। কাহিনীতে কোন মেদ নেই, কোন প্লট হোল নেই, কোন অসংগতি নেই। অন্তত আমার চোখে এগুলির কিছুই ধরা পড়েনি। আমি খুব ভালো করে বুঝতে পারছি, ড্রেসডেন ফাইলস সিরিজের অন্য বইগুলি বের হবার সাথে সাথে আমাকে পড়তেই হবে। এর থেকে কোন নিস্তার নেই।

অনুবাদ একদম ঝরঝরে। আমার কাছে মনেই হয়নি আমি অনুবাদ পড়ছি। মনে হচ্ছিলো জিম বুচার বুঝি বাংলাতেই লিখেছেন স্টর্ম ফ্রন্ট। "হ্যাঁ" শব্দটা ছাড়া আর কোন ভুল বানান চোখে পড়েনি।
অনুবাদকের উৎসর্গপত্র দেখে খুব হেসেছি। উনি বাতিঘরের সমস্ত ব্রাদারহুডকে উৎসর্গ করতে গিয়ে ভুলেই গিয়েছেন যে ওখানে একজন সিস্টারও আছে। সান্তা রিকি আপুকেও বেচারা ভাই বানিতে ফেলেছন!

বই পরিচিতিঃ

বইঃ স্টর্ম ফ্রন্ট
লেখক: জিম বুচার
অনুবাদকঃ তানজিম রহমান
প্রচ্ছদ: ডিলান
পৃষ্ঠা: ২৫৬
মূল্য: ২৪০
প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী
প্রকাশকালঃ জুলাই-১৬
রেটিংঃ ৫/৫

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: উনি বাতিঘরের সমস্ত ব্রাদারহুডকে উৎসর্গ করতে গিয়ে ভুলেই গিয়েছেন যে ওখানে একজন সিস্টারও আছে। সান্তা রিকি আপুকেও বেচারা ভাই বানিয়ে ফেলেছেন! =p~

বই কথা ভাল হইছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০২

মাদিহা মৌ বলেছেন: হ্যাঁ, আমি তো উৎসর্গ পত্র পড়ে হেসেই বাঁচি না! :P

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

শায়মা বলেছেন: মাদিহামনি নিশ্চয়ই হ্যারি যে সবশেষেও সফল হয়েছিলো বুঝাই যাচ্ছে। অনেক ভালো লাগলো।

আর রিকিমনিকে কত মানুষ যে ভাই বানায়, আসকে নামটা দেখে অনেকেই কনফিউস হয়ে যায়। :P

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: পুরোপুরি সফল। কিন্তু তার জন্য যথেষ্ট মূল্যও দিতে হইছে বেচারাকে।

রিকি আপুটার নামটাই এমন যে, ছেলে না মেয়ে বোঝা যায় না। :P
আপুটার অনুদিত সার্জন না পড়লে আমিও বুঝতাম না! :P :P

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্যি বলতে বইটার প্রথম কয়েকটা পৃষ্টা আমি পড়েছি। তারপর যখন ভাল লাগতে শুরু করলো তখন ভাবলাম এখন থাক, আর একটু ফ্রি হয়ে তারপর ভালভাবে পড়বো! কিন্তু ঐ পড়বো পর্যন্ত। তারপরে আর মনেও নাই! :(

আপনার রিভিউটা পড়ে মনে পড়লো হঠাৎ বইটার কথা!

বরাবরই চমৎকার রিভিউ! শুভ কামনা জানবেন!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫০

মাদিহা মৌ বলেছেন: এটা এমন একটা বই, যেটার মূল বইয়ের চেয়েও অনুবাদটা ভালো হয়েছে। বাংলা অনুবাদ সাহিত্যে এমন ব্যাপার আর কখনো ঘটেছে কিনা, জানি না। আর আপনি সেই বই ফেলে রাখছেন? জলদি পড়ে শেষ করেন!

তবুও ধন্যবাদ। আর অবশ্যই ভালো থাকবেন।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: রিভিউ পড়ে পড়ার লোভ হইছে :)
অনুবাদক রিকি আপুকে ভাইয়া বানায় দিল, আশ্চর্য! :P

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫১

মাদিহা মৌ বলেছেন: পড়ে ফেলেন। ঠকবেন না, নিশ্চিত থাকেন। :P

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫২

মাদিহা মৌ বলেছেন: রিকি আপুর অবশ্য তাতে আপত্তি নাই। এই ব্যাপারটা নিয়ে তিনি সুন্দর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমিও বহুকাল তারে ভ্রাতৃত্বের চোখেই দেখেছি। :P
বেশ আগ্রহ হচ্ছে পড়তে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

মাদিহা মৌ বলেছেন: হা হা হা! আপনার বলার স্টাইলে খুব মজা পেলাম। পড়ে ফেলেন বইটা।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

জেন রসি বলেছেন: পড়া হয়নাই। হ্যারি পটার টাইপ?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

মাদিহা মৌ বলেছেন: না! না! হ্যারি পটারের চেয়ে অনেক পরিণত আর বিশ্বাসযোগ্য ফ্যান্টাসি এটা। পড়ে দেখেন। মূল বইটা না পড়ে অনুবাদটা পড়েন। এই প্রথমবারের মত শুনছি, মূল বইয়ের চেয়ে অনুবাদ বেশি ভালো হয়েছে।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

প্রামানিক বলেছেন: রিভিউ পড়ে বই পড়ার আগ্রহ জন্মালো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: পড়ে দেখতে পারেন। ভালো লাগবে।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

পুলহ বলেছেন: সুযোগ পেলেই আপনার এই সিরিজটা ফলো করি। আপনার পাঠাভ্যাস সত্যিই এপ্রিসিয়েট করার মত।
এই বই কথা পড়ে তো মনে হোল- অনুবাদক অসাধারণ এক কাজ করেছেন।
বই কথা সিরিজ চলুক

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০০

মাদিহা মৌ বলেছেন: আপনি আমার এই সিরিজ রেগুলার ফলো করেন শুনে ভালো লাগছে খুব। আজকাল তো বই পড়ুয়াদের সং্খ্যা আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। তাই বইয়ের প্রতি আগ্রহীদের পেলে বেশ ভালো লাগে।

অনুবাদক সত্যিই কাজের কাজ করেছেন। এমন ঝরঝরে অনুবাদ অনেক দিন পড়িনি।

বই ছেড়ে যেহেতু থাকতে পারি না, বইকথা সিরিজ চলবেই। :P

ভালো থাকবেন।

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: চুপ চাপ দেখে গেলাম =p~

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০১

মাদিহা মৌ বলেছেন: চুপচাপ দেখে যাবেন কেন? স্বশব্দে দেখে যান :P

১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বই পড়ার নেশা !!! খুব খারাপ নেশা !! বিশেষ করে বিবাহিতদের জন্য ! বাসার অনেক কাজ লেজে-গোবরে হয়ে যায় । আপনি রিভিউগুলো পড়ে ছাত্রজীবেনর বদভ্যাসটা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠছে ।

ভাল থাকুন । সবসময় ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: অন্য অনেক নেশার চেয়ে বই পড়ার নেশা ভালো। এটা তো কেবল টাইম পাসই নয়, আরো অনেক কিছু।

এক কাজ করতে পারেন। রুটিন করে নিন, কখন কোনটা করবেন। তাহলে আর লেজে গোবরে হবে না।

ভালো থাকুন সবসময়। হ্যাপি রিডিং। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.